আজকের এই মিটিংটা দেব প্রসাদ রায়ের জীবনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। তার ১০ কোটি টাকার স্বপ্নের প্রজেক্ট যে সরকারি অফিসারের সই ছাড়া এগুতে পারবেনা সেই অফিসারের সাথে মিটিং। দেব প্রসাদ খবর পেয়েছেন এই অফিসার ঘুষ খাওয়ায় সিদ্ধহস্ত। তিনি ঠিক করে ফেলছেন, ২০-৩০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে হলেও তিনি এই প্রজেক্টে সরকারি অনুমতির সিলমোহর লাগাবেন। একটু পরেই অফিসার ইফতি চৌধুরীর পিএস এসে থাকে ভিতরে ডাকল। প্রাথমিক কুশল বিনিময় এবং প্রজেক্ট সংক্রান্ত দু-একটা প্রশ্ন করে ইফতি চৌধুরী আসল কাজের আলাপে চলে গেলো,
– রায় বাবু, এতো বিশাল প্রজেক্ট। এতো টাকা আপনি ম্যানেজ করলেন কিভাবে? আমি যতদুর জানি আপনি অত বড় ব্যবসায়ীতো নন।
– জ্বী স্যার। ঠিক ধরেছেন। আমি ঘরবাড়ি বন্ধক রেখে টাকা ম্যানেজ করেছি। এমনকি নিজের মেয়ের কাছ থেকেও টাকা ধার করেছি।
– হ্যাঁ, সবই খবর নিয়েছি রায়বাবু। প্রজেক্টটার জন্য তাহলে নিজের সর্বোচ্চ দিতে রাজি আছেন?
– জ্বী স্যার। আপনি সরাসরি বলেন আপনার কত চাই?
– কত দেবার প্ল্যান করছেন?
– ২০ লাখে হবে?
– মাত্র ২০?
– ঠিক আছে স্যার, ৩০ লাখ।
– টাকা লাগবে না রায়বাবু। আপনার এই প্রজেক্ট আমি এপ্রোভ করবোনা।
– কী বলছেন ! স্যার, রাস্তা নেমে যাবো স্যার। স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি আমি এই প্রজেক্টের পিছনে লাগিয়ে দিয়েছি। আপনি যা চান বলেন। আমি আপনাকে তাই দেবো। কত টাকা চান আপনি বলেন?
– টাকার অভাব আমার নাই রায়বাবু। টাকা আমার লাগবে না। তবে যা চাইবো তা আপনি চাইলেই দিতে পারবেন। আর যদি সত্যি দেন তবে শুধু এই প্রজেক্ট কেনো আগামীতে আপনার সব প্রজেক্ট আমি বিনা শর্তে এপ্রোভ করবো।
– স্যার আমার কাছে কি এমন আছে? আপনি শুধু নামটা বলেন।
– আপনার মেয়ে, পূজা চেরি।
দেব প্রসাদ বাবুর ভিতরে আগুন লাগার অবস্থা হলো। শুয়োরের বাচ্চা কি বলে! প্রজেক্টের জন্য নিজের মেয়েকে বিক্রি করে দিবেন। ইচ্ছে করে কষে একটা লাথি দিতে জানোয়ারটাকে। কিন্তু প্রজেক্টের কথা ভেবে শান্ত গলায় বলেন,
– আমি আপনাকে ১-কোটি দিতে রাজি আছি।
– আপনি বুঝছেন রায়মশাই। ১-কোটি কেন! আপনি যদি প্রজেক্টের পুরো দশ কোটিও আমাকে দিয়ে দেন তাও আমি সই করবো না। আমার শুধু চেরিকে চাই মাত্র একরাতের জন্য।
– পাগলের প্রলাপ বকছেন আপনি। আমার মেয়েকে কি ভেবছেন আপনি? বেশ্যা! আর আমি নিজের বেশ্যা মেয়ের দালাল?
– অযথা রাগ করছেন রায়মশাই। আমি আপনাকে জোর করছিনা। আপনি খুব ভালো করেই জানেন আমার ক্ষমতা কি! আমি চাইলেই আপনার মেয়েকে জোর করে উঠিয়ে এনে ভোগ করতে পারি। আপনি আমার একটা চুলেও স্পর্শ করতে পারবেন না। কিন্তু আমি এভাবে চাচ্ছি না। আমি আপনার সামনে ভদ্রভাবে একটা প্রস্তাব রেখেছি শুধু।
– কিন্তু এ হয় না, স্যার। পূজা আমার মেয়ে। কোন বাবা নিজের মেয়েকে স্বার্থে জন্য বাবার বয়েসি আরেকলোকের উপভোগের বস্তু বানাতে পারে না।
– আপনার প্রজেক্টটা ১০ কোটি টাকার হলেও এই প্রজেক্ট আপনাকে কমপক্ষে ১০০কোটি টাকার লাভ এনে দেবে। এবার সিদ্ধান্ত আপনার। আমার বাসার ঠিকানা আপনি জানেন। আমি দুই দিন অপেক্ষা করবো। এরপরে আমার সিদ্ধান্ত আমি আপনার ফাইলে জুড়ে দিবো। এই ব্যাপারে আর কোন কথার প্রয়োজন নেই। আপনি আসুন।
দেব প্রসাদ বাবু যতটা হাসিমুখ নিয়ে সরকারি অফিসে এসেছিলেন বের হলেন তার দশগুন বেশি বিধস্ত চেহারা নিয়ে। কি করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। তার মেয়ে পূজা চেরিকে তিনির তার প্রানের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। মেয়েটা দেখতে শুনতে খুব সুন্দর বলেই বোধহয় সারাক্ষণ আগলে আগলে রাখতেন। স্কুল লাইফ থেকেই তার মেয়ে বিজ্ঞাপন করা শুরু করে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সবসময় ভয়ে থাকতেন কেউ কোন ক্ষতি করে ফেলবে। সেই মেয়ে আজ বড় হয়েছে। ২১ বছরের পূজা এখন দেশের উঠতি জনপ্রিয় নায়িকাদের একজন। এরমধ্যেই ৫-৬টা সিনেমাও করে ফেলেছে। টাকা পয়সা ভালোই কামাচ্ছে। কিন্তু ১০০ কোটির টাকার সামনে সেই টাকা অতি নগণ্য। তার সেই ফুলের মতো মেয়েটাকে একটা বুড়োর হাতে তুলে দিবেন তিনি? সারাটা রাস্তা ভেবে ভেবে বাসায় এসে ভাবনাটা আরো বেড়ে গেলো তার। পূজার এখন কোনো শুটিং নেই। কয়েকদিন ধরে বাসাতেই আছে। সারাক্ষণ ফেসবুক, টিকটক, ইন্সটাগ্রাম নিয়েই ব্যস্ত আছে। মাঝেমধ্যে ফাঁকফোকরে বাবা মায়ের সাথে আড্ডাও দিচ্ছে। এমন হাসিখুশি মেয়ের জীবনে তিনি এতোবড় কলংক লেপন করবেন?
দিন গড়িয়ে রাত হলো, রাত পেরিয়ে সকাল হলো। দেব প্রসাদ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছেন তিনি কি করবেন। নিজের মেয়েকে তিনি বলতে পারবেন না, তার প্রজেক্টের খাতিরে মেয়েকে একজনের সাথে শুতে। কিন্তু ধারদেনা করে দাড় করানো এই প্রজেক্টও তিনি বাদ দিতে পারবেন না। উপায় একটাই। মেয়েকে কৌশলে অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। সে জোর করে ভোগ করবে। তার মেয়ে জানতেও পারবে না এসবের আড়ালে তিনি আছেন। আবার মানসম্মানের দোহাই দিয়ে আইন-আদালত থেকেও মেয়েকে আটকাতে পারবেন।
– রায় বাবু, এতো বিশাল প্রজেক্ট। এতো টাকা আপনি ম্যানেজ করলেন কিভাবে? আমি যতদুর জানি আপনি অত বড় ব্যবসায়ীতো নন।
– জ্বী স্যার। ঠিক ধরেছেন। আমি ঘরবাড়ি বন্ধক রেখে টাকা ম্যানেজ করেছি। এমনকি নিজের মেয়ের কাছ থেকেও টাকা ধার করেছি।
– হ্যাঁ, সবই খবর নিয়েছি রায়বাবু। প্রজেক্টটার জন্য তাহলে নিজের সর্বোচ্চ দিতে রাজি আছেন?
– জ্বী স্যার। আপনি সরাসরি বলেন আপনার কত চাই?
– কত দেবার প্ল্যান করছেন?
– ২০ লাখে হবে?
– মাত্র ২০?
– ঠিক আছে স্যার, ৩০ লাখ।
– টাকা লাগবে না রায়বাবু। আপনার এই প্রজেক্ট আমি এপ্রোভ করবোনা।
– কী বলছেন ! স্যার, রাস্তা নেমে যাবো স্যার। স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি আমি এই প্রজেক্টের পিছনে লাগিয়ে দিয়েছি। আপনি যা চান বলেন। আমি আপনাকে তাই দেবো। কত টাকা চান আপনি বলেন?
– টাকার অভাব আমার নাই রায়বাবু। টাকা আমার লাগবে না। তবে যা চাইবো তা আপনি চাইলেই দিতে পারবেন। আর যদি সত্যি দেন তবে শুধু এই প্রজেক্ট কেনো আগামীতে আপনার সব প্রজেক্ট আমি বিনা শর্তে এপ্রোভ করবো।
– স্যার আমার কাছে কি এমন আছে? আপনি শুধু নামটা বলেন।
– আপনার মেয়ে, পূজা চেরি।
দেব প্রসাদ বাবুর ভিতরে আগুন লাগার অবস্থা হলো। শুয়োরের বাচ্চা কি বলে! প্রজেক্টের জন্য নিজের মেয়েকে বিক্রি করে দিবেন। ইচ্ছে করে কষে একটা লাথি দিতে জানোয়ারটাকে। কিন্তু প্রজেক্টের কথা ভেবে শান্ত গলায় বলেন,
– আমি আপনাকে ১-কোটি দিতে রাজি আছি।
– আপনি বুঝছেন রায়মশাই। ১-কোটি কেন! আপনি যদি প্রজেক্টের পুরো দশ কোটিও আমাকে দিয়ে দেন তাও আমি সই করবো না। আমার শুধু চেরিকে চাই মাত্র একরাতের জন্য।
– পাগলের প্রলাপ বকছেন আপনি। আমার মেয়েকে কি ভেবছেন আপনি? বেশ্যা! আর আমি নিজের বেশ্যা মেয়ের দালাল?
– অযথা রাগ করছেন রায়মশাই। আমি আপনাকে জোর করছিনা। আপনি খুব ভালো করেই জানেন আমার ক্ষমতা কি! আমি চাইলেই আপনার মেয়েকে জোর করে উঠিয়ে এনে ভোগ করতে পারি। আপনি আমার একটা চুলেও স্পর্শ করতে পারবেন না। কিন্তু আমি এভাবে চাচ্ছি না। আমি আপনার সামনে ভদ্রভাবে একটা প্রস্তাব রেখেছি শুধু।
– কিন্তু এ হয় না, স্যার। পূজা আমার মেয়ে। কোন বাবা নিজের মেয়েকে স্বার্থে জন্য বাবার বয়েসি আরেকলোকের উপভোগের বস্তু বানাতে পারে না।
– আপনার প্রজেক্টটা ১০ কোটি টাকার হলেও এই প্রজেক্ট আপনাকে কমপক্ষে ১০০কোটি টাকার লাভ এনে দেবে। এবার সিদ্ধান্ত আপনার। আমার বাসার ঠিকানা আপনি জানেন। আমি দুই দিন অপেক্ষা করবো। এরপরে আমার সিদ্ধান্ত আমি আপনার ফাইলে জুড়ে দিবো। এই ব্যাপারে আর কোন কথার প্রয়োজন নেই। আপনি আসুন।
দেব প্রসাদ বাবু যতটা হাসিমুখ নিয়ে সরকারি অফিসে এসেছিলেন বের হলেন তার দশগুন বেশি বিধস্ত চেহারা নিয়ে। কি করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। তার মেয়ে পূজা চেরিকে তিনির তার প্রানের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। মেয়েটা দেখতে শুনতে খুব সুন্দর বলেই বোধহয় সারাক্ষণ আগলে আগলে রাখতেন। স্কুল লাইফ থেকেই তার মেয়ে বিজ্ঞাপন করা শুরু করে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সবসময় ভয়ে থাকতেন কেউ কোন ক্ষতি করে ফেলবে। সেই মেয়ে আজ বড় হয়েছে। ২১ বছরের পূজা এখন দেশের উঠতি জনপ্রিয় নায়িকাদের একজন। এরমধ্যেই ৫-৬টা সিনেমাও করে ফেলেছে। টাকা পয়সা ভালোই কামাচ্ছে। কিন্তু ১০০ কোটির টাকার সামনে সেই টাকা অতি নগণ্য। তার সেই ফুলের মতো মেয়েটাকে একটা বুড়োর হাতে তুলে দিবেন তিনি? সারাটা রাস্তা ভেবে ভেবে বাসায় এসে ভাবনাটা আরো বেড়ে গেলো তার। পূজার এখন কোনো শুটিং নেই। কয়েকদিন ধরে বাসাতেই আছে। সারাক্ষণ ফেসবুক, টিকটক, ইন্সটাগ্রাম নিয়েই ব্যস্ত আছে। মাঝেমধ্যে ফাঁকফোকরে বাবা মায়ের সাথে আড্ডাও দিচ্ছে। এমন হাসিখুশি মেয়ের জীবনে তিনি এতোবড় কলংক লেপন করবেন?
দিন গড়িয়ে রাত হলো, রাত পেরিয়ে সকাল হলো। দেব প্রসাদ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছেন তিনি কি করবেন। নিজের মেয়েকে তিনি বলতে পারবেন না, তার প্রজেক্টের খাতিরে মেয়েকে একজনের সাথে শুতে। কিন্তু ধারদেনা করে দাড় করানো এই প্রজেক্টও তিনি বাদ দিতে পারবেন না। উপায় একটাই। মেয়েকে কৌশলে অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। সে জোর করে ভোগ করবে। তার মেয়ে জানতেও পারবে না এসবের আড়ালে তিনি আছেন। আবার মানসম্মানের দোহাই দিয়ে আইন-আদালত থেকেও মেয়েকে আটকাতে পারবেন।