What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

জুম‘আর কতিপয় বিধান (2 Viewers)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,615
Messages
121,990
Credits
324,673
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
জুম'আর কতিপয় বিধান

ইসলামে বাৎসরিক ঈদ হচ্ছে দু'টি- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর সাপ্তাহিক ঈদ হচ্ছে জুম'আর দিন। এছাড়া অন্য কোন ঈদ ইসলামে স্বীকৃত নয়। আলোচ্য নিবন্ধে জুম'আর কতিপয় বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হ'ল-
আল্লাহ তা'আলা জুম'আর ছালাতের নির্দেশ দিয়ে বলেন,
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ، فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوْا فِي الْأَرْضِ...
'হে ঈমানদারগণ! জুম'আর দিনে যখন তোমাদেরকে ছালাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা (ছালাতের মাধ্যমে) আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা তা উপলব্ধি কর। অতঃপর যখন ছালাত শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা (কাজ-কর্মের জন্য) পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো...'
(জুম'আহ ৬২/৯-১০)।

জুম'আর ছালাত কাদের উপর ফরয?
চার শ্রেণীর লোক ব্যতীত প্রত্যেক মুসলিমের উপরে জুম'আর ছালাত ফরয করা হয়েছে। এ চার শ্রেণীর ব্যক্তি হচ্ছে- কৃত দাস-দাসী, নাবালেগ সন্তান, রোগী, মহিলা ও মুসাফির। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
اَلْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِيْ جَمَاعَةٍ إِلاَّ عَلَى أَرْبَعَةٍ عَبْدٍ مَمْلُوْكٍ أَوْ اِمْرَأَةٍ أَوْ صَبِيٍ أَوْ مَرِيْضٍ.

'চার ব্যক্তি ব্যতীত প্রত্যেক মুসলিমের উপরে জুম'আর ছালাত জামা'আতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব; (তারা হচ্ছে) কৃত দাস-দাসী, মহিলা, নাবালেগ সন্তান ও রোগী'। (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৬৭; ছহীহুল জামে' হা/৩১১১; মিশকাত হা/১৩৭৭।)
 
জুম'আর কতিপয় বিধান

ইসলামে বাৎসরিক ঈদ হচ্ছে দু'টি- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর সাপ্তাহিক ঈদ হচ্ছে জুম'আর দিন। এছাড়া অন্য কোন ঈদ ইসলামে স্বীকৃত নয়। আলোচ্য নিবন্ধে জুম'আর কতিপয় বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হ'ল-
আল্লাহ তা'আলা জুম'আর ছালাতের নির্দেশ দিয়ে বলেন,
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ، فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوْا فِي الْأَرْضِ...
'হে ঈমানদারগণ! জুম'আর দিনে যখন তোমাদেরকে ছালাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা (ছালাতের মাধ্যমে) আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা তা উপলব্ধি কর। অতঃপর যখন ছালাত শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা (কাজ-কর্মের জন্য) পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো...'
(জুম'আহ ৬২/৯-১০)।

জুম'আর ছালাত কাদের উপর ফরয?
চার শ্রেণীর লোক ব্যতীত প্রত্যেক মুসলিমের উপরে জুম'আর ছালাত ফরয করা হয়েছে। এ চার শ্রেণীর ব্যক্তি হচ্ছে- কৃত দাস-দাসী, নাবালেগ সন্তান, রোগী, মহিলা ও মুসাফির। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
اَلْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِيْ جَمَاعَةٍ إِلاَّ عَلَى أَرْبَعَةٍ عَبْدٍ مَمْلُوْكٍ أَوْ اِمْرَأَةٍ أَوْ صَبِيٍ أَوْ مَرِيْضٍ.

'চার ব্যক্তি ব্যতীত প্রত্যেক মুসলিমের উপরে জুম'আর ছালাত জামা'আতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব; (তারা হচ্ছে) কৃত দাস-দাসী, মহিলা, নাবালেগ সন্তান ও রোগী'। (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৬৭; ছহীহুল জামে' হা/৩১১১; মিশকাত হা/১৩৭৭।)
Thank you for informative posting.
 
জুম'আর দিনে গোসল করার হুকুম :

জুম'আর ছালাতের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অর্জন করা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। জুম'আর দিনে গোসল করা এবং জুম'আর ছালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি জুম'আর দিনে গোসল করবে (তার জন্য) গোসল করাই উত্তম'।
(ছহীহ তিরমিযী হা/৪৯৭; ছহীহ নাসাঈ হা/১৩৮০।)
অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি জুম'আর দিন গোসল করবে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করবে (নখ, গোঁফ, নিম্নাংশের চুল ইত্যাদি পরিষ্কার করবে) এবং তার নিজস্ব তেল ব্যবহার করবে অথবা তার গৃহে থাকা সুগন্ধি ব্যবহার করবে। অতঃপর বের হবে এবং বসে থাকা দু'মুছল্লীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাবে না। অতঃপর তার পক্ষে যত রাক'আত সম্ভব ছালাত আদায় করবে। এরপর যখন ইমাম ছাহেব খুৎবা প্রদান করবে তখন চুপ থাকবে, তার জন্য তার এ জুম'আ থেকে পরবর্তী জুম'আর মাঝের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে'। (বুখারী হা/৮৮২; আহমাদ হা/২৩১৯৮; মিশকাত হা/১৩৮১।)
এ হাদীছ থেকে বুঝা গেল যে, জুম'আর দিনে গোসল করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নাত এবং এর ফলে পাপ সমূহ ক্ষমা হয়ে যাবে। তবে কবীরা গোনাহ নয়।
কবীরা বা বড় গুনাহ তওবা ব্যতীত ক্ষমা করা হবে না। আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেছেন, 'তোমোদেরকে যেসব বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে বলা হয়েছে, তোমরা যদি সেগুলো থেকে বেঁচে থাকো তাহ'লে আমি তোমাদের ছোট ছোট গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থান দান করব'
(নিসা ৪/৩১)।
আর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, 'পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের মাঝের সময়ে সংঘটিত গুনাহের জন্য প্রতি ওয়াক্তের ছালাত, এক জুম'আ হ'তে অন্য জুম'আ এবং এক রামাযান হ'তে আরেক রামাযানের মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত গুনাহের জন্য রামাযানের ছাওম কাফ্ফারাহ স্বরূপ; যদি কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হয়'। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৪।)
দৈনন্দিন ব্যবহৃত পোষাক ব্যতীত জুম'আর জন্য নতুন বা পৃথক পোষাক পরিধান করা মুস্তাহাব (সুন্নাত)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'তোমাদের কেউ যদি জুম'আর দিনে তার কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত দু'টি কাপড় ব্যতীত অন্য দু'টি কাপড় ব্যবহার করতে সক্ষম হয় তাহ'লে সে যেন তা ব্যবহার করে (এতে কোন সমস্যা নেই)'। (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৭৮; ছহীহ জামেউছ ছাগীর হা/৫৬৩৫; মিশকাত হা/১৩৮৯।)
 
জুম'আর ছালাতের জন্য কতজন মুছল্লীর উপস্থিতি যরূরী?

ইমামের সাথে মাত্র একজন মুছল্লী থাকলে জুম'আর ছালাত আদায় করা যাবে। জুম'আর ছালাত অন্যান্য ফরয ছালাতের ন্যায় ফরয। অতএব সর্বনিম্ন যতজনে জামা'আত কায়েম হয় ততজন উপস্থিত হ'লেই জামা'আত করা যাবে। আর ইমামের সাথে সর্বনিম্ন একজন থাকলেই জামা'আতের ছওয়াব অর্জিত হয়। এর চেয়ে বেশী শর্ত আরোপের এবং সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছহীহ কোন দলীল নেই।
আশ্চর্য ব্যাপার এই যে, সংখ্যা নির্ধারণে পনেরটি মত উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু কোন মতের পক্ষেই ছহীহ দলীল নেই। যদি দু'জন মুছল্লী উপস্থিত থাকে তাহ'লে একজন খুৎবা দিবে এবং আরেকজন হবে শ্রোতা এবং এ দু'জনে জামা'আত কায়েম করবে। কা'ব ইবনু মালেক (রহঃ) বলেছেন, সর্বপ্রথম যিনি আমাদের নিয়ে জুম'আর ছালাত আদায় করেন তিনি হচ্ছেন আস'আদ ইবনু যুরারাহ ...। জিজ্ঞেস করা হ'ল সে সময় আপনারা কতজন ছিলেন তিনি উত্তরে বললেন, আমরা চল্লিশজন ছিলাম।
(ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৬৯; ইরওয়াউল গালীল হা/৬০০; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১৭২৪।) উক্ত আছারটিতে সেই জুম'আর ছালাতে কতজন উপস্থিত ছিল তা বুঝানো হয়েছে। কিন্তু চল্লিশজনই হ'তে হবে তা বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, জাবের (রাঃ) হ'তে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, 'সুন্নাত হচ্ছে এই যে, প্রত্যেক চল্লিশজন অথবা এর চেয়ে বেশী সংখ্যক মুছল্লী উপস্থিত হ'লে জুম'আহ, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর আদায় করতে হবে'। কিন্তু আছারটি নিতান্তই যঈফ।
(দারাকুৎনী, ইরওয়াউল গালীল হা/৬০৩।)

জুম'আর ছালাতের জন্য আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার ফযীলত :

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি জুম'আর দিনে ফরয গোসল করে প্রথমে মসজিদে উপস্থিত হ'ল সে যেন একটি উট ছাদাক্বা করল। এরপর যে ব্যক্তি মসজিদে আসল সে যেন একটি গরু ছাদাক্বা করল। এরপর যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল ছাদাক্বা করল। এরপর যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি মুরগী ছাদাক্বা করল। অতঃপর যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম ছাদাক্বা করল। অতঃপর যখন ইমাম খুৎবার জন্য বেরিয়ে আসেন তখন ফেরেশতারা উপদেশ শ্রবণ করা শুরু করেন'। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮৪।)
 
জুম'আর দিন ও জুম'আর রাতের ফযীলত :

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয় সেগুলোর মধ্যে জুম'আর দিন হচ্ছে সর্বোত্তম। কারণ এ দিনেই আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল, এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। আবার এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে'।
(মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৬।)
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ'তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'যে মুসলিম ব্যক্তি জুম'আর দিনে অথবা জুম'আর রাতে মারা যাবে আল্লাহ তা'আলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন'। (তিরমিযী হা/১০৭৪; ছহীহ তিরমিযী হা/১০৭৪; মিশকাত হা/১৩৬৭।) (কিন্তু সে ব্যক্তিকে সত্যিকারের মুসলিম হ'তে হবে)।
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুম'আর দিন। এ দিনেই আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিনেই তাঁর রূহ কবয করা হয়েছে, এ দিনেই সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে এবং এ দিনেই সকলে বেহুঁশ হয়ে যাবে। এ দিনে তোমরা আমার প্রতি বেশী বেশী দুরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের পাঠকৃত দুরূদ আমার নিকট পেশ করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনি মাটি হয়ে যাবেন এমতাবস্থায় আপনার প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে পাঠকৃত দুরূদ কিভাবে পেশ করা হবে। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা যমীনের জন্য নবীগণের শরীরগুলো খেয়ে ফেলাকে হারাম করে দিয়েছেন'।
(ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৪৭; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/১০৮৫; ছহীহ নাসাঈ হা/১৩৭৪; মিশকাত হা/১৩৬১।)

জুম'আর দিনে বা রাতে সূরা কাহফ পাঠের ফযীলত :

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি জুম'আর দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ তা'আলা দু'জুম'আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দিবেন'। (বায়হাক্বী, হাকিম, ছহীহ জামে'উছ ছাগীর হা/৬৪৭০, ৬৪৭১; মিশকাত হা/২১৭৫।) অন্য হাদীছে জুম'আর রাতেও সূরা কাহফ পাঠ করার ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। (ছহীহুত তারগীব ওয়াত-তারহীব হা/৭৩৬।)
 
আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমীন
 
আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমীন

রিপ্লাইয়ের জন্য ধন্যবাদ, মামা।
 
জুম'আর দিনে দো'আ কবূলের সময় :

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত হয়েছে, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জুম'আর দিনের কথা উল্লেখ করে বললেন, 'এ দিনে এমন একটি সময় আছে যে, কোন মুসলিম বান্দার ভাগ্যে যদি সময়টি মিলে যায় এমতাবস্থায় যে, সে ছালাত আদায় করছে আর আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করছে তাহ'লে আল্লাহ্ তাকে তাই প্রদান করবেন। তিনি তাঁর হাতের ইঙ্গিতে বুঝালেন যে, সময়টি খুবই সামান্য'। (বুখারী হা/৯৩৫; মুসলিম হা/৮৫২।)

জুম'আর খুৎবা চলা অবস্থায় চুপ থাকার ফযীলত:

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'তুমি যদি জুম'আর দিন ইমাম কর্তৃক খুৎবা দেয়ার সময় তোমার কোন সাথীকে বল চুপ করো, তাহ'লে তুমি ত্রুটি করলে'। (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮৫।)

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযূ করে জুম'আর ছালাত আদায় করার জন্য এসে মনোযোগের সাথে খুৎবা শ্রবণ করল এবং চুপ থাকল তার এ জুম'আ থেকে পরের জুম'আ পর্যন্ত সংঘটিত গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং এর সাথে অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি খুৎবা চলা অবস্থায় পাথর বা কোন বস্ত্ত স্পর্শ করবে সে ত্রুটিকারী হিসাবে গণ্য হ'ল'। (মুসলিম হা/৮৫৭।)
উক্ত হাদীছ দু'টি থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, জুম'আর খুৎবা চলাকালীন সময় কথা বলা যাবে না, কোন কিছু নাড়াচাড়া করা যাবে না এবং কাউকে চুপ করতেও বলা যাবে না এবং কারো দিকে ইশারাও করা যাবে না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top