নতুন বছরের শুরুতে বাড়িতে বাড়িতে দাওয়াতের হিড়িক পড়ে যায়। খাওয়া শেষে বাড়িতে বানানো মিষ্টি দিয়েই শেষ করতে পারেন আপ্যায়ন। রেসিপি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস...
নলেন গুড়ের রসগোল্লা
নলেন গুড়ের রসগোল্লা
উপকরণ: ছানা ১ কাপ, ময়দা ১ চা-চামচ, এলাচিগুঁড়া সামান্য, চিনি আধা কাপ, নলেন গুড় ১ কাপ, নলেন গুড় ৪ টেবিল চামচ, পানি ৫ কাপ।
প্রণালি: ছানার পানি ঝরিয়ে হাতের তালু দিয়ে ভালো করে মথে নিন। ময়দা ও এলাচিগুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে দিন। পছন্দমতো ভাগ করে রসগোল্লার আকার করে নিতে হবে।
গুড়, চিনি ও পানি চুলায় দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার মিষ্টিগুলো দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট জ্বাল দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার তাপমাত্রা বাড়িয়ে ১০ মিনিট জ্বালে ফুটান। ঢাকনা খুলে আধা কাপ গরম পানি দিয়ে একই তাপমাত্রায় আরও ১০ মিনিট ফুটান। এরপর ঢাকনা খুলে এক কাপ গরম পানি দিয়ে দিন। আরও ১০ মিনিট ফুটিয়ে এক কাপ গরম পানি ও ৪ টেবিল চামচ নলেন গুড় দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
গোলাপজাম বা গোলাপ জামুন
গোলাপজাম বা গোলাপ জামুন
উপকরণ
ফুল ক্রিম গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ময়দা ৪ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, ঘি ২ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ৯-১০ টেবিল চামচ তরল দুধ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। ১২ থেকে ১৪ ভাগ করে কুসুম গরম তেলে মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে ৯-১০ মিনিট। তেল থেকে উঠিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট রাখতে হবে। শিরার জন্য চিনি ২ কাপ, পানি ৪ কাপ চুলায় দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। মিষ্টিগুলো কুসুম গরম অবস্থায় ফুটানো শিরায় দিয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ থেকে ১২ মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে দিতে হবে। ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মিষ্টিগুলো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে ২ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।
ল্যাংচা
ল্যাংচা
উপকরণ
ছানা ১ কাপ, মাওয়া আধা কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, বড় এলাচির গুঁড়া সামান্য, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল ৩ কাপ, ঘি আধা কাপ, চিনি ২ কাপ, পানি ৫ কাপ।
প্রণালি
ছানার পানি ঝরিয়ে হাতের তালু দিয়ে ভালো করে মথে নিন। এতে মাওয়া, ময়দা, বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। ১২ ভাগ বা পছন্দমতো সংখ্যায় ভাগ করে নিন। লম্বা আকারের ল্যাংচা বানিয়ে নিন। সাধারণত ল্যাংচা মিষ্টি চমচমের তুলনায় বড় হয়ে থাকে। তেল ও ঘি চুলায় দিয়ে অল্প জ্বালে রাখুন। বাদামি রং করে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে ২ কাপ চিনি, ৫ কাপ পানি চুলায় দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে মিষ্টিগুলো কুসুম গরম অবস্থায় ফুটানো শিরায় ছেড়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০-১২ মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে মিষ্টিগুলো। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে দুই ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।
কাটারিভোগ
কাটারিভোগ
উপকরণ
বড় আকারের চমচম ৪টি (শিরা থেকে উঠিয়ে ছাঁকনির ওপর রেখে ভালো করে শিরা ঝরিয়ে নিন), গরুর দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, কেওড়া অ্যাসেন্স ১ চা-চামচ, গ্রেট করা মাওয়া ১ কাপ।
প্রণালি
১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে দুই কাপ করে নিতে হবে। প্যানে ঘি দিয়ে গুঁড়া দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। তরল দুধ, কেওড়া অ্যাসেন্স, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। ক্রিমের মতো অল্প শক্ত হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। বেলন দিয়ে মোটা রুটির মতো বেলে নিতে হবে। এবার এ মিশ্রণে চমচমগুলো কোট করে নিন। ৪-৫ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে মাওয়ায় গড়িয়ে নিন। পছন্দমতো মোটা স্লাইস করে কেটে ওপরে জাফরান, পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন কাটারিভোগ।
নলেন গুড়ের রসগোল্লা
নলেন গুড়ের রসগোল্লা
উপকরণ: ছানা ১ কাপ, ময়দা ১ চা-চামচ, এলাচিগুঁড়া সামান্য, চিনি আধা কাপ, নলেন গুড় ১ কাপ, নলেন গুড় ৪ টেবিল চামচ, পানি ৫ কাপ।
প্রণালি: ছানার পানি ঝরিয়ে হাতের তালু দিয়ে ভালো করে মথে নিন। ময়দা ও এলাচিগুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে দিন। পছন্দমতো ভাগ করে রসগোল্লার আকার করে নিতে হবে।
গুড়, চিনি ও পানি চুলায় দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার মিষ্টিগুলো দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট জ্বাল দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার তাপমাত্রা বাড়িয়ে ১০ মিনিট জ্বালে ফুটান। ঢাকনা খুলে আধা কাপ গরম পানি দিয়ে একই তাপমাত্রায় আরও ১০ মিনিট ফুটান। এরপর ঢাকনা খুলে এক কাপ গরম পানি দিয়ে দিন। আরও ১০ মিনিট ফুটিয়ে এক কাপ গরম পানি ও ৪ টেবিল চামচ নলেন গুড় দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
গোলাপজাম বা গোলাপ জামুন
গোলাপজাম বা গোলাপ জামুন
উপকরণ
ফুল ক্রিম গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ময়দা ৪ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, ঘি ২ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ৯-১০ টেবিল চামচ তরল দুধ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। ১২ থেকে ১৪ ভাগ করে কুসুম গরম তেলে মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে ৯-১০ মিনিট। তেল থেকে উঠিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট রাখতে হবে। শিরার জন্য চিনি ২ কাপ, পানি ৪ কাপ চুলায় দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। মিষ্টিগুলো কুসুম গরম অবস্থায় ফুটানো শিরায় দিয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ থেকে ১২ মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে দিতে হবে। ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মিষ্টিগুলো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে ২ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।
ল্যাংচা
ল্যাংচা
উপকরণ
ছানা ১ কাপ, মাওয়া আধা কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, বড় এলাচির গুঁড়া সামান্য, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল ৩ কাপ, ঘি আধা কাপ, চিনি ২ কাপ, পানি ৫ কাপ।
প্রণালি
ছানার পানি ঝরিয়ে হাতের তালু দিয়ে ভালো করে মথে নিন। এতে মাওয়া, ময়দা, বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। ১২ ভাগ বা পছন্দমতো সংখ্যায় ভাগ করে নিন। লম্বা আকারের ল্যাংচা বানিয়ে নিন। সাধারণত ল্যাংচা মিষ্টি চমচমের তুলনায় বড় হয়ে থাকে। তেল ও ঘি চুলায় দিয়ে অল্প জ্বালে রাখুন। বাদামি রং করে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে ২ কাপ চিনি, ৫ কাপ পানি চুলায় দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে মিষ্টিগুলো কুসুম গরম অবস্থায় ফুটানো শিরায় ছেড়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০-১২ মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে মিষ্টিগুলো। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে দুই ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।
কাটারিভোগ
কাটারিভোগ
উপকরণ
বড় আকারের চমচম ৪টি (শিরা থেকে উঠিয়ে ছাঁকনির ওপর রেখে ভালো করে শিরা ঝরিয়ে নিন), গরুর দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, কেওড়া অ্যাসেন্স ১ চা-চামচ, গ্রেট করা মাওয়া ১ কাপ।
প্রণালি
১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে দুই কাপ করে নিতে হবে। প্যানে ঘি দিয়ে গুঁড়া দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। তরল দুধ, কেওড়া অ্যাসেন্স, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। ক্রিমের মতো অল্প শক্ত হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। বেলন দিয়ে মোটা রুটির মতো বেলে নিতে হবে। এবার এ মিশ্রণে চমচমগুলো কোট করে নিন। ৪-৫ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে মাওয়ায় গড়িয়ে নিন। পছন্দমতো মোটা স্লাইস করে কেটে ওপরে জাফরান, পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন কাটারিভোগ।