What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ঘুরবে চাকা, কমবে ওজন (1 Viewer)

আজ বিশ্ব সাইকেল দিবস। ২০১৮ সাল থেকে ৩ জুন দিনটাকে সাইকেল দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। পরিবেশ রক্ষায় বাহন হিসেবে সাইকেল যেমন কার্যকর, তেমনি আপনার শরীর রক্ষার দায়িত্বও দিতে পারেন বাইসাইকেলের ঘাড়ে। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীরের বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে নিজেকে ফিট রাখা সহজ হয়। এ ছাড়া রয়েছে নানাবিধ সুবিধা...

WJEthJZ.jpg


মহামারিকালে বিকল্প বাহন হিসেবে সাইকেল যে ভালো, সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। স্বল্প সময়ে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করতে সাইকেল যেমন কার্যকর, তেমনি নিয়মিত সাইকেল চালানো দারুণ এক ব্যায়ামও বটে। সাইকেল চালানো—সে তো দুই পায়ের পেশির ছন্দময় সঞ্চালন। তাতে ব্যায়াম হয় শরীরের নিম্নাংশের।

সাইকেল চালাতে ভারসাম্যও রাখা চাই ঠিকঠাক, তাতে শরীরের ভারসাম্য উন্নত হয়। ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব সাইকেল চালিয়ে। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর থাকে সুস্থ। ঘরের বাইরে, মনোরম পরিবেশে সাইকেল চালাতে গেলে মনটাও হয় ফুরফুরে। বাইরে সাইকেল চালানোর সুযোগ না থাকলে ঘরের মধ্যে 'স্থির' সাইকেলের ব্যবস্থা করলেও শরীরের জন্য তা উপকারী। সাইকেল যেমনই হোক, যেখানেই চালান, উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত তিন-পাঁচ দিন চালান, আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা।

সাইকেল চালানোর আরও কিছু উপকারিতা

kTjfLa2.jpg


আজ বিশ্ব সাইকেল দিবস

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাইকেল চালানো ভালো ব্যায়াম। ক্যালরির হিসাবটা জানা থাকলে, স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তি সেই মতোই হিসাব-নিকাশ করে ঠিক করে নিতে পারবেন দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ আর খরচের বিষয়টা।
  • নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদপিণ্ড থাকে সুস্থ-সবল। রক্ত চলাচল থাকে স্বাভাবিক। ফুসফুসের ব্যায়ামও হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে খারাপ চর্বির আধিক্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধে যেমন সাইকেল চালানো কাজে দেবে, তেমনি এসব সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিও উপকার পাবেন নিয়মিত সাইকেল চালালে। এতে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তের চর্বির মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে; এসব সমস্যার কারণে সম্ভাব্য জটিলতাগুলোর ঝুঁকিও কমে।
  • নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীরের নিম্নাংশের পেশি হয় মজবুত। পেট আর পিঠের পেশিও পায় দৃঢ়তা।

খেয়াল রাখুন

অনভ্যস্ত ব্যক্তি ব্যায়াম শুরু করলে প্রথম অবস্থাতেই খুব দ্রুততার সঙ্গে তা করতে যাওয়া ঠিক নয়। বরং ধীরে ধীরে ব্যায়ামটিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে চেষ্টা করুন। আর তা ছাড়া আপনি অভ্যস্ত হোন বা অনভ্যস্ত, প্রতিবার সাইকেল চালানো শুরু করার সময় কিছুক্ষণ হালকা গতিতে চালান। ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। দ্রুতগতিতে চালাতে চালাতে আবার শেষ করার আগেও খানিকটা সময় ধীরগতিতে চালানো ভালো।

আরও কিছু

HaM0c9L.jpg


নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

সাইকেল চালানো নিঃসন্দেহে দারুণ এক ব্যায়াম। উপকার বিস্তর। সব মিলিয়ে স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগও প্রতিরোধ করা যায় নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে। পেশায় চিকিৎসক হওয়ার কারণে আমি স্ট্রোকের রোগীদের দেখা পাই প্রায়ই। নিজের পরিবারের কেউ শুয়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায়, খাওয়া বা প্রস্রাবের জন্য তাঁকে ব্যবহার করতে হচ্ছে নল, এটা যে কারও জন্য মেনে নেওয়া ভীষণ কষ্টের।

তাই সুস্থ ব্যক্তির জন্য স্ট্রোক প্রতিরোধ করাটা বেশি কার্যকর। সাইকেল চালানো একটি সহজ ব্যায়াম, যা আপনি সহজে যোগ করতে পারেন নিজের জীবনধারায়। নিয়মে পরিণত করুন ব্যায়াম করাটাকে। এতে স্ট্রোকের মতো এমন দুরূহ রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top