যাত্রী বোঝাই লোকাল বাসে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হ্যান্ডেল ধরে ঝুলছে অনেকেই। গরম, ঠেলাঠেলি, ধুলি-ময়লা আর ঘাঁমে তেষ্ঠানো দায়। এমনি পরিবেশে পাশাপাশি হ্যান্ডেল ধরে ঝুলছেন এক ২৫ বছরের যুবক আর পঞ্চাশ বছরের এক প্রৌঢ়। বাদুড় দোলায় দুলতে দুলতে একসময় দুজন কথা বলা শুরু করলেন-
মুরব্বি: আরে সাহেব! আপনাকে চেনা চেনা লাগছে?
যুবক: জ্বী, আপনাকেও চেনা চেনা লাগছে, স্যার।
মুরব্বি: তা কোথায় থাকা হয়?
যুবক: মোহাম্মদপুর।
আপনি?
মুরব্বি: আমিও তো মোহাম্মদপুরে থাকি! কী আশ্চর্য? কোন রোডে আপনার?
যুবক: তাজমহল রোড, ৬১২ নম্বর হোল্ডিং, ১৯ তলায়...
মুরব্বি এবার চিৎকার দিয়ে বলেন: ৬১২! ১৯ তলা! তাজমহল রোড? ও মাই গড! আমিও তো সেখানেই থাকি? কী কঠিন কাকতাল? তা ইয়াংম্যান, আসছেন কোথা থেকে?
যুবক: আমিও কম অবাক হচ্ছি না, স্যার! আমি মতিঝিলে জব করি, সেখান থেকে প্রতিদিন বাসে করে বাসায় ফিরি...
মুরব্বি আরো চেঁচিয়ে ওঠেন এবার: ওহ নো, ডিয়ার! কী শুনছি আমি? আমার অফিসও তো মতিঝিলেই... তা আপনি তাজমহল রোডের গ্রিন রোজ নামের ওই বিল্ডিংয়ে থাকেন? ফ্ল্যাট নম্বর কতো?
যুবক: আমি এফ নং ফ্ল্যাটে থাকি।
বাসের রড ছেড়ে মুরব্বি এবার জড়িয়ে ধরেন যুবককে এবং আবেগভরা গলায় বলতে থাকেন: মাই গড! আমিও তো ওই ফ্ল্যাটেই থাকি! কী আশ্চর্য... অথচ...
অন্য যাত্রীরা এতক্ষণ এই অদ্ভুত আলাপ শুনছিলেন ধৈর্য্য ধরে। কিন্তু এ পর্যায়ে এসে আর পারা গেল না। কয়েকজন তো সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। রড ধরে ঝুলতে থাকারাও চরম বিরক্ত। তাদের মধ্যে নেতা গোছের একজন বললেন: ইয়ার্কি মারার আর জায়গা পাননি আপনারা! এসব হচ্ছেটা কি?
অপরজন বললেন: সবাইকে পাগল ভেবেছেন? একই বাড়িতে না, রীতিমতো একই ফ্ল্যাটে দুজন থাকেন অথচ কেউ কাউকে চেনেন না?
বেপরোয়া চেহারার একজন বললেন- আমাগোরে প্রকাশ্যে 'মামু' বানানোর চেষ্টা করতেছে হেরা। এর ফয়সালা এখনি করতে হইবো। দুইটারে ধইরা...
এবার মুরব্বি ধমক দিয়ে উঠলেন: আপনাগোর স্বভাব তো বহুত খারাপ- অন্য মাইনসের কথা এত মন দিয়ে শোনার কী আছে! আমরা বাপ-বেটা প্রতিদিন বাদুড় ঝোলা হয়ে বাড়ি ফিরি বাসে করে। এই গরম আর রাস্তার জ্যাম কাঁহাতক সহ্য করা যায়! বলেন? তাই, দুজনে একটু গল্প করে সময় কাটিয়ে দেই। আর আপনারা কি না...
বাস জুড়ে পিনপতন নিরবতা নেমে এল।
মুরব্বি: আরে সাহেব! আপনাকে চেনা চেনা লাগছে?
যুবক: জ্বী, আপনাকেও চেনা চেনা লাগছে, স্যার।
মুরব্বি: তা কোথায় থাকা হয়?
যুবক: মোহাম্মদপুর।
আপনি?
মুরব্বি: আমিও তো মোহাম্মদপুরে থাকি! কী আশ্চর্য? কোন রোডে আপনার?
যুবক: তাজমহল রোড, ৬১২ নম্বর হোল্ডিং, ১৯ তলায়...
মুরব্বি এবার চিৎকার দিয়ে বলেন: ৬১২! ১৯ তলা! তাজমহল রোড? ও মাই গড! আমিও তো সেখানেই থাকি? কী কঠিন কাকতাল? তা ইয়াংম্যান, আসছেন কোথা থেকে?
যুবক: আমিও কম অবাক হচ্ছি না, স্যার! আমি মতিঝিলে জব করি, সেখান থেকে প্রতিদিন বাসে করে বাসায় ফিরি...
মুরব্বি আরো চেঁচিয়ে ওঠেন এবার: ওহ নো, ডিয়ার! কী শুনছি আমি? আমার অফিসও তো মতিঝিলেই... তা আপনি তাজমহল রোডের গ্রিন রোজ নামের ওই বিল্ডিংয়ে থাকেন? ফ্ল্যাট নম্বর কতো?
যুবক: আমি এফ নং ফ্ল্যাটে থাকি।
বাসের রড ছেড়ে মুরব্বি এবার জড়িয়ে ধরেন যুবককে এবং আবেগভরা গলায় বলতে থাকেন: মাই গড! আমিও তো ওই ফ্ল্যাটেই থাকি! কী আশ্চর্য... অথচ...
অন্য যাত্রীরা এতক্ষণ এই অদ্ভুত আলাপ শুনছিলেন ধৈর্য্য ধরে। কিন্তু এ পর্যায়ে এসে আর পারা গেল না। কয়েকজন তো সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। রড ধরে ঝুলতে থাকারাও চরম বিরক্ত। তাদের মধ্যে নেতা গোছের একজন বললেন: ইয়ার্কি মারার আর জায়গা পাননি আপনারা! এসব হচ্ছেটা কি?
অপরজন বললেন: সবাইকে পাগল ভেবেছেন? একই বাড়িতে না, রীতিমতো একই ফ্ল্যাটে দুজন থাকেন অথচ কেউ কাউকে চেনেন না?
বেপরোয়া চেহারার একজন বললেন- আমাগোরে প্রকাশ্যে 'মামু' বানানোর চেষ্টা করতেছে হেরা। এর ফয়সালা এখনি করতে হইবো। দুইটারে ধইরা...
এবার মুরব্বি ধমক দিয়ে উঠলেন: আপনাগোর স্বভাব তো বহুত খারাপ- অন্য মাইনসের কথা এত মন দিয়ে শোনার কী আছে! আমরা বাপ-বেটা প্রতিদিন বাদুড় ঝোলা হয়ে বাড়ি ফিরি বাসে করে। এই গরম আর রাস্তার জ্যাম কাঁহাতক সহ্য করা যায়! বলেন? তাই, দুজনে একটু গল্প করে সময় কাটিয়ে দেই। আর আপনারা কি না...
বাস জুড়ে পিনপতন নিরবতা নেমে এল।