২০ জুলাই ১৪০২ খৃষ্টাব্দে সেই করুণতম দুর্ভাগ্যের যুদ্ব ঘটে যায়। মুসলিম জাতির ভ্রাতৃঘাতী যুদ্বের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দিন। বর্তমান তুরষ্কের রাজধানী আংকারার পাশেই (তৎকালীন নাম ছিল আংগুরা; আংগুরার সম্ভাব্য পরিবর্তির রূপ আংকারা) মহান দুই বীর যোদ্বা ও মুসলিম শাসক পরস্পর মুখোমুখী হন খৃষ্টীয় চক্রান্তের ফলস্বরূপ। সুলতান বায়েজিদের সৈন্যসংখ্যা ছিল মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার। আর তৈমুর লং এর সেনাসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। যুদ্বে উভয় দল বীরত্বের অবিস্মরণীয় পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে। যদি যুদ্বটা হতো অমুসলিম আর মুসলিমের মধ্যে, তাহলে পৃথিবীর ইতিহাসে আরেকটা রেকর্ড হয়ে থাকত। কিন্তু উভয় পক্ষের সৈন্যবাহিনী ছিল মুসলমান। তাই সুলতান বায়েজিদের বাহিনী গরিষ্ঠতার উপর বিজয়ী হতে না পেরে নিজেরাই পিষ্ট হয়ে যায়। সুলতান বায়েজিদ তৈমুরের হাতে পরাজিত ও বন্দী হয়ে যান। সুলতানের পুত্রকেও বন্দী করা হয়। বার-কয়েক পালাবার চেষ্টাও করেছিলেন সুলতান। কিন্তু সফল হতে পারেন নি। তৈমুর তাকে এক জায়গায় না রেখে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন। একজন আত্মমর্যাদাবান সুলতান এ অপমান কীভাবে সহ্য করতে পারেন। তিনি এই বন্দীত্বের মাত্র আট মাসের মাথায় বিশাল হতাশা বুকে চেপে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।
তথ্যসূত্রঃ- বই-স্পেন টু অ্যামেরিকা, লেখক- শাইখ আবু লুবাবা শাহ মনসুর দামাত বারাকাতুহুম, পৃষ্ঠা- ২৭-৩১, কালান্তর প্রকাশনী।
তথ্যসূত্রঃ- বই-স্পেন টু অ্যামেরিকা, লেখক- শাইখ আবু লুবাবা শাহ মনসুর দামাত বারাকাতুহুম, পৃষ্ঠা- ২৭-৩১, কালান্তর প্রকাশনী।