পৃথিবীর আদি কথা।
ধনঞ্জয় ঘোষাল।
তারিখ--১৪-০৪-২২
বিভাগ--আধুনিক কবিতা।
এক বিশাল জ্বলন্ত অগ্নি পিণ্ড,
মহাকাশে ঘুরতে ঘুরতে
কোটি বছর পার করে
বিশাল তুষার খণ্ডে রূপান্তরিত
হয়ে--আরও সহস্র সহস্র বছর
পার করে সেই নিরেট হিম
গলতে গলতে সৃষ্টি হলো
এক জলের পৃথিবী।
তারপর জল শুধু জল--
তারপর অন্ধকার
সীমাহীন অন্ধকার ;
গাঢ় অন্ধকার থেকে
আমরা এসেছি
অ্যামিবার পথ ধরে--
মহান সূর্যের আলোর আলোড়ন
আমাদের এক থেকে বহু--
বহু থেকে প্রকৃতি,বৃক্ষ লতা
প্রাণী এবং অবশেষে এলো
আদি মানুষ।
একটি বীজ যেমন বিশাল
গভীর ঘন জংগলে
পরিণত হয় ;
জলের বিন্দু থেকে
মহান জলরাশি ;
সমুদ্রের কলরোল সফেন ঢেউ
দিগন্ত ছুঁয়ে আবার
ফিরে ফিরে আসে ;
ঠিক আমদের জীবনের মতন।
এই সব বিস্তারিত অনুভব
মানুষের মন সকল
বাধা ভয় রক্ত জল ঘিরে
প্রাণিত হয়ে,সঞ্চারিত করে গেছে আগামী প্রাণের আশায়
আমদের পৃথিবী আবর্তিত হয়
সূর্যকে ঘিরে।
মৃত নদীর বুকে জল
গর্ভবতী নারীর মত স্ফীত করে।
সূর্য অপর দিকে চলে গেলে
দেখেছি শীত
দেখেছি নির্ঝর নদী।
তবুও শ্মশানে নির্জন মাঠে
উদ্গম হয় নবান্নের ধান
ধরণী ফুলে ওঠে প্রাণ
হয়তো এখনও অন্ধকার
শেষ হলে শিশির স্নিক্ত
পবিত্র ভোর হলে আমরা আসি,
সব অবসান হলে
তবুও দেখেছি মৃত্যু অনেক।
তাই আজও চলেছি
সমুজ্জ্বল সূর্যের নির্দেশে।
সকলের মঙ্গল হোক
সকলেই শান্তি লাভ করুক
সর্বে ভবন্তু সুখিন,
সর্বে সন্তু নিরাময়া,
সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু,
মা কশ্চিদ দুঃখ মাপ্নুয়াত,
ওম শান্তি শান্তি শান্তিহী
ধনঞ্জয় ঘোষাল।
তারিখ--১৪-০৪-২২
বিভাগ--আধুনিক কবিতা।
এক বিশাল জ্বলন্ত অগ্নি পিণ্ড,
মহাকাশে ঘুরতে ঘুরতে
কোটি বছর পার করে
বিশাল তুষার খণ্ডে রূপান্তরিত
হয়ে--আরও সহস্র সহস্র বছর
পার করে সেই নিরেট হিম
গলতে গলতে সৃষ্টি হলো
এক জলের পৃথিবী।
তারপর জল শুধু জল--
তারপর অন্ধকার
সীমাহীন অন্ধকার ;
গাঢ় অন্ধকার থেকে
আমরা এসেছি
অ্যামিবার পথ ধরে--
মহান সূর্যের আলোর আলোড়ন
আমাদের এক থেকে বহু--
বহু থেকে প্রকৃতি,বৃক্ষ লতা
প্রাণী এবং অবশেষে এলো
আদি মানুষ।
একটি বীজ যেমন বিশাল
গভীর ঘন জংগলে
পরিণত হয় ;
জলের বিন্দু থেকে
মহান জলরাশি ;
সমুদ্রের কলরোল সফেন ঢেউ
দিগন্ত ছুঁয়ে আবার
ফিরে ফিরে আসে ;
ঠিক আমদের জীবনের মতন।
এই সব বিস্তারিত অনুভব
মানুষের মন সকল
বাধা ভয় রক্ত জল ঘিরে
প্রাণিত হয়ে,সঞ্চারিত করে গেছে আগামী প্রাণের আশায়
আমদের পৃথিবী আবর্তিত হয়
সূর্যকে ঘিরে।
মৃত নদীর বুকে জল
গর্ভবতী নারীর মত স্ফীত করে।
সূর্য অপর দিকে চলে গেলে
দেখেছি শীত
দেখেছি নির্ঝর নদী।
তবুও শ্মশানে নির্জন মাঠে
উদ্গম হয় নবান্নের ধান
ধরণী ফুলে ওঠে প্রাণ
হয়তো এখনও অন্ধকার
শেষ হলে শিশির স্নিক্ত
পবিত্র ভোর হলে আমরা আসি,
সব অবসান হলে
তবুও দেখেছি মৃত্যু অনেক।
তাই আজও চলেছি
সমুজ্জ্বল সূর্যের নির্দেশে।
সকলের মঙ্গল হোক
সকলেই শান্তি লাভ করুক
সর্বে ভবন্তু সুখিন,
সর্বে সন্তু নিরাময়া,
সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু,
মা কশ্চিদ দুঃখ মাপ্নুয়াত,
ওম শান্তি শান্তি শান্তিহী