অন্যান্য অনেক সাহিত্যিকের মতো কবিতা লেখার মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য জীবন শুরু, একমাত্র কাব্যগ্রন্থ "ত্রিপত্র" প্রকাশিত হয় 1926 সালে যখন তাঁর আঠাশ বছর বয়স কিন্তু বাংলা সাহিত্যে তিনি অমর হয়ে আছেন তাঁর লেখা উপন্যাস ও ছোটোগল্পের জন্য ।1932 সালে প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস "চৈতালী ঘূর্ণি", তারপর একে একে অসংখ্য সাড়া জাগানো উপন্যাস-রাইকমল, ধাত্রীদেবতা, গণদেবতা, পঞ্চগ্রাম, কবি, সন্দীপন পাঠশালা, হাঁসুলিবাঁকের উপকথা, মঞ্জরী অপেরা ,কীর্তিহাটের কড়চা ইত্যাদি । সুদীর্ঘ চার দশকের সাহিত্য জীবনে রচনা করেছেন 65টি উপন্যাস, 53টি গল্পগ্রন্থ, 12টি নাটক, 4টি প্রবন্ধের বই, 4টি আত্মজীবনী, 2টি ভ্রমণ কাহিনী। সাঁওতাল, ডোম, বাগদী, বেদে, কবিয়াল সহ গ্রাম বাংলার অন্ত্যজ ও প্রান্তিক মানুষদের জীবনের সুখ-দুঃখ, বেঁচে থাকার সংগ্রাম তাঁর লেখাতে মূর্ত হয়ে উঠেছে।এছাড়াও সামাজিক পরিবর্তন, জমিদার প্রথার অবলুপ্তি, যন্ত্রসভ্যতার অগ্রগতি, গ্রাম্য জীবনের ভাঙ্গন,নগর জীবনের বিকাশের কথাও তাঁর লেখার অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু । তাঁর লেখা অনেক গল্প ও উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ হয়েছে, এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: জলসাঘর, অভিযান, সপ্তপদী, কবি, আরোগ্য নিকেতন, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, ভাকহরকরা,বিচারক, বিপাশা,না, দুই পুরুষ, গণদেবতা ইত্যাদি । সাহিত্য সেবার জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে। 1971 সালের 14 ই সেপ্টেম্বর বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তী লেখকের জীবনাবসান হয়।
প্রয়াণ দিবসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর স্মৃতির উদ্দেশ্যে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা
প্রয়াণ দিবসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর স্মৃতির উদ্দেশ্যে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা
