What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রাকৃতিক উপাদানে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার (1 Viewer)

রূপচর্চায় কোরীয় পদ্ধতি এখন বিশ্বজুড়ের ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে তাদের পণ্য আমাদের দেশে ততটা সুলভ নয়। আর দামও চড়া। তাই তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করে হাতের নাগালে থাকা উপকরণ দিয়েই করে নেওয়া যাবে ত্বক-মুখত্বকের যত্ন।

CLrRqds.jpg


সৌন্দর্যচর্চায় হালের অবসেশন টেন স্টেপ কোরিয়ান স্কিন কেয়ার। পূর্ব থেকে পশ্চিম, কিশোরী থেকে প্রৌঢ়া—সবার কাছেই জনপ্রিয় ত্বকের যত্নে কোরীয় রীতি। সৌন্দর্যচর্চায় দুনিয়ার এক বিপ্লবের নাম টেন স্টেপ স্কিন কেয়ার। কোরিয়ানদের মতো সুস্থ সুন্দর এবং তারুণ্যোজ্জ্বল ত্বকের আশায় দিন দিন সবারই ঝোঁক বাড়ছে ম্যাক্সিমালিস্ট রুটিনের প্রতি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে রকেটের গতিতে বাড়ছে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা।

kllcZJr.jpg


বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে এখানে এ ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বিশেষ করে ক্লিনজার, এক্সফোলিয়েটর, টোনার, সিরামের দাম বেশ চড়া। তাই অনেকের সাধ থাকলেও পুরোপুরি ১০টি ধাপ অনুসরণ করার মতো কোরিয়ান প্রোডাক্ট কেনার সামর্থ্য হয় না। তবে একটা কথা আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এই স্কিন কেয়ার পণ্য কিনতে না পারলেও ১০ ধাপের বিউটি রুটিন মেনে চলা সম্ভব। কারণ ঘরে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এ প্রোডাক্ট বানানো সম্ভব।

অয়েল ক্লিনজার

Ha5SM09.jpg


সরিষার তেল, ছবি: উইকিপিডিয়া

কোরিয়ানদের দুবার ত্বক পরিষ্কার করার পদ্ধতিকে বলা হয় ডাবল ক্লিনজিং। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে অয়েল ক্লিনজিং। ঘরে থাকা যেকোনো তেল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। এমনকি ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ সয়াবিন তেল বা সরিষার তেলও ব্যবহার করা যাবে। তবে সবচেয়ে ভালো নারকেল বা জলপাইয়ের তেল। এ ধাপে মুখে তেল খুব ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তেল ম্যাসাজ করতে হবে আপার স্ট্রোকে। অর্থাৎ নিচে থেকে ওপরে। পাঁচ মিনিট। এরপর একটা সুতি কাপড় বা তুলার প্যাড হালকা কুসুমগরম পানিতে অল্প ভিজিয়ে মুখ থেকে তেল মুছে ফেলতে হবে। চাইলে ওয়েট টিস্যুও ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবে মুখের মেকআপ, আটকে থাকা বাইরের ধুলা-ময়লা, অতিরিক্ত সিবাম, এসপিএফ—সবকিছু পরিষ্কার করা যায়।

ওয়াটার বেজড/প্রাকৃতিক ক্লিনজার

অয়েল ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কারের পরও মুখে কিছু ময়লা থেকে যেতে পারে। এ জন্য ওয়াটার বেজড ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে থাকে। সাধারণত এ ধাপে নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া চাইলে ঘরেই প্রাকৃতিক ক্লিনজার বানিয়ে নিতে পারেন। মধু, টক দই, ওট মিল্ক ক্লিনজার হিসেবে খুবই ভালো উপাদান। মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়েও প্রাকৃতিক ক্লিনজার বানানো যায়।

এক্সফোলিয়েটর

ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং রোমকূপ পরিষ্কারের জন্য এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে হয়। সপ্তাহে দুদিনের বেশি ত্বকে এক্সফোলিয়েটর প্রয়োগ করা উচিত নয়। আর ঘরে এটি বানানো খুবই সহজ। লবণ বা চিনি বা আধা ভাঙা কফি বিনের সঙ্গে যেকোনো তেল মিশিয়ে নিলেই হলো। মুখে ভালোভাবে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টোনার

ডাবল ক্লিনজিং ও এক্সফোলিয়েশনের পর ত্বক বেশ শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে তাই চতুর্থ ধাপে টোনার ব্যবহার করতে হয়। এটি ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে। এক্সফোলিয়েটরের মতো ঘরে টোনার বানানো বেশ সহজ। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন শসার রস, গোলাপজল, চাল ধোয়া পানি, বেদানার রস, আপেল সাইডার ভিনেগার ইত্যাদি। বাড়তি পুষ্টির জন্য এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন।

এসেন্স

কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে এসেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এর প্রধান কাজ ত্বক আর্দ্র করে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলা। বাজারে যে এসেন্স পাওয়া যায়, তা বেশির ভাগই প্ল্যান্ট বেসড এবং বেশ ব্যয়বহুল। ঘরে এটি বানানো সম্ভব। ঘরোয়া এসেন্স বানাতে লাগবে একটি আপেল, একটি গাজর, গোলাপজল, গ্লিসারিন, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও পানি। গাজর, আপেল, পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে এদের রস আলাদা করতে হবে। এরপর সেই রসের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশালেই হবে।

সিরাম

সিরামকে বলা হয় ত্বকের ওষুধ। ত্বকে যদি অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব, শুষ্কতা, ব্রণ, র‌্যাশ বা বলিরেখার মতো সমস্যা থাকে, তাহলে সিরাম ব্যবহার করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে এটি না দিলেও চলবে। ত্বকের সমস্যার ধরন বুঝে সিরাম বানাতে হবে।
শুষ্ক ত্বক: এক চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চামচ গোলাপজল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল
তৈলাক্ত ত্বক: লেবুর রস, শসার রস।
ব্রণ বা র‍্যাশ: নিমপাতার রস, সামান্য হলুদের রস, গোলাপজল।
বলিরেখা: শসার রস, বেদানার রস, ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

আই ক্রিম

0nEmbKO.jpg


চোখের নিচের ত্বকের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন। কারণ এটি ত্বকের সবচেয়ে শুষ্ক অংশ। চোখের নিচের কালো দাগ, ফোলা ভাব, বলিরেখা কমানোর জন্য আই ক্রিম ব্যবহার করা উচিত সবার। এক চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল, হাফ চামচ গ্লিসারিন, একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং একটা প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরোয়া আই ক্রিম।

কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের সাতটি প্রোডাক্টই কম খরচে কোনো ঝামেলা ছাড়া নিজেই তৈরি করতে পারবেন। আর বাকি থাকল শিট মাস্ক, ময়শ্চারাইজার ক্রিম ও সানস্ক্রিন। শিট মাস্কের বদলে ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে অন্তত এক দিন। আর ময়শ্চারাইজার ক্রিম ও সানস্ক্রিন যে কোরিয়ানটাই কিনতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে সাধ্যের ভেতর যেকোনো ক্রিম বা এসপিএফ ব্যবহার করতে পারেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top