What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আম দিয়ে তৈরি যত খাবার! (1 Viewer)

Welcome! You have been invited by ppbd to join our community. Please click here to register.
ivZ0EqI.jpg


গ্রীষ্মকালকে কিন্তু আমরা কেউই ভালোবাসি না। ঘেমেনেয়ে বাইরে কাজ করাই হোক, আর ঘরে নিজের জন্য রান্না—কোনোটাই ঠিক ভালো লাগে না। তবুও কিন্তু আমরা সবাই সারা বছর ধরে অপেক্ষা করি গ্রীষ্মকালের জন্য। এর কারণ কিন্তু গ্রীষ্মের যত মিষ্টি আর সুস্বাদু ফল। আরও ছোট করে বলতে গেলে বলতে হয়, ফলের রাজা আমের জন্য!

gGdMkUL.png


আমসত্ত্ব

আম খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। শুধু ফল হিসেবে খাওয়াতেই শেষ নয়, আমের ব্যবহার আছে অন্য রান্নায়ও। শুধু মিষ্টি খাবারে অন্তত ২০ ধরনের নাম বলা যাবে এক নিশ্বাসে, যাতে আম ব্যবহার করা হয়। এমনকি পৃথিবীব্যাপী টক-ঝাল-মিষ্টি এমন কোনো ধরনের খাবার নেই, যাতে আম দিয়ে দু-একটি খাবার বানানো সম্ভব হয় না।

আমাদের মা-নানিদের তৈরি আমের আচার কিংবা আমসত্ত্ব ছাড়াও গর্ডন র‍্যামসির মতো দুনিয়া মাতানো শেফের তৈরি ডেজার্ট—আম খুঁজে পাওয়া যাবে সবখানেই। আর তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই উপমহাদেশীয় আম। মোগলদের সুবাদে এই অঞ্চলেই আম পেয়েছে খ্যাতি ও বিস্তৃতি, যা সময়ের সঙ্গে ছড়িয়ে গেছে সব মহাদেশে। আর তাই নতুন নতুন খাবারও তৈরি হয়েছে আমকে কেন্দ্র করে।

আম ব্যবহার করে তৈরি খাবার

KcyYIMR.jpg


আমের পুডিং

আম দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাবার যেমন কেক, পুডিং কিংবা আমের কুলফি, শরবত তো আছেই; এর সঙ্গে আমের আচার কিংবা চাটনিও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এ ছাড়া কাঁচা আম আলাদাভাবেই ব্যবহার করা হয় হরেক রকম রান্নায়। এসবের বাইরেও আমের সালাদ, বিভিন্ন ফলের সালাদ, চিকেন সালাদ এমনকি মাংস রান্নায়ও আম ব্যবহার করা হয়।

ঠান্ডা শরবত বানাতে আম

dv73t2D.jpg


কাঁচা কিংবা পাকা—দুই ধরনের আমই শরবত তৈরিতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশি ঘরানার আমের শরবতের বাইরেও বিদেশি স্টাইলে তৈরি ম্যাংগো স্ল্যাশি, ম্যাংগো স্মুদি কিংবা ম্যাংগো লাচ্ছিও এখন সারা পৃথিবীতেই বিখ্যাত।

ডেজার্ট তৈরিতে আম

OuCaxJN.png


ম্যাংগো কুলফি

গরমের দিনে ম্যাংগো কুলফি বা ম্যাংগো আইসক্রিম সবাই লুফে নেয় এক পলকে। একদিকে যেমন ক্লান্তিকর গরমের শেষে শান্তির স্পর্শ পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে আবার পুষ্টিগুণেও অতুলনীয়। এর বাইরেও আমের তৈরি পিঠা কিংবা মিষ্টি আমাদের দেশেও বেশ প্রচলিত। এবার দেশের সীমানা পেরিয়ে যদি একটু ভাবি, তাহলেও দেখতে পাব আমের ব্যবহার

2LnJ5va.jpg


ম্যাংগো পুডিং কিংবা ম্যাংগো ফ্লেভারড কেক তো আছেই, এর বাইরেও প্যানাকোটা কিংবা মাহালাবিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের ডেজার্ট আইটেমগুলোতেও আমের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। ম্যাংগো ইয়োগার্ট থেকে ম্যাংগো জ্যাম কিংবা সান্ডে—পৃথিবীর প্রায় সব রকম খাবারেরই আমভিত্তিক একটা আলাদা ধরন তৈরি করা হয়। ম্যাংগো মুজ, ম্যাংগো টার্ট, ম্যাংগো পাই বা ম্যাংগো ডোনাট নাম বলতে থাকলে আসলে শেষ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

এ তো গেল মিষ্টি খাবার আর শরবতের কথা। কিন্তু আচার কিংবা চাটনি ছাড়াও সারা বিশ্বে আম দিয়ে অসংখ্য ঝাল খাবার তৈরি করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে।

আমের সালাদ কিংবা রান্নায় আমের ব্যবহার

w0hWz9H.png


আমের সালাদ

বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার হলো ম্যাংগো স্টিকি রাইস। যদিও এটি আমাদের দেশীয় খাবার নয়, অনেকটা প্যান এশিয়ান ধাঁচের। তবে বর্তমানে বাংলাদেশেও বিশেষত তরুণদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এই খাবার। এরপর বলতে হয় আমের তৈরি সালাদের কথা। অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিলিয়ে ফলের সালাদ তো আছেই। এর বাইরে সবজি সালাদেও আম ব্যবহৃত হয় ভীষণভাবে। চিকেন দিয়ে আমের সালাদ কিংবা মাছের সঙ্গে আম দিয়ে তৈরি সুইট-ট্যাঙ্গি খাবার। সারা পৃথিবীতেই এখন নানা রকম খাবারে আম মিশিয়ে নতুন নতুন ধরন উদ্ভাবন করা হচ্ছে। আবার ব্যাপক জনপ্রিয় বারবি-কিউর মধ্যেই আছে আমের ব্যবহার। ম্যাংগো টোস্ট বা আম অনেকটা আগুনে পুড়িয়ে মরিচ দিয়ে খাওয়ার মতো অসংখ্য রকম রেসিপি এখন প্রচলিত পৃথিবীব্যাপী।

glGS7xr.jpg


আমাদের ছোটবেলায় 'পথের পাঁচালি'র দুর্গার কাছ থেকে শেখা কাঁচা আমে মরিচ মেখে খাওয়ার রেসিপি আজকের পৃথিবীতে বিখ্যাত শেফদের কিচেন কিংবা নামীদামি রেস্তোরাঁ, যা-ই বলুন না কেন, আমের ব্যবহার আছে সর্বত্রই। এর বাইরে আছে প্যাকেটজাত খাবার, রেডিমেড জুস এবং ফুড কালারিং অ্যাসেন্স।

i9v6Y8N.png


আম সৌরভের সুগন্ধি

আর শুধু খাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই আমের ব্যবহার, এর লোভনীয় গন্ধের জন্য বর্তমানে সাবান-শ্যাম্পুর মতো কসমেটিকস এমনকি পারফিউমেও ব্যবহার করা হচ্ছে একে। ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট থেকে দ্য বডি শপ—আমের ফ্লেভারড পারফিউম এখন জায়গা করে নিয়েছে নামীদামি ব্র্যান্ডশপেও।

তাহলে তো বুঝতেই পারছেন, শুধু আমি-আপনি নই, পৃথিবীব্যাপীই বহুলভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে এই ফল। ফলের রাজা খেতাবকে প্রায় প্রতিদিনই আরেকবার করে প্রমাণ করে দিচ্ছে এই ফল। তাই তো ৫০০০ বছর আগে ভারত থেকে উদ্ভাবিত এই ফল আজ হয়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ফলের তালিকার শীর্ষে। আগামী আরও ৫০০০ বছর আম মিষ্টি করে চলুক সবার জীবন। পৃথিবীব্যাপী চলতে থাকুক আম নিয়ে নিত্যনতুন খাবার তৈরির নিরীক্ষা। আর আমাদের বিরক্তির গ্রীষ্মকালকে করে চলুক তার স্বাদ ও গন্ধের মতোই সুন্দর আর সুমিষ্ট।

* লেখক: মাহজাবিন রশীদ লামিশা | ছাত্রী, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 

Users who are viewing this thread

Back
Top