What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (2 Viewers)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,615
Messages
121,990
Credits
324,673
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
প্রশ্নোত্তরে ইসলাম!
টাইটেল দেখে অনেকেই মনে করতে পারেন, এটা মনে হয় ইসলাম ধর্মবিষয়ক প্রশ্ন-উত্তরের কোনো লাইভ থ্রেড। আসলে ঠিক তা নয়। প্রশ্ন-উত্তরের থ্রেড এটা ঠিক আছে, কিন্তু এখানে প্রদত্ত সকল প্রশ্ন এবং উত্তর ইতিপূর্বেই মীমাংসা করা হয়ে গেছে। সুতরাং, এখান থেকে আমরা শুধু আমাদের মনে জাগা প্রশ্নের সাথে উত্তরগুলো মিলিয়ে নেবো। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের আপামর জনগণ কর্তৃক করা প্রশ্নের ক্বোরআন ও সহিহ হাদিস দ্ধারা দেয় জবাবের একটা সংকলন আমার হাতে থাকার প্রেক্ষিতে সেটা সবার সাথে ভাগ করার নিমিত্তেই এখানে এই থ্রেডটা পেশ করা হলো।
 
QA-0001

প্রশ্ন: কবরস্থানের উপর ঘর-বাড়ি, টয়লেট ইত্যাদি নির্মাণ করে বসবাস করা যাবে কি? কেউ এরূপ করলে তার কী ধরনের শাস্তি হবে? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।


উত্তর:কবরস্থানের উপর ঘর-বাড়ি, টয়লেট নির্মাণ করে বসবাস করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)বলেছেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তির আগুনের টুকরার উপরে বসা এবং সে টুকরাটা তার কাপড়কে পুড়িয়ে তার চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া তার জন্য বেশী উত্তম হবে কবরের উপর বসার চেয়ে’ (মুসলিম হা/৯৭১, ‘জানাযা’ অধ্যায়; মিশকাত হা/১৬৯৯)। অন্য হাদীছে রাসূল (সাঃ)কবরে চুনকাম করতে, তার উপরে লিখতে, বসতে, কোন কিছু নির্মাণ করতে এবং হাটতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/৯৭০; ছহীহ্ তিরমিযী হা/১০৫২; মিশকাত হা/১৬৯৭-৯৮, ১৭০৯)
 
মানুষ মরণশীল! শুধু মানুষ নয়, বরং প্রত্যেকটা সৃস্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীতে যতো ধর্ম আছে, তাদের প্রায় সবারই মৃত্যুর পর লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলা বা কবর দেয়ার রেয়াজ বিদ্যমান। যদিও কোনো কোনো ধর্মের লোকেরা মৃত্যুর পর লাশ অন্যভাবে সৎকার করে থাকে। তথাপিও আদি ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তাদেরও অতীত ঐতিহ্য হচ্ছে লাশ দাফন করে ফেলা বা মাটির নিচে রেখে দেয়া। ইসলাম ধর্মে মানুষের শেষ ঠিকানা এই কবরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। ইবাদতের জন্য এই কবরের স্থানকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। কবরস্থানে কোনোভাবেই ইবাদত করা যাবে না। শুধু তাই নয়, উল্লেখিত প্রশ্নের জবাবে আমরা নবী (সাঃ) এর হাদিস দ্ধারা জানতে পারি, ওখানে স্বাভাবিক অবস্থায় বসাও ঠিক নয়। আমাদের সমাজে অনেক কবরের পাশেই বসে ক্বোরআন তেলোয়াত করতে দেখা যায়। যেটা হাদিস মোতাবেক বৈধ নয়। এছাড়া কবর যেখানে বিদ্যমান আছে সেখানে কোন ইবাদতখানা নির্মান করাও বৈধ নয়। আমরা খুব ভালভাবেই জানি, মসজিদের চাইতে পবিত্র কনো ইবাদতখানা দুনিয়াতে নেই। সুতরাং সে হিসাবে কোনভাবেই কবরের উপরে (কবর বিদ্যমান থাকুক আর না থাকুক) মসজিদ নির্মান করা যাবে না। আমাদের দেশে বেশ কিছু মসজিদ আছে যেটার অভ্যন্তরে কবর বিদ্যমান আছে কিংবা এমন অনেক মসজিদ খুঁজলে পাওয়া যাবে, যেখানে কোনো এক সময় কবর ছিল এমন জায়গায় মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে। অথচ হাদিস দ্ধারা এমন জায়গায় কোন মতেই মসজিদ বা কনো ধরনের ইবাদতখানা তৈরী করা জায়েয নয়। যেখানে নবী (সাঃ) এর নির্দেশ ছিলো- কবরের সমস্ত চিহ্ন মুছে দেবার, সেখানে আমরা কবরকে দৃশ্যমান করার জন্য শুধু কবর উঁচুই করছি না, বরং সেই উঁচু কবরে দৃস্টি আঁটকে যায়, এমন উজ্জ্বল রঙয়ের কভারও দিয়ে দিচ্ছি। এটা স্পস্টতঃ ইসলামের বাইরের একটা চর্চ্চা। যা হিন্দু আর খৃস্টানদের মাঝে বেশ প্রচলন আছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ইসলামকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন!
 
QA-0002

প্রশ্ন: জিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে কি?

উত্তর: জিনদের মধ্যে যারা শয়তান তারা মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘তোমরা সেই মহিলার কাছে প্রবেশ করো না যার স্বামী অনুপস্থিত রয়েছে। কারণ তোমাদের যে কারো মধ্যে শয়তান প্রবেশ করতে পারে রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার ন্যায়’ (ছহীহ্ তিরমিযী হা/১১৭২)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘শয়তান মানুষের মধ্যে পৌঁছে, রক্তনালীতে রক্ত পৌঁছার ন্যায়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮ ‘ওয়াসওয়াসা’ অনুচ্ছেদ)
 
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষদের সতর্ক করে দেয়ার জন্য ক্বোরআনুল কারীমে শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হিসাবে আখ্যায়ীত করেছেন। সেই প্রকাশ্য শত্রু এমনই প্রকাশ্য যে সে একেবারে মানুষের নিজ দেহে প্রবেশ করে মানুষদের বিপথে নিয়ে যাবার চেস্টায় রত থাকে। মানুষের শিরায় উপ-শিরায় প্রবেশ করে মানুষকে নিয়ন্ত্রনের এই চেস্টা শয়তানের অবিরত সেই শুরু থেকেই। আমরা হয়তো সেটা খুব স্বাভাবিকভাবে অনুধাবন করতে পারি না। কিন্তু একজন মুসলমান হিসাবে নবী (সাঃ) এর প্রতিটি কথা মান্য করা যেহেতু আমাদের অবশ্য কর্ত্যব্য সেহেতু এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে, শয়তান আমাদের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না।
অতএব, আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে, যেনো কোনো মতেই আমরা আল্লাহর দেয়া বিধানের বাইরে চলে না যা। আর গেলেই আশঙ্কা থেকে যাবে আমাদের ভিতর আক্ষরিক অর্থেই শয়তান প্রবেশের...
 
QA-0003

প্রশ্নঃ সদ্যপ্রসূত শিশু মারা যাবার পর বিনা জানাযায় কবর দেয়ার পর পরবর্তী জুমআর নামাযের শেষে জানাযা দিলে কি হবে?

উত্তর: জানাযা করে দাফন করাই সুন্নাত (আবুদাউদ হা/৩১৮০; মিশকাত হা/১৬৬৭)। কিন্তু বাধ্যগত কারণে জানাযা করতে না পারলে পরে যথাসম্ভব দ্রুত জানাযা করা যায় (ইরওয়া ৩/১৮৬)
 
হাদিসে এসেছে প্রত্যেকট মানব সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় মুসলমান হিসাবে। পরবর্তী সময়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বি হয়ে থাকে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে মারা যাওয়া মানেই হচ্ছে সে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু বরন করা। এক্ষেত্রে একজন মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া শিশু তো নিঃসন্দেহে মুসলমান। কারন মুসলমানিত্ব খারিজ হবার ক্ষেত্রে যে সব শর্ত ধর্মে আছে, সেসব করার বয়সই তার হয়নি। যেমন নামাযের বয়স। কেননা, হাদিসে এসেছে- নামায হচ্ছে মুসলমান আর কাফেরের মাঝে পার্থক্য নির্ধারনকারী। অর্থাত, কেউ যদি জেনে বুঝে নামায ছেড়ে দ্যায়, তবে সে যেনো মুসলমানিত্ব ত্যাগ করে! একজন মুসলমানের মৃত্যুর পর বেঁচে থাকা মুসলমানের উপর মৃত ব্যাক্তির জানাযা আদায় করা ফরযে কেফায়া। সে হিসাবে মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া মুসলিম শিশুটির জানাযা আদায়ও ফরযে কেফায়া। অতএব, শিশু মৃত্যুর পর দাফনের আগে জানাযা আদায় করাই শ্রেয়! তবে একান্তই যদি বিশেষ কোনো কারনে সেই জানাযা দেয়া সম্ভব না হয়, তবে যতো দ্রুত সম্ভব জানাযা আদায় করাই উত্তম। এ জন্য জুম্মা বারের জন্য অপেক্ষা করা সমীচীন হবে না!
 
QA-004

প্রশ্ন: অনেক টিভি চ্যানেলে কিশোরী ও যুবতী মেয়েদের ইসলামী সংগীত পরিবেশন করতে ও মহিলাদের কুরআন-হাদীছ ভিত্তিক আলোচনা করতে দেখা যায়। এসব অনুষ্ঠান দেখা যাবে কি?

উত্তর:মহিলারা ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য এবং কিশোরী ও যুবতীরা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থিত হ’তে পারবে না। কারণ এরূপ অংশগ্রহণের দ্বারা বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়, যা প্রকাশ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ (নূর ৩১)। অনেকে তাদেরকে দেখে এবং তাদের কথায় ও পোষাকে আকৃষ্ট হয়ে ফেতনায় পড়তে পারে। মহিলাদের সুন্দর কণ্ঠস্বর পরপুরুষকে শুনাতে নিষেধ করা হয়েছে (আহযাব ৩২)। ফলে ঐসব মহিলারা পরপুরুষকে নিজেদের দিকে আকৃষ্টকারীনী হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল (ছা:)অন্যকে আকৃষ্টকারী নারীর কঠোর শাস্তির ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন (মুসলিম হা/২১২৮; মিশকাত হা/৩৫২৪ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়, ২ অনুচ্ছেদ)
 
বর্তমানে চলছে সুধের কাল বা সুধ-যুগ! জীবন চলার প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাজত্ব করছে সুধের ফণাধারী সাপ... এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে সুধ তার হিংস্র থাবা না বসিয়েছে! এই সুধের লেলিহান শিখা আগুনের চাইতেও দ্রুতগতিতে উর্দ্ধমুখী ছুটে চলছে। শেষ করে দিচ্ছে আমাদের অত্যান্ত দুর্বল ঈমানের সাথে থাকা মানুষদের কিছু ভালো আমল। সুধের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার কারনে দিন দিন আমাদের ঈমানী শক্তি লোপ পাচ্ছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ইসলামের নামে কিংবা ইসলামের বেশ ধরে অনৈসলামিক কর্মকান্ড! আমরা ভুলে গেছি আমাদের করনীয়। আমরা সেটাকেই ভালো মনে করছি, যেটা বাহ্যিক দিক থেকে সৈন্দর্য্যমণ্ডিত। বাইরের চাকচিক্য আর ধর্মের কিছু কেমোফ্ল্যাজের আড়ালে যে চলছে অনৈসলামিক কর্মকান্ড সেটা ধরতেই এখন মুশকিল হয়ে গেছে। শরীয়তের যে বিধান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য তাঁর কিতাব আর রাসুল (সাঃ) এর জীবনাদর্শ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, এর বাইরের কোনো কিছুই শরীয়ত হিসাবে মানা কিংবা পালন করা উচিৎ হবে না। মনে রাখতে হবে, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) যেটাকে ধর্মীয় বিধানের অংশ বানাননি, সেটা আমাদের ধর্মীয় বিধান হিসাবে মেনে নেয়া কোনো মতেই শুদ্ধ হবে না। আর মেনে নিয়ে পালন করলে সাওয়াব তো হবেই না, বরং বড় গুনাহ হবে। ধর্মের বিধানের ব্যাপারে যাতে কোনো কছু বাড়ানো না হয়, সে ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) হুঁসিয়ারি উচ্চারন করে গিয়েছেন!
বর্তমানে প্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা অনেক কিছু খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেয়ে যাই। ইন্টারনেট খুব দ্রুত সহজলভ্য আর জনপ্রিয় হয়ে গেলেও ইলেক্ট্রিক গনমাধ্যম হিসাবে টেলিভিশনই এখনো পর্যন্ত একমাত্র বেশী লোকের পৌঁছে যাওয়া মাধ্যম। এই মাধ্যমে যে কোনো সংবাদ যেমন দ্রুত সময়ে সাধারন মানুষের কাছে পোঁছে যায়, ঠিক একইভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও দ্রুত পৌঁছে। কিছু লোক (আলেমদের কিছু অংশ) এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে ধর্ম প্রচার তথা ধর্মীয় বিধি-বিধানকে প্রচার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তবে মনে রাখতে হবে সেটি যেনো ধর্মীয় বিধানকে উপেক্ষা করে না হয়। প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি বর্তমান সময়ে অত্যান্ত সময়োচিত প্রশ্ন। প্রশ্নের জবাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, সেগুলোর দিকে দৃস্টি দেয়া আমাদের প্রত্যেকটা মুসলমানেরই উচিৎ। কোনোভাবেই কিশোরী আর যুবতী মেয়েদের দ্ধারা পরিবেশিত কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখা বা সেটাকে উৎসাহিত করা উচিৎ হবে না। এমনকি মহিলাদের দ্ধারা তাফসির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানও এর আওতায় পড়ে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন...
 
QA-005

প্রশ্ন: মৃত বা জীবিত কোন ব্যক্তির নামে গরু-ছাগল ছাদাক্বা করলে দাতা উক্ত গোশত খেতে পারবে কি?

উত্তর:দাতা খেতে পারবে না। কারণ ছাদাক্বা গরীব-মিসকীনদের হক্ব। তাদের মাঝেই তা বণ্টন করে দিতে হবে। (তওবা ৬০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৪)
 

Users who are viewing this thread

Back
Top