গল্পের নাম- ধর্ষণ ২
লেখক- মোঃ আব্দুল্লা-হিল-মারুফ তামিম
আকাশ- দোস্ত দেখ মেয়েটা কত সুন্দর। যদি কাছে পাইতাম আহহ কি যে ভালো লাগত।
আমি- হ্যাঁ ঠিক বলেছিস বন্ধু। আসলেই মেয়েটা সুন্দর। মনে হয় এলাকায় নতুন এসেছে। অনেকদিন এলাকার পুরাতন জিনিসে নজর দিয়েছি আজকে একটু নতুন জিনিসে নজর দেই। তাই চল পিছু নেই মেয়েটার।
আকাশ- চল যাই।
আমরা দুজন মেয়েটার পিছু নিলাম।
আমার পরিচয়টা দিয়ে ফেলি " আমি তামিম। এলাকার সবাই আমাকে একনামে চিনে বেয়াদব। সারাদিনের কাজ বলতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া আর এলাকার মেয়েদের রাস্তায় দেখলে বিরক্ত করা। অবশ্য এর জন্য অনেকে আমার নামে বিচার দিয়েছি এলাকার সম্মানীও ব্যাক্তিদের কাছে কিন্তু এসবে আমি ভয় পাই না। আমার কাজ আমি চালিয়ে যাই কারণ আমি বেয়াদব। পরিবার বলতে আছে শুধু বাবা আর ছোট বোন লামিয়া। মা অনেক আগেই আমাদেরকে টা টা বাই বাই বলে উপরে চলে গেছেন। ব্যাস এইটুকুই থাক আর কিছু বলব না।"
মেয়েটার পিছু নিয়ে তার বাসা চিনে এলাম। এখন আমরা সব সময় সেই মেয়েটার বাসার সামনে আড্ডা দেই আর মেয়েটাকে দেখলে নানা ধরনের বাজে কথা বলি। মেয়েটার বাবা আমাদের কয়দিন ধরে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন তার বাসার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে না থাকতে। কিন্তু এসব কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়েছি আর অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত উনি আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়েছেন কিন্তু আমরা এসবেও ভয় পাই না। তাই তিনি নিরুপায় হয়ে আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে গেলেন স্বপরিবারে। মেয়েটা চলে যাওয়ার পর এলাকার মেয়েদের কপাল আবার পুড়ল কারণ এতদিন শুধু ঐ মেয়েটাকে বিরক্ত করেছি কিন্তু এখন সে চলে যাওয়াতে আবার এলাকার মেয়েদেরকে বিরক্ত করব হা হা হা। আবার শুরু করলাম এলাকার মেয়েদেরকে বিরক্ত করা। খুব ভালোই লাগে আমার এসব করতে। এভাবেই চলছিল আমার দিনকাল। কিন্তু ইদনিং মেয়েরা সব সতর্ক হয়ে গিয়েছে একা একা বের হচ্ছে না বাসা থেকে সাথে কাউকে না কাউকে নিয়ে বের হচ্ছে। তাই আমাদেরও আর কোনো মেয়েকে বিরক্ত করা হচ্ছে না। তাই এখন দিনগুলি কেমন নিরামিষ নিরামিষ লাগে আর মেয়েগুলাও আমাদের দেখলে একটা বিজয়ীর হাঁসি দেয়। যা দেখলে আমার শরীরে আগুন জ্বলে উঠে। একদিন দাওয়াত পেলাম বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে। সেখানে গিয়ে অনেকরাত পর্যন্ত মজা করলাম সাথে ড্রিংসও করলাম অনেক যার ফলে আমি সম্পুর্ন নেশার ভিতর ঢুকে গিয়েছি। অনেক রাত্রে পার্টি শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম আমরা চার বন্ধু মিলে। তখন পাশ থেকে আকাশ বলল
আকাশ- দেখ বন্ধু এতরাত্রে একটা রাতপরী যাচ্ছে।
আমি- কোথায়??
আকাশ- আরে বেটা সামনে তাকিয়ে দেখ।
এরপর সামনে তাকিয়ে দেখি সত্যি একটা মেয়ে যাচ্ছে একা একা হেটে মাথায় হিজাব দিয়ে মুখ ঢাকা। মেয়েটাকে দেখে নেশাটা আরও গাড় হয়ে গেল এ যেন অন্য এক নেশা। মেয়েটাকে কাছে পাওয়ার নেশা। তাই আমি অন্যদেরকে ইশারায় বুঝিয়ে দিলাম আজকে এই মেয়েটাকে আমরা ভোগ করব আর আমার ইশারা বুঝতে পেরে তারাও সম্মতি জানায়। এরপর আমরা আস্তে আস্তে মেয়েটার পিছু নেই এবং আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কেউ আছে কিনা তারপর সুযোগ বুঝে মেয়েটার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নিয়ে যাই এবং আমরা চার বন্ধু হায়েনার মত তাকে ভোগ করতে থাকি। এভাবে চারজনে মিলে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যাই সেখান থেকে।
এদিকে...............
আজকে বন্ধুদের সাথে কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়েছিল লামিয়া। সেখান থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায় তার। বাস তাদের এলাকার মোড়ে নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে একা একা বাসায় ফিরতে থাকে সে। অবশ্য তার একা ফেরার কথা ছিল না। তাকে তার আব্বু নাহলে ভাইয়ার এসে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার ফোনে চার্জ নেই তাই সে কাউকে আব্বু বা ভাইয়াকে জানাতে পারে নাই। এজন্য একা একা বাসায় ফিরছিল সে। কিন্তু সে জানত না যে আজকে তার সাথে কি হতে চলেছে। পথে একদল হায়েনা এসে তার সব কিছু কেড়ে নিয়ে যায় আর তাকে রাস্তার ফেলে রেখে যায়। এত নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর তারা ভাবে সে হয়ত মারা গিয়েছে এই ভয়ে তাকে এখানে রেখে পালিয়ে যায়। লামিয়ার জ্ঞান ফিরে আসলে সে নিজেকে কোনোভাবে গুছিয়ে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কারণ তার বাবা চিন্তা করছেন।
এদিকে বাসায় বসে চিন্তা করছেন রাতুল সাহেব। তার মেয়ে আজকে কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়েছে কিন্তু এত রাত হয়ে গেছে এখনও তার মেয়ে লামিয়া বাসায় ফিরছে না। পথে কোনো বিপদ হল না আবার এসব ভাবছেন আর অস্থির হয়ে পড়ছেন। তখনই কলিংবেল বেজে উঠল। রাতুল সাহেব দেরী না করে ছুটে গেলেন দরজার কাছে আর খুলে দেখলেন তার মেয়ে লামিয়া দাড়িয়ে আছে। মেয়েকে দেখে শস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তিনি।
রাতুল সাহেব- কি রে মা এত রাত করলি কেন??
লামিয়া- আব্বু রাস্তায় রিক্সা ছিল না তাই হেটে আসতে হয়েছে।
রাতুল সাহেব- আসতে কোনো সমস্যা হয় নাই তোঁর???
লামিয়া- না বাবা আমি ঠিক আছি (মিথ্যা কথা। সত্যিটা জানলে বাবা ভেঙে পড়বেন।)
রাতুল সাহেব- আচ্ছা আমাকে বা তোঁর ভাইয়াকে একটা ফোন দিতে পারতিস। আমরা যেয়ে নিয়ে আসতাম তোকে।
লামিয়া- আমার ফোনে চার্জ নেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তুমি অসুস্থ মানুষ কষ্ট করে আসবে আমাকে নিতে আর ভাইয়া নানা কাজে ব্যাস্ত থাকে তাই আর কাউকে বলি নাই। আর আমি চলে এসেছি কোনো চিন্তা নেই।
রাতুল সাহেব- তোঁর ভাই যে কি কাজ করে সব জানা আছে একটা বখাটে কোথাকার।
লামিয়া- বাবা আমি ঘুমাব অনেক ক্লান্ত লাগছে আমার।
রাতুল সাহেব- আচ্ছা যা মা।
এরপর লামিয়া ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল।
আজকে অনেক মজা করেছি আহহ এমন মজা আর পাব না কোনোদিন। বাসার দরজায় এসে কলিংবেল এ চাপ দিলাম। কয়েকবার চাপ দেওয়ার পর আব্বু দরজা খুলে দিলেন আর তার ভাষণ শুরু করে দিলেন।
আব্বু- কোথায় ছিলেন আপনি এত রাত পর্যন্ত??
আমি- বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলাম।
আব্বু- হ্যাঁ তাই যাবা। খোঁজ রেখেছ নিজের ছোট বোনটা কোথায় গিয়েছে বাসায় এসেছে কিনা??
আমি- কি লামিয়া এখনও বাসায় ফিরে নাই।
আব্বু- হ্যাঁ ফিরেছে ঘরে ঘুমাচ্ছে।
আমি- আচ্ছা আমি যেয়ে দেখা করে আসি আর তুমি খেয়ে শুয়ে পড় আমি খেয়ে এসেছি।
আব্বু- আচ্ছা।
লামিয়ার সাথে দেখা করার জন্য ওর ঘরের সামনে গেলাম কিন্তু এ কি লামিয়ার ঘরে দরজা লাগানো কেন। লামিয়া কখনও ঘরের দরজা লাগিয়ে ঘুমায় না। তাই লামিইয়াকে ডাক দেই আর দরজা ধাক্কাতে থাকি। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না ভিতর থেকে। লামিয়ার ঘুম এতটা গভীর না যে সে ডাকে সাড়া দিবে না। কিন্তু আমি ডাকছি সে কিছু বলছে না এত শব্দে সে ঘুমাতে পারে না তাহলে সে কি করছে ভিতরে। আমার ডাকাডাকি শুনে আব্বুও চলে এসেছেন আর আমরা দুজনে মিলে তাকে ডাকছি কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ নেই। তাই দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলাম আর আব্বুকে নিয়ে দরজা ভাঙলাম। দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে যা দেখলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ভিতরে দেখি আমার বোন লামিয়া ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে গলায় ওড়না বেধে। আমি আর আব্বু দুজনে তাকে সেখান থেকে নামালাম আর ডাকতে থাকলাম কিন্তু সে কিছু বলছে না। তারমানে আমার লামিয়া আর নেই আমাদের মাঝে ভাবতেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে আমার কলিজার টুকরা বোনটা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। লামিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি তখন খেয়াল করলাম ওর হাতে কাগজের মত কিছু একটা। আমি সেটাকে ওর হাত থেকে ছাড়িয়ে ভাজ খুললাম আর দেখলাম একটা চিঠি। চিঠিটা পড়তে শুরু করলাম-
" প্রিয় ভাইয়া,
কিভাবে এই মুখ তোমাকে দেখাব। কারণ আজ বাসায় ফেরার পথে একদল মানুষ রূপি হায়েনা আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমাকে বানিয়েছে তারা ধর্ষিতা। কিন্তু আমার বড় কষ্ট হল আজ আমি ধর্ষিত হয়েছি অন্য কারও কাছে নয় আমার আপন ভাইয়ের কাছে ধর্ষিত হয়েছি। তুমি কিভাবে পারলে ভাইয়া এমনটা করতে। নিজের বোনের হাটাচলা দেখেও বুঝতে পারলে না তুমি। শুধু তাই নয় তুমি যাদের সাথে এসব কাজ করেছ তারাও কারও না কারও বোন। তাই তোমাকে ঘৃণা করে বেঁচে থাকার থেকে চলে গেলাম। ভালো হয়ে যাও ভাইয়া।
ইতি
লামিয়া "
চিঠিটা পড়ে আমার নিজেরই মরে যেতে ইচ্ছা করছে কিভাবে পারলাম আমি আমার নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে। আমার এই পাপের শাস্তি এভাবে পাব কোনোদিন ভাবতে পারি নাই। আমাকে ক্ষমা করে দিস বোন।
সমাপ্ত...............
বিঃদ্রঃ আমাদের দেশে প্রতিদিন কম বেশি অনেক জায়গায় ধর্ষনের শিকার হচ্ছে শিশু,কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধা মহিলা। নিজেদের দেহের চাহিদা মেটাতে শুধু শুধু একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করবেন কেন। দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য রয়েছে পতিতালয় সেখানে গিয়ে দেহের চাহিদা মেটান। আপনাদের এসব অন্যায়ের জন্য ধবংস হচ্ছে একটি মেয়ের জীবন আর তার পরিবার। মনে রাখবেন একটি মেয়ে কারও বোন,কারও মা,কারও মেয়ে,কারও স্ত্রী। তাই তাদেরকে সম্মান করতে শিখি। ধন্যবাদ।
লেখক- মোঃ আব্দুল্লা-হিল-মারুফ তামিম
আকাশ- দোস্ত দেখ মেয়েটা কত সুন্দর। যদি কাছে পাইতাম আহহ কি যে ভালো লাগত।
আমি- হ্যাঁ ঠিক বলেছিস বন্ধু। আসলেই মেয়েটা সুন্দর। মনে হয় এলাকায় নতুন এসেছে। অনেকদিন এলাকার পুরাতন জিনিসে নজর দিয়েছি আজকে একটু নতুন জিনিসে নজর দেই। তাই চল পিছু নেই মেয়েটার।
আকাশ- চল যাই।
আমরা দুজন মেয়েটার পিছু নিলাম।
আমার পরিচয়টা দিয়ে ফেলি " আমি তামিম। এলাকার সবাই আমাকে একনামে চিনে বেয়াদব। সারাদিনের কাজ বলতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া আর এলাকার মেয়েদের রাস্তায় দেখলে বিরক্ত করা। অবশ্য এর জন্য অনেকে আমার নামে বিচার দিয়েছি এলাকার সম্মানীও ব্যাক্তিদের কাছে কিন্তু এসবে আমি ভয় পাই না। আমার কাজ আমি চালিয়ে যাই কারণ আমি বেয়াদব। পরিবার বলতে আছে শুধু বাবা আর ছোট বোন লামিয়া। মা অনেক আগেই আমাদেরকে টা টা বাই বাই বলে উপরে চলে গেছেন। ব্যাস এইটুকুই থাক আর কিছু বলব না।"
মেয়েটার পিছু নিয়ে তার বাসা চিনে এলাম। এখন আমরা সব সময় সেই মেয়েটার বাসার সামনে আড্ডা দেই আর মেয়েটাকে দেখলে নানা ধরনের বাজে কথা বলি। মেয়েটার বাবা আমাদের কয়দিন ধরে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন তার বাসার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে না থাকতে। কিন্তু এসব কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়েছি আর অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত উনি আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়েছেন কিন্তু আমরা এসবেও ভয় পাই না। তাই তিনি নিরুপায় হয়ে আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে গেলেন স্বপরিবারে। মেয়েটা চলে যাওয়ার পর এলাকার মেয়েদের কপাল আবার পুড়ল কারণ এতদিন শুধু ঐ মেয়েটাকে বিরক্ত করেছি কিন্তু এখন সে চলে যাওয়াতে আবার এলাকার মেয়েদেরকে বিরক্ত করব হা হা হা। আবার শুরু করলাম এলাকার মেয়েদেরকে বিরক্ত করা। খুব ভালোই লাগে আমার এসব করতে। এভাবেই চলছিল আমার দিনকাল। কিন্তু ইদনিং মেয়েরা সব সতর্ক হয়ে গিয়েছে একা একা বের হচ্ছে না বাসা থেকে সাথে কাউকে না কাউকে নিয়ে বের হচ্ছে। তাই আমাদেরও আর কোনো মেয়েকে বিরক্ত করা হচ্ছে না। তাই এখন দিনগুলি কেমন নিরামিষ নিরামিষ লাগে আর মেয়েগুলাও আমাদের দেখলে একটা বিজয়ীর হাঁসি দেয়। যা দেখলে আমার শরীরে আগুন জ্বলে উঠে। একদিন দাওয়াত পেলাম বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে। সেখানে গিয়ে অনেকরাত পর্যন্ত মজা করলাম সাথে ড্রিংসও করলাম অনেক যার ফলে আমি সম্পুর্ন নেশার ভিতর ঢুকে গিয়েছি। অনেক রাত্রে পার্টি শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম আমরা চার বন্ধু মিলে। তখন পাশ থেকে আকাশ বলল
আকাশ- দেখ বন্ধু এতরাত্রে একটা রাতপরী যাচ্ছে।
আমি- কোথায়??
আকাশ- আরে বেটা সামনে তাকিয়ে দেখ।
এরপর সামনে তাকিয়ে দেখি সত্যি একটা মেয়ে যাচ্ছে একা একা হেটে মাথায় হিজাব দিয়ে মুখ ঢাকা। মেয়েটাকে দেখে নেশাটা আরও গাড় হয়ে গেল এ যেন অন্য এক নেশা। মেয়েটাকে কাছে পাওয়ার নেশা। তাই আমি অন্যদেরকে ইশারায় বুঝিয়ে দিলাম আজকে এই মেয়েটাকে আমরা ভোগ করব আর আমার ইশারা বুঝতে পেরে তারাও সম্মতি জানায়। এরপর আমরা আস্তে আস্তে মেয়েটার পিছু নেই এবং আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কেউ আছে কিনা তারপর সুযোগ বুঝে মেয়েটার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নিয়ে যাই এবং আমরা চার বন্ধু হায়েনার মত তাকে ভোগ করতে থাকি। এভাবে চারজনে মিলে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যাই সেখান থেকে।
এদিকে...............
আজকে বন্ধুদের সাথে কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়েছিল লামিয়া। সেখান থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায় তার। বাস তাদের এলাকার মোড়ে নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে একা একা বাসায় ফিরতে থাকে সে। অবশ্য তার একা ফেরার কথা ছিল না। তাকে তার আব্বু নাহলে ভাইয়ার এসে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার ফোনে চার্জ নেই তাই সে কাউকে আব্বু বা ভাইয়াকে জানাতে পারে নাই। এজন্য একা একা বাসায় ফিরছিল সে। কিন্তু সে জানত না যে আজকে তার সাথে কি হতে চলেছে। পথে একদল হায়েনা এসে তার সব কিছু কেড়ে নিয়ে যায় আর তাকে রাস্তার ফেলে রেখে যায়। এত নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর তারা ভাবে সে হয়ত মারা গিয়েছে এই ভয়ে তাকে এখানে রেখে পালিয়ে যায়। লামিয়ার জ্ঞান ফিরে আসলে সে নিজেকে কোনোভাবে গুছিয়ে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কারণ তার বাবা চিন্তা করছেন।
এদিকে বাসায় বসে চিন্তা করছেন রাতুল সাহেব। তার মেয়ে আজকে কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়েছে কিন্তু এত রাত হয়ে গেছে এখনও তার মেয়ে লামিয়া বাসায় ফিরছে না। পথে কোনো বিপদ হল না আবার এসব ভাবছেন আর অস্থির হয়ে পড়ছেন। তখনই কলিংবেল বেজে উঠল। রাতুল সাহেব দেরী না করে ছুটে গেলেন দরজার কাছে আর খুলে দেখলেন তার মেয়ে লামিয়া দাড়িয়ে আছে। মেয়েকে দেখে শস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তিনি।
রাতুল সাহেব- কি রে মা এত রাত করলি কেন??
লামিয়া- আব্বু রাস্তায় রিক্সা ছিল না তাই হেটে আসতে হয়েছে।
রাতুল সাহেব- আসতে কোনো সমস্যা হয় নাই তোঁর???
লামিয়া- না বাবা আমি ঠিক আছি (মিথ্যা কথা। সত্যিটা জানলে বাবা ভেঙে পড়বেন।)
রাতুল সাহেব- আচ্ছা আমাকে বা তোঁর ভাইয়াকে একটা ফোন দিতে পারতিস। আমরা যেয়ে নিয়ে আসতাম তোকে।
লামিয়া- আমার ফোনে চার্জ নেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তুমি অসুস্থ মানুষ কষ্ট করে আসবে আমাকে নিতে আর ভাইয়া নানা কাজে ব্যাস্ত থাকে তাই আর কাউকে বলি নাই। আর আমি চলে এসেছি কোনো চিন্তা নেই।
রাতুল সাহেব- তোঁর ভাই যে কি কাজ করে সব জানা আছে একটা বখাটে কোথাকার।
লামিয়া- বাবা আমি ঘুমাব অনেক ক্লান্ত লাগছে আমার।
রাতুল সাহেব- আচ্ছা যা মা।
এরপর লামিয়া ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল।
আজকে অনেক মজা করেছি আহহ এমন মজা আর পাব না কোনোদিন। বাসার দরজায় এসে কলিংবেল এ চাপ দিলাম। কয়েকবার চাপ দেওয়ার পর আব্বু দরজা খুলে দিলেন আর তার ভাষণ শুরু করে দিলেন।
আব্বু- কোথায় ছিলেন আপনি এত রাত পর্যন্ত??
আমি- বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলাম।
আব্বু- হ্যাঁ তাই যাবা। খোঁজ রেখেছ নিজের ছোট বোনটা কোথায় গিয়েছে বাসায় এসেছে কিনা??
আমি- কি লামিয়া এখনও বাসায় ফিরে নাই।
আব্বু- হ্যাঁ ফিরেছে ঘরে ঘুমাচ্ছে।
আমি- আচ্ছা আমি যেয়ে দেখা করে আসি আর তুমি খেয়ে শুয়ে পড় আমি খেয়ে এসেছি।
আব্বু- আচ্ছা।
লামিয়ার সাথে দেখা করার জন্য ওর ঘরের সামনে গেলাম কিন্তু এ কি লামিয়ার ঘরে দরজা লাগানো কেন। লামিয়া কখনও ঘরের দরজা লাগিয়ে ঘুমায় না। তাই লামিইয়াকে ডাক দেই আর দরজা ধাক্কাতে থাকি। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না ভিতর থেকে। লামিয়ার ঘুম এতটা গভীর না যে সে ডাকে সাড়া দিবে না। কিন্তু আমি ডাকছি সে কিছু বলছে না এত শব্দে সে ঘুমাতে পারে না তাহলে সে কি করছে ভিতরে। আমার ডাকাডাকি শুনে আব্বুও চলে এসেছেন আর আমরা দুজনে মিলে তাকে ডাকছি কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ নেই। তাই দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলাম আর আব্বুকে নিয়ে দরজা ভাঙলাম। দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে যা দেখলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ভিতরে দেখি আমার বোন লামিয়া ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে গলায় ওড়না বেধে। আমি আর আব্বু দুজনে তাকে সেখান থেকে নামালাম আর ডাকতে থাকলাম কিন্তু সে কিছু বলছে না। তারমানে আমার লামিয়া আর নেই আমাদের মাঝে ভাবতেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে আমার কলিজার টুকরা বোনটা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। লামিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি তখন খেয়াল করলাম ওর হাতে কাগজের মত কিছু একটা। আমি সেটাকে ওর হাত থেকে ছাড়িয়ে ভাজ খুললাম আর দেখলাম একটা চিঠি। চিঠিটা পড়তে শুরু করলাম-
" প্রিয় ভাইয়া,
কিভাবে এই মুখ তোমাকে দেখাব। কারণ আজ বাসায় ফেরার পথে একদল মানুষ রূপি হায়েনা আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমাকে বানিয়েছে তারা ধর্ষিতা। কিন্তু আমার বড় কষ্ট হল আজ আমি ধর্ষিত হয়েছি অন্য কারও কাছে নয় আমার আপন ভাইয়ের কাছে ধর্ষিত হয়েছি। তুমি কিভাবে পারলে ভাইয়া এমনটা করতে। নিজের বোনের হাটাচলা দেখেও বুঝতে পারলে না তুমি। শুধু তাই নয় তুমি যাদের সাথে এসব কাজ করেছ তারাও কারও না কারও বোন। তাই তোমাকে ঘৃণা করে বেঁচে থাকার থেকে চলে গেলাম। ভালো হয়ে যাও ভাইয়া।
ইতি
লামিয়া "
চিঠিটা পড়ে আমার নিজেরই মরে যেতে ইচ্ছা করছে কিভাবে পারলাম আমি আমার নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে। আমার এই পাপের শাস্তি এভাবে পাব কোনোদিন ভাবতে পারি নাই। আমাকে ক্ষমা করে দিস বোন।
সমাপ্ত...............
বিঃদ্রঃ আমাদের দেশে প্রতিদিন কম বেশি অনেক জায়গায় ধর্ষনের শিকার হচ্ছে শিশু,কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধা মহিলা। নিজেদের দেহের চাহিদা মেটাতে শুধু শুধু একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করবেন কেন। দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য রয়েছে পতিতালয় সেখানে গিয়ে দেহের চাহিদা মেটান। আপনাদের এসব অন্যায়ের জন্য ধবংস হচ্ছে একটি মেয়ের জীবন আর তার পরিবার। মনে রাখবেন একটি মেয়ে কারও বোন,কারও মা,কারও মেয়ে,কারও স্ত্রী। তাই তাদেরকে সম্মান করতে শিখি। ধন্যবাদ।