কোথাও কাটাছেঁড়া, সামান্য ক্ষত, ফোসকা বা ফোড়া, পা ফুলে যাওয়া, চামড়া লাল হয়ে গেলে কিংবা নখের সমস্যা হলে সতর্ক হতে হবে।
ডায়াবেটিস হলে সামান্য কেটে গেলে কিংবা ক্ষত হলে তা সারতে চায় না। রক্তে শর্করা বাড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ু। এতে অনুভূতি লোপ পায়। এতে পায়ে আঘাত লাগলেও ব্যথা-বেদনা পান না আক্রান্ত ব্যক্তি। সে কারণে ছোট আঘাত থেকে অগোচরেই সৃষ্টি হতে পারে ক্ষত। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর রক্তনালিতে রক্ত চলাচল কমে যায় বলে ঘা শুকাতে সময় লাগে। সব মিলিয়ে ছোটখাটো ক্ষত জটিল আকার ধারণ করে। এমনকি পায়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। কখনো কখনো কেটে ফেলতে হতে পারে পা। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিতে হবে।
নিয়মিত পা পর্যবেক্ষণ
প্রতিদিন সময় করে পা পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও কাটাছেঁড়া, সামান্য ক্ষত, ফোসকা বা ফোড়া, পা ফুলে যাওয়া, চামড়া লাল হয়ে গেলে কিংবা নখের সমস্যা হলে সতর্ক হতে হবে। দুই আঙুলের ফাঁকে অনেক সময় ছত্রাক হয়। তাই পায়ের ওপর–নিচ, আঙুলের ফাঁক ভালো করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে আয়না ব্যবহার করুন।
পা পরিষ্কার রাখুন
প্রতিদিন কুসুম–গরম পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করতে হবে। বেশি গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। পা ধোয়ার পর শুকনা কাপড় বা টিস্যু পেপার দিয়ে ভালো করে পা মুছতে হবে। বাইরের নোংরা ময়লা পায়ে লাগলে দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে।
আর্দ্রতা বজায় রাখা
স্নায়ুর ব্যাধি হলে ঘাম নিঃসরণ কমে যায়। ফলে পা শুকনো খসখসে হয়ে যেতে পারে। শুষ্ক পা ফেটে অনেক সময় ঘা হয়ে যায়। সে জন্য পা পরিষ্কার করে শুকানোর পর পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ তেল মাখতে হবে।
নখ কাটার সময় সতর্কতা
প্রথমে নখ কাটতে হবে সোজা করে। তারপর দুই প্রান্ত কাটতে হবে। বেশি গভীর করে কাটা যাবে না। ঘুরিয়ে নখ কাটলে অনেক সময় চামড়া কেটে যেতে পারে। নখ বেশি ছোট করতে গিয়ে যাতে চামড়ায় আঘাত না লাগে, তা লক্ষ রাখতে হবে।
জুতা নির্বাচন
কখনোই খালি পায়ে হাঁটবেন না। এমনকি ঘরেও না। বাইরে গেলে আরামদায়ক, নরম সোলের পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। জুতা বেশি আঁটোসাঁটো কিংবা ঢিলেঢালা হওয়া যাবে না। মোজা প্রতিদিন ধুয়ে ভালো করে শুকাতে হবে।
নিজে নিজে চিকিৎসা নয়
ফোসকা, কড়া, গুটি ইত্যাদি নিজে নিজে কাটা বা ওঠানো মোটেও উচিত নয়। ফোসকা কিংবা কড়া উঠলে কর্ন প্লাস্টার ব্যবহার করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পায়ে রক্ত চলাচল জরুরি। দীর্ঘ সময় বসে থাকার সময় পা উঁচু রাখুন। চেয়ারে বসে টেবিলে বা খাটে পা তুলে রাখুন। এতে রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকবে। মাঝেমধ্যে পায়ের আঙুল নাড়ুন।
সর্বোপরি চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ধূমপান বর্জন করতে হবে। খাদ্যশৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, সিএমএইচ, ঢাকা
ডায়াবেটিস হলে সামান্য কেটে গেলে কিংবা ক্ষত হলে তা সারতে চায় না। রক্তে শর্করা বাড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ু। এতে অনুভূতি লোপ পায়। এতে পায়ে আঘাত লাগলেও ব্যথা-বেদনা পান না আক্রান্ত ব্যক্তি। সে কারণে ছোট আঘাত থেকে অগোচরেই সৃষ্টি হতে পারে ক্ষত। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর রক্তনালিতে রক্ত চলাচল কমে যায় বলে ঘা শুকাতে সময় লাগে। সব মিলিয়ে ছোটখাটো ক্ষত জটিল আকার ধারণ করে। এমনকি পায়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। কখনো কখনো কেটে ফেলতে হতে পারে পা। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিতে হবে।
নিয়মিত পা পর্যবেক্ষণ
প্রতিদিন সময় করে পা পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও কাটাছেঁড়া, সামান্য ক্ষত, ফোসকা বা ফোড়া, পা ফুলে যাওয়া, চামড়া লাল হয়ে গেলে কিংবা নখের সমস্যা হলে সতর্ক হতে হবে। দুই আঙুলের ফাঁকে অনেক সময় ছত্রাক হয়। তাই পায়ের ওপর–নিচ, আঙুলের ফাঁক ভালো করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে আয়না ব্যবহার করুন।
পা পরিষ্কার রাখুন
প্রতিদিন কুসুম–গরম পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করতে হবে। বেশি গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। পা ধোয়ার পর শুকনা কাপড় বা টিস্যু পেপার দিয়ে ভালো করে পা মুছতে হবে। বাইরের নোংরা ময়লা পায়ে লাগলে দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে।
আর্দ্রতা বজায় রাখা
স্নায়ুর ব্যাধি হলে ঘাম নিঃসরণ কমে যায়। ফলে পা শুকনো খসখসে হয়ে যেতে পারে। শুষ্ক পা ফেটে অনেক সময় ঘা হয়ে যায়। সে জন্য পা পরিষ্কার করে শুকানোর পর পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ তেল মাখতে হবে।
নখ কাটার সময় সতর্কতা
প্রথমে নখ কাটতে হবে সোজা করে। তারপর দুই প্রান্ত কাটতে হবে। বেশি গভীর করে কাটা যাবে না। ঘুরিয়ে নখ কাটলে অনেক সময় চামড়া কেটে যেতে পারে। নখ বেশি ছোট করতে গিয়ে যাতে চামড়ায় আঘাত না লাগে, তা লক্ষ রাখতে হবে।
জুতা নির্বাচন
কখনোই খালি পায়ে হাঁটবেন না। এমনকি ঘরেও না। বাইরে গেলে আরামদায়ক, নরম সোলের পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। জুতা বেশি আঁটোসাঁটো কিংবা ঢিলেঢালা হওয়া যাবে না। মোজা প্রতিদিন ধুয়ে ভালো করে শুকাতে হবে।
নিজে নিজে চিকিৎসা নয়
ফোসকা, কড়া, গুটি ইত্যাদি নিজে নিজে কাটা বা ওঠানো মোটেও উচিত নয়। ফোসকা কিংবা কড়া উঠলে কর্ন প্লাস্টার ব্যবহার করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পায়ে রক্ত চলাচল জরুরি। দীর্ঘ সময় বসে থাকার সময় পা উঁচু রাখুন। চেয়ারে বসে টেবিলে বা খাটে পা তুলে রাখুন। এতে রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকবে। মাঝেমধ্যে পায়ের আঙুল নাড়ুন।
সর্বোপরি চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ধূমপান বর্জন করতে হবে। খাদ্যশৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, সিএমএইচ, ঢাকা