কোথাও গেলে একই ধাঁচের খাবার। মোরগ পোলাও, নয়তো কাচ্চি, আর নয় গরুর তেহারি। একই ধাঁচের খাবার প্রত্যেকদিন ভালো লাগার কথা না। খাবারে যদি একটু ভিন্নতা আনা যায় তবে মন্দ কি। অতি সাধারণ খাবার দিয়ে বাসায় বসে তৈরি করে ফেলুন ভিন্ন স্বাদের খাবার। রুই মাছ বা স্যামন মাছ দিয়ে বাসায় তৈরি করুন ফিস বিরিয়ানি।
ফিস বিরিয়ানি রান্না করতে যা উপকরণ লাগবে তা হলো রুই বা স্যামন মাছ এর ৪ টুকরা পেটি। বাসমতি বা চিনিগুঁড়ো চাল ১ কাপ। ঘি বা তেল ৪ টেবিল চামচ। পেয়াজ কুঁচি ১ কাপ। আদা রসুন বাটা ২ চা চামচ। টক দই ৪ টেবিল চামচ। জয়ফল ও জয়ত্রী গুঁড়া ২ চা চামচ। পোস্ত বাটা ১ চা চামচ। এলাচি ৪-৫ টি। দারুচিনি ২ স্টিক। দুধ হাফ কাপ। লেবু পাতলা করে কাটা কয়েক টুকরা। বেরেস্তা হাফ কাপ। খাবার রং অল্প, ইচ্ছা হলে দিতেও পারেন ইচ্ছা না হলে না। লবণ স্বাদ মত।
এই উপকরণগুলো একসঙ্গে নেওয়া হলে এবার জেনে নিন কিভাবে প্রস্তুত করবেন ফিস বিরিয়ানি বা মাছের বিরিয়ানি।
প্রথমে মাছের টুকরা গুলোকে একদম অল্প তেলে হালকা লাল ভেজে নিন। এতে মাছের আঁশটে ভাবটা চলে যাবে। মাছ আলাদা করে উঠিয়ে রাখুন। একটা বাটিতে টক দই এর সাথে ১/৪ কাপ বেরেস্তার সাথে আদা রসুনবাটা, জয়ফল ,জয়ত্রী গুঁড়ো,পোস্ত বাটা দিয়ে মেখে রাখুন। অন্য একটা পাত্রে চাল গুলোকে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। চাল বেশি সিদ্ধ করবেন না। বেশি সিদ্ধ হলে বিরিয়ানি ঝরঝরে হবে না।
এবার অন্য প্যান এ তেল বা ঘি দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি ও দারুচিনি এলাচ দিন। একদম লাল করে বেরেস্তার মত করে ভেজে নিন। এই পেয়াজ এর সাথে মেখে রাখা দই আর হাফ কাপ দুধ দিয়ে দিন। লবণ দিন। রান্না করুন ১০ মিনিট। মশলা কষে আসলে মাছের টুকরা গুলোকে দিয়ে রান্না করুন আরো ৫ মিনিট। যখন একটু লাল হয়ে আসবে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
একটা ওভেন প্রুফ বাটিতে বা একটা ভারি হাঁড়িতে প্রথমে কিছু ভাত ঢালুন। এর পর লেবুর পিস ছড়িয়ে দিন। এর পর মাছের পিসগুলো আর ঝোলটা দিন। সাথে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। আবার রান্না করা ভাত দিয়ে তার উপর অল্প করে রং ছিটিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে নিন যাতে ভাপ না বের হতে পারে। হাঁড়ি হলে ভালো করে ঢেকে খুবই মৃদু আঁচে দমে বসিয়ে দিন চুলায়। ভাত সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। নাড়বেন না, এতে মাছ ভেঙে যাবে। ওভেন হলে ১৮০ ডিগ্রীতে ২০ মিনিট বেক করুন।
ব্যাস হয়ে গেলো মজাদার ফিস বিরিয়ানি বা মাছের বিরিয়ানি।