What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কাঁঠাল না খেয়ে কি ভুল করছেন (1 Viewer)

tg8bFQt.jpg


কাঁচা কাঁঠালের এচোড়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম। টসটসে পাকা কাঁঠালও খেতে চান না অনেকে। কেউ আবার কাঁঠালের সুঘ্রাণই সহ্য করতে পারেন না। এখন কাঁঠালের মৌসুম। কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থায়ই কাঁঠাল খাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচিও সুস্বাদু খাবার হিসেবে জনপ্রিয়। কাঁঠালের কোনো অংশই স্বাস্থ্যগত উপকারিতার দিক দিয়ে কম যায় না। তাই যাঁরা কাঁঠাল খেতে চান না, তারা একপ্রকার ভুলই করছেন।

জেনে নিন কাঁচা ও পাকা কাঁঠালের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

  • কাঁঠাল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  • কাঁঠালে আছে ভিটামিন সি, যা শরীরকে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। তা ছাড়া ভিটামিন সির কারণে সর্দি-কাশি ও জ্বর প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
  • কাঁঠাল থেকে মেলে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়রন। চাহিদা অনুযায়ী আয়রন গ্রহণ করে পেটের অসুখ, সংক্রামক রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, কৃমি, আলসার, রক্ত আমাশয় ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
  • কাঁঠালে আছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তা ছাড়া সঠিক পরিমাণে কাঁঠাল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।

VFzZiBk.jpg


  • কাঁঠালের শর্করা—ফ্রুকটোজ ও সুকরোজ দ্রুত শক্তির জোগান দেয়। কাঁঠালে কোলেস্টেরলজাতীয় উপাদান না থাকায় যেকোনো বয়সের মানুষই কাঁঠাল খেতে পারেন।
  • কাঁঠালের হলুদ ও রসাল অংশে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টেরও একটি ভালো উৎস কাঁঠালের কোষ।
  • কাঁঠাল হজমপ্রক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে। মল তৈরির প্রক্রিয়া সচল রাখে, পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
  • কাঁঠাল ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। কাঁঠালের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান বয়োবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় না। তাই ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অর্থাৎ চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত কাঁঠাল খেতে পারেন।
  • কাঁঠালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়ামও আছে কিছু পরিমাণ। কাজেই নিয়মিত কাঁঠাল খেলে হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত থাকে।

9NSMT7D.jpg


  • কাঁঠালের নানা রকম খনিজ উপাদান শরীরের নানা রকম গ্রন্থি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঁঠালের কপার নামক খনিজ উপাদান থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক হরমোন তৈরির ক্ষমতা বজায় রাখে। কপার মানুষের দুঃশ্চিন্তা ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠালে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার। এটি মলাশয় থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে। কাঁঠাল মলাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধেও কার্যকর।
  • যাঁদের আলসারের সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত কাঁঠাল খেতে পারেন। কারণ, কাঁঠাল আলসারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
  • কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং বার্ধক্যের প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।

কাঁঠালের কোনো অংশই স্বাস্থ্যগত উপকারিতার দিক দিয়ে কম যায় না। তাই যাঁরা কাঁঠাল খেতে চান না, তারা একপ্রকার ভুলই করছেন।

* নাহিদা আহমেদ | পুষ্টিবিদ
 

Users who are viewing this thread

Back
Top