What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কন্যাদান ও পিতৃঋণ (2 Viewers)

Jupiter10

Exclusive Writer
Story Writer
Joined
Sep 25, 2020
Threads
3
Messages
381
Credits
56,871
পরিতোষ মজুমদার বয়স প্রায় 56বছর উত্তরবঙ্গের একটি সরকারি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার.

পরিতোষ বাবুর নিজের আপনজন বলতে তার শুধু একমাত্র কন্যা মধুরিমা. স্ত্রী মিনা দেবী একটি জটিল রোগে মারা যান যখন তার মেয়ের বয়স ছিল তিন বছর. স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি খুব ভেঙে পড়েছিলেন. তিনি নিজেকে সর্বহারা মনে করে ছিলেন কারণ তখন তার আপন স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিলনা. বাবা মা তো চাকরি পাওয়ার পর পরই মারা যায়...যাইহোক তখন তিনি তার একমাত্র কন্যা মধুরিমা কে ওই তিন বছর বয়সে তার শশুরবাড়ি অর্থাৎ মধুরিমা কে ওর মামার বাড়িতে রেখে কলকাতা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গএর বিভিন্ন জেলায় নিজের পোস্টিং নিয়ে চাকরি করতে থাকেন. বর্তমানে এখন তিনি শিলিগুড়ি তে কর্মরত. স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে কলকাতা কে নিজের জীবন থেকে আলাদা করে রাখারই চেষ্টা করে গেছেন পরিতোষ বাবু. তবে কলকাতা যে একেবারে আসেননি টা নয়. যতই হোক কলকাতা তার জন্মভূমি. প্রানপ্রিয় স্ত্রী কে নিয়ে তিনি মাত্র চার বছর সংসার করতে পেরেছিলেন. তারপর যেন সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়. তিনি কলকাতা আসতেন তার মেয়ের টানে. মেয়ে কে কোলে নিয়ে আদর করতে. মেয়ে কে নিয়ে ট্রামে চড়তে. বেড়াতে নিয়ে যেতে. স্ত্রী মারা যাবার পর মেয়েই হয় তার জীবন সম্বল. মেয়ে কে নিজের শশুরবাড়িতে রাখলেও তার যাবতীয় খরচপাতি তিনি মাসে একদিন ছুটি নিয়ে এসে শশুর শাশুড়ি র হাতে দিয়ে যেতেন. মেয়ের স্কুল পড়াশোনা দেখাশোনা সব কিছুর খবর তিনি রাখতেন. মেয়ের অসুখবিসুখ হলে তিনি তৎক্ষণাৎ কলকাতা চলে আসতেন. মেয়ের ডাক্তার বদ্দি সবকিছু নিজেই করতেন. স্কুলের শিক্ষক দের সাথে কথা বলা পরামর্শ নেয়া সব নিজেই করতেন চাকরি ফেলে ছুটে এসে. যদি কখনও আসার সময় পেতেন না তখন তার শ্যালক অর্থাৎ মধুরিমা র মামা কে পাঠাতেন পরিতোষ বাবু. তবে তিনি অন্তত দুতিন মাসের মধ্যে লম্বা ছুটি নিয়ে চলে আসতেন মেয়ের জন্য. নিজের ভিটে বাড়ি তে একাকী থাকতে পারতেন না পরিতোষ বাবু. তাই যখন তিনি কলকাতা য় ছুটি নিয়ে আসতেন তখন মেয়েকে আনিয়ে নিতেন শশুরবাড়ি থেকে. তিন দিন পাঁচ দিন যত দিন ই থাকতেন মেয়েকে নিজের সঙ্গে রাখতেন. নিজের মেয়ের প্রতি এতো টান থাকার জন্যই তিনি দৃতীয় বিয়ে করেননি. মেয়ে কেই নিজের পৃথিবী বানিয়ে নিয়েছিলেন. মধুরিমা ও আসতে আসতে বড় হতে লাগলো. তিন বছর পাঁচ বছর দশ বছর তেরো বছর করে বাড়তে লাগলো. তবে পরিতোষ বাবুর কাছে তার মেয়ে সেই ছোট্ট মা হারা মেয়েই ছিল. যাকে তার মা সেই ছোট্ট বেলায় ফেলে চলে যান পৃথিবী থেকে. এখন তিনিই মা আর তিনি বাবা. তাই মেয়ের যাবতীয় খেয়াল তাকেই রাখতে হয়. স্নান করানোর সময় মেয়ের টেপ খুলে প্যান্টি নামিয়ে পুরো নগ্ন করে গোটা গায়ে সাবান দিয়ে স্নান করিয়ে দেন পরিতোষ বাবু. মেয়ের চুল আঁচড়ানো থেকে খাওয়ানো সব কিছু করে দেন তিনি. খাওনোর সময় মেয়েকে নিজের কোলে বসিয়ে খাওয়ান পরিতোষ বাবু. মেয়ে মধুরিমা ও মনে করে যদি তার মা বেঁচে থাকতো ঠিক এভাবেই নিজের কোলে বসিয়ে খাওতেন. তাই মধুরিমা ও খাওয়ার সময় নিজের থেকেই ফ্রক টা পেছন থেকে তুলে বাবার দুই পায়ের মাঝখানে বসে যেত. বাবা পরিতোষ ও মেয়ে কে কোলে বসিয়ে নিজের হাতে খাইয়ে তৃপ্তি পেতেন. রাতের বেলায় শোবার সময় ও পরিতোষ মেয়েকে নিজের সাথেই সোয়াত কারণ মধুরিমা একাকী ঘুমাতে ভয় পায়. রাতে সে তার বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়. পরিতোষ ও মেয়ে কে শক্ত করে আগলে ধরে রাখেন যেন মেয়ে কে বোঝাতে চান তোর এই পিতা থাকতে তোর কোনো ভয় নেই কোনো সংকট নেই. মা তুই সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত. মাঝে মধ্যেই মধুরিমা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় প্রশাব করে দিতো. পরিতোষ তখন মেয়ের ভেজা ফ্রক ও প্যান্টি খুলে দিয়ে মেয়ের পাছা ও যোনি ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতো. একদিন সেই একই অবস্থা বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে আর মেয়ে ঠান্ডায় কাঁপছে বিছানার এক পাস ভেজা. মেয়ে কে ঢাকা দেবার মতো একটি চাদর ও সে বাইরে রাখনি. নগ্ন মেয়েকে নিজের কাছে টেনে নেয় পরিতোষ. নিজের পরনের লুঙ্গি টিকে খুলে মেয়েকে ঢেকে দেয় সে. ততক্ষনে মেয়ে বাবার স্পর্শ পেয়ে এক হাত দিয়ে গলায় জড়িয়ে ধরে নেয় আর একটা পা তুলে দেয় বাবার কোমরের ওপরে. পরিতোষ মেয়ের দিকেই পাশ ফিরে শুয়ে ছিল. আচমকা তার হাতটা মেয়ের পিঠে চলে যায়. শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নেই সে. দুজনেই নগ্ন. বাপ্ বেটির বুক ঠেকে. পরিতোষের শরীর ঝিনঝিনিয়ে ওঠে. কিছু করার নেই. নড়াচড়া করলে মেয়ের ঘুম ভেঙে যেতে পারে. নিচের দিকে স্ফীত ও শক্ত লিঙ্গ টি কিসে যেন ঠেকছে. নরম ও ফোলা পাউরুটির মতো. ভেজা ভেজা ভাব. মনে হচ্ছে ফোলা পাউরুটির মাঝ খানে কেউ ব্লেড দিয়ে কেটে ওখানে মাখন লাগিয়ে তার লিঙ্গের ডগায় রেখে দিয়েছে. পরিতোষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোমর টাকে বেঁকিয়ে ওপর দিকে দুই বার চাপ দেয়. অনুভব করে মাখন লাগানো রুটির কাটা অংশটিতে তার লিঙ্গ টি ঢুকে যেতে পারে. সে তৎক্ষণাৎ ধড়ফড়িয়ে উঠে পড়ে. ছি ছি ছি কি সব করতে চলেছে সে. এ অন্যায় মহা পাপ. তড়িঘড়ি সে বাথরুমে গিয়ে লিঙ্গের ডগায় জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেয়. তারপর আলমারি থেকে লুঙ্গি ও চাদর বের করে নিজে পরে ও মেয়ে কে চাদর দিয়ে ঢেকে দেয়. অবশেষে দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলে.তার পরেরদিন সকাল বেলা মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে রেডি করে, মেয়েকে নিজের শশুর বাড়িতে দিয়ে আসে. তারপর দুপুরের ট্রেন ধরে নিজের কর্মভূমির উদ্দেশ্য রওনা দেন. ট্রেনে করে যেতে যেতে বাইরের জানালার দিকে মুখ করে সে কি যেন ভাবতে থাকে.মন টা তার খুব ভারী হয়ে আসে. গতরাতের ঘটনা তার মনে পড়ে ধিক্কার জানায় নিজেকে. এর পর প্রায় তিন মাস কেটে যায়. কলকাতা আর যাননি এই কয়েক মাসে শুধু টেলিফোন করে মেয়ের খবর নিয়ে নেন মেয়ের পরিতোষ বাবু. নিজেকে যেন কেমন অপরাধী অপরাধী মনে করছিলেন. তারপর বিগত ছয়মাস হলেও মেয়ের কাছে যাননি. পরিতোষ বাবুর শশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে কারণ জানতে চাইলে তিনি অফিসের কাজের চাপের দোহাই দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন. তবে মেয়ের জন্য মাসিক টাকা তিনি money অর্ডার করে দিতেন. টেলিফোনে মেয়ের সাথে ক্ষনিকের কথায় তিনি মন ভরিয়ে নিতেন. মেয়ে বলতো বাবা তুমি কবে আসবে, তখন পরিতোষ বাবু শুধু বলতেন যাবো রে খুব শীঘ্রই. তারপর দেখতে দেখতে তিনটি বছর পেরিয়ে যায় .পরিতোষ বাবু এই বিগত কয়েকটা বছরে আর কলকাতা ফেরেননি. মেয়ে ও শশুড়বাড়ির লোকজন আসতে বললে শুধুই কাজের অজুহাত দিয়ে ছেড়ে দিতেন. এমন কি মেয়ের বিনীত অনুরোধ ও তার নির্ণয় কে প্রভাবিত করতে পারেনি. তাতে যে মেয়ের মনে বাবার প্রতি ক্ষোভ জন্মেছে তা নয়. বরং মেয়েও তাকে খুবই ভালোবাসে. শুধু এক আধ দিন মেয়ের অভিমান হয়ে যেত এই টুকুই. পরিতোষ বাবু মেয়ের সেই অভিমান ভাঙাতে ভালোই জানেন. অনেক খানি টেলিফোন কল আর কিছু উপহার দিয়েই মেয়ের মনে ভুলিয়ে দিতেন. কতই বা বয়সে হবে তখন মধুরিমার পনেরো কি সোলো. যৌবনের পদার্পণের শুরু মাত্র. সে এখনও কিশোরী. সহজেই ভুলে যায়. মামার মেয়ে পারমিতার সাথেই তার দিন পার হয়.পারমিতা, মধুরিমা র থেকে দুই বছরের ছোট. ওর খেলার সাথী. আর এদিকে পরিতোষ বাবুর কি যে হয়েছে তা উনি জানেন. সে রাতের ঘটনা তার জীবনকে অনেক খানি প্রভাবিত করেছে. সে যেন এক সুপ্ত অপরাধের অপরাধী. যেটা তার মন জানে আর তিনিই. অফিসের কলিগ দের সাথে পরিতোষ বাবুর ভালোই বন্ধুত্ব. নৃপেন সরকার বয়সে তারই সমবয়সী হবেন. তারা দুজনে পাশাপাশি কেবিনে বসেন. খুব রসিক মানুষ নৃপেন বাবু. তা একদিন বাজারে নৃপেন বাবুর সাথে একজন মহিলা কে একসাথে দেখেন পরিতোষ বাবু. মনে করলেন মহিলাটি নৃপেনের স্ত্রী হবেন নিশ্চই. তো বাজারে সেদিন পরিতোষ বাবুকে কে নৃপেন দেখতে পাননি. যাইহোক একদিন ব্যাংকে কাজ করছিলেন পরিতোষ বাবু হটাৎ একটি মহিলা আসে তাঁদের অফিসে., হাতে একখানি টিফিন বাক্স নিয়ে. মহিলা টি সোজা চলে যান নৃপেন বাবুর কাছে. পরিতোষ বাবু সেটা লক্ষ্য করছিলেন. এই মহিলাটি কি সেই মহিলা যাকে তিনি সেদিন বাজারে একসাথে দেখেছিলেন. পরিতোষ বাবু মনে মনে ভাবলেন ‘নাহ’.উনি আলাদা ছিলেন. দুজনে এক না. আলাদা মহিলা. নৃপেন ও ওই মহিলার মধ্যে কথোপকথন ও তাদের অভিব্যক্তি দেখে তো এনাকেই নৃপেনের স্ত্রী বলে মনে হচ্ছে. যাইহোক পরিতোষ বাবু নিজের কাজে মন দিলেন. লাঞ্চ আওয়ার্স এ খেতে খেতে নিজের থেকেই বললেন নৃপেন বাবু ‘দেখেছেন পরিতোষ বাবু সহধর্মিনী আমার কতো খেয়াল রাখে ‘.পরিতোষ বাবু একটু দ্বন্দে পড়লেন. এবং নিশ্চিত হলেন যে ব্যাংকে আসা মহিলাটিই নৃপেন বাবুর স্ত্রী. মনের মধ্যে সেদিনের কথা উঠে এলেও তিনি আর প্রশ্ন করলেন না নৃপেন কে. ভাবলেন বাজারে দেখা মহিলাটি হয়তো নৃপেন বাবুর বোন, বৌদি বা অন্য কোনো আত্মীয় হতে পারে. কারো ব্যেক্তিগত জীবন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিত না পরিতোষ বাবু মনে করেন. এই ভাবে বেশ কয়েকবার নৃপেন বাবুর সাথে আলাদা আলাদা মহিলা দের সাথে দেখেন পরিতোষ বাবু. শুধু ভাবেন এই বিষয় নিয়ে একবার কথা বলবেন নৃপেন বাবুর সাথে. তৎক্ষণাৎ নির্ণয় ও বদলে নেন পরিতোষ বাবু. এভাবে কারোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো. একদিন অফিস ছুটির পর পরিতোষ বাবু বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিলেন. পাশে নৃপেন বাবুও ছিলেন. রাস্তার পাশ থেকে কয়েকটা স্কুল অথবা কলেজ পড়ুয়া মেয়ের দল পেরিয়ে যায়. “আমরা ভুল লগ্নে জন্মেছি পরিতোষ বাবু “-এমন বলে উঠলেন নৃপেন বাবু. “কেনো বলুনতো নৃপেন বাবু “-পরিতোষ বাবু প্রশ্ন করলেন. “না মানে এই যে কচি কাঁচা মেয়ে গুলোকে দেখছেন, উন্মুক্ত পোশাক পরে ছেলে দের হাতে হাত ধরে ঘুরে বেড়াবে, পার্কে বসে চুমু খাবে. সেই আরকি. “.পরিতোষ বাবু মুচকি হাসে. কোনো উত্তর উত্তর দেনআর e না. তৎক্ষণাৎ বাস এসে পড়ে. তারা দুজনেই বাসে উঠে পড়েন. বাসে কয়েকটা মেয়েদের দিকে উদ্দেশ্য করে নৃপেন বাবু বলেন “দেখেছেন ওই সব মেয়েদের পোশাক আশাক. “.”জিন্স লেগ্গিংস নিতম্বের খাজ দেখা যায় “.আর ওড়না, ওটা তো আর দেখাই যায়না মেয়েদের কাছে.”.আর এই অল্প বয়সী মেয়ে দের দেখেছেন, কি করে হয় তাদের ওই এমন স্তন. “মেয়ে গুলোর পাছা দেখুন এই বয়সেও আমার বুকে ব্যথা ধরিয়ে দেয় “.পরিতোষ বাবু সব আনমনা হয়ে শোনেন তার কথা. শুধু “হুম “উত্তর দেন.এহেন উত্তর নৃপেন বাবুর কাম্য ছিলোনা. তাই আবার বলে উঠলেন “আমাদের সময় টা যদি এখন হতো তাহলে খুব ভালো হতো জানেন, কারণ আমাদের সময় কার মেয়েরা তো শুধু শাড়ি আর খুব বেশি হলে চুড়িদার আর সাথে থাকতো বিশাল চাদরের মতো ওড়না “.তখনকার মেয়েদের আপাদত মস্তক কাপড়ে ঢাকা. কোথায় স্তন ও পাছার মাপ নেবেন দাদা”.নৃপেন এর এমন কথায় আবার একবার হেসে ফেললেন পরিতোষ বাবু. “ওই যে দেখছেন মেয়েটা জিন্স পরে কেমন পাছা উঁচিয়ে দাড়িয়ে আছে.”.পরিতোষ বাবু গলা তুলে একটু মেয়েটিকে দেখে নিলেন, ওই আঠারো উনিশ বছর বয়েস. হ্যা সত্যিই মেয়েটি খুব সুন্দরী, বেশ সুঠাম নিতম্ব তার. বাসের জানালার দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটি. আবার মুচকি হাসলেন পরিতোষ বাবু.”যদিও পরিতোষ বাবুর এখনকার কালচার খুব একটা পছন্দ করেননা. উনিও বেশ কিছুটা পুরোনো খেয়ালের মানুষ. তাইতো নিজের মধ্যে সব কিছু কেমন যেন কুলুপ বেঁধে রেখেছেন. “তা আপনার কি আফসোস হয় “-প্রশ্ন করলেন পরিতোষ বাবু. “ নাহ আফসোস হবে কেনো, সময় পরিস্থিতি তে মানিয়ে চলতে হবে এই আরকি “-হেঁসে উত্তর দিলেন নৃপেন বাবু. সত্যিই মানুষ মানুষের জায়গায় আছে সময় পরিস্থিতি বদলে যায়. নিজেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলে নেওয়া টাই সঠিক. মনে মনে ভাবলেন পরিতোষ বাবু. কোনো কিছুর ভুল ভ্রান্তি কে নিয়ে সারা জীবন শাস্তি পাওয়ার কোনো মানে হয়না. “কি মশাই কি ভাবছেন, কোথায় হারিয়ে গেলেন”.প্রশ্ন করলেন নৃপেন বাবু. “আপনার বাড়ি চলে এসেছে এবার নামুন “.-আবার বললেন নৃপেন বাবু. “ও হ্যা ভুলেই গেছি” বললেন পরিতোষ বাবু. বাস থেকে নেমে স্টাফ কোয়ার্টার এর দিকে রওনা দিলেন পরিতোষ বাবু. রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি একটা ফোন করেন শশুরবাড়িতে. মেয়ের সাথে কথা হয়. মেয়ের মিষ্টি গলার স্বর তার মনকে শান্তি দেয়. “বাবা তুমি কেমন আছো “.প্রশ্ন করে মধুরিমা. “হ্যা রে মা ভালোই আছি “.হালকা হেঁসে উত্তর দেন পরিতোষ বাবু. ইদানিং মেয়ে মধুরিমা কে মা বলে সম্বর্ধন করেন পরিতোষ বাবু. “তুই কেমন আছিস রে, তোর পড়াশোনা কেমন চলছে “.হ্যা বাবা আমি খুব ভালো আছি, শুধু তোমার জন্য মন খারাপ হয় “.কথাটা শুনে পরিতোষ বাবুর মন কেঁদে উঠল. কিছক্ষন দুজনেই চুপ. তারপর মেয়ে বলে উঠল বাবা কি হলো. “না রে মা কিছু হয়নি”.”বাবা তিন মাস পর আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা তুমি আসছো তো এখানে.”.প্রশ্ন করে মধুরিমা. “হ্যা মা নিশ্চই যাবো”.বলেন পরিতোষ বাবু. ফোন রেখে দেয়ার পর অনেক্ষন ভাবুক হয়ে থাকেন তিনি. সময় যে প্রতি নিয়ত এগিয়ে চলছে সেটা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন. এই কয়েক দিন আগেকার ছোট্ট মেয়েটি এখন এতো বড়ো হয়ে গেলো বোঝায় গেলো না. সে এখন মাধ্যামিক দেবে. দেখতে দেখতে ষোড়শী হয়ে গেলো তার মেয়ে মধুরিমা. নবযুবতী. মেয়ে কে দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠল তার. কতো দিন দেখেনি তাকে তিন কি চার বছর হয়ে যাবে. মনের মধ্যেই কল্পনা করে নেয় মেয়ের মুখ ও শরীর.যখন শেষ দেখেছিলো তখন মেয়ের ছিল ছিমছাম শরীর. মুখটি ভারী মিষ্টি. আর গায়ের রং ধবধবে ফর্সা. আর এখন কেমন দেখতে হবে সেই মেয়ে কে জানে. মেয়ের সাথে কাটানো মহুর্ত গুলি মনে করতে থাকে পরিতোষ বাবু. সাইকেল এ করে মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া. মেয়েকে নিজের হাতে করে খাওনো. সকালে মেয়ের স্কুল যেতে কান্না সেকি ভোলা যায়. আর সেই কান্না থামানোর জন্য পরিতোষ কি করতেন না, একটা করে লেবেঞ্চস. মেয়ে চুষে চুষে খেতো আর সব ভুলে যেত. এই সব ভেবে পরিতোষ বাবু হাসতে শুরু করলেন. পরক্ষনেই তার মন টা কেমন ভারী হয়ে উঠল.মনে পড়ে গেলো সেই কালো রাতের কথা. কচি মেয়ে মিধুরিমার কুমারী যোনি তে তার উত্থিত লিঙ্গটি ঢুকে যেতে চেয়েছিল. ইস!!!!...সেদিন কি সর্বনাশ টা নাই হতো. মেয়ের নির্লোম, ফোলা ও নরম যোনি. পিচ্ছিল যোনিদ্বারে যদি তার শক্তিশালী লিঙ্গটি পিছলে ঢুকে যেত. সামলে নিয়েছিলেন নিজেকে বলেই. টা নাহলে যদি ঘুমের ঘোরে স্ত্রীর সাথে সহবাস করছে এই ভেবে যদি মেয়ের কোমর ধরে শক্ত করে নিজের ঠাটানো ধোনটা দিয়ে নিজের মেয়ের যোনি মৈথুন করে দিতেন. কি হতো. পারতেন নিজেকে এই সমাজের মধ্যে রাখতে. নিজ কন্যাধর্ষক হিসাবে পরিচিত হতেন তিনি. না..... না... না... !!! এসব অজান্তে হয়ে গেছে. ইচ্ছাকৃত নয়. অন্তরমন চিৎকার করে ওঠে. জানান দেয় তিনি নির্দোষ. আর এজন্য তিনি নিজেকে মেয়ের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন. প্রিয়শ্চিত্ত করছেন. কিন্তু আর কতো দিন. এই সব ভাবতে ভাবতে পরিতোষ বাবু ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন. পরদিন সকালে আবার ব্যাংক. ব্যাংকে গিয়ে তিনি জানতে পারেন একটা বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে যাদের ব্যাঙ্কিং সার্ভিস কুড়ি বছর অতিক্রম করে গেছে তাদের একটা এক্সাম নেওয়া হবে সেটা অতিক্রম করলে মেনেজার পোস্ট দেওয়া হবে. অফিসের সমস্ত সহকর্মী পরিতোষ বাবুকে উৎসাহিত করলেন. নৃপেন বাবু বললেন “লেগে পড়ুন মশাই এটা আপনার প্রাপ্য “, আপনার মতো ধীর স্থির মানুষের প্রয়োজন এই ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে, আর এমনিতেই আমাদের বর্তমান ম্যানেজার কিছু দিন পর রিটায়ারমেন্ট করবেন.”.”কেনো আপনার কুড়ি বছর সার্ভিস হয়নি “.প্রশ্ন করলেন পরিতোষ বাবু নৃপেন বাবুকে. “আরে কোথায় দাদা আমরা সমবয়সী হলেও, অভিজ্ঞতার দিক থেকে আপনার থেকে ছোট মশাই “.হেসে উত্তর দিলেন নৃপেন বাবু. এদিকে পরিতোষ বাবু মনে মনে খুব খুশি হলেন. প্রমোশন কে চাইনা বলুন. এদিকে বাবার প্রমোশন এর এক্সাম আর ওদিকে মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা. যদিও বাবাকেই আগে পরীক্ষা দিতে হলো. পরিতোষ বাবু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন. খুশির খবর. মেয়েকেও জানালেন খুশির খবর. কিন্ত সমস্যা টি হলো মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই পরিতোষ বাবুর ট্রেনিং পড়ে যায় তাও আবার মুম্বাই এ. মেয়ে কে কে জানাতে সে অনেক কান্না কাটি করে. পরিতোষ বাবুও মেয়েকে খুশি করার জন্য একখানি মোবাইল ফোন উপহার দেবার আশ্বাস জানান. মেয়ে কিছুটা হলে পরিতোষ বাবুর প্রস্তাব মেনে নেয়. তিনমাস পর মেয়ের মাধমিক পরীক্ষা শুরু হয়. পরিতোষ বাবু জানতে পারেন যে মেয়ের পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে. আর এদিকে তার ও ট্রেনিং পুরো দমে চলছিল. ট্রেনিং শেষে মেয়েকে দেখবে তার উপায় ছিলোনা. ব্যাংকের নতুন নতুন ম্যানেজার হয়েছেন. কাজে ফাঁকি দিলে একদম চলবে না. অগত্যা মেয়ের সাথে আর দেখা করা হলোনা. একদিন তার কোয়ার্টার এ কলকাতা থেকে চিঠি আসে তাতে মেয়ের হাতের লেখা কিছু কথা তারপর মেয়ের মাধ্যমিক এর রেজাল্ট, মেয়ে ষ্টার পেয়েছে সেটা দেখে তিনি খুব খুশি হন. অবশেষে খামের ভেতর থেকে একখানি ছবি বেরিয়ে আসে. সেটা তার মেয়ে মধুরিমার ছবি সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়না. গতবার মেয়েকে যেমন দেখেছিলেন তার থেকে বেশ বড়ো হয়ে গেছে মধুরিমা. ফর্সা টুসটুসে, গোল মুখখানি, টিকালো নাক আর বড়ো বড়ো চোখ দুটি. মেয়ে বড়ো হলেও শরীরের তেমন পরিবর্তন হয়নি. আগেও রোগা ছিল আর এখনও রোগাই আছে. ছবিটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে একটা টেলিফোন করে পরিতোষ বাবু. মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য.. ফোনের ওপাশে মধুরিমায় থাকে. “হ্যা তোর চিঠিটা আজ পেলাম “বাবা পরিতোষ বলেন মেয়েকে. “তুই ভালো রেজাল্ট কিরেছিস দেখে আমি খুব খুশি “.মধুরিমা হাসতে থাকে আর বলে “এসব তোমাদের আশীর্বাদে র ফল বাবা “.মেয়ের এমন কথা শুনে খুশি হন বাবা পরিতোষ. “হ্যা মা তুই আরও ভালো রেজাল্ট কর এটাই আশির্বাদ করি “.কিছু ক্ষণ চুপ থাকার পর পরিতোষ বাবু বললেন, “তবে মা তোর শরীর এতো খারাপ হয়ে গেছে কেনো, সেই রোগা হয়েই আছিস “.মেয়ে বলে “না বাবা আমি রোগা হয়নি আসলে সবাই বলছে আমি লম্বা হচ্ছি তাই এমন রোগা লাগছে “.মেয়ের কথা শুনে পরিতোষ বাবু আশ্বাস নেন. বলেন “খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করিস মা “.”হ্যা বাবা তুমিও শরীর এর যত্ন নিয়ো “মধুরিমা বলে ফোন টা রেখে দেয়. রাতের খাবার খেয়ে শুতে যাবার আগে বিছানায় বসে চশমা পরে মেয়ের ছবি টাকে ভালো করে দেখে. আর ছবির মধ্যেই মেয়ের গালে কপালে চুমু খেয়ে নেয়. কয়েক দিন পর পরিতোষ বাবু আবার একদিন নৃপেন বাবুকে দেখলেন একটি মহিলার সাথে তবে এই মহিলা আগের দুই মহিলার থেকে আলাদা অন্য কেউ. পরিতোষ বাবু এটা বুঝে উঠতে পারছেন না এরা কারা. মনে মনে ভাবেন জিজ্ঞাসা করবেন কিন্তু ভুলে যান. তাছাড়া অন্যের বিষয়ে নাক গোলাননা পরিতোষ বাবু. এই ভাবেই কয়েক মাস কেটে গেলো. মেয়ে মধুরিমার সাথে ফোনেই কথা হতে থাকে পরিতোষ বাবুর. একদিন পরিতোষ ব্যাংকে নিজের কাজ করছিলেন. পরিতোষ ব্যাংক ম্যানেজার তাই আলাদা রুম. হঠাত একটি বয়স আঠারোর যুবতী মেয়ে তার কেবিনের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে. পরিতোষ বাবু মেয়েটিকে দেখে থতমত খেয়ে যায়.”মধুরিমা”এখানে. পরক্ষনেই বুঝতে পারেন এ মেয়ে মধুরিমা নয়. আলাদা মেয়ে তবে অনেকটা তার মেয়ের মতোই দেখতে. “স্যার আমি নতুন একাউন্ট বানাতে এসেছি “.মেয়েটা পরিতোষ বাবুকে বলল. “হ্যা তুমি বাইরে একটা ফর্ম নিয়ে সেটা ফিলআপ করে, ওখানে জমা করে দিয়ো “.পরিতোষ বাবু বললেন. মেয়েটি আবার বলল “না মানে স্যার আমার ভ্যালিড আই ডি শুধু কলেজ আইডি আছে,আপনি যদি এটাকে অপ্প্রভ করে দেন তাহলে উপকৃত হবো “.পরিতোষ বাবু মেয়েটির আর্জি ফেলতে পারলেন না. ওনার মেয়েটাকে দেখে শুধু নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল. “আচ্ছা ঠিক আছে তোমার নাম কি? বলো আমি একটা এপ্লিকেশন করে দিচ্ছি “-পরিতোষ বাবু বললেন. “আজ্ঞে মধুমিতা সান্যাল “-মেয়েটি জবাব দেয়. আশ্চর্য !!কি নামের মিল তার মেয়ের সাথে. মধুরিমা মধুমিতা. যেন দুই কন্যা পরিতোষ বাবুর. যাইহোক কি সব আকাশ কুসুম ভাবছিলেন পরিতোষ বাবু. সেদিন ব্যাংক থেকে বাড়ি ফেরার সময় আবার নৃপেন বাবুর গাঁজা খুরি গল্প শুনতে শুনতে আসতে হয়েছিল তাকে. পরিতোষ বাবুর একবার ভাবলেন নৃপেন বাবুকে সেদিন গুলির কথা জিজ্ঞাসা করবেন কিন্তু পারলেন না. শুধু এটুকু জিজ্ঞাসা করলেন নৃপেন বাবুর বাড়িতে কে কে আছেন. নৃপেন বাবু জানান যে তার বাড়িতে শুধু তিনি আর তার স্ত্রী থাকেন. অর্থাৎ নৃপেন বাবু নিস্সন্তান. তবে কে ওই মহিলা গুলো?পরিতোষ বাবুর আর বুঝতে অসুবিধা হলো না. যাইহোক কোনো লোকের বেপারে এতো আগে থেকে খারাপ চিন্তা ভাবনা করা উচিত হবে না. বাস থেকে নেমে বাড়ি চলেযান পরিতোষ বাবু. রাতে বসে বসে শুধু ভাবেন মধুরিমা মধুমিতা কত মিল দুজনের. যেন একই বাবা মায়ের সন্তান তারা. আর কোনো দিন দেখা হবে কি মধুমিতার সাথে. এভাবেই দিন পার হতে থাকে. পরিতোষ বাবু নিজের কাজ কর্ম মনোযোগ দিয়ে করতে থাকেন. মেয়েকে এখন উচ্চ শিক্ষা দেওয়াতে হবে এই তার চিন্তা ভাবনা .মাধ্যমিক পাশ করার পর বাবার উপদেশই বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা আরম্ভ করে দিয়েছে মধুরিমা. এখন প্রায় প্রতিদিন মেয়ের সাথে কথা হয় পরিতোষ বাবুর. মেয়ের সুমিষ্ট গলার আওয়াজ তাকে কেমন এক আলাদা অনুভূতি দেয় সেটা তিনি বুঝতে পারেন না. একদিন ব্যাংকে বসে তার যথেষ্ট জমা পুঁজি দেখা সোনা করছিলেন. এতো দিনের কর্মজীবনে যথেষ্ট সঞ্চয় করে নিয়েছেন পরিতোষ বাবু. এতেই মেয়ের উচ্চ শিক্ষা আর বিয়ে স্বচ্ছন্দ ভাবে হয়ে যাবে. বিয়ে !!!.মেয়ের বিয়ের কথাটা মাথায় আসতেই বুকটা কেঁপে পরিতোষ বাবুর. মনে মনে বলে উঠলেন না !!.তিনি মেয়ের সাথে যথেষ্ট সময় কাটাতে পারেন নি. আর মেয়ের বয়স কতই বা হয়েছে ওই ষোলো সতেরো. বিয়ে দিতে অনেক দেরি. দূরে থাকলেও মেয়েকে নিজের জীবন থেকে দূরে সরাতে চাননা পরিতোষ বাবু. মেয়েকে যে বড্ডো ভালোবাসেন তিনি.
 
next update


. চোখের চশমা টা খুলে ফেলেন পরিতোষ বাবু এই সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে মাথা ধরে আসে তার. কেবিন থেকে বেরিয়ে এসে নৃপেন বাবুর কাছে যান কিছু ক্ষণ গসিপ করার জন্য. নৃপেন বাবু রসিক মানুষ তার কাছে গল্প করার টপিক এর অভাব হয়না. তবে বেশির ভাগ ওই ধরণের. প্রেম ভালোবাসা অবৈধ সম্পর্ক পরকীয়া ইত্যাদি. পরিতোষ বাবুর কাছে এগুলো অনেক সময় অসহ্য হয়ে দাঁড়ায়. মনে মনে ভাবেন এনার কাছে কি যৌনতাই সর্বপরি. সেদিন ব্যাংকে ছুটি হবার পর ভিড় বাসে তরুণী মেয়েদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তাদের চুলের গন্ধ নিতে দেখেন পরিতোষ বাবু তাকে. এমনিতেই বেশ কয়েকবার পর মহিলার সাথে নৃপেন বাবু কে দেখে তার প্রতি যে সম্মান বোধ টুকু ছিলো সেটাও খোয়াতে চলেছেন তিনি. তবে হ্যা কারোর প্রতি তিনি কেমন মনোভাব রাখেন ভালো বা খারাপ সেটা পরিতোষ বাবু কাউকে জানান দেন না. সবার সাথেই যথেষ্ট ভালোভাবে মেশেন তিনি. সে হেতু নৃপেন বাবুর প্রতি সঠিক যে মনোভাব টা আছে সেটা তিনি একপ্রকার গোপন করেই রেখেছেন. পরিতোষ বাবু ব্যাংক ম্যানেজার হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকের গাড়িতে যাতায়াত খুব কম করেন. বাসেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেন. আর নৃপেন বাবুর মতো হরবোলা লোক সহযাত্রী থাকলে তো বলার কিছুই নেই. তা একদিন ব্যাংক থেকে বাড়ি ফেরার সময় যখন পরিতোষ বাবু বাসের জানালার ধারে বসে আনমনা হয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছিলেন, হঠাৎ একটি মেয়ের গলার আওয়াজ শুনতে পেলেন. “কাকু একটু সরবেন প্লিজ “.মেয়েটির কথা সোনা মাত্রই তিনি আরও জানালা ঘেঁষে সরে এলেন. পরিতোষ বাবু তখনও মেয়েটির দিকে তাকান নি.”আরে স্যার আপনি !!!”মেয়েটি সজোরে বলে ওঠে পরিতোষ বাবুকে দেখে. তখন পরিতোষ বাবু মেয়েটির দিকে তাকান. মনে মনে ভাবেন আচ্ছা সেই মেয়েটি না. কি যেন নাম “মধুমিতা “.মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে হেঁসে বলে “এমা আমি আপনাকে কাকু বলে দিয়েছি সরি সরি... “ আপনি ব্যাংকের ম্যানেজার না “.পরিতোষ বাবু মেয়েটিকে হেঁসে উত্তর দেন, “না না ঠিক আছে তুমি আমার মেয়ের মতোই “, এতে কোনো অসুবিধা নেই “.অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, ব্যাংকের একাউন্ট টা খুলে দেওয়ার জন্য”.মধুমিতা পরিতোষ বাবুকে বলে. এভাবেই বেশ কয়েকবার মধুমিতার সাথে দেখা হয়ে যেত পরিতোষ বাবুর. তবে বেশির ভাগ ওই বাসের মধ্যেই মধ্যেই. যখনি পরিতোষ বাবু এই মেয়েটি অর্থাৎ মধুমিতাকে ভুলতে বসতো. হঠাৎ করে করে মধুমিতা পরিতোষ বাবুর কাছে আবিরভাব হয়ে যেত. যেন মেয়েটি এটা জানান দিতে চাই যে সে তার জীবনে কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে. বাসের মধ্যেই যেটুকু আলাপ হয়েছে তাতে মেয়েটির বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন. মধুমিতা তাদের ব্যাংক পেরিয়ে আরও এক কিলোমিটার দূরে স্থিত একটি প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী. বেশ মেধাবী. বাড়িতে মধুমিতা তার মা ও বাবার সাথে থাকে. মা গৃহিনী আর বাবা স্কুল শিক্ষক. পরিতোষ বাবুও মধুমিতাকে নিজের সম্বন্ধে অনেক কিছু বলেছেন. তার বাড়ি কোথায়, আপন বলতে কে কে আছেন ইত্যাদি.. পরিতোষ বাবু মধুমিতাকে এটাও জানান যে ওর মতো তারও একটি মেয়ে আছে. এটা শুনে মধুমিতার ও বেশ খুশি হয়. তবে হ্যা এই কয়দিনে মধুমিতার সাথে আলাপে পরিতোষ বাবু তাকে নিজের মেয়ের মতো মনে করতে শুরু করে দিয়েছে সেটা তিনি জানান নি. মধুমিতার প্রতি তার পিতৃ সুলভ স্নেহ ভালোবাসা তিনি তার মনেই দমন করে রেখেছেন. আসলে পরিতোষ বাবু বড্ডো চাপা স্বভাবের মানুষ.

একদিন হঠাৎ হঠাৎ বাসের মধ্যে পরিতোষ বাবু আর মধুমিতা কে নৃপেন বাবু দেখে কেমন একটা বিশ্রী ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গি করে বলেন –“বেশ কয়েকদিন ধরেই আপনাদের দেখছি মশাই, কি প্রেম ট্রেম নাকি, কচি মেয়ে ভালোই অনুভূতি দেবো আপনাকে “-কথাটা পরিতোষ বাবুর কানে এলো ব্যাপারটা তিনি ভালোভাবে নিলেন না. ক্ষনিকের মধ্যে রেগে গেলেন, তাতেও নিজেকে নিজেকে সংযম করে ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিলেন বললেন, -“ও আমার মেয়ের মতো “. “আরে রাখুনতো মশাই মেয়ের মতোঃ “-একটু জোর দিয়েই বললেন নৃপেন বাবু. আবার বললেন, -“আজ কাল কেউ ওতো “বাপ্ -বেটির” সম্পর্ক বানাতে আসে না, সবাই একে ওপরের স্বার্থ দেখে, আর স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে চলে যায় “, তাছাড়া ও কি আপনার নিজের মেয়ে নাকি মশাই “.-এসব শুনতে শুনতে বাসের মধ্যে আসছিলেন পরিতোষ বাবু মনের মধ্যে চাপা রাগ নৃপেন বাবুর প্রতি. বেশি আর কথা বাড়ালেন না. এমনি তেও কথা বাড়ানো মানে নৃপেন বাবুর সাথে বিভেদ সৃষ্টি করা. তিনি এতো দিনে এটা বুঝলেন যে নৃপেন বাবুর চিন্তাভাবনা আর তার চিন্তা ভাবনা এক না. বিস্তর ফারাক আছে.

বাড়ি ফিরে রাতে খাওয়া দাওয়ার পর বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে এটাই চিন্তা ভাবনা করতে লাগলেন পরিতোষ বাবু. বাসের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বার বার তার মাথায় আসছিলো. এক বার নৃপেন বাবুর কথা একবার মধুমিতার কথা. নৃপেন বাবু কি বলতে চাইছেন?. একটি মেয়ের আঠারো বছর বয়সী, আর আমি পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ মানুষ. সেতো আমার মেয়ের মতোই হলোনা?. তাতে নৃপেন বাবু এমন কেনো বললেন. আমি একজন হতো ভাগা মানুষ. সব সুখ থেকে বঞ্চিত. কাউকে পিতৃ স্নেহ দিতে চাই এতে অসুবিধা কোথায় আছে. আমার জীবন আমি যেভাবে বাঁচতে পারি সেটা অন্য কেউ কেনো নির্ধারণ করে দেবে. এটা তো উচিত না. পরিতোষ বাবু অনর্গল চিন্তা করে গেলেন. তিনি মনে মনে ভাবলেন এর পর যদি কোনো দিন নৃপেন বাবু এমন কথা বলেন তাহলে তিনি তার যোগ্য জবাব দেবেন.

পরদিন সকাল বেলা মেয়েকে ফোন করে. বেশ কিছুক্ষন কথা বলেন পরিতোষ বাবু. নিয়মিত মেয়ের গলার শব্দ সোনা চাই পরিতোষ বাবুর. মেয়ের গলার আওয়াজ শুনলে মনে হয় এই পৃথিবীতে আপন বলে কেউ আছে তার. সেদিন কথায় কথায় মেয়েকে একটি প্রশ্ন করে পরিতোষ বাবু, -“আমি খুব বাজে বাবা তাইনা”.মধুরিমা কথাটা সোনার পর কিছুক্ষন চুপ করে থেকে যায় তারপর উত্তর দেয়, “কেন বাবা তুমি এমন কোনো বলছো, তুমি সবার থেকে ভালো বাবা, তোমার মতো মানুষ হয়না”.কথাটা সোনার পর পরিতোষ বাবু একটু ভাবুক হয়ে উঠলেন. ও দিকে মেয়ে আবার তাকে প্রশ্ন করল, “বলো বাবা তুমি এমন কেন ভাবছো “.”না রে মা এমনি মনে এলো তাই করলাম “.দেখতে দেখতে অনেক খানি সময় হয়ে এসেছে তাকে ব্যাংক যেতে হবে. তাই মেয়েকে ফোন টা রেখে দিতে বলে পরিতোষ বাবু ব্যাংকের উদ্দেশ্য রওনা হলেন.

ব্যাংকে সারা দিন নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন তিনি এমনিতেও নৃপেন বাবুকে এড়িয়ে চলছিলেন তিনি. কেবিনের টেবিলের উপরে রাখা পেপার তার ওপর চোখ গেলো পরিতোষ বাবুর. পেপারটি খুলে চোখ বোলাতে লাগলেন. একটা কলামের একটা খবর দেখতে পেলেন “একটি বছর পনেরো বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে “.হেডলাইন টা পড়েই পেপারটা রেখে দিলেন তিনি. চোখ থেকে চশমা টা খুলে রুমাল দিয়ে চোখ দুটি মুছে আবার চশমা টা পরে নিলেন.

রাতের বেলা খাবার খেয়ে আবার তিনি পেপারে পড়া খবরটার কথা মনে করতে লাগলেন. বছর পনেরো মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে.

সেই কালো রাতের কথা মনে করতে লাগলেন তিনি. সেদিন সঠিক ভাবে কি হয়ে ছিলো তার মনে নেই. সেদিন কি হয়ে ছিল. তিনি ও তার মেয়ে নগ্ন অবস্থায় একসাথে জড়িয়ে ধরে শুয়ে ছিলেন. নাঃ মেয়ে সেদিন তার গলায় হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ছিল. মেয়ের পা ছিল তার কোমরের ওপরে. তার লিঙ্গ কি মেয়ের যোনিতে প্রবেশ করেছিল. তিনি কি মেয়ের যোনি মৈথুন করেছিলেন. নাঃ. পরিতোষ বাবু পাজামা টা খুলে নিজের লিঙ্গটাকে বের করলেন .বেশ মোটা আর লম্বা. লিঙ্গের ডগাটাও বেশ ফোলা. না এই লিঙ্গ দিয়ে তার মেয়ের কুমারী যোনি মৈথুন করা যাবে না. মেয়ে খুব ব্যথা পেতো. তাহলে লিঙ্গের ডগায় ওই চ্যাটচেটে পদার্থ. ওটাতো তার মেয়ের যোনি রস এটা অস্বীকার করা যাবে না. তাহলে মেয়ের যোনিতে কিছুটা তার লিঙ্গ প্রবেশ করে ছিল. মেয়ের যোনি বেশ ফোলা আর যোনি ওষ্ঠ বেশ প্রসারিত তাই বাবার লিঙ্গের আঘাত সহ্য করে নিয়ে ছিল. পরিতোষ বাবু মনে মনে ভাবতে লাগলেন তিনি অজান্তে কোনো দিন মেয়ের দুধ টিপেছেন কিনা. মন থেকে উত্তর এলো না. কখনো না. সে সময় মেয়ের স্তন অতটা উন্নত হয়নি. টা মেয়ের সে রাতের কি কোনো কথা মনে আছে. সেকি সেদিন কোনো ব্যথা অনুভব করেছিল. এসব নানান চিন্তা করতে থাকলেন.নিজেকে অনেক খারাপ মানুষ ও বাবা মনে করলেন.

পরদিন সকালে আবার মেয়েকে ফোন করলেন. মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলেন. “মা আমি তোকে জীবনে কোনো দিন আঘাত দিয়েছি. “. মেয়ে তো এসব শুনে আবার থতমত. বাবার কি হয়েছে কি সব বলছে কিছুই বুঝতে পারছে না. “হ্যা বাবা আমি ছোট থেকে আঘাত পেয়েছি “.মেয়ের কথা শুনে পরিতোষ বাবু চমকে ওঠেন. মেয়ে আবার বলে, “বাবা আমি তোমায় খুব ভালো বাসি তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে বলো. হ্যা শুধু একটাই আঘাত সেটা হল আমি ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি. আর তুমিও আমার কাছে নেই. এছাড়া আমার কোনো আঘাত নেই বাবা “.মেয়ের কথায় আসস্থ হলেন পরিতোষ বাবু . নিশ্চিত হলেন যে তিনি মেয়েকে কোনো রকম আঘাত দেননি. আর মেয়ের সে রাতের কোনো কথায় মনে নেই. মেয়ে মধুরিমা তাকে খুব ভালোবাসে, এ কথাটা পরিতোষ বাবুর মনকে খুব রোমাঞ্চিত করে তোলে. খুশি খুশি তিনি ফোনটা রেখে ব্যাংকের উদ্দেশ্য রওনা দেন.

ব্যাংকে সারাদিন কাজকর্ম করার পর বাড়ি যাবার জন্য তিনি আর নৃপেন বাবু একসাথে বাসে ওঠেন. বাসে ওঠার পরে পরেই তিনি বাসের চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নেন . কোথাও মিধুমিতা বসে আছে কিনা দেখার জন্য. তক্ষুনি নৃপেন বাবু, পরিতোষ বাবুর কাঁধে হাত দিয়ে নাড়া দিয়ে বলেন, “আপনি যাকে খুঁজছেন মশাই ওতো ওই সিটে বসে আছে, দেখুন দেখুন “.পরিতোষ বাবু মধুমিতার দিকে চোখ ফেরালেন. দেখলেন একটা অল্প বসয়ী ছেলের সাথে মধুমিতা গল্পে বেশ মশগুল. “কি ভাবছেন মশাই ওটা ওর বয়ফ্রেইন্ড, মানে প্রেমিক আরকি “.ব্যাঙ্গ হাঁসি হেঁসে কথাটা বললেন নৃপেন বাবু. পরিতোষ বাবু তার কথায় উত্তর দিলেন না. চুপচাপ দুজনে মিলে সিটে বসলেন. পরিতোষ বাবু মনে মনে ভাবলেন আজ হয়তো তার আর মধুমিতার সাথে কথা বলা হবে না. তাই তিনি চুপচাপ বসেই রইলেন. “কি মশাই মেয়েকে প্রেমিকের সাথে দেখে মন খারাপ নাকি অন্যকিছু “.নৃপেন বাবু আবার বললেন. পরিতোষ বাবু কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে গেলেন. মনের কোথাও একটা অবসন্নতা অনুভব করছিলেন. কিছু ক্ষণ পর দেখলেন মধুমিতা আর ওই ছেলেটা দুজন মিলে বাস থেকে নামার জন্য এগিয়ে আসছে. পরিতোষ বাবু তাদের দিকে চাইলেন. “দেখেছেন মশাই মেয়ের পোদের মোচড়? “.কথাটা পরিতোষ বাবুর কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলো. মাথা গরম হয়ে আসছিস. হঠাৎ তখনি তার নজর মধুমিতার দিকে চলে যায়. মেয়েটি সেদিন একটা চুড়িদার ও লেগ্গিংস পড়েছিল. সাদা রঙের টাইট লেগিন্স. মেয়েটির পা থেকে থাই দিয়ে চলে গিয়ে নিতম্ব কে প্রলিপ্ত করেছে. হ্যা সত্যিই মধুমিতার নিতম্ব বেশ সুগঠিত. যেন ওল্টানো তানপুরা. বেশ উঁচু আর বেশ গোল. দুই দিকে সামান্য চাপা. গাঢ় গোলাপি রঙের শর্ট চুড়িদার ও যেন তার পশ্চাৎ দেশ কে ঢাকতে ব্যর্থ. যখন হেঁটে হেঁটে মধুমিতা বাস থেকে নামছিলো. তার সুন্দরী নিতম্ব জোড়া বৃত্তাকার গতিতে কম্পিত হতে লাগছিলো .পরিতোষ বাবু কেমন যেন তার মনে মনে পাতানো কন্যা মধুমিতার নিতম্বদেশে হারিয়ে গেলেন. মনে মনে ভাবলেন মধুমিতাকে আজ যেন তিনি আলাদা ভাবে দেখছেন. “কোথায় হারিয়ে গেলেন মশাই, আপনার নামার সময় এসেগেছে “.নৃপেন বাবুর কথাটা সোনার পর পরিতোষ বাবু সম্বিৎ ফিরে পেলেন.



সেদিন রাতের বেলা তিনি আবার শুয়ে শুয়ে ভাবছিলেন. আজ তার মন টা কেমন যেন অস্থির অস্থির মনে হচ্ছে. এমন তো সচরাচর হয়না তার. যেন কোনো একটা জিনিসে তার মনটা আটকে আছে. কিসের জন্য হতে পারে সেটা তিনি ভাবতে থাকলেন. বাসের মধ্যে মধুমিতার ব্যাপার টা কি?. ওই ছেলেটার সাথে মধুমিতার সান্নিধ্য কি তিনি মেনে নিতে পারছেন না. নাকি অন্যকিছু. না সত্যিই হঠাৎ করে মধুমিতার সাথে ওই ছেলেটার সাথে হাঁসি হাঁসি কথা দেখে তার হিংসা হচ্ছে. হিংসা কেন হবে মিধুমিতা কে হয় তার. একটা মেয়ের বয়সী মেয়ে. দুদিনের আলাপ. তাতে এমন হিংসা জন্মাবার কারণ না. তাহলে কি সত্যিই তিনি মনে মনে মধুমিতাকে নিজের মেয়ের মতো ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন. যেন নিজের ঔরস জাত কন্যা. মধুমিতা. তার পিতা পরিতোষ. থামুন থামুন পরিতোষ যদি নিজেকে মধুমিতার পিতা মনে করেন তাহলে, তাহলে কোনো পিতা কি তার কন্যার লাস্যময়ী নিতম্ব দেখে শিহরিত হন. না মধুমিতা যথেষ্ট সুন্দরী মেয়ে আর হয়তো নিতম্বটি তার শরীরের সবচেয়ে সুন্দরী অঙ্গ. তাই নজর চলে গিয়েছিল. আরে ছাড়ুন মশাই. পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েই ধরুন আপনার কন্যা আর তারও একখানি সুগঠি নিতম্ব আছে. তাহলে কি হবে, তাতেও কি আপনার লিঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হবে. তা দেখে আপনি শিহরিত হবেন. ধরুন আপনার মেয়ে মধুরিমায় সুকোমল পাছার অধিকারিনী হয় তাহলে কি আপনি আপনার লিঙ্গ নিয়ে তার পশ্চাৎ দেশে ঢোকাতে যাবেন. না না..... না !!!.পরিতোষ বাবু চিৎকার করে উঠলেন. অনেক জোরে জোরে নিঃস্বাস পড়ছিল তার. হাঁফাছিলেন. ক্লান্ত হয়ে

পড়ে ছেন ঘুম আসছে তার.
 
দাদা আপনাকে এই সাইটে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছি। আপনার তিনটি গল্পের নিয়মিত পাঠক। এই গল্পটাও সেরা। যদিও আরো আশা ছিলো তবুও এটা সেরা। আপনার লেখার প্রেমে পড়ে গেছি দাদা। আশা করি নির্জন মেলায় আপনি আপনার গল্প দিয়ে সবাইকে অভিভূত করে দিবেন।
 
দাদা আপনাকে এই সাইটে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছি। আপনার তিনটি গল্পের নিয়মিত পাঠক। এই গল্পটাও সেরা। যদিও আরো আশা ছিলো তবুও এটা সেরা। আপনার লেখার প্রেমে পড়ে গেছি দাদা। আশা করি নির্জন মেলায় আপনি আপনার গল্প দিয়ে সবাইকে অভিভূত করে দিবেন।
আপনার মন্তব্য পড়ার পর কেমন একটা বিদেশে পরিচিত মানুষের সাথে আলাপের মতো অনুভুতি হছে। 😃😃 হ্যাঁ এখানকার নাম অনেক সুনেছিলাম তাই এলাম। রেসপন্স একটু মন্থর তাতেও কাজ চালিয়ে নিছি। আপনাকে পেয়ে উৎসাহ বাড়ল আমার। সঙ্গে থাকুন। অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্য করার জন্য। ওখানে আপনার কি নামে id আছে??
 
next update


পরদিন সকালে ঘুম ভাঙলো তার. শরীর খুব ক্লান্ত. মাথা যেন টিস্ টিস্ করছে যন্ত্রনায়. গতকাল দিন রাতের কথা মনে করছেন. মধুরিমার কথা মাথায় এলো নিজের মেয়ের নিয়ে অনেক কিছুই ভেবে নিয়েছেন তিনি. তারপর হঠাৎ ওই মেয়েটি মধুমিতার সম্বন্ধে তিনি ভাবতে লাগলেন. মধুমিতার উষ্ণ শারীরিক গঠন তাকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল গতকাল. মেয়েটির নিতম্বটি বেশ সুগঠিত. পরিতোষ বাবুর মনে গেথে আছে সে দৃশ্য. বিশেষ করে মধুমিতা যখন হাঁটছিলো. মেয়েটির পাছার দুলুনি তার হৃদয় কে একটা তীব্র কম্পনের অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছিল. ব্যাপার টা খুব বিশ্রী. পরিতোষ বাবু মধুমিতাকে কন্যা তুল্য মনে করেন. তাতে এমন অনুভূতি হওয়াটাকে অপরাধ মনে করেন. মেয়ে মধুরিমার সাথে মধুমিতার অনেক সাদৃশ আছে বলে পরিতোষ বাবুর ধারণা. তাহলে কি তার নিজকন্যার শরীরও এমন ভাবে উর্বর হয়ে উঠেছে. মধুরিমাও কি এমন সুগঠিত নিতম্বের মালকিন হয়ে উঠেছে .বুকে যেন একটা তীব্র কম্পন উঠে গেলো. যার পরিনাম স্বরূপ সারা শরীরের একটা বৈদ্যুতিক প্রবাহের অনুভব হলো. ধ্যাৎ!!! কি সব উল্টো পাল্টা চিন্তা করছেন তিনি. মনকে ধিক্কার দিলেন তিনি. বিছানা থেকে উঠে পড়লেন.

প্রাতরাশ করার পর ঘড়িতে দেখলেন অনেক খানি সময় পেরিয়ে গেছে. নাঃ আজ আর ব্যাংক যাওয়া হবে না. আজ বরং ছুটি নিয়েনি. পরিতোষ বাবু ব্যাংক এ ফোন করে জানিয়ে দিলেন তিনি আজ যেতে পারবেন না. বেলা দশটার পর নিজেকে কিছুটা চনমনে মনে হচ্ছিলো. টিফিনটা সেরে নিলেন. মেয়ের কথা মনে পড়লো.

মেয়েকে ফোনটা লাগলেন তিনি.

ফোনটা তোলা মাত্রই মেয়ে মধুরিমার মধুর গলার আওয়াজ শুনতে পেলেন তিনি, “বাবা তুমি কেমন আছো “.

মেয়ের কণ্ঠস্বর শুনে হৃদকম্পনের অনুভূতি হলো পরিতোষ বাবুর. “হ্যা রে মা আমি ভালোই আছি, তুই কেমন আছিস বল “.

“হ্যা বাবা আমি খুব ভালো আছি “-মেয়ে মধুরিমা বলল.

“আজ তোর স্কুল নেই? “, প্রশ্ন করলেন পরিতোষ বাবু.

“না বাবা আজ আমার স্কুল নেই “.

মেয়ের আজ স্কুল নেই শুনে মনে মনে একটু স্থির করে নিলেন যে আজ তিনি মেয়ের সাথে একটু বেশি ক্ষণ কথা বলবেন. একটু প্রানভরে. একটু গভীরে.

বাবাঃ!!! ফোনের ওপার থেকে মেয়ের স্নেহ ভরা ডাক. তাতে পরিতোষ বাবুর মনকে ব্যাকুল করে তুলল. পিতা আর কন্যার মধ্যে একটা আলাদা বন্ধন থাকে. যেটা পিতা ও পুত্রের মধ্যে কখনোই তৈরী হয়না বা দেখা যায়না. পিতা পুত্রীর বন্ধনের মধ্যে একটা আলাদাই অনুভূতি আছে . সেটা একমাত্র যিনি কন্যার পিতা হয়েছেন তিনিই জানবেন বা অনুভব করেছেন . মেয়ের কাছে তার বাবা তার আবদারের মানুষ. মেয়েরা সর্বদাই জানে যে তার পিতা তার সব ধরণের আবদার মেনে নেবেন. অনেক সময় বাবা মেয়ের কাছে তার প্রথম ভালোবাসা ও প্রথম পুরুষ হয়ে দাঁড়ায়. তাই মেয়েরা পিতার গুণসম্পন্ন পুরুষ কে নিজের পতি হিসাবে গ্রহণ করতে চায়. মেয়েরা চাই তার স্বামীর মধ্যে যেন তার পিতার গুন বিদ্যমান থাকে. কারণ সে ছোট থেকে এটাই দেখে আসছে যে তার পিতা তার প্রতি কতোটা দায়িত্বশীল.

পিতা পুত্রীর সম্পর্ক অনেক গভীর ও অনেক সুখ দায়ক. মেয়ে যখন জন্ম হয়. তারপর থেকে বাবার কোলে কাঁধে মানুষ হয় . তখন পিতা পুত্রীর সম্পর্ক আলাদা থাকে. তারপর যখন মেয়ে আসতে আসতে বড়ো হতে থাকে, তখন পিতা বুঝতেও পারেন না যে তার কন্যা কতো তাড়াতাড়ি শিশু কন্যা থেকে কিশোরীতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে. কারণ মেয়ে মানুষের শারীরিক বিকাশ খুব শীঘ্রই হয় .এই কয়েক দিন আগে যাকে পুতুলের সাথে খেলা করা নারীশিশু মনে করবেন আর তাকে দেখে আপনার মন শিশু স্নেহে ভোর যাবে. তাকে কোলে নিতে ইচ্ছা যাবে নানান রকমের পুতুল কিনে দেবেন. চকোলেট লজেন্স ইত্যাদি উপহার দিতে ইচ্ছা হবে. দুই দিন পরে হয়তো সেই মেয়েকে দেখে আপনার ধারণা বদলে যেতে পারে. কারণ সেই মেয়ে আর শিশু নেই সেই মেয়ে হয়তো শিশু অবস্থা পার করে কিশোরী দশা পেরিয়ে যৌবনে পদার্পন করতে চলেছে. তখন তাকে দেখে আপনি একটু অবাকই হবেন. কারণ কুঁড়ি থেকে সে সম্পূর্ণ পুষ্পে রূপান্তরিত হয়ে গেছে. পুষ্পে মধু জমেছে. আপনি তখন সেই পুষ্পের মধু লেহনের জন্য আকুল হয়ে উঠবেন.

তখন আপনি কি সেই মেয়েকে নির্জীব পুতুল আর কয়েকটা চকলেট লজেন্স দিয়ে মন ভরাতে পারবেন? না. সেই মেয়েও হয়তো তখন চাইবে না প্রাণহীন জড় পুতুলকে জড়িয়ে ধরতে .সে চাইবে আপনার মতো একজন রক্ত মাংসের তৈরী জীবন্ত পুরুষকে আলিঙ্গন করে শুয়ে থাকতে. তখন তাকে চকলেট দিয়ে মন ভোলানো যাবেনা. হয়তো আপনার দুই পায়ের মাঝ খানে অবস্থিত দীর্ঘ লিঙ্গটি সে নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে চোখ দুটি বন্ধ করে প্রানভরে চুষতে চাইবে. অথবা তার যোনি পুষ্পে উৎপন্ন মধু দিয়ে আপনার যৌন পিপাসাকে শান্ত করতে.

এটা হলো একটা সদ্য যৌবনে আগতা মেয়ের কামনা. আর মেয়েরা নিজের কামনা বাসনাকে অনেকটা দূর অবধি নিয়ন্ত্রণ করে নিতে পারে. কারণ সে সময় মেয়েদের শরীর উন্নত হলেও তাদের মন তখনও শিশু সুলভ থাকে. শরীরের মধ্যে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন গুলো তারা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনা. বা চাহিদা গুলোর গুরুত্ব কি সেগুলো তাকে অনেক ভাবিয়ে তোলে. তাই মেয়ে বাচ্চা মূলক আচরণ রেখেই ব্যাপার গুলোকে ধামাচাপা দিতে থাকে.

তবে আপনি তো তেমন না. কয়েকদিন আগেই সেই মেয়ে আপনার কাছে একটি শিশুসমান ছিলো. সে ছিল স্নেহের পাত্রী এখন তাকে দেখে আপনার বাসনা জাগতেই পারে. এখন সেই মেয়ের রসালো ঠোঁট দেখে আপনি মনে করতেই পারেন সেই ঠোঁটে আপনার ঠোঁট মিলিত হোক. মেয়ের লালারস পান করি. তাকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরি. তার ছোট্টো স্তন দুটিকে মনের সুখে মর্দন করি. তাকে দিয়ে নিজের ধোন চোষায়. অবশেষে তার কুমারী যোনীটাকে নিজের উত্থিত লিঙ্গ দিয়ে বিরামহীন মিলনে লেগে পড়ি.

যাইহোক এগুলো একটা পর পুরুষ একটা পর কন্যা নিয়ে ভাবতে পারে. তবে পিতা কন্যার ব্যাপার টা সম্পূর্ণ আলাদা. তাদের দুজনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়. কন্যা পিতার স্নেহে বেড়ে ওঠে. ছোটো বেলায় কখনো বাবার কোলে, কখনো বাবার বাহুতে আবার কখনো বাবার বুকে চেপে বসে. বাবার ও মেয়ের এইসব কান্ডতে আনন্দিত হন. তারপর একদিন হঠাৎ যখন সেই মেয়ে কিশোরী দশায় বাবার কোলে এসে বসে তখন বাবা অবাক হন. কারণ মেয়ের পাছা ধরে গেছে. গোল ভারী আর তুলতুলে নরম মেয়ের পাছা তার কোলে বসে আছে. চেপে ধরে আছে তার দুই পায়ের মাঝখান. বাবার কাছে সে অনুভূতি অস্বস্থিকর লাগলেও কিছু করার থাকে না. কারণ পুরুষের লিঙ্গের সাথে নারীর নরম নিতম্বের এক আশ্চর্য আকর্ষণ আছে. লিঙ্গের সাথে নরম ভারী পাছার স্পর্শ হলেই সে তরতরিয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে. এমন শক্ত হয়ে ঠাটিয়ে থাকে যেন নারীর দুই নিতম্ব জোড়া ভেদ করে আরও গভীরে প্রবেশ করবে. অথবা এটাও বলতে পারেন নারীর নিতম্ব আর পুরুষের লিঙ্গ একে ওপরের শত্রু. কারণ যখনি কোনো নারী তার গর্ব তার অভিমান সুন্দরী নিতম্ব কোনো পুরুষের চোখে পড়ে. সে যেন তার মনিব লিঙ্গ মহারাজকে খবর টা জানিয়ে দেয়. লিঙ্গ মহারাজ তৎক্ষণাৎ যেন যুদ্ধের হুঙ্কার দেয়. ক্ষেপা ষাঁড়ের মতো লাফাতে থাকে নারীর দুই নিতম্ব ভেদ করে ঢুকে যাবার জন্য.

তা সে সেই ধর্মসঙ্কট পরিস্থিতির সময় বাবা তার মেয়ে কে উঠে যেতেও বলতে পারেনা আবার বসে থাকতেও বলতে পারেন না.

তারপর অনেক সময় মেয়ের দুই বগলে হাত চলে গেলে মেয়ের স্তনের ও আভাস পেয়ে যান.

মেয়ের বাবারা তখন মেয়ের থেকে দূরে থাকতে বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেন. মেয়েরাও হয়তো সে সময় একটু আশ্চর্য বোধ করে. হঠাৎ করে তার বাবা তার থেকে দূরত্ব কেন বজায় রাখছে .এই সব চিন্তা করে. ওরা এটা ভেবে পায়না যে তার মেয়ের ভারী পাছা তার ছোট্ট স্তন দুটি তার বাবাকে কাহিল করে তুলেছে. কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য তার বাবা তার কাছে থেকে দূরে সরে গেছে.

আগেই বললাম পিতা পুত্রীর সম্পর্ক অনেক দৃঢ় যেটা পিতা পুত্রের মধ্যে কখনো দেখা যায়না .

হ্যা তবে মা আর ছেলের সম্পর্ক টা সম্পূর্ণ আলাদা. ঠিক পিতা পুত্রীর মতো. ছেলে শিশু অবস্থা থেকে তার মায়ের দুধ খেয়ে বড়ো হয়. আবার বয়সন্ধি কালে সেই সুন্দরী মায়ের বড়ো স্তন ও ভারী নিতম্ব দেখে আকৃষ্ট হয়. জন্মদাত্রিণী মা কে নিজের কামিনী মনে. মায়ের যোনি মৈথুন ও পায়ু মৈথুন করার স্বপ্ন দেখে. মাকে ভেবে ভেবে অথবা মায়ের নামে বীর্য উৎসর্গ করে থাকে.

যাইহোক পিতার কাছে তার কন্যা অথবা ছেলের কাছে তার জননী তার মা এক প্রকার নিষিদ্ধ ফলের মতো.



বাবাঃ বাবাঃ বলে চিৎকার করছিলো মধুরিমা, “বাবা তুমি ফোনে আছো, হ্যালো !! হ্যালো !!!বাবা তুমি শুনতে পাচছ? “ ফোনের ওপার থেকে মধুরিমা বলে যাচ্ছে. পরিতোষ বাবু কোথায় যেন হারিয়ে গেছেন. অনেক দূরে থেকে মনে হলো তার মেয়ে তাকে ডাকছে., “হুম”, “হুম “.শব্দ এলো পরিতোষ বাবুর মুখ থেকে. একটা স্বপ্নের মধ্যে ছিলেন তিনি. মেয়ের গলা শুনে ঘুম ভাঙলো মনে হলো তার. “হ্যা রে মা বল “, বলে উঠলেন পরিতোষ বাবু. “কি হয়েছিল বাবা তুমি হঠাৎ চুপ করে ছিলে কেনো? “.মেয়ে প্রশ্ন করল. “কিছু হয়নি রে মা, ওই কাল রাতে ঠিক ঠাক ঘুম হয়নি তো তাই চোখ লেগে যাচ্ছিলো. দাড়া মুখটা ধুয়ে আসি”.বলে পরিতোষ বাবু ফোনটাকে অন রেখে টেবিলের ওপর রেখে বেসিনে মুখটা ধুতে চলে যায়.



ফিরে এসে তাদের আবার কথা শুরু হয়. মেয়ে বলে, “বাবা তোমার শরীর ঠিক আছে তো? “. মেয়ের কথা শুনে পরিতোষ বাবু উত্তর দেন, “হ্যা রে মা আমি একদম ঠিক আছি “, ব্যাংক একটু বাড়তি চাপ সামলাতে হয়তো তাই একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছি “. মধুরিমা তার বাবার কথা শুনে আশস্থ বোধ করে. তারপর সে আবার তার বাবাকে বলে, “বাবা জানো আমি তোমাকে কতো “miss” করি”. মেয়ের কথা শুনে পরিতোষ বাবুর চোখের জল আসে. আর ওদিকে মেয়ে বলতে থাকে, “তুমি সেই কতো বছর আগে আমায় ছেড়ে চলে গেছো. আমি কতো বড়ো হয়ে গেছি, তুমি আর আমাকে দেখতে আসছো না”. মেয়ের আবদার সুলভ আদুরে গলা. বাবা পরিতোষ শুনেই চলেছে তার মেয়ের মনে জমে থাকা অভিমান, আবদার. পিতার থেকে বঞ্চিত হওয়া ভালোবাসা. “আমাকে তোর খুব মনে পড়ে তাইনা? “. প্রশ্ন করেন পরিতোষ বাবু. মেয়ে উত্তর দেয়. “হ্যা বাবা খুব “.বলে কিছুক্ষন চুপ করে থাকে মধুরিমা তারপর আবার হাফ ছেড়ে বলে .”বাবাঃ আমি ছোট বেলায় মায়ের “দুধ” খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি”. আর এখন তোমার সান্নিধ্য থেকে”. মেয়ের কোথায় তিনি একটু গম্ভীর হয়ে পড়লেন. আর মেয়ে ঐদিকে অনর্গল সব কিছু বলে যাচ্ছে যেন আজ সে সুযোগ পেয়েছে মনের মধ্যে আটকে থাকা সব কথা উজাড় করে বলে দেবার .”বাবা মনে পড়ে তুমি সেই আমাকে সাইকেল এ করে বসিয়ে নিয়ে যেতে বেড়াতে. কলকাতার গড়ের মাঠ “. তারপর সেই আমরা দুজনে ট্রামে চড়ার ঘটনা”. “হ্যা রে সে সব কি আর ভোলা যায়? “.বলেন পরিতোষ বাবু .”মা তোর সেই সাদা ফ্রক, খুব পছন্দের ছিলো তাইনা”.

“হ্যা বাবা ওগুলো সব এখনো আমার কাছে সযত্নে রাখা আছে”. মেয়ের সাদা রং ভীষণ প্রিয়. সাদা রং আর কাশফুল. পরিতোষ বাবু আবার ভাবতে লাগলেন.

“বাবা তুমি ফিরে আসো, প্রয়োজন হলে ট্রান্সফার করিয়ে নাও “মেয়ে মধুরিমা বাবা পরিতোষ বাবুকে প্রস্তাব দেয়. “হ্যা রে মা যাবো তোকে দেখতে খুব তাড়াতাড়ি “. “না বাবা তুমি মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছ”. মেয়ে বলে ওঠে. “না রে সত্যি”পরিতোষ বাবু বলেন. আচ্ছা তোর উচ্চমাধ্যমিক কবে থেকে? প্রশ্ন করেন তিনি. “না বাবা তখন তুমি এসোনা, তখন আমার পরীক্ষা, আমি প্রানভরে তোমার সাথে মিশতে পারবো না “. তুমি বরং আমার পরের আঠারো তম জন্মদিনের সময় এসো”. “তখন খুব মজা হবে”. মেয়ে হেসে কথাটি বলে. “হ্যা তাহলে তখনি যাবো”. বাবা পরিতোষ বলেন. মেয়ের আঠারো বছর বয়স হতে চলেছে, আর তিনি বুঝে উঠতেই পারলেন না কতো তাড়াতড়ি মেয়ে বড়ো হয়ে গেলো. মেয়ে এখন যুবতী. সে আর কিশোরী নেয়. পরিতোষ বাবুর কাছে সময় থেমে গেলেও অন্য দিকে সময় ঠিক আপন গতিতে ছুটে চলেছে. সেটার আভাস তিনি পাচ্ছেন. এই কয়েকদিন আগেই তার ছোট্ট মেয়েটি এখন যৌবনে পদার্পন করবে. ভেবেই তিনি অবাক হচ্ছেন.

মেয়েকে দেখার প্রবল আগ্রহ তার মনের মধ্যে জেগে গেছে. না আর কতো দিন এভাবে চলবে. যে কারণের জন্য তিনি এতো দিন নিজের মেয়ের কাছে থেকে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন, তার প্রায়শ্চিত বোধহয় হয়ে গেছে. এখন শুধু মেয়েকে দেখা আর তার সাথে জীবন কাটানোয় লক্ষ.

উৎসাহিত মনে পরিতোষ বাবু বলে ওঠেন ঠিক আছে আমি অফিস থেকে দশ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে যাবো কলকাতা তোর সাথে দেখা করার জন্য. “কি মজা কি মজা” বলে মেয়ে খুশিতে লাফিয়ে ওঠে.

প্রায় দুই ঘন্টা মেয়ে মধুরিমার সাথে কথা বলার পর পরিতোষ বাবুর মন অনেক প্রফুল্ল. চনমনে মনে করছেন নিজেকে অনেক. গত রাতের অবসাদ আর ক্লান্তি তার মধ্যে নেই.

মনের মধ্যে ঘটে যাওয়া নোংরা চিন্তা ভাবনা গুলোকে নৃপেন বাবুর সান্নিধ্যের ফল মনে করেন পরিতোষ বাবু.

মেয়েকে মেয়ের মতই সম্মান দেওয়া উচিত তাদের শ্রদ্ধা করা উচিত, মধুমিতা ও তার মেয়ের মতোই.
 
আপনার মন্তব্য পড়ার পর কেমন একটা বিদেশে পরিচিত মানুষের সাথে আলাপের মতো অনুভুতি হছে। 😃😃 হ্যাঁ এখানকার নাম অনেক সুনেছিলাম তাই এলাম। রেসপন্স একটু মন্থর তাতেও কাজ চালিয়ে নিছি। আপনাকে পেয়ে উৎসাহ বাড়ল আমার। সঙ্গে থাকুন। অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্য করার জন্য। ওখানে আপনার কি নামে id আছে??
হ্যা। ওখান থেকেই এটার খবর পেয়েছিলাম। আপনার সাথে সবসময় আছি ।
 
দাদা আমি তো কন্যাদান ও পিতৃঋণ 2 এর অপেক্ষায় আছি। আমার দারুন পছন্দ গল্পটা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top