What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইসলামে ভ্রাতৃত্ব (1 Viewer)

মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে এই যে বিভেদের প্রাচীর সহস্রাধিক বর্ষ হ'তে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মানুষের জ্ঞান, পৌরুষ ও আত্মসম্মানকে নিরবে ধিক্কার দিচ্ছিল, মহানবী (ছাঃ) এসে সে বাধার প্রাচীর ভেঙে দিয়ে মহাসাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বাণী উচ্চকিত করে মানুষের মৌলিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلاَ إِنَّ رَبَّكُمْ وَاحِدٌ، لاَ فَضْلَ لِعَرَبِىٍّ عَلَى عَجَمِىٍّ وَلاَ لِعَجَمِىٍّ عَلَى عَرَبِىٍّ وَلاَ لِأَسْوَدَ عَلَى أَحْمَرَ وَلاَ لِأَحْمَرَ عَلَى أَسْوَدَ إِلاَّ بِالتَّقْوَى. 'হে মানবমন্ডলী! নিশ্চয়ই তোমাদের সকলের প্রভু এক। অতএব অনারবীর উপর আরবের, আরবীর উপর অনারবের, লালের উপরে কালোর এবং কালোর উপরে লালের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই তাক্বওয়া ব্যতীত। (আহমাদ, হা/২৩৫৩৬।) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, النَّاسُ بَنُوْ آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ 'প্রত্যেক মানুষ আদম সন্তান, আর আদম মাটির তৈরী'। (তিরমিযী হা/৩৯৫৬; আহমাদ হা/৮৯৭০, হাদীছ হাসান।)
মানবতার চিরন্তন আকাঙ্খা হচ্ছে বিশ্বজুড়া প্রেম, ভালবাসা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সুনিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করা। বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতি, ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের উচিত বিশ্বভ্রাতৃত্বের অধীনে সংঘবদ্ধ হয়ে কল্যাণের অনুগামী হওয়া। আর এটাই মূলতঃ ইসলামী ভ্রাতৃত্ব। ইসলাম কোন অবস্থাতেই ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদকে সমর্থন করে না।
পৃথিবীর সকল মানবের মূলে আছে এক জোড়া মানব-মানবী আদম ও হাওয়া (আঃ)। সংখ্যাধিক্যের কারণে আল্লাহ মানুষকে বিভিন্ন বর্ণে, গোত্রে ও ভাষায় বিভক্ত করেছেন শুধুমাত্র পারস্পরিক পরিচিতির জন্য, গর্ব-ঘৃণা বা ঝগড়-বিবাদ করার জন্য নয়। কেননা আল্লাহর নিকটে শ্রেষ্ঠত্ব বা সম্মানের মাপকাঠি একটাই, তা হ'ল তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাছাড়া বান্দার প্রতি আল্লাহর হাযারো নিদর্শনের মধ্যে ভাষা ও বর্ণের বিভাজন অন্যতম নিদর্শন। মহান আল্লাহ বলেন,وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلاَفُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّلْعَالَمِيْنَ. 'তার নিদর্শনের মধ্যে আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা। নিশ্চয়ই এর মধ্যে পৃথিবীবাসীর জন্য নিদর্শনাবীল রয়েছে' (রূম ৩০/২২)। অর্থাৎ মানুষে মানুষে ভাষা ও বর্ণের বিভাজন ঘৃণা বা অহংকার করার জন্য নয়; বরং শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। মহান আল্লাহর নিকটে সঊদী আরব বা আমেরিকার অধিবাসীরা সম্মানিত নয়; বরং সমগ্র মাবন জাতি তথা সকল আদম সন্তানই সম্মানিত। মহান আল্লাহ বলেন,وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْ آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلاً. 'আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি, তাদেরকে উত্তম রিযিক দান করেছি এবং আমার সৃষ্টিরাজির মধ্যে তাদেরকে অনেকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি' (বনী ইসরাইল ১৭/৭০)।
 
এখানে আল্লাহ মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী কিংবা কোন বিশেষ অঞ্চল, ভাষা বা বর্ণের মানুষদের কথা না বলে সকল বনু আদমের কথা উল্লেখ করেছেন। ইসলামী বিশ্বাসের এই উদার বহিঃপ্রকাশ মানুষের মধ্যে রক্ত, বর্ণ, ভাষা, গোত্র ও ভৌগলিক সীমারেখার সকল ব্যবধান চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়ে মানব জাতিকে এক পরিবারে পরিণত করেছে।
বিশ্বভ্রাতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে বিদায় হজের ময়দানে মহানবী (ছাঃ) বলেন, اِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هذَا، فِىْ شَهْرِكُمْ هذَا فِىْ بَلَدِكُمْ هذَا. 'তোমাদের একের রক্ত (জীবন) ও সম্পদ তোমাদের অপরের প্রতি (সকল দিনে, সকল মাসে, সকল স্থানে) হারাম- যেভাবে এই দিনে, এই মাসে, এই শহরে হারাম'।
(মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/২৫৫৫।) এই মর্মে রাসূল (ছাঃ) আরও বেশ কিছু হাদীছ বর্ণনা করেছেন। যেমন, হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত একটি হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, لاَيَرْحَمُ اللهُ مَنْ لاَّ يَرْحَمُ النَّاسَ. 'আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ করেন না, যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না'। (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত, হা/৪৯৪৭; আল-আদাবুল মুফরাদ, তাহকীক : শায়খ আলবানী, হা/৯৬।) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী করীম (ছাঃ) বলেন, وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ قِيْلَ مَنْ يَا رَسُوْلُ اللهِ قَالَ اَلَّذِيْ لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ. 'আল্লাহর কসম! সে ঈমানদার নয়। আল্লাহর কসম! সে ঈমানদার নয়। আল্লাহর কসম! সে ঈমানদার নয়। জিজ্ঞেস করা হ'ল, হে রাসূল (ছাঃ)! সে কে? তিনি বললেন, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট হ'তে নিরাপদ নয়'। (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত, হা/৪৯৬২) অন্য হাদীছে এসেছে, لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ. 'সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়'। (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৬৩।)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : خَيْرُ الْأَصْحَابِ عِنْدَ اللهِ خَيْرُهُمْ لِصَاحِبِهِ، وَخَيْرُ الْجِيْرَانِ عِنْدَ اللهِ خَيْرُهُمْ لِجَارِهِ.
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম সাথী সে, যে তার সঙ্গী-সাথীর নিকট উত্তম। আর আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার পড়শীর নিকট উত্তম'।(তিরমিযী, দারেমী, মিশকাত হা/৪৯৮৭; ছহীহ তারগীব হা/২৫৬৮, সনদ ছহীহ।)
 
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন,
مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُّحِبَّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ أَوْ يُحِبَّهُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ فَلْيَصْدُقْ حَدِيْثَهُ إِذَا حَدَّثَ، وَلِيُؤَدِّ أَمَانَتَهُ إِذَا اؤْتُمِنَ. وَلِيُحْسِنْ جِوَارَ مَنْ جَاوَرَهُ.
'যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসতে চায় অথবা চায় যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) তাকে ভালবাসুক, সে যেন কথা বলার সময় সত্য কথা বলে, আমানত রাখা হ'লে তা আদায় করে এবং প্রতিবেশীর সাথে সুন্দর আচরণ করে'।
(বায়হাকী; মিশকাত হা/৪৯৯০, হাদীছ হাসান)
عَنْ مُجَاحِدٍ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو ذُبِحَتْ لَهُ شَاةٌ فِىْ أَهْلِهِ، فَلَمَّا جَاءَ قَالَ : أَهْدَيْتُمْ لِجَارِنَا الْيَهُوْدِىِّ؟ أَهْدَيْتُمْ لِجَارِنَا الْيَهُوْدِىِّ؟ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ : مَازَالَ جِبْرِيْلُ يُوْصِيْنِىْ بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ.
'মুজাহিদ থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-এর জন্য তার পরিবারে ছাগল যবেহ করা হ'ল। তিনি এসে বললেন, তোমরা কি আমাদের ইহুদী প্রতিবেশীকে হাদিয়া স্বরূপ কিছু পাঠিয়েছ? তোমরা কি আমাদের ইহুদী প্রতিবেশীকে হাদিয়া স্বরূপ কিছু পাঠিয়েছ? আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমাকে জিবরীল (আঃ) প্রতিবেশীর ব্যাপারে সর্বদা উপদেশ দিয়ে থাকেন। এমনকি আমার এ ধারণা সৃষ্টি হ'ল যে, তিনি তাকে ওয়ারিছ বানিয়ে ছাড়বেন'।
(তিরমিযী হা/১৯৪৩, প্রতিবেশীর অধিকার' অনুচ্ছেদ; আবূদাঊদ হা/৫১৫২ 'শিষ্টাচার' অধ্যায়; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১২৮, 'ইহুদী প্রতিবেশী' অনুচ্ছেদ, হাদীছ ছহীহ)
অন্য এক হাদীছে তিনি বলেন, إِرْحَمُوْا مَنْ فِىْ الْأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَّنْ فِىْ السَّمَاءِ.ِ 'তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া কর, তাহ'লে আসমানে যিনি আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন'। (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত, হা/৪৯৬৯)
 
Lekhagulake copy kora jay na. jehetu Islam spread korar jinis. sehetu copy kore onno kothao paste kora jay emon vabe lekha better mone hoy. ki bolen?
 
Lekhagulake copy kora jay na. jehetu Islam spread korar jinis. sehetu copy kore onno kothao paste kora jay emon vabe lekha better mone hoy. ki bolen?

আপনি ঠিকই বলেছেন।
তবে বিশেষ কারনে এখন কোনো কিছুই এখানে কপি করা যায় না। আগে এরকম ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যাক্তি এখানকার বিভিন্ন কনটেন্ট নিজ নামে অন্য কোনো ফোরামে বা প্ল্যাটফরমে প্রকাশ/প্রচার করার প্রেক্ষিতে TS দের অনুরোধে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টা দুঃখজনক হলেও অবস্থা বিবেচনায় এটাই সঠিক বলে সবাই মেনে নিয়েছেন।
আপনার অনুভবকে সম্মান জানাই সেই সাথে আশা করি আমাদের অপারগতার ব্যাপারটাও আপনি বুঝতে পারবেন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
 
রাসূল (ছাঃ) বলেন,
جَعَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الرَّحْمَةَ مِائَةَ جُزْءٍ، فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَّتِسْعِيْنَ، وَأَنْزَلَ فِى الْأَرْضِ جُزْءًا وَاحِدًا، فَمِنْ ذَلِكَ الْجُزْءِ يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ، حَتَّى تَرْفَعَ الْفَرَسُ حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا، خَشْيَةَ أَنْ تُصِيْبَهُ.
'আল্লাহ তা'আলা দয়াকে ১০০টি অংশে বিভক্ত করেছেন। অতঃপর তাঁর নিকটে ৯৯টি অংশ রেখে দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে মাত্র একটি অংশ দিয়েছেন। সেই অংশ থেকেই সৃষ্টজীব পরস্পর দয়া করে। এমনকি পদদলিত হওয়ার ভয়ে ঘোড়া সন্তান থেকে তার ক্ষুরকে উঁচু করে রাখে'।
(বুখারী হা/৬০০০; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১০০।)
শুধু এখানেই শেষ নয়, পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান প্রচার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবকল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে তাঁর পক্ষ থেকে এক লক্ষ চবিবশ হাযার পয়গম্বর প্রেরিত হয়েছেন। (আহমাদ, তাবারাণী, মিশকাত হা/৫৭৩৭; সিলসিলা ছহীহা হা/২৬৬৮) কিন্তু তাঁদের সকলের পরিচয় জানা যায় না। তাই ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মের প্রবর্তকদের নাম শ্রদ্ধাভরে নেওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সকল নবী-রাসূলের উপর বিশ্বাস করা ঈমানের পরিচায়ক। হাদীছে জিবরীলে ঈমানের পরিচয় দিতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, أَنْ تُؤْمِنَ بَاللهِ، وَمَلاَئِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدْرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ. 'আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতামন্ডলী, আসমানী কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, পরকাল এবং ভাগ্যের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস করা'।(মুসলিম, মিশকাত হা/২।) আর এটি বিশ্বভ্রাতৃত্বের অন্যতম একটি নিদর্শন। শুধু পয়গম্বর নয়, অন্যান্য ধর্মে যেসব দেব-দেবী আছে যাদেরকে ইসলাম সমর্থন করে না, তাঁদের সম্বন্ধেও কোন কটু বাক্য বলা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারণ কোন মুসলমান কোন অমুসলমানের উপাস্যকে গালি দিলে
 
সেও প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে মুসলমানের উপাস্য তথা আল্লাহ্কে গালি দিবে। আল্লাহ বলেন, وَلاَ تَسُبُّوْا الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّهِ فَيَسُبُّوْا اللّهَ عَدْواً بِغَيْرِ عِلْمٍ. 'তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহ'লে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে মন্দ বলবে' (আন'আম ৬/১০৮)। সুতরাং অমুসলমান কর্তৃক আল্লাহকে গালি দেওয়ার বিষয়ে ঐ মুসলমানই দায়ী। তাছাড়া একজন মুসলামন দৈনন্দিন ছালাতের শেষ পর্যায়ে ডানে-বামে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে তার চারপাশে অবস্থিত সকল প্রকার জীবের জন্য আল্লাহর নিকটে শান্তি ও কল্যাণের প্রার্থনা করে থাকে। আপন প্রার্থনায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য আল্লাহর দরবারে মঙ্গল কামনার মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্বের এই চূড়ান্ত নিদর্শন ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই ইসলাম শুধু মুসলমানদের ধর্ম নয়, মানবজাতির ধর্ম এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ) শুধু মুসলমানদের নবী নন, সমগ্র মানবজাতির নবী তথা বিশ্বনবী।
ইসলাম মনে করে মানুষের বংশ-গোত্র, ধন-দৌলত কোন কিছুই মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে না। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেকটি মানুষ মানবতার বিরাট বাগিচার এক একটি ফল। আর এটাই সত্যিকারের বিশ্বভ্রাতৃত্ব।


[চলবে]
 
আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহর সকলের মধ্যে ভাতৃত্ব দীর্ঘজীবী করুক আমিন।

এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top