What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আমার বোন লিজা-2 (1 Viewer)

shapon2018

Banned
Joined
Mar 4, 2018
Threads
26
Messages
30
Credits
13,536
সেদিন আমার ছোট বোন লিজার প্রতি আলাদা এক প্রকার মমতাই জেগে উঠেছিলো। সত্যিই তো, মেয়েদের এমন বাড়ন্ত দেহের সময়টুকুতে, তাদের খুবই প্রয়োজনীয় কটন, ন্যাপকিন এসব কারা কিনে দেয়? মায়েরা? বড় বোনেরা? কিংবা বান্ধবীরা?

লিজা সেদিন স্কুলে গেলো না। আমি স্কুল ফেরার পথে ম্যাডিসনের দোকানেই গেলাম। এক প্যাকেট ন্যাপকিন কিনেই বাড়ী ফিরে এসেছিলাম। আমি লিজার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলাম, তোমার জন্যে খুব প্রয়োজন।
লিজা প্যাকেটটা হাতে নিয়ে খিল খিল করে হেসে বললো, এসব কি? আমার কাছে এসব খুব ভারী লাগে। আমি ট্যাম্পন ইউজ করি।
আমি অবাক হয়েই বললাম, ট্যাম্পন? এগুলো কি তা না?
লিজা আবারো হাসলো। বললো, না। আমি ছোট আপুর ড্রয়ার থেকে চুরি করে পরি। এখন আমি নুতন একটা ট্যাম্পন বদলাবো। তুমি যদি দেখতে চাও, তাহলে দেখতেও পারো।
এই বলে লিজা বাথরুমের দিকেই এগিয়ে গেলো।
লিজা প্যান্টিটা নামিয়ে টয়লেটের কমোডেই বসলো। পাতলা কেশের যোনীটার ভেতর থেকে সূতোর মতোই একটা জিনিষ ঝুলতে দেখলাম। অদ্ভূত চমৎকারই লাগছিলো। আমি কৌতূহলী হয়েই তা দেখছিলাম।

লিজা আমার দিকে তাঁকিয়ে মুচকি হেসেই সূতোটা টানতে থাকলো। সেটা টেনে বেড় করে আনতেই দেখলাম, ঠিক নুনুর মতোই সিলিণ্ডার আকৃতির একটা জিনিষ বেড়িয়ে এলো তার যোনী থেকে।
লিজা তেমনি নুতন একটা সিলিণ্ডার আবারো তার যোনীতে ঢুকাতে উদ্যোগ করলো। আমার নুনুটার চাইতেও ঈষৎ বড়। আমি কঁকিয়ে উঠে বললাম, একি লিজা? এমন একটা জিনিষ তোমার ওখানে ঢুকাতে ব্যাথা পাবে না?


লিজা তার মিষ্টি দাঁত গুলো বেড় করে খিল খিল করেই হাসলো। বললো, এটা ঢুকার মতো পর্যাপ্ত জায়গা আমার এখানে আছে। তুমি ধেখো, কি সুন্দর এইটা আমার এখানে ঢুকে চুপ চাপ থেকে রক্তগুলো চুষে নিতে থাকে।

লিজা প্লাস্টিক এর মতো একটা সিলিণ্ডার তার যোনীতে ঢুকিয়ে, সেটাতে কি জানি কি টিপলো। প্লাস্টিক এর সিলিণ্ডারটা ঠিকই আবার যোনীটার ভেতর থেকে বেড় করে আনলো। তারপর, ফেলে দিলো ময়লা রাখার বালতিটাতে।

আমি অবাক হয়েই দেখলাম, একটা সূতোই শুধু বেড়িয়ে আছে তার যোনীটার ভেতর থেকে। লিজা কমোডটার উপর থেকে উঠে দাঁড়ালো। মুচকি হেসে প্যান্টিটা আবারো টেনে টেনে কোমরে উঠাতে থাকলো।

আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না লিজার যোনীটার দিক থেকে। খুবই পাতলা পাতলা কিছু কেশে আবৃত। তার নীচে একটা কাটা দাগ। তার ভেতর আমার নুনুটার চাইতেও বড় একটা ট্যাম্পন কি করে জায়গা করে নিলো, আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।

লিজা প্যান্টিটা পুরুপুরিই পরে নিলো। তারপর, খিল খিল হাসিতেই বললো, তোমাকে ট্যাম্পন দেখাতে গিয়ে কিন্তু, অন্য কিছুও দেখাতে হলো। স্যরি!
আমি বললাম, না, আমারও নুতন একটা অভিজ্ঞতা হলো। সত্যিই তোমার ওই জায়গাটাও খুব সুন্দর!


ছুটির দিন।
সেদিন উঠানে আমি কাদা মাটি নিয়েই খেংছিলাম। লিজা হঠাৎই উঠানে এসে দঁড়িয়েছিলো। বললো, কি করছো?
আমি লিজার দিকেই এক পলক তাঁকালাম। বললাম, একটা মাটির পুতুল বানাচ্ছি।লিজা বললো, তা দেখতেই পাচ্ছি। অতঃপর কিছুক্ষণ চুপচাপই থাকলো। তারপর আবারো বললো, জিজ্ঞাসা করছি, কি করছো?আমি আবারো লিজার দিকে তাঁকালাম। বললাম, পুতুলটার হাত দুটি ঠিক বানাতে পরাছি না। তাই মাটির ভেতর কাঠি ঢুকিয়ে জোড়া লাগাতে চাইছি।
লিজা মিষ্টি করেই হাসলো তার চক চক করা সাদা দাঁতগুলো বেড় করে। বললো, আমি কিন্তু বোর হচ্ছি।আমি কাদা মাটির মূর্তিটা বানানোতে মন দিয়েই বললাম, ছুটির দিন, মাত্র সাড়ে দশটা বাজে। বোর হবার কি কারন? আমি বাজী রেখে বলতে পারি, বন্যাদের বাড়ী গেলে তোমার খুব চমৎকার সময় কাটবে।
লিজা মন খারাপ করলো। বললো, বন্যা কি আমাদের মতোন? ওর বাবা কি আমাদের বাবার মতো দেশের বাইরে থাকে? ওর মা কি আমাদের মায়ের মতো পঙ্গু?


লিজার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। কাদা মাটির মূর্তিটা বানানো থেকে বিরতই থাকলাম। তার দিকে কিছুক্ষণ হা করেই তাঁকিয়ে থাকলাম। লিজা বললো, বন্য নিশ্চয়ই এতক্ষণে তার মা বাবার সাথে শপিং এ গেছে। হয়তো বাবা মায়ের হাত ধরে ধরে খুব আনন্দ নিয়েই এটা সেটা দেখছে। আমাকে এমন হাত ধরে নিয়ে শপিং এ যাবার মতো কে আছে?
লিজার কথায় আমার মনটা হঠাৎই কেমন যেনো উদাস হয়ে উঠলো। মনে হলো, লিজা কেমন যেনো এক প্রকার নিসংগতাতেই ভুগছে। কাদা মাটি নিয়ে আমার আর খেলতে ভালো লাগলো না। আমি কল তলায় গিয়ে হাতগুলো ধুতে ধুতে বললাম, আমি যদি তোমাকে হাত ধরে খেলার মাঠে নিয়ে যাই, তাহলে যাবে?

লিজা তার জিভটা বাঁকিয়ে দাঁতে চেপে ধরে। তারপর, আবারো ফিরিয়ে আনে। নাকটাও তখন কেমন যেমন ঘামতে থাকে। লিজার এই ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দ, আরো বেশী মায়া লাগে তখন। যখন সে খুব অনিশ্চিত থাকে তখনই এমনটি করে। আমি বললাম, আমি কিন্তু সিরিয়াস। খুব সুন্দর একটা দিন। আমরা বাড়ী থেকে বেড় হয়ে ছুটতে ছুটতে অনেক দূরে চলে যাবো। সারা বেলা খেলবো, আনন্দ করবো, তুমি খুশী তো? অবশ্য, ছোট বোন হিসেবে আমার সাথে কোথাও যেতে যদি খুব লজ্জা লাগে, তাহলে অন্য কথা।
লিজা বললো, মোটেও না। আমি আর কোন ছোট্ট মেয়ে না। আর তুমিও কোন ছোট্ট খোকা নও। তোমার হাত ধরে যদি পুরু পৃথিবীটাও ঘুরে আসি, আমার তখন খুব গর্বই হবে। বলতে পারবো আমি একা না। আমার মা বাবার আদর আমি না পেলেও, আমার ভাইয়ার হাত ধরে আমি ঘুরতে পারছি। সত্যি আমাকে নিয়ে বেড়াতে যাবে?


লিজার মনটা সত্যিই খুব আনন্দে ভরে উঠে। তার পরনে ঘরোয়া পোশাক। আহলাদ করেই বলতে থাকে, ভাইয়া, তাহলে একটু দাঁড়াও। আমি ড্রেসটা চেইঞ্জ করে এক্ষুণি আসছি।
লিজা ড্রেস চেইঞ্জ করে ফিরে আসে কয়েক মিনিটের মাঝেই। কালো রং এর একটা কামিজ। তার উপর জিনস এর একটা জ্যাকেট জড়িয়ে নেয়। আমার হাতটা চেপে ধরে খিল খিল হাসিতেই বলতে থাকে, ভাইয়া, কেমন লাগছে আমাকে?
আমি লিজার দিকে খুব সাধারন চোখেই তাঁকাই। খুব সুন্দর হাসি লিজার। মাঝখানের বড় দুটি দাঁতের দু পাশে ছোট দুটি দাঁত ঈষৎ লুকানো। যার কারনে তার দঁতগুলো আরো বেশী সুন্দর লাগে। আমি লিজার হাতটা চেপে ধরে এগুতে এগুতেই বলি, খুব সুন্দর!
খেলার মাঠে না গিয়ে, লিজাকে নিয়ে সেন্ট্রাল পার্কের দিকেই এগুতে থাকি। অনেক কপোত কপোতীর আনাগুনা সেখানে। লিজা আহলাদ করেই বলে, ভাইয়া, এখানে কেনো?আমি নিজেও বুঝতে পারি না, লিজার হাত ধরে আমি এখানে এলাম কেনো। আমি অপ্রস্তুত হয়েই বলতে থাকি, তাইতো? এদিকে এলাম কেনো? তুমিও তো কিছু বলছিলে না।
লিজা খিল খিল করেই হাসতে থাকে। বলতে থাকে, আমার দোষ কি? আমি তো বলেছিই, তোমার হাত ধরে যদি পুরু পৃথিবীটাও ঘুরে আসি, আমার তখন খুব গর্বই হবে। তুমি আমাকে এদিকেই নিয়ে আসছিলে, তাই আমিও আসছিলাম।আমি বলি, ঠিক আছে, চলো, খেলার মাঠের দিকেই যাই।লিজা সবুজ ঘাসের উপর বসে খিল খিল হাসিতেই বলে, এত দূর হেঁটে এসে খুব টায়ার্ড হয়ে গেছি। আগে একটু জিড়িয়ে নিই।আমিও তখন খুব টায়ার্ডই থাকি। লিজার কাছ থেকে খানিকটা দূরে আমি পা ছড়িয়ে বসি। অন্যত্র তাঁকিয়ে থেকে ভাবতে থাকি, আমিও একা নই। লিজার মতো চমৎকার একটা বোন আমার আছে।



সেদিনও লিজাকে নিয়ে উদ্দেশ্য বিহীন ভাবেই বেড়িয়ে পরেছিলাম। পাহাড়ী পাদদেশ ধরে দুর্গম পথে। সরু নদীটার পাশে সমতল জায়গাটায় এসে, আমি দু হাতের বৃদ্ধাঙুল প্যান্টের দু পকেটে ঢুকিয়ে বললাম, লিজা দেখো, খুব সুন্দর নদী!
লিজা তার হাতটা আমার ডান বাহুর ভেতর গলিয়ে, নিজ হাতটা কোমরে ঠেকিয়ে চারিদিক তাঁকাতে থাকলো। আনন্দে আত্হহারা হয়েই বলতে থাকলো, বাহ, খুব সুন্দর জায়গা! এই বলে, আমার বাহুর ভেতর তার হাতটা গলিয়ে রেখেই ক্লান্তিতে বসার উদ্যোগ করছিলো।
আমার দেহটা যেনো লিজার দেহের সাথে একাকার হয়েই ছিলো। আমিও লিজার বাহুর টানে সবুজ ঘাসের উপর তার পাশাপাশি বসে পরলাম। লিজার বাহুটা আমার আমার বাহুর সাথেই ঠেসেছিলো। সরু ছোট নদীটার দিকে তাঁকিয়ে থেকে হঠাৎই কঁকানো গলায় বললো, না!
আমি লিজার মুখের দিকেই তাঁকালাম, বললাম, কি ব্যাপার লিজা?লিজাও তার মুখটা আমার দিকে ঘুরাতে চাইলো। ঠিক তখন তার নরোম গালটা আমার গালে স্পর্শ করেছিলো। আমি নিজেও বুঝতে পারিনি, জীবনে প্রথম দেহে ভিন্ন এক উষ্ণ রক্ত ধারা বইয়ে চলছিলো। লিজা বললো, না ভাইয়া, কিছু না। মাঝে মাঝে আমার এমন হয়। মনে হয় আমি খুব একা। আমি যদি ঠিক তোমার মতো একটা ছেলে হয়ে জন্ম নিতাম, তাহলে বোধ হয় বাবা খুব খুশী হতো। আমাকে আর একা থাকতে হতো না।
আমি লিজার অপরা বাহুতে হাত বুলিয়ে বললাম, না লিজা, তুমি যদি ছেলে হয়ে জন্মাতে, তাহলে এমন একটা মিষ্টি বোন আমি কোথায় পেতাম?


এক মাত্র ছেলে হিসেবে, বাবা কখনোই আমাকে অবহেলা করেনি। বরং তার বন্ধু বান্ধবদের সাথে খুব গর্ব করেই বলে, আমার দু মেয়ের পর এক ছেলে। এই ছেলেই আমার বংশের আলো। সব কিছু তো ওর জন্যেই। মাও তখন গর্বিত হাসিই হাসে।
আমি মাঝে মাঝে উল্টু হয়েও ভাবতে থাকি। আমিও যদি ছেলে না হয়ে মেয়ে জন্মাতাম, তাহলেও কি বাবা লিজার মতোই আমাকে অবহেলা করতো? মা যেমনটি করে লিজাকে ঘরোয়া সব কাজের নির্দেশগুলো দেয়, তেমনটি আমাকেও দিতো?
সে রাতে আমার ঘুম আসতে চাইলো না। কেনো যেনো পার্থিব কিছু কঠিন বাস্তবতা নিয়েই সারা রাত ভাবতে থাকলাম। বাবা মায়েরা কেনো যেনো কন্যা সন্তানদের এক ধরনের অভিশাপ বলেই মনে করে।


তখন ক্লাশ এইটে উঠেছি মাত্র। কেনো যেনো হঠাৎই পড়ালেখায় খুব মনযোগী হয়ে উঠেছিলাম। বোধ হয় বন্যার কারনেই। আমাদের বাড়ী থেকে তিনটি বাড়ী পরই খুলা জায়গাটা পেরিয়ে খানিক ভেতরে একটা বাড়ী। স্কুলে আমার এক ক্লাশ জুনিয়র। ধরতে গেলে লিজার খুব ঘনিষ্ট বান্ধবী। খানিক আধুনিকা। ছেলে বুড়ু অনেকেরই মধ্যমণিও বলা চলে। আমিও যে বন্যার প্রেমে পরে আছি, তা সেবারই প্রথম অনুভব করছিলাম। বন্যার সামনে নিজ প্রতিষ্ঠা তুলে ধরার জন্যেই দিন রাত পড়ালেখাতেই ব্যস্ত থাকতাম খুব।
তেমনি একটা সময়ে ছুটির দিনে ঘরে বসে অংক গুলো মেলানোর চেষ্টা করছিলাম। লিজা সকালের নাস্তা রেডী করে ঘর গোছালীর কাছেই ব্যাস্ত ছিলো। দরজার দিক থেকে হঠাৎই লিজার গলা শুনে ফিরে তাঁকিয়েছিলাম। লিজাকে সেদিন নুতন করেই আবিস্কার করেছিলাম সেদিন।
লিজার পরনে ঘরোয়া সাধারন পাতলা কাপরের নীল রং এর সেমিজ আর প্রিন্টের লং স্কার্ট পায়ের গীড়া পর্য্যন্তই লম্বা। যে বুকে এই কিছুদিন আগেও বুটের দানার মতো কি জানি উঁচু হয়ে উঠেছিলো, সেগুলোকে কেমন যেনো ছোট ছোট সুপুরীর আকার এর মতোই মনে হলো।
স্যরি, আমি কোন তথা কথিত স্টুপিড কোন বড় ভাই নই যে, ছোট বোন এর বাড়ন্ত দেহ দেখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে থাকবো। পাশাপাশি আমি হঠাৎই অনুভব করলাম, আমার ট্রাউজার এর তলায় ছোট্ট নুনুটা কেমন যেনো উষ্ণ কঠিন হয়ে উঠছিলো। আমি পাত্তা দিলাম না।
আমি লিজার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে, অংক করাতেই মন বসালাম। বললাম, কিছু বলবে লিজা?
লিজা বললো, আজকে কি কোথাও যাবো না?


আমি জানি, আমার মাত্র এক বছরের ছোট এই বোনটি সব সময় খুব নিসংগতাতেই ভুগে। আমি অংক করাতেই মন বসাতে চাইলাম। বললাম, আর মাত্র দুটু অংক। তারপরই তোমাকে নিয়ে বেড়াতে যাবো বাইরে।
লিজা দরজাতেই ঠাই দাঁড়িয়েছিলো। খানিকটা অসহায় গলাতেই বলতে থাকলো, আমি যদি ছেলে হয়ে জন্ম নিতাম, তাহলে সত্যিই খুব ভালো হতো। বাবার আদরও পেতাম। যখন খুশী এখানে সেখানে বাইরেও যেতে পারতাম। কাউকে কখনো অনুরোধও করতে হতো না।
আমার আর অংকে মন বসলো না। আমি লিজার দিকেই ঘুরে বসলাম। আবারো তার বুকটা চোখে পরলো। ঈষৎ চৌকু। মনে হয় দুটি সুপুরীই বুঝি সেমিজটার তলায় চেপে আছে। আমি বললাম, ঠিক আছে, রেডী হয়ে নাও। তোমাকে নিয়ে শপিং কম্প্লেক্সেই যাবো। কিছু হয়তো কিনে দিতে পারবো না, তবে শপের নানান জিনিষ দেখে দেখে উইণ্ডো শপিংটাই করে নেবো।
লিজা বললো, আমি তো রেডীই। দূরে কোথাও যাবো না। মায়ের শরীরটা খুব ভালো না। একটু পর পরই ডাকছে পা টিপে দিতে। চলো, উঠানেই খানিকটা সময় ছুটাছুটি করে কাটাই।
আমি কলমটা বন্ধ করে, চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, বেশ! চলো তাহলে।

লিজার আনন্দটা তখন কেমন হয়ে উঠে, ভাষায় বুঝি প্রকাশ করার মতো না। খিল খিল হাসির মিষ্টি দাঁত এর অধিকাংশই বুঝি তখন চোখে পরে। তখন মনে হয়, এমন মিষ্টি হাসি বুঝি এই পৃথিবীতে কারো ঠোটেই থাকতে পারে না। এত সুন্দর ঠোট বুঝি কোন মেয়েরই নেই। আর এমন চমৎকার দঁত বুঝি হাতে গুনা কয়টি মেয়েরই থাকে। আমি দরজাটার দিকে লিজার দিকেই এগুতে থাকি।


আমার ছোট বোন লিজা, জীবনে বুঝি খুব বেশী চাহিদা তার নেই। আমার খানিকটা সংগ পেলেই বুঝি খুব খুশী। উঠানে আমার গা ঘেষে ঘেষেই হাঁটছিলো। তার হাতটা আমার হাতের সাথে ক্রশ করে ঢুকিয়ে, পুরু একটি সপ্তাহে স্কুলে কার সাথে কি ঘটেছিলো, সেসবই শুধু আগ্রহ করে বলছিলো। মাঝে মাঝে মুখটা ঘুরিয়ে আমার দিকে তাঁকিয়ে তাঁকিয়েও সেসব বলে চলছিলো, ভাইয়া, তুমি বুঝাতে পারবো না, জুলির বড় ভাই কি পাষণ্ড! জুলি অংক বুঝেনা বলে, তাকে কঠিন ভাবে মারে। জুলি আমাকে বলেছে, জীবনে সে আর অংকই করবে না।
তখন, লিজা আর আমি সত্যিই লম্বায় সমান সমান। যখন লিজা মুখ ঘুরিয়ে, আমার দিকে তাঁকিয়ে তাঁকিয়ে কথা বলছিলো, তখন আমার মুখটাও ঠিক লিজার মুখটার খুব কাছাকাছি থাকে। লিজার ঠোটগুলো সত্যিই খুব সুন্দর। সরু, গোলাপী। লিজার মুখটা যকন আমার কাছাকাছি হয়, তখন সেই ঠোটের ফাঁকে মিষ্টি একটা গন্ধই তখন আমার নাকে ভেসে আসে। আমি বললাম, বড় ভাই বোনরা বুঝি এমনই। লিজা একবার অন্যত্র তাঁকালো। তার পর আমার দিকে তীক্ষ্ম চোখে তাঁকিয়ে বললো, আমরা কেনো তেমন নই?
আমার ভাবনাগুলোও তখন একই দিকে ছুটছিলো। আমি বললাম, তুমি কি বলতে চাইছো, কেনো আমরা ঝগড়া ঝাটি করি না?লিজা মাথা নীচু করে মাথা দুলিয়ে মুচকি হাসলো। আমি বললাম, আমি জানিনা। তোমার সাথে আমার কখনো ঝগড়া হয়না, এতেই কিন্তু আমি খুব খুশী। যা অন্য কোন ভাই বোনদের মাঝে কখনোই চোখে পরে না।
লিজা তার বুকটা আমার বাহুতে চেপে ধরে বললো, আমিও। আমি বলতে থাকলাম, বোধ হয়। কতজন এমন বোন আছে, যারা তাদের মিনস নিয়ে ভাইদের সাথে আলাপ করতে পারে? আমার মনে হয় আমরা খুব সুখী। তোমার কি মনে হয়? এসব কি ভাই বোনদের কাছে অস্বাভাবিক কিছু?লিজা মুচকি হাসলো। মাথা দুলিয়ে বললো, বোধ হয় আমরা খুব ইমোশনাল।


লিজা তার চিবুকটা আমার কাধেই ঠেকালো। যা ছিলো খুবই আদুরে। লিজার এমন এক আচরন আমার খুবই পছন্দের। কিন্তু সে যা বলতে চাইছিলো, তা আমার কাছে পরিস্কার ছিলো না। লিজা বললো, আমাকে তুমি কেমন অনুভব করো?আমি এক মুহুর্ত ভাবলাম। লিজা কি বুঝাতে চাইছিলো, আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। আমি বললাম, তুমি কি বলতে চাইছো, জুলির ভাইটিটর মতো কেনো তোমাকে মার ধোর করি না। ঝগড়া করি না?লিজা বললো, ঠিক তা নয়।
লিজার গলায় কেমন যেনো এক প্রকার জড়তাই প্রকাশ পেলো। আমি লিজার দিকে তাঁকাতে চাইলাম। অথচ, লিজা আমার মাথায় হাত চেপে ধরে, মাথাটা অন্যত্র ঘুরিয়ে রেখে বললো, আমার দিকে তাঁকাবে না। তাই আমিও আর লিজার দিকে তাঁকালাম না। লিজা বললো, ভাইয়া, তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?আমি হঠাৎই কেমন আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠেছিলাম। বললাম, অবশ্যই। তুমি আমার ছোট বোন। তোমার কি কোন সন্দেহ আছে?লিজার গালটা আমার কানের কাছাকাছি ছিলো। আমি একটা মুচকি হাসিই অনুভব করলাম। এবং আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার গালে একটা চুমু দিয়ে মুখটা সরিয়ে নিলো সাথে সাথে। আমি লিজার মুখটা আবারো দেখার অপেক্ষা করছিলাম। আমার হাতটা তার ঘাড়ের উপর রেখে, বুকের দিকেই ঝুলিয়ে রাখলাম। বললাম, ঝগড়া করলেই বুঝি ভালো হতো?লিজা আমার হাতটা টেনে ধরে বাড়ীর ভেতরই ছুটে চললো। বললো, মোটেও না।


একটু আগেও যে বোনটিকে খুব আসুখী মনে হয়েছিলো, তাকে খুব সুখীই মনে হলো। লিজা আমাকে টেনে টেনে আমাদের এই দুই ভাই বোনের শোবার ঘরে এসে ঢুকে, বিছানাতেই মাথাটা চেপে আমার চোখে চোখে তাঁকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। আমিও লিজার মুখটার দিকে তাঁকিয়ে থাকলাম। খুবই মিষ্টি চেহারা লিজার। আমি নিশ্চিত, লিজাকে আমি ভালোবাসি। লিজা শুধু আমার ছোট বোনই নয়, আমার একজন ভালো বন্ধুও বটে। আমি বললাম, কি হয়েছে লিজা? এমন করে কি দেখছো?লিজা বললো, কিছু না।

লিজার চোখে চোখে তাঁকাতে গিয়ে কেমন যেনো এক উষ্ণ অনুভূতিই জাগ্রত হচ্ছিলো আমার মনে। ঠিক যেমনি উষ্ণতা অনুভব করি বন্যা নাম এর একটি মেয়েকে চোখে পরার সাথে সাথে। আমি বললাম, তোমার কি এখনো সন্দেহ আমি তোমাকে ভালোবাসি না?লিজা বললো, না ভাইয়া, আমি তা বুঝাতে চাইছি না। তোমার কি মনে নেই, বাবা কেমন সহজভাবেই বলতো, আমিও নাকি তার ছেলে। যৌতুক দেবার ভয়ে আমাকে নাকি কখনো বিয়েই দেবে না। আমাকে সারা জীবন এই বাড়ীতেই রেখে দেবে। আমি কিন্তু মেয়ে।আমি তখন আরো বেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে পরি।


দুঃখিত, আমাকে তথাকথিত সাধারন কোন স্টুপিড ভাববেন না, যারা নিজ ছোট বোনের প্রেমেও পরে যায়। আমার ছোট বোন লিজা সত্যই খুব অসাধারন। বাবা মায়ের অবহেলার কারনেই কিনা জানিনা, ঘর গোছালীর কাজে খুবই পটু হয়ে উঠেছিলো।
বাবা দেশে থাকেনা। মা বাত রোগে ভুগে ভুগে নিজ শোবার ঘর থেকে খুব একটা বেড় হয় না। বড় বোন লতা বিয়ের পর অন্য বাড়ীতে। মেঝো বোন লুবনা ডাক্তারী পড়া নিয়ে রাতের খাবারটার পর দুতলা থেকে আর নামে না। নীচ তলার বসার ঘরটা তখন যেনো শুধু আমার আর লিজার।
টি, ভি, দেখছিলাম। লিজা মাকে ঘুম পারিয়ে এসে, সোফার পাশে মেঝেতে ঠিক আমার পা ঘেষে আমার উড়ু দুটি জড়িয়ে ধরেই বসলো। মিষ্টি হাসিটা ঠোটে রেখেই বললো, একটা কঠিন দিন শেষ হলো। মজার নাটক চলছে বুঝি? শুরুটা কিন্তু পরে বলতে হবে।


লিজার কামিজটার গলেই আমার চোখ পরে। সুপুরীর মতো ছোট ছোট হয়ে উঠা ঈষৎ চৌকু স্তন দুটি খুবই নজর কাঁড়ে। আমি লিজাকে টেনে সোফাতেই বসিয়ে দিই। লিজা আমার বুকে মাথা রেখে টি, ভি, দেখতে থাকে।

কেনো যেনো টি, ভি, তে আর মন বসে না আমার। আমার হাতটা এগিয়ে যায় লিজার বুকে। লিজার ডান স্তনটা টিপে ধরে বলি, তুমি তো বলতে, তোমার বুকে টিউমার হয়েছে! টিউমারগুলো দেখছি ফুলে ফেপে অনেক বড় হয়ে গেছে!লিজা খিল খিল করেই হাসতে থাকে। হাসতে হাসতেই বলতে থাকে, তোমারও কি ধারনা, আমি বাবার আরো একটি ছেলে?আমি লিজার বাম স্তনটাও টিপে টিপে বলি, কক্ষনো না! ছেলেদের বুকে এমন টিউমার হয় না। বেড়েও উঠে না।
লিজা খিল খিল করেই হাসতে থাকে। আহলাদ করেই বলতে থাকে, বাবা কি সত্যিই আমাকে বিয়ে দেবে না?
 

Users who are viewing this thread

Back
Top