আজ বিশ্ব সুশি দিবস। জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহাসমারোহে উদ্যাপন করা হচ্ছে সুশি নামের হাজার বছরের পুরোনো এই খাবারটিকে। সময়ের সঙ্গে সুশির চেহারা বদলেছে। বদলে গেছে ধরন। এসেছে নানা রকমফের। সুশির মতো দেখতে বানানো হচ্ছে কেক, পিৎজা, পাস্তা। সুশি নিজ গুণে, জনপ্রিয়তায় জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সেরা রসনায়। ভিগানদের জন্য আছে ভেজ সুশিও! জেনে নেওয়া যাক সুশির বিভিন্ন দেশের টুকিটাকি রকমফের।
ওশি সুশি, ছবি: উইকিপিডিয়া
দেশি সুশি
বিভিন্ন দেশে গিয়ে বদলেছে সুশি। বাংলাদেশেও হয়েছে দেশি স্টাইলের সুশি। সেখানে সেদ্ধ সামুদ্রিক মাছের বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে ভাজা চিকেনও। আবার সেদ্ধ সুশিটি ডিম আর বিস্কুটের গুঁড়ায় মেখে চট করে ভেজেও নেওয়া হচ্ছে।
সুশিরা তিন বোন—চিরাশি, টেমাকি ও ওশি
চিরাশি ও টেমাকি, ছবি: উইকিপিডিয়া
সুশির রয়েছে নানান ধরন। এক বাটি ভাতের ওপর মাছ দিয়ে বানানো হয়। এর নাম চিরাশি। এটি সাশিমি চপস্টিকস দিয়ে খেতে হয়। হাতে নিয়ে রোলের মতো খাওয়ার কোণ আকৃতির এক ধরনের সুশি আছে, এর নাম টেমাকি। আবার বর্গ বা আয়তক্ষেত্র আকৃতির আঠালো সুগন্ধযুক্ত রঙিন ভাতের স্তরের সঙ্গে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত মাছ, এর নাম ওশি।
সুশির খুশি নিগিরিতে
সুশি বলতে আমরা সাধারণভাবে যেটা বুঝি, তার ‘ভালো নাম’ নিগিরি। বিশ্বব্যাপী এটাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। নিগিরি বলতে এক টুকরা কাঁচা মাছ ও ভাত শুকনো শৈবাল দিয়ে তৈরি নোরি দিয়ে রোল করে কাটা হয়। আলাদা করে পাতে নেওয়া যেতে পারে সাশিমিও। সাশিমি হলো পাতলা করে কাটা কাঁচা মাছের ফ্রেশ টুকরা।
নিগিরি তৈরি সহজ নয়
নিগিরি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, ছবি: উইকিপিডিয়া
নিগিরির ভাতটা কেমন হবে? সব ভাতের ভেতর একটা আঠালো ভাব থাকবে। কাঠের প্যাডেল দিয়ে এই ভাত ভিনিগার মিশিয়ে তৈরি করতে হয়, যেটা স্যামন মাছ বা ভেতরের মাছের টুকরাকে চেপে ধরে রাখবে। ভেতরের স্তর থেকে ওপরের স্তর আঠালো হবে। আবার মুখের ভেতর নিলে প্রতিটা ভাত আলাদাভাবে খুলে আসবে। এই ভাত তৈরিতে তাপমাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জাপানের সুশি যেভাবে হলো ‘ক্যালিফোর্নিয়া রোল’
নানা দেশে গিয়ে সুশি সেই দেশের আবহাওয়া, রুচি আর সংস্কৃতির সঙ্গে বদলেছে। যে দেশে যা সহজলভ্য, তা-ই হয়েছে সুশির সঙ্গী। যেমন যুক্তরাজ্যে টুনা বা স্যামন মাছের জায়গা নিয়েছে অ্যাভোকাডো আর কাঁকড়া। জাপানি সুশির মার্কিন ভার্সনের নাম দেওয়া হলো ‘ক্যালিফোর্নিয়া রোল’। আমেরিকান সুশিও বলা হয় তাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া রোল, ছবি: উইকিপিডিয়া
হয় ভাজা মাছ, না হলে হিমায়িত
সুশির মূল উপাদান কাঁচা মাছ। তবে মাছ ভালোভাবে ধোয়ার পরও থেকে যেতে পারে পরজীবী। এখন অবশ্য সুশিতে ভাজা বা রান্না করা মাছও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সুশিতে কাঁচা মাছ ব্যবহার করলে খাওয়ার আগে তা হিমায়িত করে নেওয়া হয়। এতে জীবাণু ও পরজীবী মারা যায়।
ওশি সুশি, ছবি: উইকিপিডিয়া
দেশি সুশি
বিভিন্ন দেশে গিয়ে বদলেছে সুশি। বাংলাদেশেও হয়েছে দেশি স্টাইলের সুশি। সেখানে সেদ্ধ সামুদ্রিক মাছের বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে ভাজা চিকেনও। আবার সেদ্ধ সুশিটি ডিম আর বিস্কুটের গুঁড়ায় মেখে চট করে ভেজেও নেওয়া হচ্ছে।
সুশিরা তিন বোন—চিরাশি, টেমাকি ও ওশি
চিরাশি ও টেমাকি, ছবি: উইকিপিডিয়া
সুশির রয়েছে নানান ধরন। এক বাটি ভাতের ওপর মাছ দিয়ে বানানো হয়। এর নাম চিরাশি। এটি সাশিমি চপস্টিকস দিয়ে খেতে হয়। হাতে নিয়ে রোলের মতো খাওয়ার কোণ আকৃতির এক ধরনের সুশি আছে, এর নাম টেমাকি। আবার বর্গ বা আয়তক্ষেত্র আকৃতির আঠালো সুগন্ধযুক্ত রঙিন ভাতের স্তরের সঙ্গে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত মাছ, এর নাম ওশি।
সুশির খুশি নিগিরিতে
সুশি বলতে আমরা সাধারণভাবে যেটা বুঝি, তার ‘ভালো নাম’ নিগিরি। বিশ্বব্যাপী এটাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। নিগিরি বলতে এক টুকরা কাঁচা মাছ ও ভাত শুকনো শৈবাল দিয়ে তৈরি নোরি দিয়ে রোল করে কাটা হয়। আলাদা করে পাতে নেওয়া যেতে পারে সাশিমিও। সাশিমি হলো পাতলা করে কাটা কাঁচা মাছের ফ্রেশ টুকরা।
নিগিরি তৈরি সহজ নয়
নিগিরি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, ছবি: উইকিপিডিয়া
নিগিরির ভাতটা কেমন হবে? সব ভাতের ভেতর একটা আঠালো ভাব থাকবে। কাঠের প্যাডেল দিয়ে এই ভাত ভিনিগার মিশিয়ে তৈরি করতে হয়, যেটা স্যামন মাছ বা ভেতরের মাছের টুকরাকে চেপে ধরে রাখবে। ভেতরের স্তর থেকে ওপরের স্তর আঠালো হবে। আবার মুখের ভেতর নিলে প্রতিটা ভাত আলাদাভাবে খুলে আসবে। এই ভাত তৈরিতে তাপমাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জাপানের সুশি যেভাবে হলো ‘ক্যালিফোর্নিয়া রোল’
নানা দেশে গিয়ে সুশি সেই দেশের আবহাওয়া, রুচি আর সংস্কৃতির সঙ্গে বদলেছে। যে দেশে যা সহজলভ্য, তা-ই হয়েছে সুশির সঙ্গী। যেমন যুক্তরাজ্যে টুনা বা স্যামন মাছের জায়গা নিয়েছে অ্যাভোকাডো আর কাঁকড়া। জাপানি সুশির মার্কিন ভার্সনের নাম দেওয়া হলো ‘ক্যালিফোর্নিয়া রোল’। আমেরিকান সুশিও বলা হয় তাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া রোল, ছবি: উইকিপিডিয়া
হয় ভাজা মাছ, না হলে হিমায়িত
সুশির মূল উপাদান কাঁচা মাছ। তবে মাছ ভালোভাবে ধোয়ার পরও থেকে যেতে পারে পরজীবী। এখন অবশ্য সুশিতে ভাজা বা রান্না করা মাছও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সুশিতে কাঁচা মাছ ব্যবহার করলে খাওয়ার আগে তা হিমায়িত করে নেওয়া হয়। এতে জীবাণু ও পরজীবী মারা যায়।