করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। বাংলাদেশও রয়েছে সংকটে। মানুষকে শারীরিক এবং মানসিভাবে দুর্বল করে দিয়েছে এই মারাত্মক ভাইরাস। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও রেহাই নেই মানুষের। করোনাজনিত নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কমবেশি সবাই নাজেহাল। করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও চুল ও ত্বকের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেককে। এ নিয়ে কথা বলেছেন সেখানকার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অমীষা মহাজনের সঙ্গে।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ডা. অমীষা মহাজন বলেন, এ ধরনের সমস্যা কোভিড থেকে সেরে ওঠার এক থেকে তিন মাস পরেও শুরু হতে পারে। পোস্ট কোভিডে চুল পড়ে যায়, ত্বকে লাল রঙের র্যাশ বের হয়, চুলকানি হয়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকি ত্বকের শুষ্কতার হার এতটাই বেড়ে যায় যে পোস্ট কোভিডে অ্যাকজিমা পর্যন্ত হচ্ছে। এ জন্য তিনি দিয়েছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
চুল ঝরা
করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর চুল ঝরার সমস্যা খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী এই সমস্যায় ভুগছেন। কারণ, করোনা বা যেকোনো কঠিন রোগ হলে মানুষকে বিষাদ ঘিরে ধরে। আর এর প্রভাব চুলের ওপর বেশি পড়ে। একে বৈজ্ঞানিক ভাষায় টেলোজেন এফ্লুভিয়াম বলে, অর্থাৎ মাথার চুল সহজে পড়ে যায়। বিশেষত স্নান করার সময় প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যায়। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার ২-৩ মাস পর এই সমস্যা দেখা দেয়। আর ৬-৯ মাস পর্যন্ত চুল ঝরা চলতে থাকে।
তবে স্বস্তির খবর এই যে আপনা থেকে আবার চুল গজানো শুরু হয়। আমার মতে, এই সময় চুলে তেল না লাগানো উচিত। কারণ, তাহলে যেসব চুলের গোড়া দুর্বল, সেগুলো ঝরে পড়তে পারে। এই সময় সাপ্লিমেন্ট এবং হেয়ার সিরাম খুবই কার্যকরী। এতে চুল বাড়তে সাহায্য করে। চুল ঝরার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটে কিছু খাবার যোগ করার প্রয়োজন। তবে এই সময় সবচেয়ে প্রয়োজন সুষম আহার করা। ডায়েটে প্রোটিনের মাত্রা বেশি রাখা দরকার। এ ছাড়া কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, বাদাম, তাজা ফল—সব ধরনের খাবারই ডায়েটে থাকা জরুরি।
ত্বকের শুষ্কতা
ত্বক শুষ্ক হলে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে
কোভিডের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এই সময় নরম সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল সাবান এড়িয়ে চলা ভালো। আগের সময়ের মতো সাবানের পরিবর্তে দুধ বা দই ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক শুষ্ক হলে ঘন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। দিনে তিনবার এই ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি। তাহলে শুষ্কতা অনেকটা কমে। আর চুলকানোর সম্ভাবনাও কমে যায়। ত্বকের শুষ্কতার কারণে চুলকানির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এর থেকে রেহাই পাওয়ার সব থেকে ভাল উপায় গাঢ় ক্রিম এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করা।
একনের বাড়বাড়ন্ত
অ্যান্টি-একনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিম লাগাতে হবে
কোভিডের পর অনেক সময় ব্রণ বা রোসেসিয়ার (গোলাপি আস্তরণ) সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টি-একনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিম লাগাতে হবে। তাহলে ত্বকের এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
কালচে ছোপ
করোনা মুক্ত হওয়ার পর ত্বকে কালচে ছোপের সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা নিজের থেকে ঠিক হয়ে যায়। এর থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে বেশ কিছু মাস লেগে যায়। কালচে ছোপের থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়ার উপায়ও আছে। ত্বকে কালচে ছোপ চটজলদি দূর করতে ময়েশ্চারাইজার আর হালকা ডিপিগমেন্টেশন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো৷ আর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছুটা বদল আনতে হবে। এই সময় বেশি মাত্রায় উচ্চ অ্যান্টি–অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে।
এই ধরুন, ব্রোকলি, আখরোট, পালংশাক, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ব্লুবেরি, গ্রিন টি, স্ট্রবেরি, ওটসসহ আরও নানান কিছু। আর স্কিন সাপ্লিমেন্টও নিতে হবে। এসব কিছু ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। কোভিডের ওষুধের কারণে অনেক সময় অতিমাত্রায় পিগমেন্টেশন হয়। এ ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ডা. অমীষা মহাজন বলেন, এ ধরনের সমস্যা কোভিড থেকে সেরে ওঠার এক থেকে তিন মাস পরেও শুরু হতে পারে। পোস্ট কোভিডে চুল পড়ে যায়, ত্বকে লাল রঙের র্যাশ বের হয়, চুলকানি হয়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকি ত্বকের শুষ্কতার হার এতটাই বেড়ে যায় যে পোস্ট কোভিডে অ্যাকজিমা পর্যন্ত হচ্ছে। এ জন্য তিনি দিয়েছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
চুল ঝরা
করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর চুল ঝরার সমস্যা খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী এই সমস্যায় ভুগছেন। কারণ, করোনা বা যেকোনো কঠিন রোগ হলে মানুষকে বিষাদ ঘিরে ধরে। আর এর প্রভাব চুলের ওপর বেশি পড়ে। একে বৈজ্ঞানিক ভাষায় টেলোজেন এফ্লুভিয়াম বলে, অর্থাৎ মাথার চুল সহজে পড়ে যায়। বিশেষত স্নান করার সময় প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যায়। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার ২-৩ মাস পর এই সমস্যা দেখা দেয়। আর ৬-৯ মাস পর্যন্ত চুল ঝরা চলতে থাকে।
তবে স্বস্তির খবর এই যে আপনা থেকে আবার চুল গজানো শুরু হয়। আমার মতে, এই সময় চুলে তেল না লাগানো উচিত। কারণ, তাহলে যেসব চুলের গোড়া দুর্বল, সেগুলো ঝরে পড়তে পারে। এই সময় সাপ্লিমেন্ট এবং হেয়ার সিরাম খুবই কার্যকরী। এতে চুল বাড়তে সাহায্য করে। চুল ঝরার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটে কিছু খাবার যোগ করার প্রয়োজন। তবে এই সময় সবচেয়ে প্রয়োজন সুষম আহার করা। ডায়েটে প্রোটিনের মাত্রা বেশি রাখা দরকার। এ ছাড়া কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, বাদাম, তাজা ফল—সব ধরনের খাবারই ডায়েটে থাকা জরুরি।
ত্বকের শুষ্কতা
ত্বক শুষ্ক হলে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে
কোভিডের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এই সময় নরম সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল সাবান এড়িয়ে চলা ভালো। আগের সময়ের মতো সাবানের পরিবর্তে দুধ বা দই ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক শুষ্ক হলে ঘন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। দিনে তিনবার এই ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি। তাহলে শুষ্কতা অনেকটা কমে। আর চুলকানোর সম্ভাবনাও কমে যায়। ত্বকের শুষ্কতার কারণে চুলকানির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এর থেকে রেহাই পাওয়ার সব থেকে ভাল উপায় গাঢ় ক্রিম এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করা।
একনের বাড়বাড়ন্ত
অ্যান্টি-একনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিম লাগাতে হবে
কোভিডের পর অনেক সময় ব্রণ বা রোসেসিয়ার (গোলাপি আস্তরণ) সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টি-একনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিম লাগাতে হবে। তাহলে ত্বকের এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
কালচে ছোপ
করোনা মুক্ত হওয়ার পর ত্বকে কালচে ছোপের সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা নিজের থেকে ঠিক হয়ে যায়। এর থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে বেশ কিছু মাস লেগে যায়। কালচে ছোপের থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়ার উপায়ও আছে। ত্বকে কালচে ছোপ চটজলদি দূর করতে ময়েশ্চারাইজার আর হালকা ডিপিগমেন্টেশন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো৷ আর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছুটা বদল আনতে হবে। এই সময় বেশি মাত্রায় উচ্চ অ্যান্টি–অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে।
এই ধরুন, ব্রোকলি, আখরোট, পালংশাক, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ব্লুবেরি, গ্রিন টি, স্ট্রবেরি, ওটসসহ আরও নানান কিছু। আর স্কিন সাপ্লিমেন্টও নিতে হবে। এসব কিছু ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। কোভিডের ওষুধের কারণে অনেক সময় অতিমাত্রায় পিগমেন্টেশন হয়। এ ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।