Collected জানালা গলিয়ে চাঁদের রুপালি আলো (1 Viewer)

[maruftamimauthor]

জানালা গলিয়ে চাঁদের রুপালি আলো রুমে প্রবেশ করতেই চমকে উঠলাম।সারাদিনের ধকল শেষে ইফতার করে ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিয়েছিলাম ঠিক সেই মুহুর্তেই জ্যোস্নসার ঝিলিক পেয়ে জানালার বাইরে চোখ রাখতেই দেখলাম চাঁদটা আজ বড়ই সুন্দর। হালকা বাতাসে দোদুল্যমান নারিকেল পাতার ফাঁক দিয়ে ছিটকে পড়ছে রুপালি আভা।কি অপার্থিব এক দৃশ্য

নিমিষেই উবে গেছে আমার সব ক্লান্তি।আমার মতো চাঁদপাগল মানুষদের জন্য প্রতিটা জ্যোস্ননারাত ই এক একটা উপহার আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তা'লা কর্তৃক। একাকী নীরব সন্ধ্যেটা কেমন যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে এক মুহুর্তেই।একটানা চাঁদের দিকে তাকিয়েই থাকতে মন চায়।রাতের চাঁদ তারাভরা আকাশ যে মানব/মানবী উপভোগ করেনি সে আসলে পৃথিবীর অর্ধেক সৌন্দর্য ই উপভোগ করেনি। বিশাল এই মহাশূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমি যেন হারিয়ে যাই আমার চিন্তাচেতনার এই সীমাবদ্ধ জগৎ থেকে।সমস্ত অপূর্ণতা,সব কষ্ট, একাকীত্বের নীরব বেদনা সব কেমন যেন ফানুস হয়ে উড়ে যেতে থাকে ওই মহাশূন্যে। বিশাল ওই জগতের নক্ষত্রগুলো আমাকে যেন মিশিয়ে ফেলতে চায় নিজেদের অস্তিত্বের সাথে।অনেকদিন ধরে পুষে রাখা একটা সুপ্ত ইচ্ছে হলো সমুদ্রতীরে বসে জ্যোসনাস্নান করা আর ঢেউয়ের গর্জন শোনা।

সমুদ্র আমায় খুব টানে।কিন্তু কখোনো যাওয়াই হয়নি সমুদ্রের কাছে।জানিনা আল্লাহ তা'লা কবে তৌফিক দিবেন। আচ্ছা! সমুদ্রের নোনাজলে জ্যোস্ননার ঝিলিক পড়ে কেমন সৌন্দর্য তৈরী হয়?সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন কেমন হয়?সেই গর্জনের কি আলাদা একটা সুর আছে?মানুষকে এত টানে কেন এই সমুদ্র প্রথমবার যখন সমুদ্র দেখবো তখন না জানি কি করবো,পাগল হয়ে যাবো হয়তো।আমার চঞ্চলতা হয়তোবা সমুদ্রের চঞ্চলতাকে ও হার মানাবে।মাঝসমুদ্রে জাহাজের ছাদে শুয়ে নীরবে একাকী তারাভরা আকাশ দেখার ইচ্ছে টা ও প্রবল আমার।চারপাশে শুধু বিশাল জলরাশি,থেকে থেকে সমুদ্রের গর্জন,জ্যোস্ননার ঝিলিক পড়ে ঢেউয়ের চকচকে স্বচ্ছ মসৃণ রুপ দেখতে খুব ইচ্ছে করে।যদিও পানিভীতি আমার আছে,কিন্তু সমুদ্রে যাওয়ার ইচ্ছে টা এই ভীতির থেকেও প্রবল

প্রিয় দুটি সৌন্দর্য সমুদ্র আর জ্যোস্ননা একসাথে উপভোগ করার সৌভাগ্য হবে কি আমার!

-রুহিনা আক্তার হেনা
১৩ ই এপ্রিল,২০২২