কোভিড-১৯ বা করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকালে বদলে গেছে জীবনের নিয়ম, বদলে গেছে জীবনের গতিপথ। অদ্ভুত এই সময়ের একটি গল্প। গল্পটি বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। গল্পের চরিত্রগুলোর নাম বদলে দেওয়া হয়েছে, ছবিগুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা। তদুপরি, কোন পাঠক যদি ঘটনার সাথে কারও কোনরকম সংশ্লিষ্টতা পেয়ে থাকেন তবে নাম/পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ রইলো।
করোনার এই দূর্যোগ কত মানুষের জীবন কতভাবেই না পাল্টে দিয়েছে। আমারও বহুদিনের চাওয়া পূরণের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই হয়ে গেল....
বাবা থাকে সৌদিতে। পরিশ্রম করে যা টাকা আয় করে সবই পাঠিয়ে দেয়। তাতে আমি আর মা বলতে গেলে রাজার হালেই থাকি। দৈনন্দিন খরচা ছাড়াও ভালই খরচ হয়। জুয়া খেলি, মদ-গাঁজা নিয়মিতই খাওয়া হয়। আমিই খাওয়াই, বন্ধুদের কাজ কিনে নিয়ে আসা। বরিশাল শহরের এমন কোন ডিলার নাই যার মাল খাই নাই। সব ভালই চলছিল, কিন্তু এর মধ্যে এলো করোনা। বাবার চাকরিটা চলে গেল। টাকা পাঠাবে কি উল্টো আমাদেরই টাকা পাঠানো লাগে। ওদিকে লকডাউনের কারণে মাল-পানি খাওয়া কমে গেলেও বাসায় বসে থেকে থেকে জুয়া খেলা বেড়ে গেল মারাত্বকভাবে। এতেই কপাল পুড়লো। অনেক টাকার ফাঁদে পড়ে গেলাম। করোনার সময় কেউ টাকা বাকি রাখতেও রাজি নয়। বলে-কয়ে কোনমতে সামলে রাখছি।
বাবা থাকে সৌদিতে। পরিশ্রম করে যা টাকা আয় করে সবই পাঠিয়ে দেয়। তাতে আমি আর মা বলতে গেলে রাজার হালেই থাকি। দৈনন্দিন খরচা ছাড়াও ভালই খরচ হয়। জুয়া খেলি, মদ-গাঁজা নিয়মিতই খাওয়া হয়। আমিই খাওয়াই, বন্ধুদের কাজ কিনে নিয়ে আসা। বরিশাল শহরের এমন কোন ডিলার নাই যার মাল খাই নাই। সব ভালই চলছিল, কিন্তু এর মধ্যে এলো করোনা। বাবার চাকরিটা চলে গেল। টাকা পাঠাবে কি উল্টো আমাদেরই টাকা পাঠানো লাগে। ওদিকে লকডাউনের কারণে মাল-পানি খাওয়া কমে গেলেও বাসায় বসে থেকে থেকে জুয়া খেলা বেড়ে গেল মারাত্বকভাবে। এতেই কপাল পুড়লো। অনেক টাকার ফাঁদে পড়ে গেলাম। করোনার সময় কেউ টাকা বাকি রাখতেও রাজি নয়। বলে-কয়ে কোনমতে সামলে রাখছি।