মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে এই যে বিভেদের প্রাচীর সহস্রাধিক বর্ষ হ'তে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মানুষের জ্ঞান, পৌরুষ ও আত্মসম্মানকে নিরবে ধিক্কার দিচ্ছিল, মহানবী (ছাঃ) এসে সে বাধার প্রাচীর ভেঙে দিয়ে মহাসাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বাণী উচ্চকিত করে মানুষের মৌলিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلاَ إِنَّ رَبَّكُمْ وَاحِدٌ، لاَ فَضْلَ لِعَرَبِىٍّ عَلَى عَجَمِىٍّ وَلاَ لِعَجَمِىٍّ عَلَى عَرَبِىٍّ وَلاَ لِأَسْوَدَ عَلَى أَحْمَرَ وَلاَ لِأَحْمَرَ عَلَى أَسْوَدَ إِلاَّ بِالتَّقْوَى. 'হে মানবমন্ডলী! নিশ্চয়ই তোমাদের সকলের প্রভু এক। অতএব অনারবীর উপর আরবের, আরবীর উপর অনারবের, লালের উপরে কালোর এবং কালোর উপরে লালের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই তাক্বওয়া ব্যতীত। (আহমাদ, হা/২৩৫৩৬।) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, النَّاسُ بَنُوْ آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ 'প্রত্যেক মানুষ আদম সন্তান, আর আদম মাটির তৈরী'। (তিরমিযী হা/৩৯৫৬; আহমাদ হা/৮৯৭০, হাদীছ হাসান।)
মানবতার চিরন্তন আকাঙ্খা হচ্ছে বিশ্বজুড়া প্রেম, ভালবাসা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সুনিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করা। বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতি, ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের উচিত বিশ্বভ্রাতৃত্বের অধীনে সংঘবদ্ধ হয়ে কল্যাণের অনুগামী হওয়া। আর এটাই মূলতঃ ইসলামী ভ্রাতৃত্ব। ইসলাম কোন অবস্থাতেই ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদকে সমর্থন করে না।
পৃথিবীর সকল মানবের মূলে আছে এক জোড়া মানব-মানবী আদম ও হাওয়া (আঃ)। সংখ্যাধিক্যের কারণে আল্লাহ মানুষকে বিভিন্ন বর্ণে, গোত্রে ও ভাষায় বিভক্ত করেছেন শুধুমাত্র পারস্পরিক পরিচিতির জন্য, গর্ব-ঘৃণা বা ঝগড়-বিবাদ করার জন্য নয়। কেননা আল্লাহর নিকটে শ্রেষ্ঠত্ব বা সম্মানের মাপকাঠি একটাই, তা হ'ল তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাছাড়া বান্দার প্রতি আল্লাহর হাযারো নিদর্শনের মধ্যে ভাষা ও বর্ণের বিভাজন অন্যতম নিদর্শন। মহান আল্লাহ বলেন,وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلاَفُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّلْعَالَمِيْنَ. 'তার নিদর্শনের মধ্যে আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা। নিশ্চয়ই এর মধ্যে পৃথিবীবাসীর জন্য নিদর্শনাবীল রয়েছে' (রূম ৩০/২২)। অর্থাৎ মানুষে মানুষে ভাষা ও বর্ণের বিভাজন ঘৃণা বা অহংকার করার জন্য নয়; বরং শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। মহান আল্লাহর নিকটে সঊদী আরব বা আমেরিকার অধিবাসীরা সম্মানিত নয়; বরং সমগ্র মাবন জাতি তথা সকল আদম সন্তানই সম্মানিত। মহান আল্লাহ বলেন,وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْ آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلاً. 'আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি, তাদেরকে উত্তম রিযিক দান করেছি এবং আমার সৃষ্টিরাজির মধ্যে তাদেরকে অনেকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি' (বনী ইসরাইল ১৭/৭০)।
মানবতার চিরন্তন আকাঙ্খা হচ্ছে বিশ্বজুড়া প্রেম, ভালবাসা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সুনিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করা। বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতি, ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের উচিত বিশ্বভ্রাতৃত্বের অধীনে সংঘবদ্ধ হয়ে কল্যাণের অনুগামী হওয়া। আর এটাই মূলতঃ ইসলামী ভ্রাতৃত্ব। ইসলাম কোন অবস্থাতেই ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদকে সমর্থন করে না।
পৃথিবীর সকল মানবের মূলে আছে এক জোড়া মানব-মানবী আদম ও হাওয়া (আঃ)। সংখ্যাধিক্যের কারণে আল্লাহ মানুষকে বিভিন্ন বর্ণে, গোত্রে ও ভাষায় বিভক্ত করেছেন শুধুমাত্র পারস্পরিক পরিচিতির জন্য, গর্ব-ঘৃণা বা ঝগড়-বিবাদ করার জন্য নয়। কেননা আল্লাহর নিকটে শ্রেষ্ঠত্ব বা সম্মানের মাপকাঠি একটাই, তা হ'ল তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাছাড়া বান্দার প্রতি আল্লাহর হাযারো নিদর্শনের মধ্যে ভাষা ও বর্ণের বিভাজন অন্যতম নিদর্শন। মহান আল্লাহ বলেন,وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلاَفُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّلْعَالَمِيْنَ. 'তার নিদর্শনের মধ্যে আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা। নিশ্চয়ই এর মধ্যে পৃথিবীবাসীর জন্য নিদর্শনাবীল রয়েছে' (রূম ৩০/২২)। অর্থাৎ মানুষে মানুষে ভাষা ও বর্ণের বিভাজন ঘৃণা বা অহংকার করার জন্য নয়; বরং শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। মহান আল্লাহর নিকটে সঊদী আরব বা আমেরিকার অধিবাসীরা সম্মানিত নয়; বরং সমগ্র মাবন জাতি তথা সকল আদম সন্তানই সম্মানিত। মহান আল্লাহ বলেন,وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْ آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلاً. 'আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি, তাদেরকে উত্তম রিযিক দান করেছি এবং আমার সৃষ্টিরাজির মধ্যে তাদেরকে অনেকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি' (বনী ইসরাইল ১৭/৭০)।