What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

নাজকা লাইন : পেরুর মরুভূমির বুকে অঙ্কিত হাজার বছরের রহস্যে ঘেরা রেখাচিত্র! (1 Viewer)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,427
Credits
283,450
Recipe pizza
Loudspeaker
সময় ১৯৩০ সাল। সবেমাত্র পেরুর নাজকা মরুভূমির উপর দিয়ে বিমানের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। হঠাৎ যাত্রীদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে গেলো। এর কারণ উঁচু পাহাড়ের পাদদেশ হতে তারা দেখতে পায় আশ্চর্যজনক নিদর্শন। মরুভূমির ভূপৃষ্ঠে বিশালাকৃতির রেখা অঙ্কিত কিছুর দেখা পেয়েছিলো তারা। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ভূ-রেখাচিত্র বা জিওগ্লিফ। দৃশ্যটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর দক্ষিণে নাজকা মরুভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়। আয়তনে প্রায় ৫০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এমন রেখা দেখতে পাওয়া যায়, সংখ্যায় প্রায় হাজারোধিক। আশ্চর্যজনক এই রেখাগুলোকে চিহ্নিত করা হয় "নাজকা রেখা" বা নাজকা লাইন নামে। বিষয়টি এরপরেই মিডিয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে পৌঁছে যায়।

উন্মুক্ত ভূমির উপর অঙ্কিত চিত্রকর্মকে বলা হয় জিওগ্লিফ আর এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, জিওগ্লিফ কখনো সমতলে থেকে বুঝা যায় না বরং এই চিত্রকর্ম দেখতে চাইলে পাশাপাশি কোন উঁচু স্থান হতে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে। আয়তনের তারতম্যে হতে পারে কয়েকশো ফুট উপর হতে এটা দেখতে হতে পারে।

NPMBAH_001.jpg


নাজকা লাইন - Source: Ancient Summit

পেরুর রাজধানী লিমা হতে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে নাজকা মরুভূমিতে অবস্থিত এই নাজকা লাইনগুলো। এই মরুভূমির প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার স্থান জুড়ে আঁকা হয়েছে অসংখ্য জীবজন্তু, ফুল, গাছ, অদ্ভুত সৃষ্টির অবয়ব সহ বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা। তথ্যমতে আয়তনে এদের অনেক আছে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এবং সবচেয়ে দীর্ঘতম গ্লিফ যা ছিলো প্রায় ৯ মাইল দৈর্ঘ্যের। অনেক রেখা দেখা গেছে ভূপৃষ্ঠ হতে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত গভীরভাবে খোঁড়া। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৮০০ টি লম্ব রেখা, ৩০০ টি জ্যামিতিক আকৃতির রেখা এবং ৭০ টির মতো বায়ো-মর্পস যা বেশিরভাগই প্রাণী এবং উদ্ভিদাকৃতির।

লোকমুখে অসংখ্য মিথগল্প শোনা গেলেও মোটামুটি নির্ভরযোগ্য তথ্য হিসেবে ধরা যায়, এই লাইনগুলো ৪ শতক হতে ৬ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নাজকায় বসবাসরত মানুষ দ্বারা তৈরি। নাজকা মরুভূমি পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক স্থানের মধ্যে একটি যার মধ্য দিয়ে বয়ে যায় মৃদু বাতাস আর সারাবছর ধরে ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা বিরাজ করে যা কোন কিছু সংরক্ষণের জন্য খুবই উপযোগী।

পেরুর আর্কিওলজিস্ট তোরিবিও মেজিয়া জেসপে ১৯২৬ সালে এই নাজকা লাইন সম্পর্কে তাথ্যিক আলোচনা করেন। ১৯৪১ সালের জুনের ২২ তারিখ আমেরিকান প্রফেসর পল কোসক এই নিয়ে গবেষণা করেন। পরিশেষে তিনি ৩১০ বর্গ মাইলের এই চিত্রকর্মটিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এস্ট্রোনমি বই হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top