টিআইএ রোগীর দ্রুত মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষা করতে হবে। কেন এমন হলো তা দেখতে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোন ও ইসিজি পরীক্ষা করতে হবে।
হঠাৎ কারও মুখ বাঁকা হয়ে গেলে, কথা জড়িয়ে গেলে, চোখে না দেখলে অথবা এক হাত-পা অবশ হয়ে গেলে, দুর্বলতা বোধ করলে তা স্ট্রোকের লক্ষণ। অনেক সময় এ লক্ষণগুলো খুব দ্রুতই সেরে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। সিটিস্ক্যান করলে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষ এটাকে 'মাইল্ড স্ট্রোক' বলে। অনেক সময় চিকিৎসকেরাও এটাকে মাইল্ড স্ট্রোক বা স্ট্রোকের মতো কিছু বলে জানান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ ধরনের স্ট্রোককে ট্রান্সিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) বলে।
কিন্তু টিআইএ থেকে দ্রুত সেরে উঠলেও বিপদচিহ্ন থেকে যায়। টিআইএ হওয়ার অর্থ পরবর্তী সময়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। সঠিক প্রতিরোধব্যবস্থা না নিলে প্রতি ১০ জন টিআইএ রোগীর ১ জন পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন।
টিআইএ আর স্ট্রোকের কারণগুলো একই। কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে টিআইএ আর স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকে রক্তপ্রবাহ বন্ধ বেশি সময় থাকে বলে ক্ষতি বেশি হয়। আর টিআইএতে এটি সাময়িকভাবে ঘটে। পুনরায় রক্ত চলাচল শুরু হয়ে যায় বলে বড় কোনো ক্ষতি হয় না।
কাদের এই ঝুঁকি বেশি
বয়োবৃদ্ধ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি বেশি থাকা, ধূমপান, স্থূলতা, হৃদ্রোগ, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি থাকলে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্ট্রোক বা টিআইএর ঝুঁকি বাড়ে। স্ট্রোকের উপসর্গগুলো দেখা দিলে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় কেউ হঠাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য অচেতন হয়েও যেতে পারেন। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
টিআইএ রোগীর দ্রুত মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষা করতে হবে। কেন এমন হলো তা দেখতে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোন ও ইসিজি পরীক্ষা করতে হবে। টিআইএ আক্রান্ত হওয়ার পর দ্রুত সেরে উঠলেও নিশ্চিন্ত বসে থাকা চলবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসপিরিন জাতীয় রক্ত তরল করার ওষুধ টিআইএ রোগীর চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। এর সঙ্গে পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হবে। ধূমপান বর্জন করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়ামে স্থূলতা কমাতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলে অথবা থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
টিআইএ রোগীর পরবর্তী সময়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকায় দেরি না করে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ ও জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তনের মাধ্যমে টিআইএ রোগী দীর্ঘ সময় সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে পারে।
* নাজমুল হক মুন্না, সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি), মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
হঠাৎ কারও মুখ বাঁকা হয়ে গেলে, কথা জড়িয়ে গেলে, চোখে না দেখলে অথবা এক হাত-পা অবশ হয়ে গেলে, দুর্বলতা বোধ করলে তা স্ট্রোকের লক্ষণ। অনেক সময় এ লক্ষণগুলো খুব দ্রুতই সেরে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। সিটিস্ক্যান করলে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষ এটাকে 'মাইল্ড স্ট্রোক' বলে। অনেক সময় চিকিৎসকেরাও এটাকে মাইল্ড স্ট্রোক বা স্ট্রোকের মতো কিছু বলে জানান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ ধরনের স্ট্রোককে ট্রান্সিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) বলে।
কিন্তু টিআইএ থেকে দ্রুত সেরে উঠলেও বিপদচিহ্ন থেকে যায়। টিআইএ হওয়ার অর্থ পরবর্তী সময়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। সঠিক প্রতিরোধব্যবস্থা না নিলে প্রতি ১০ জন টিআইএ রোগীর ১ জন পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন।
টিআইএ আর স্ট্রোকের কারণগুলো একই। কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে টিআইএ আর স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকে রক্তপ্রবাহ বন্ধ বেশি সময় থাকে বলে ক্ষতি বেশি হয়। আর টিআইএতে এটি সাময়িকভাবে ঘটে। পুনরায় রক্ত চলাচল শুরু হয়ে যায় বলে বড় কোনো ক্ষতি হয় না।
কাদের এই ঝুঁকি বেশি
বয়োবৃদ্ধ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি বেশি থাকা, ধূমপান, স্থূলতা, হৃদ্রোগ, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি থাকলে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্ট্রোক বা টিআইএর ঝুঁকি বাড়ে। স্ট্রোকের উপসর্গগুলো দেখা দিলে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় কেউ হঠাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য অচেতন হয়েও যেতে পারেন। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
টিআইএ রোগীর দ্রুত মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষা করতে হবে। কেন এমন হলো তা দেখতে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোন ও ইসিজি পরীক্ষা করতে হবে। টিআইএ আক্রান্ত হওয়ার পর দ্রুত সেরে উঠলেও নিশ্চিন্ত বসে থাকা চলবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসপিরিন জাতীয় রক্ত তরল করার ওষুধ টিআইএ রোগীর চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। এর সঙ্গে পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হবে। ধূমপান বর্জন করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়ামে স্থূলতা কমাতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলে অথবা থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
টিআইএ রোগীর পরবর্তী সময়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকায় দেরি না করে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ ও জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তনের মাধ্যমে টিআইএ রোগী দীর্ঘ সময় সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে পারে।
* নাজমুল হক মুন্না, সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি), মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা