নষ্টসংস্কৃতি
তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত বিশ্বাসের আলোকে শারঈ নির্দেশনায় গড়ে ওঠা মানুষের সুষ্ঠু ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনাচারকেই প্রকৃত অর্থে 'সংস্কৃতি' বলা হয়। এর বাইরে সবকিছুই অপসংস্কৃতিও কুসংস্কার। যার পরিমাণ কোন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ, কোন ক্ষেত্রে ৮০ বা কমবেশী। এই অপসংস্কৃতি সামাজিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, ধর্মীয় ক্ষেত্রে এমনকি বলা চলে যে, জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই কমবেশী দানা বেঁধে আছে। যার অনেকগুলি আমদানিকৃত, অনেকগুলি চাপানো এবং বাকীটা আমাদের আবিষ্কৃত। অথচ এগুলির কোনটাই সত্যিকারের সংস্কৃতি নয় বরং জাহেলিয়াত ও নষ্টামি। এগুলির সংখ্যা গণনা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু নমুনা দেওয়া যেতে পারে। যেমন-
(১) ধর্মীয় সংস্কৃতি :
কোন শুভ কাজের শুরুতে মীলাদ। কেউ মারা গেলে মীলাদ, কুলখানি, চেহলাম। তাছাড়া বার্ষিক ভাগ্যরজনী হিসাবে শবেবরাত পালন, সুন্নাতে খাৎনা অনুষ্ঠান, রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম দিবস ও ওফাত দিবসে মীলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান, রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর আগের বুধবারে কিছুটা সুস্থতা লাভের তারিখে আখেরী চাহারশাম্বা পালন, বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানীর ওফাত দিবস ১১ রবীউছ ছানীতে ফাতেহায়ে ইয়াযদহম বা ১১ শরীফ পালন এবং এই সাথে বিভিন্ন পীর ও ধর্মীয় নেতার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী বা ওরস পালন ইত্যাদি। ধর্মের নামে এগুলি চালু হ'লেও এগুলির পিছনে ধর্মের কোন সমর্থন নেই। যদিও অনেকে ভাবেন যে, এসব হ'ল ইসলামী সংস্কৃতির অংশ। একইভাবে রয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠানাদি, যা তাদের সংস্কৃতির অংশ বলে অভিহিত হয়।
(২)অর্থনৈতিক সংস্কৃতি :
নবান্ন উৎসব, পলান্ন উৎসব, বৃষ্টি আনার জন্য ব্যাঙের বিবাহ দান, কাদা মাখা অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
(৩) রাজনৈতিক সংস্কৃতি :
বিভিন্ন দিবস পালন, ছবি, মূর্তি, প্রতিকৃতি, কবর, মিনার, বেদী, সৌধনির্মাণ ও সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন, অফিসে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছবি টাঙানো, সঙ্গীত গেয়ে ক্লাসে প্রবেশ করা ইত্যাদি।
(৪) আমদানীকৃত সংস্কৃতি :
যেমন আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে, রাত্রি ১২-০১ মিনিটে দিনের সূচনা, নারীর ক্ষমতায়ন নীতি, নারী-পুরুষের লিঙ্গ বৈষম্য বিলোপ নীতি, আধুনিকতার নামে নানাবিধ ফ্যাশন ও নগ্ন সংস্কৃতির নীল দংশন এবং আকাশ সংস্কৃতির অবাধ ও হিংস্র আগ্রাসন।
তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত বিশ্বাসের আলোকে শারঈ নির্দেশনায় গড়ে ওঠা মানুষের সুষ্ঠু ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনাচারকেই প্রকৃত অর্থে 'সংস্কৃতি' বলা হয়। এর বাইরে সবকিছুই অপসংস্কৃতিও কুসংস্কার। যার পরিমাণ কোন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ, কোন ক্ষেত্রে ৮০ বা কমবেশী। এই অপসংস্কৃতি সামাজিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, ধর্মীয় ক্ষেত্রে এমনকি বলা চলে যে, জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই কমবেশী দানা বেঁধে আছে। যার অনেকগুলি আমদানিকৃত, অনেকগুলি চাপানো এবং বাকীটা আমাদের আবিষ্কৃত। অথচ এগুলির কোনটাই সত্যিকারের সংস্কৃতি নয় বরং জাহেলিয়াত ও নষ্টামি। এগুলির সংখ্যা গণনা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু নমুনা দেওয়া যেতে পারে। যেমন-
(১) ধর্মীয় সংস্কৃতি :
কোন শুভ কাজের শুরুতে মীলাদ। কেউ মারা গেলে মীলাদ, কুলখানি, চেহলাম। তাছাড়া বার্ষিক ভাগ্যরজনী হিসাবে শবেবরাত পালন, সুন্নাতে খাৎনা অনুষ্ঠান, রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম দিবস ও ওফাত দিবসে মীলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান, রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর আগের বুধবারে কিছুটা সুস্থতা লাভের তারিখে আখেরী চাহারশাম্বা পালন, বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানীর ওফাত দিবস ১১ রবীউছ ছানীতে ফাতেহায়ে ইয়াযদহম বা ১১ শরীফ পালন এবং এই সাথে বিভিন্ন পীর ও ধর্মীয় নেতার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী বা ওরস পালন ইত্যাদি। ধর্মের নামে এগুলি চালু হ'লেও এগুলির পিছনে ধর্মের কোন সমর্থন নেই। যদিও অনেকে ভাবেন যে, এসব হ'ল ইসলামী সংস্কৃতির অংশ। একইভাবে রয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠানাদি, যা তাদের সংস্কৃতির অংশ বলে অভিহিত হয়।
(২)অর্থনৈতিক সংস্কৃতি :
নবান্ন উৎসব, পলান্ন উৎসব, বৃষ্টি আনার জন্য ব্যাঙের বিবাহ দান, কাদা মাখা অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
(৩) রাজনৈতিক সংস্কৃতি :
বিভিন্ন দিবস পালন, ছবি, মূর্তি, প্রতিকৃতি, কবর, মিনার, বেদী, সৌধনির্মাণ ও সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন, অফিসে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছবি টাঙানো, সঙ্গীত গেয়ে ক্লাসে প্রবেশ করা ইত্যাদি।
(৪) আমদানীকৃত সংস্কৃতি :
যেমন আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে, রাত্রি ১২-০১ মিনিটে দিনের সূচনা, নারীর ক্ষমতায়ন নীতি, নারী-পুরুষের লিঙ্গ বৈষম্য বিলোপ নীতি, আধুনিকতার নামে নানাবিধ ফ্যাশন ও নগ্ন সংস্কৃতির নীল দংশন এবং আকাশ সংস্কৃতির অবাধ ও হিংস্র আগ্রাসন।