What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

নারীর ক্যানসারের ঝুঁকি (1 Viewer)

ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয়ের ওপর জোর দিতে হবে বেশি। তবে এর চেয়ে বেশি জরুরি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কায়িক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম।

WK2Ilwg.jpg


নারীদের কিছু বিশেষ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। এর মধ্যে স্তন ক্যানসার, জরায়ুমুখের ক্যানসার, পায়ুপথের ক্যানসার, মুখের ক্যানসার অন্যতম। সচেতন হলে এসব ক্যানসারের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এ কারণেই ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয়ের ওপর জোর দিতে হবে বেশি। তবে এর চেয়ে বেশি জরুরি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কায়িক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম। কারণ, ক্যানসার হওয়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি বেশি।

স্তন ক্যানসার

চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন স্তন ক্যানসার নিরাময় সম্ভব। তবে তা ধরা পড়তে হবে যথাসময়ে। পরিবারে কারও স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে আরও সচেতন হতে হবে। সঠিক সময়ে বিয়ে, সন্তান নেওয়া, সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যদান ইত্যাদিও জরুরি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাম ছাড়াও নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করতে হবে নিয়মিত। স্তনে যেকোনো পরিবর্তন, গোটা, নিঃসরণ, চাকা মনে হলে পরীক্ষা করতে হবে। প্রতি মাসে মাসিক শুরু হওয়ার পর প্রথম ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করুন। কারও মাসিক নিয়মিত না হলে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ কেটে প্রতি মাসে একবার পরীক্ষা করবেন। গর্ভবতী ও সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়া মায়েরাও পরীক্ষা করবেন।

জরায়ুমুখের ক্যানসার

কম বয়সে বিয়ে, বেশি সন্তানের জন্মদান, ঠিকমতো পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা, বহুবিবাহ এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি প্রতিরোধ করতে তাই জনসচেতনতা এবং সবার অংশগ্রহণ জরুরি। ধূমপান পরিহার করতে হবে, জর্দা–সাদা পাতা–গুল বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। নারীদের নিয়মিত পেপস স্মেয়ার পরীক্ষাও করা প্রয়োজন। এতে রোগ আগেভাগে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এখন এই রোগ প্রতিরোধে টিকাও আছে।

পায়ুপথের ক্যানসার

এই ক্যানসার পুরুষদের বেশি হয়। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সংকোচ আর লজ্জার কারণে এই ক্যানসার ধরা পড়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসারের মতো পায়ুপথের ক্যানসারও নিরাময়যোগ্য। পায়ুপথে যদি তাজা রক্ত না গিয়ে মরা রক্ত, আমযুক্ত রক্ত, পেটে মোচড় দিয়ে অথবা কালো দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানা হয়, তাহলে সচেতন হতে হবে। পায়ুপথ দিয়ে ব্যথাহীন রক্তপাতকে কিছুতেই অবহেলা করা চলবে না। মনে রাখবেন, বেশির ভাগ ক্যানসারে প্রাথমিকভাবে ব্যথা থাকে না।

মুখের ক্যানসার

অনেক নারীই পান, গুল, তামাক, জর্দা সেবন করেন। এতে মুখ ও মুখগহ্বরের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানেও ঝুঁকি বাড়ে। এসব কারণে ফুসফুসের ক্যানসার ছাড়াও স্তন এবং অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। মুখে ঘা হলে এবং তা দীর্ঘদিনে না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* ডা. লায়লা শিরিন : সহযোগী অধ্যাপক, ক্যানসার সার্জারি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
 

Users who are viewing this thread

Back
Top