What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

শুষ্কতামুক্ত ত্বক (1 Viewer)

Rohoexp.jpg


বছরজুড়ে ত্বকের শুষ্কতায় ভোগেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠে অনেকের। একটু সচেতন হলেই এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন, এটি একটি সাধারণ বিষয়। আবার অনেকে একে সমস্যাই মনে করেন না। এ কারণে হয়তো তাঁরা খেয়ালই করেন না তাঁদের ত্বক মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক।

0rAIbUN.jpg


ত্বকের শুষ্কতা বোঝার সহজ উপায় হচ্ছে, মুখ ধোয়া বা গোসলের পর ত্বকে অতিরিক্ত টানটান ভাব তৈরি হওয়া। অনেকের শুষ্কতার সঙ্গে ত্বকে অমসৃণতা ও চুলকানিও হয়। সময়মতো এর যত্ন না নিলে ত্বক রাতারাতি বুড়িয়ে যায়। আবার অন্য ত্বকের তুলনায় দ্রুত বলিরেখা এবং সূক্ষ্মরেখাও দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক হওয়ার জন্য মূলত পরিবেশই দায়ী। এ ছাড়া আমাদের রোজকার কিছু অভ্যাসের জন্যও ত্বক শুষ্ক হয়। চাই নিয়মিত পরিচর্যা।

* দূষণের কারণেই ত্বকে মৃতকোষ বাড়তে থাকে, এতে শুষ্কতাও বাড়ে। তাই ভিটামিন ইনফিউজড ক্লিনজিং ইমালশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো ত্বকের গভীর থেকে দূষণ দূর করে। ফলে মৃত কোষ দূর হয়।
* নিয়মিত বিরতিতে শুষ্ক ত্বকের টোনিং জরুরি। এ জন্য বেছে নিতে হবে কেমিক্যালমুক্ত টোনার। বিশেষ করে অ্যালকোহল, ইথানল, আইসোপ্রোপাইলের মতো উপাদানমুক্ত টোনার বেছে নেওয়া উচিত।
* শুষ্কতা দূর করতে সকাল শুরু করা যেতে পারে ক্লিনজিং দিয়ে। ফেনাবিহীন, অ্যালকোহল ও সুগন্ধিমুক্ত কোমল ক্লিনজিং লোশন বা মিল্ক বেশি কার্যকর। এগুলো ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। ক্লিনজিং লোশন ব্যবহার করা উচিত খুবই আলতোভাবে। ব্যবহারের পর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

B9pZNyM.jpg


* মাইসেলার ওয়াটারও শুষ্ক ত্বক পরিষ্কারে দারুণ কার্যকর।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সেরামও বেশ উপকারী। ভিটামিন ই, এ এবং সি–যুক্ত সেরাম শুষ্ক ত্বকের কোলাজেন রক্ষা করে। ফলে ময়েশ্চারাইজার দেখায় ত্বক।
* গ্লিসারিন আর অ্যালগির মতো উপাদানগুলো ত্বককোষে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়। চর্চার তালিকায় রাখা যেতে পারে এগুলোও।
* রাতে রেনিটলযুক্ত সেরামই বেশি কার্যকর শুষ্ক ত্বকে। ত্বক এগুলো দ্রুত শুষে নেয়। নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। স্কিন টোন এবং টেক্সচার ভালো রাখতে সহায়তা করে।

* ত্বকের প্রাকৃতিক লিপিডের মাত্রা বাড়াতে হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বাড়াবে। পাশাপাশি রাতভর ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামত করে।
* শুষ্ক ত্বকে খুব দ্রুত মৃত কোষ জমে। ফলে এক্সফোলিয়েশন বেশি জরুরি। এগুলো দ্রুত এবং কার্যকর উপায়ে মৃত কোষ সারিয়ে তুলতে কাজ করে।
* বেরি এক্সট্র্যাক্ট, এএইচএ কিংবা বিএইচএর মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শুষ্ক ত্বকের দাগছোপ দূর করে। খুলে দেয় বন্ধ লোমকূপের মুখ। ডিসকালারেশন রোধ করে ফিরিয়ে দেয় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল আভা। বলিরেখাসহ বয়সের ছাপ রুখে দেয়।

ZpK8BD3.jpg


* সপ্তাহে একবার শুষ্ক ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্কও ব্যবহার করা চাই। বাসায়ই তৈরি করা যায় প্যাক। শসা কিংবা কলা চটকে নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। দইয়ের সঙ্গে মধু কিংবা মধুর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মাখিয়ে নেওয়া যায়। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে উঠতে দারুণ।
* ফেস অয়েলও খুব উপকারী। এর মধ্যে ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সারায় দাগছোপ।
* আলট্রা হাইড্রেটিং প্রোপার্টিযুক্ত আর্গান অয়েল শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করা যায়।
 
ধন্যবাদ আপনাকে। কাজে লাগবে এই পোস্টটি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top