What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Review ইতি তোমারই ঢাকা: রুগ্ন ঢাকার অমনিবাস (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,654
Messages
117,056
Credits
1,241,720
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
i3tkmOQ.jpg


অমনিবাস ছবির চর্চা অধিকাংশ দেশেই বেশ জনপ্রিয়। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে আর্জেন্টাইন পরিচালক দামিয়েন সিফ্রনের 'Wild Tales', হাঙ্গেরিয়ান জর্জি পাফির 'Free Fall' কিংবা মালায়লাম '5 Sundarikal'. তবে 'Paris, Je T'Aime' এর সাথেই বেশ মানানসই তুলনা চলে বাংলাদেশের প্রথম অ্যান্থলজিক্যাল বা অমনিবাস চলচ্চিত্র 'ইতি, তোমারই ঢাকা'র।

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ফরিদুর রেজা সাগর ও ইবনে হাসান খানের প্রযোজনায় বাংলাদেশের এগারো সম্ভাবনাময় তরুণ নির্মাতার শ্রমে তৈরি হয়েছে ছবিটি। রাজধানী ঢাকার সাথে নাগরিক জীবনের তিক্ত–মধুর অভিজ্ঞতাকেই এখানে তুলে এনেছেন তরুণ পরিচালকেরা। এগারোটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিকে একত্র করে একটি ছবি নির্মাণ– বাংলাদেশে এই প্রথম। তবে এতেই শেষ নয়। ৫৬ জন জনপ্রিয় অভিনেতার একসাথে কাজ করার রেকর্ডও এবারই প্রথম।

২ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয় ২০১৮ সালে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এ পর্যন্ত ২৩টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় ছবিটি। এবছরের জানুয়ারিতে জয়পুর আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পর্দাও উঠেছে এর মাধ্যমে। পাশাপাশি সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কারও জিতে নিয়েছে এটি।

বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের পনেরোটি হলে মুক্তি পেলো ছবিটি। এগারো গল্পের স্বাদ পেতে চলচ্চিত্রপ্রেমির জন্য সিনেমা হলে যাবার বিকল্প নেই। তবুও সব গল্পের টুকরো আভাস পেতেই পারেন এ লেখা থেকে।

UIlGXms.jpg


দ্য ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট

হলের পর্দা উঠতেই প্রথম গল্পের নাম ভেসে ওঠে– 'দ্য ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট'। এর পরিচালক তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। পরিচালক হিসেবে নুহাশের বয়স অল্প হলেও নিরীক্ষায় পিছিয়ে নেই। এবারও গরল বাস্তবতা সরল ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন।

এই অণুগল্পের আরম্ভে নায়ক ইরফান সাজ্জাদের মুখে ক্যামেরা থাকলেও ক্রমে জানা যায় গল্পের নায়ক আসলে এক ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট (মোস্তাফিজুর নূর ইমরান)। সিনেমার এক্সট্রা থেকে নায়ক হওয়ার তীব্র বাসনাতেই সেই আর্টিস্টের পরিচয় হয় এক দর্জির (ফজলুর রহমান বাবু) সাথে। অর্থনীতির 'ট্রেড অফ' সূত্রের আবর্তে স্বপ্নাতুর সেই যুবক ছোট্ট ছলনার আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেই ছলনায় লাভ-লোকসানের অংকটা শেষ অব্দি যেন মিলেও মেলে না, সফলতার দেখা মিলেও যেন শূন্যে মিলিয়ে যায় তা। দর্শকের এই প্রশ্নটাই পরিচালক শিশু কুশীলবের মুখেই শোনান, 'আমাদের কি আর দেখা হবে না?' ব্যথিত 'এক্সট্রা' তাও স্বপ্নে বুক বেঁধে বলে, 'হবে না কেন? সিনেমার বড় পর্দায় হবে।'

DBg0kSw.jpg


'দ্য ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্টে'র একটি দৃশ্য; Photo: Asian Movie Pulse

চিয়ার্স

সৈয়দ আহমেদ শাওকির 'চিয়ার্স' গল্পটা বেশ হালকাচালে বলা হলেও এর মধ্য দিয়ে দৃঢ় বার্তাই পৌঁছেছে দর্শকের কাছে। এর মূল দুই চরিত্রে ছিলেন অর্চিতা স্পর্শিয়া এবং ইয়াশ রোহান।

বর্তমানের অধিকাংশ রোমান্টিক সম্পর্কেই অবিশ্বাস ও সহজ ভাঙনের সুর প্রকট। এর মাঝে কিছু পুরুষ আবার পিতৃতন্ত্রের সুবিধাকে পুঁজি করে অপর পক্ষের মানহানিও করে। গতানুগতিক এই গল্পটাকেই পাল্টে দেয় সম্প্রতি হৃদয় ভাঙা তরুণী (স্পর্শিয়া)। ছবির দৃশ্যায়ন হয়েছে মূলত ফার্মগেট এলাকায়। দুই বন্ধুর আলাপচারিতার পেছনে সংসদ ভবন দেখিয়ে পরিচালক বুঝিয়েছেন দেশে নারী–পুরুষ সমতার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা আজও প্রশ্নবিদ্ধ। সেই ভাবনাটাই মেটাফোরের মাধ্যমে শেষভাগে দেখান শাওকি। 'রেড বাটন বারে' নারীর প্রবেশাধিকার নিয়ে যখন সকলে সরব, আচমকা প্রতারক প্রেমিকের মাথায় বোতল ভেঙে যেন তারই শক্ত প্রতিবাদ জানায় মেয়েটি।

u34cVE6.jpg


সুনাম কুড়িয়েছে স্পর্শিয়ার অভিনয়; Photo: Daily Net

জীবনের Gun

অস্ত্র ধ্বংসাত্মক। নিষ্পাপ লোকের হাতে বন্দুক এঁটে দিলে সেও শিকারি হতে বাধ্য। কিন্তু আনকোরা লোকের হাতে মারণাস্ত্র গোটা মানবজাতির জন্যই ক্ষতিকর। এই প্রতিপাদ্যেই 'জীবনের Gun' কাহিনি জমাট বেঁধেছে। এলাকার ছোট মাস্তানকে (অ্যালেন শুভ্র) ডেকে প্রায়ই বড়ভাই শাসন করে। ব্যাপারটা মোটেই ভালো লাগে না সেই পাঁতি মাস্তানের। তড়িঘড়ি বড় হওয়ার নেশায় ঘটনাচক্রে মিলেও যায় এক পিস্তল। কিন্তু সেই পিস্তল যে তারই মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করে দেবে, তা কে জানতো!

ইউটিউব চ্যানেল Buttfix এর কল্যাণে রাহাত রহমানের প্রতি প্রত্যাশাটা ছিল গগনচুম্বীই। বিশেষত ডার্ক কমেডি আর তীব্র রসিকতার মিশেল ছিল মূল আকাঙ্ক্ষা। সে হিসেবে কিছুটা হতাশই করেছেন পরিচালক। মূল চরিত্রে অ্যালেন শুভ্র প্রতিশ্রুতিশীল অভিনয় করলেও সব মিলিয়ে গল্পটা গুছিয়ে উঠতে পারেনি। সংলাপে তীক্ষ্ণ সার্কাজম আনার সুযোগ থাকলেও স্থুল চিত্রায়নে তা হারিয়েছেন। বেশ কিছু চরিত্রের অহেতুক আনাগোনাও ছিল বিরক্তিকর। এই গল্পের শুটিং হয়েছে হাতিরঝিল ও এর আশেপাশের এলাকায়।

মাগফিরাত

দূষিত নগরের তালিকায় ঢাকা এখন শীর্ষে। বিশুদ্ধ বায়ু তো দূর, সাধারণ এক প্রমোদোদ্যানেরও চিহ্ন নেই এখানে। ক্রমাগত বিষাক্ত কুয়ায় পরিণত ঢাকায় আটকে পড়া এক গ্রামীণ যুবককে ঘিরেই রবিউল আলম রবির 'মাগফিরাত'। শ্যামল মাওলা ও ফারাহানা হামিদ এর কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

জীবিকার টানে ঢাকায় গাড়ি চালকের চাকরি নেন এক গ্রামীণ যুবক (শ্যামল)। গ্রামের খোলা বাতায়ন থেকে শহরের বিষাক্ত আবহাওয়ায় কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারে না সে। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় ক্লসট্রোফবিয়ায়। ভীষণ তপ্ত, মৃতপ্রায় শহরে বৈভব কি তাকে মুক্তি দিতে পারবে? নাকি সেই হারিয়ে ফেলবে আত্মসত্তাকে?

সাউন্ডস গুড

ঝাঁ চকচকে মিডিয়ার অন্তরালে বিশ্বাস– অবিশ্বাসের দোলাচলকে পুঁজি করেই গোলাম কিবরিয়া ফারুকির 'সাউন্ডস গুড'। গ্রিনরুমের দরজার পেছনের পরকীয়া এবং অসুস্থ সম্পর্কের টানাপোড়েনের ভাবনাটা গল্প হিসেবে নবীন। কিন্তু এর দৃশ্যায়নে ধোঁয়াশার চাইতে বিরক্তির উদ্রেকই হয়েছে বেশি। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের উদ্দেশ্য এবং অনুধাবনও ছিল অস্পষ্ট।

kSs36OC.jpg


'সাউন্ডস গুড' এ মুনিরা শাহতাজ হোসেন

হোয়ার, নো হোয়ার

কাস্টিংয়ে অভাবনীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তানভীর আহসান । গুণী অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার এবং জুঁই নারিকেল তেলের বিজ্ঞাপনখ্যাত শাহনাজ সুমিকে ঘিরে ঢাকাকে দেখিয়েছেন তিনি নিষ্ঠুর নগরী হিসেবে।

যুদ্ধস্নাত নগরীতে এক নারী (ত্রপা মজুমদার) কোর্টের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন একমাত্র ছেলের জামিনের জন্য। অন্যদিকে তাঁরই মেয়ে (শাহনাজ সুমি) বখাটে প্রেমিকের ব্ল্যাকমেইলে পর্যুদস্ত প্রতিদিন। এর মাঝেই চাকরি হারান সেই মা, ওদিকে ক্রমাগত হুমকির মুখে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মেয়ে। সহ্যের দেয়াল ভেঙে গেলেও আবার উঠে দাঁড়ায় দুই নারী। একলা শহরে আবার পথে নামে তারা নতুন স্বপ্নকে পুঁজি করে। ছেলের জেলমুক্তিতে বদ্ধপরিকর মায়ের সংগ্রামের সাথে দর্শক মোটাদাগেই পাবেন 'চাঁদনীবারে'র প্রচ্ছন্ন আভাস।

অবিশ্বাসে ঢাকা

নাটকের ব্যস্ত অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক এবং দোয়েল ম্যাশকে নিয়েই রাতের ঢাকার ছবি 'অবিশ্বাসে ঢাকা'। ক্যামেরার পেছনে ছিলেন মীর মোকাররম হোসেন। গ্রামের সরল যুবক মনোজ। ঢাকায় চাকরিসূত্রে বসবাস করলেও কঠিন মারপ্যাঁচের সাথে মানিয়ে উঠতে পারেনি সে। এক রাতে আচমকাই পথের ধারে নিগৃহীত দোয়েলকে খুঁজে পায় সে। রাতভর পুলিশ– হাসপাতালের হ্যাপা সামলালেও শেষকালে দোয়েল তাকে চিনতে অস্বীকৃতি জানায়।

সমাপ্তি দৃশ্যে মনোজের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও সে এগিয়ে যায়না। এ দৃশ্যে বিহ্বল চোখাচোখিই বলে দেয়, এই শহরে কেউ কারো নয়। মনোজ প্রামাণিক এ প্রসঙ্গে তার ব্যক্তিগত ভাবনার কথা জানান এভাবে, ' গল্পটায় দেখা যায় কীভাবে একজন মানুষের সারল্য ইট–কাঠের শহরে এসে মুছে যায়। আর ক্রমেই সে শহুরে হয়ে ওঠে।'

এম ফর মানি/ মার্ডার

রঙিন ঢাকার উলঙ্গ মূর্তি দেখে হলজোড়া দর্শক ইতোমধ্যেই বিহ্বল। আব্দুল্লাহ আল নূর মড়ার উপর যেন খাঁড়ার ঘা–ই বসালেন! বাংলাদেশের ব্যাকংকিং সেক্টরের বেহাল দশা এবং দুর্নীতির প্লটটা দেখানোর জন্য পরিচালক বেছে নিয়েছেন সাদা–কালো ফ্রেম। ইরেশ জাকের এবং গাউসুল আজম শাওন ছিলেন মূল ভূমিকায়।

কর্পোরেট সংস্কৃতিতে কর্তাব্যক্তিদের অতিরিক্ত লোভের বলি হচ্ছেন অধীনস্থরা। বিশ্বজনীন এই চিত্রে দিশেহারা কর্মচারীর (ইরেশ) স্বীকারোক্তি দিয়েই শুরু হয় 'এম ফর মানি/ মার্ডার'। শর্টফিল্মটিতে আব্দুল্লাহ আল নূর স্বল্প সময়েই থ্রিলারের স্বাদ দিয়েছেন। শেষে হিচককিয়ান আবহ তৈরির চেষ্টাও ছিল প্রশংসনীয়। সিনেমার শেষ দৃশ্য ভেনজিন্স ট্রিলজিও মনে করিয়ে দিবে দর্শককে।

8nzEau4.jpg


এগারো স্বপ্নবাজ নির্মাতার সাথে প্রযোজকেরা

ঢাকা মেট্রো

ভিক্টোরিও ডি সিকার 'দ্য বাইসাইকেল থিভস' এর মৌলিক আভাস মিলবে মাহমুদুল ইসলাম নির্মিত এই ছবিতে। ইন্তেখাব দিনার এবং শতাব্দী ওয়াদুদ দুজনেই মঞ্চ, টেলিভিশন, বড় পর্দা তিন ধারাতেই অভিজ্ঞ। তাঁদের অভিনয়ে স্পষ্টত ধরাও পড়েছে সেই অভিজ্ঞতা।

ধনতান্ত্রিক সমাজে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের অবস্থা বরাবরই করুণ। পুঁজিপতিদের সম্পদের তুলনায় স্বল্প আশ্রয় মিললেও ধনীরা তাও কেড়ে নেয়। শর্টফিল্মে অসহায় পুরুষ (দিনার) এর সঙ্গিন অবস্থার সুযোগ নিয়ে গ্যারেজ মালিক (শতাব্দী) অন্যায্য দামে কিনে নেয় তার একমাত্র সম্বল– গাড়ি। জীবনযুদ্ধে ঠকে আসা দিনার দিশেহারা হয়ে শেষকালে সেই গাড়িই চুরি করতে বাধ্য হয়। লি চ্যাং দংয়ের 'Burning' এর মতোই নীরব প্রতিশোধ জানায় নির্যাতিত শ্রেণির প্রতিভূ দিনার।

জিন্নাহ ইজ ডেড

হরিশংকর জলদাসের 'রামগোলাম' যাদের পড়া তারা দ্রুতই এই গল্পের প্লটটা বুঝে উঠবেন। সেই গল্পে মেথর পট্টির অবিরত সংগ্রামের খণ্ড দৃশ্যায়নই 'জিন্নাহ ইজ ডেড'। সাতচল্লিশের দেশবিভাগ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরেও বহু বিহারি বাংলাদেশের মাটি কামড়ে পড়ে আছে। কিন্তু শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে তারা বঞ্চিত। এর উপর খানিকটা অবস্থাসম্পন্ন বিহারিরাও ক্রমাগত আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে রুগ্ন। পরিচালক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় তাঁর ঢাকার গল্পে এনেছেন এই নিগৃহীত বিহারীদের সংগ্রাম।

ছবির চিত্রধারণ কড়া হয়েছে ঢাকার বিহারি পল্লীতে। লুতফর রহমান জর্জ, ইলোরা গওহর, মোস্তফা মনোয়ার, অশোক বেপারী মূল চার চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে লুতফর রহমান জর্জ এবং মোস্তফা মনোয়ার চরিত্রের অন্তর্নিহিত বেদনা এবং ক্রোধকে তুলে ধরেছেন সফলতার সঙ্গেই। উর্দুর সাবলীল উপস্থাপন, বিহারি পল্লীর মানবেতর জীবনযাপন ও পরিচয়হীনতার নিদারুণ অসহায়ত্বের দৃশ্যায়নে পরিমিতি দেখিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। এ কারণেই এগারো ছবির মধ্যে স্বতন্ত্র এটি।

যূথী

প্রজন্মের দুই গুণী অভিনেতা–অভিনেত্রি রওনক হাসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশাকে নিয়ে সৈয়দ সালাহ আহমেদ সোবহান নির্মাণ করেছেন 'যূথী'। সভ্যতার উৎকর্ষের সাথে মানবিক সম্পর্কের অবনতির বাস্তব উদাহরণ ছিল এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি। অধিকাংশ দর্শকের কাছে এটি গৎবাঁধা রুমডেটের গল্প মনে হলেও গভীরে গেলেই এর মর্মার্থ প্রকট হয়।

swLTMpp.jpg


সম্পর্কের ভগ্ন দশা ও আত্মপ্রত্যয়ের গল্প 'যূথী'; Photo: Asian Movie Pulse

আড়াই বছরের বিবাহিত জীবনে পূর্ণ সংসারের স্বাদ পাওয়া হয়নি যূথীর (তিশা)। বরং মাস অন্তরে সস্তা হোটেলে রুমডেট করতে হয় প্রেমাস্পদের সাথে। দীর্ঘ সময় প্রতীক্ষার পর সে টের পায় প্রেমিক (রওনক হাসান) আদতে কোন স্থায়ী সম্পর্কে নয়, দৈহিক সম্পর্কেই বেশি আগ্রহী। অবশেষে আত্মসম্মান বজায় রেখেই সম্পর্কে ইতি টানে যূথী, আরম্ভ হয় নতুন লড়াইয়ের।

কুশীলবদের কথা

স্পর্শিয়ার মতে, 'এখানে যেই গল্পগুলো বলা হয়েছে সেগুলো কিন্তু আমরা আমাদের চলচ্চিত্র বা নাটকে দেখতে পাই না। সে হিসেবে দর্শক অনেক কিছু জানতে পারবে।' শাহনাজ সুমি বলেন, 'এগারোজন পরিচালক এগারোটি ভিন্ন গল্প বললেও তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকাকে দেখানো। সেটাই পরিশেষে আমরা পেয়েছি।' রওনক হাসান শুধু ছবি নয়, এগারো পরিচালককে নিয়েও আশাবাদী, ' এই এগারোজন যদি সুযোগ পায় এবং নিয়মিত কাজ চালিয়ে যায় তাহলে আমাদের চলচ্চিত্র অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আর এ ধরণের ছবিও ঘন ঘন নির্মিত হবে।'
 

Users who are viewing this thread

Back
Top