What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সালাত আদায়ের পদ্ধতি – রসূলের সালাত (ধারাবাহিক) (2 Viewers)

৩০. ডান দিকে ও বাম দিকে এ বলে সালাম দিবে:

السلام عليكم ورحمة الله، السلام عليكم ورحمة الله.
 
৩১. সালাম শেষে নিম্ন বর্ণিত আযকার ও দো'আ পড়বে:

এক.

«أستغفر الله، أستغفر الله، أستغفر الله، اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام»؛

সাওবান থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে তিনবার ইস্তেগফার করতেন এবং বলতেন– 190:

«اللهم أنت السلام…» الحديث.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরিয়ে নিম্নের দোয়া পরিমাণ বসতেন– 191:

«اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام»،

এর দ্বারা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার উদ্দেশ্য হচ্ছে তিনি এ দো'আ পরিমাণ কিবলামুখী থাকতেন, অতঃপর মানুষের দিকে চেহারা ফিরাতেন। যেমন সামুরা থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে আমাদের দিকে তার চেহারা ঘুরাতেন"।– 192

দুই.

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير»

তিনবার। কারণ মুগিরা থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: মুয়াবিয়া মুগিরার নিকট এ মর্মে পত্র লেখেন যে, আমাকে এমন একটি হাদিস শোনান যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শোনেছেন, তিনি লিখেন: আমি তাকে সালাত শেষে বলতে শোনেছি:

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك، وله الحمد، وهو على كل شيء قدير»

তিনবার। তিনি আরো বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, সম্পদ নষ্ট করা, মায়ের অবাধ্য হওয়া ও মেয়েদের জীবিত দাফন করা থেকে নিষেধ করতেন।– 193

তিন.

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد – يحيي ويميت، وهو حي لا يموت، بيده الخير– 194 وهو على كل شيء قدير، اللهم لا مانعَ لما أعطيتَ، ولا مُعطيَ لما منعتَ – ولا رادّ لما قضيتَ– 195 ولا ينفع ذا الجدِّ منك الجدُّ»؛

মুগিরা ইব্‌ন শোবা মুয়াবিয়া ইব্‌ন আবু সফিয়ানের নিকট লেখেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক সালাতের পর বলতেন– 196: «لا إله إلا الله وحده لا شريك له…»

চার.

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك، وله الحمد وهو على كل شيء قدير، لا حول ولا قوة إلا بالله، لا إله إلا الله، ولا نعبد إلا إياه، له النعمة، وله الفضل، وله الثناء الحسن، لا إله إلا الله مخلصين له الدين ولو كره الكافرون»؛

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন জুবায়েরের হাদিসে আছে, তিনি প্রত্যেক সালাতের সালাম শেষে এগুলো বলতেন, অতঃপর বলেন: "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে প্রত্যেক সালাতের পর তাহলিল পড়তেন"।– 197

পাঁচ.

«سبحان الله، والحمد لله، والله أكبر (ثلاثًا وثلاثين) لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شيء قدير»؛

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩বার আল্লাহর তাসবিহ পড়ে, ৩৩বার আল্লাহর তাহমিদ পড়ে, ৩৩বার আল্লাহর তাকবির পড়ে, এ হচ্ছে ৯৯বার, এবং একশত বারে বলে:

لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير،

তার সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যদিও সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়"।– 198

বিভিন্ন প্রকারের তাসবিহ, তাহমিদ ও তাকবির বর্ণিত আছে, মুসলিমদের উচিত সবগুলোই পড়া, এক সালাতের পর এটা পড়া, আবার অন্য সালাতের পর অন্যটা পড়া। কারণ এতে অনেক উপকার বিদ্যমান: সুন্নতের অনুসরণ, সুন্নত জীবিত করণ ও অন্তরের উপস্থিতি।– 199

নিম্নে কতক তাসবিহ, তাহমিদ ও তাকবিরের দেয়া হল:

প্রথম প্রকার: সুবহানাল্লাহ ৩৩বার, আল-হামদুলিল্লাহ ৩৩বার, আল্লাহু আকবার ৩৩বার, এবং শেষে বলবে:

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير»

এভাবেই একশত পুরো হবে, যেমন পূর্বে আবু হুরায়রার হাদিসে রয়েছে।– 200

দ্বিতীয় প্রকার: সুবহানাল্লাহ ৩৩বার, আল-হামদুলিল্লাহ ৩৩বার ও আল্লাহু আকবার ৩৪বার, এভাবে একশত পুরো হবে। কাব ইব্‌ন আজুরা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "সালাতের পর কিছু তাসবিহ আছে, যার পাঠকারীরা কখনো বঞ্চিত হয় না, ৩৩বার তাসবিহ, ৩৩বার তাহমিদ ও ৩৪বার তাকবির"।– 201

তৃতীয় প্রকার: "সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার ৩৩বার করে ৯৯বার"। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, গরিব মুহাজিরগণ রাসূলের নিকট এসে বলে: সম্পদশালীরা তো তাদের সম্পদের মাধ্যমে মহান মর্যদা ও জান্নাতের মালিক হয়ে যাচ্ছে, তিনি বললেন: "কিভাবে?" তারা বলল: আমরা যেরূপ সালাত আদায় করি, তারাও সেরূপ সালাত আদায় করে, আমরা যেরূপ সিয়াম পালন করি, তারাও সেরূপ সিয়াম পালন করে, তাদের অতিরিক্ত ফজিলত হচ্ছে তারা তাদের সম্পদ দ্বারা হজ করে, ওমরা করে, জিহাদ করে ও সদকা করে। তিনি বললেন: "আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেব, যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের নাগাল পাবে ও পরবর্তীদের অতিক্রম করে যাবে, তোমাদের চেয়ে উত্তম কেউ হবে না, তবে যারা তোমাদের ন্যায় আমল করে তারা ব্যতীত?" তারা বলল: অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল, তিনি বললেন: "তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩বার তাসবিহ, ৩৩বার তাকবির ও ৩৩বার তাহমিদ পড়বে"। গরিব মুহাজিরগণ ফিরে এসে বলে, আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা আমাদের আমল জেনে তারাও অনুরূপ আমল আরম্ভ করেছে, তিনি বললেন: "এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন"।– 202

চতুর্থ প্রকার: সুবহানাল্লাহ ১০বার, আল-হামদুলিল্লাহ ১০বার এবং আল্লাহু আকবার ১০বার। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আমর থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "দু'টি স্বভাব যে কোন মুসলিম আয়ত্ব করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, যা খুবই সহজ কিন্তু তার উপর আমলকারীর সংখ্যা খুব কম"। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, প্রত্যেক সালাতের পর ১০বার তাসবিহ, ১০বার তাহমিদ ও ১০বার তাকবির বলবে। এভাবে মুখে ১৫০বার উচ্চারণ করা হবে, কিন্তু মিজানে তার ওজন হবে ১৫০০ বলার"।– 203 আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাত দিয়ে গুনতে দেখি। "যখন তোমাদের কেউ শুতে বিছানায় যাবে ৩৩বার তাসবিহ পড়বে, ৩৩বার তাহমিদ পড়বে ও ৩৪বার তাকবির পড়বে, এভাবে মুখে ১০০বার হলেও মিজানে তার ওজন হবে ১০০০বার"। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "তোমাদের এমন কে আছে, যে দিনে দুই হাজার পাঁচ শত পাপ করে?" তাকে বলা হল: আমরা তাহলে এগুলো কেন পড়ব না? তিনি বললেন: "তোমাদের কেউ যখন সালাতে থাকে, তখন শয়তান আগমন করে বলে: এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, এবং ঘুমের সময় আসে অতঃপর তাকে ঘুম পারিয়ে দেয়"। ইব্‌ন মাজার শব্দ এরূপ: "শয়তান তাকে ঘুম পারানো চেষ্টা করে, অবশেষে সে ঘুমিয়ে যায়"।– 204 আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি মারফূ হাদিসে আছে: "প্রত্যেক সালাতের পর ১০বার তাসবিহ পড়বে, ১০বার তাহমিদ পড়বে ও ১০বার তাকবির বলবে"।– 205

পঞ্চম প্রকার: ১১বার তাসবিহ, ১১বার তাহমিদ ও ১১বার তাকবির। সুহাইল তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন: "১১, ১১ ও ১১ সব মিলে ৩৩বার"।– 206

ষষ্ট প্রকার:

«سبحان الله، والحمد لله، ولا إله إلا الله،والله أكبر»

সবগুলো তাসবিহ ২৫বার বলবে। যেমন যায়েদ ইব্‌ন সাবেত ও ইব্‌ন ওমরের হাদিসে এসেছে।– 207

সপ্তম প্রকার:

আয়াতুল কুরসি পড়বে:

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةٞ وَلَا نَوۡمٞۚ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيۡءٖ مِّنۡ عِلۡمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا يَ‍ُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ ٢٥٥- البقرة:255

আবু উমামা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশ করার আর কোন বাঁধা তার থাকবে না"। তাবরানি এর সাথে সূরা ইখলাসকেও সংযুক্ত করেছেন।– 208

অষ্টম প্রকার: প্রত্যেক সালাতের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে। কারণ, উকবা ইব্‌ন আমের বলেন: "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রত্যেক সালাতের পর এগুলো পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন"।– 209

নবম প্রকার: ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর ১০বার করে পড়বে:

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك، وله الحمد، يحيي ويميت – بيده الخير– 210 وهو على كل شيء قدير»

কারণ আবু জর, মু'য়ায, আবু আইয়াশ জারকি, আবু আইয়ূব, আব্দুর রহমান ইব্‌ন গুনম আশ'আরি, আবু দারদা, আবু উমামা ও উমারাহ ইব্‌ন শাবিব সাবায়ি থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।– 211 এদের সকলের হাদিসের সারমর্ম হচ্ছে, যে ব্যক্তি মাগরিব অথবা ফজর সালাতের পর দশবার বলবে, আল্লাহ তার জন্য এমন প্রহরী প্রেরণ করবেন, যে তাকে শয়তান থেকে হিফাযত করবে সকাল পর্যন্ত এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে, সে ঐ দিন সকল অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে, আল্লাহ তার জন্য দশটি নেকি লিখবেন ও তার দশটি পাপ মোচন করবেন, এগুলো তার জন্য দশজন মুমিন দাসির বরাবর হবে, আল্লাহর সাথে শিরক ব্যতীত অন্য কোন পাপ সে দিন তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারবে না। সেই সবচেয়ে উত্তম আমলকারী হিসেবে গণ্য হবে, যদি কেউ তার চেয়ে উত্তম বাক্য না বলে।

দশম প্রকার: ফজর সালাত শেষে বলবে:

اللهم إني أسألك علمًا نافعًا، ورزقًا طيبًا، وعملاً مُتَقَبَّلاً

উম্মে সালমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর সালাতের সালাম শেষে উপরোক্ত দোয়া পড়তেন।– 212

এগারতম প্রকার: বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করতাম, তখন তার ডান পাশে দাঁড়াতে পছন্দ করতাম, তিনি আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন। তিনি বলেন: আমি তাকে বলতে শোনেছি– 213:

«ربِّ قني عذابك يوم تبعث عبادك أو تجمع عبادك».

বারোতম প্রকার: ফরয সালাত শেষে উচ্চ স্বরে আজকার পড়া সুন্নত। কারণ ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: "তাকবিরের মাধ্যমেই আমরা জানতাম রাসূলুল্লাহ সালাত শেষ করেছেন"।– 214 বুখারি বর্ণনা করেন: "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ফরয সালাত শেষে উচ্চ স্বরে যিকির করার নিয়ম ছিল"।– 215 ইব্‌ন হাজার রহ. বলেন: "উচ্চ স্বরে জিকির এর উদ্দেশ্য তারা উচ্চ স্বরে তাকবির বলতেন, অর্থাৎ তারা তাসবিহ ও তাহমিদের পূর্বে তাকবির বলতেন"।– 216 এ ব্যাখ্যাকে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস আরো স্পষ্ট করে যে, আবু সালেহ বলেছেন: "আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ ও আল-হামদুলিল্লাহ সবগুলোই ৩৩বার করে পড়বে,– 217 তিনি তাকবির দ্বারা আরম্ভ করেছেন।
 
৩২. সুনানে রাওয়াতিবগুলো পড়বে। কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোহরের পূর্বে চার রাকাত ও ফজরের পূর্বে দু'রাকাত কখনো ত্যাগ করতেন না"।– 218 উম্মুল মুমিনিন উম্মে হাবিবা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শোনেছি: "যে ব্যক্তি দিন ও রাতে বার রাকাত সালাত পড়বে, এর পরিবর্তে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন"। অপর বর্ণনায় আছে: "এমন কোন মুসলিম বান্দা নেই যে প্রতি দিন বার রাকাত নফল সালাত আদায় করে, কিন্তু আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন না, অথবা তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করা হবে না"।– 219 এর ব্যাখ্যায় ইমাম তিরমিযি বাড়িয়ে বলেন: "চার রাকাত জোহরের পূর্বে ও দু'রাকাত জোহরের পর, দু'রাকাত মাগরিবের পর, দু'রাকাত এশার পর ও দু'রাকাত ফজরের পূর্বে"।– 220

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: "আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দশ রাকাত মুখাস্ত করেছি: দু'রাকাত জোহরের পূর্বে ও দু'রাকাত জোহরের পর, মাগরিবের পর দু'রাকাত তার ঘরে, এশার পর দু'রাকাত তার ঘরে এবং ফজরের পূর্বে দু'রাকাত"। অপর বর্ণনায় আছে: "জুমার পর দু'রাকাত তার ঘরে"।– 221

অতএব, সুনানে রাওয়াতেব দশ রাকাত, যেমন ইব্‌ন ওমর বলেছেন, অথবা বার রাকাত যেমন উম্মে হাবিবা ও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন। আমাদের শায়খ আল্লামা ইব্‌ন বাযকে বলতে শোনেছি: "যারা ইব্‌ন ওমরের হাদিস গ্রহণ করেছে, তারা বলে সুন্নত দশ রাকাত, আর যারা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদিস গ্রহণ করে, তারা বলে সুন্নত বারো রাকাত। ইমাম তিরমিযির ব্যাখ্যা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদিসকে শক্তিশালী করে, আর উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদিস এসব সুন্নতের ফযিলত বর্ণনা করে। হয়তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো বার রাকাত পড়েছেন, যেমন আয়েশা ও উম্মে হাবিবার হাদিসে আছে, কখনো দশ রাকাত পড়েছেন, যেমন ইব্‌ন ওমর থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে। যখন আগ্রহ ও স্পৃহা থাকে বারো রাকাত পড়বে, আর যখন ব্যস্ততা থাকে দশ রাকাত পড়বে। তবে সবগুলো সুন্নতে রাওয়াতেব, হ্যাঁ পূর্ণতা হচ্ছে আয়েশা ও উম্মে হাবিবার হাদিস মোতাবিক বারো রাকাত পড়া"।– 222

যদি কোন মুসলিম জোহরের পূর্বে চার রাকাত ও জোহরের পর চার রাকাত পড়ার ইচ্ছা করে আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। যেমন উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শোনেছি, তিনি বলেন: "যে ব্যক্তি জোহরের পূর্বে চার রাকাত ও জোহরের পর চার রাকাত নিয়মিত পড়বে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেবেন"।– 223

যদি কোন মুসলিম আসরের পূর্বে চার রাকাত পড়ার ইচ্ছা করে, আল্লাহ তার উপর রহম নাজিল করবেন। ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«رحم الله امرءًا صلى أربعًا قبل العصر»

"আল্লাহ সে ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে আসরের পূর্বে চার রাকাত সালাত আদায় করল"।– 224
 
তথ্য সূত্রঃ

– 1 বুখারি, কিতাবুল আযান: (৬৩১)

– 2 সূরা মায়েদা: (৬)

– 3 মুসলিম: (২২৪)

– 4 সূরা বাকারা: (১৪৪)

– 5 বুখারি: (৭৯৩), মুসলিম: (৩৯৭)

– 6 হাকেম: (১/২৫২), তাবরানি ফিল কাবির: (৭/১১৪), হাদিস নং: (৬৫৩৯), আহমদ: (৩/৪০৪), "মাজমাউজ জাওয়াদে" লিল হায়সামি: (২/৫৮)

– 7 মুসলিম: (৫১০)

– 8 আবু দাউদ: (৬৯৮), আলবানী সহিহ আবু দাউদে (১/১৩৫) বলেন, হাদিসটি হাসান ও সহিহ। লেখক বলেন: আমি শোনেছি শায়খ ইব্‌ন বাজ রাহিমাহুল্লাহ 'বুলুগুল মারাম' এর (২৪৪) নং হাদিসের টিকায় বলেন: "এ হাদিসের সনদ খুবই সুন্দর, এ হাদিস দ্বারা সুতরা ও তার নিকটবর্তী হয়ে সালাত আদায়ের গুরুত্ব প্রমাণি হয়"।

– 9 বুখারি: (৪৯৬), মুসলিম: (৫০৮), "সুবুলুস সালাম" লি সানআনি : (২/১৪৫)

– 10 বুখারি: (৫০৯), মুসলিম: (৫০৫)

– 11 মুসলিম: (৫০৬), লেখক বলেন: আল্লামা ইব্‌ন বাজকে আমি "বুলুগুল মারাম" এর (২৪৮) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যখন কোন ব্যক্তি মুসল্লি ও তার সুতরার মধ্য দিয়ে যেতে চায়, তখন মুসল্লির জন্য বৈধ রয়েছে তাকে প্রতিহত করা। অন্যান্য হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, মুসল্লি তার সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাঁধা দিবে, তার সামনে সুতরাং থাক বা না থাক, তবে দূর দিয়ে অতিক্রম করলে ভিন্ন কথা। আর অতিক্রমকারীকে সহজতর পদ্ধতি দ্বারা প্রতিরোধ করবে, যেমন উটের বাচ্চাকে প্রতিরোধ করা হয়"।

– 12 বুখারি: (৫১০), মুসলিম: (৫০৭)

– 13 বুখারি: (৪৯৩), মুসলিম: (৫১৪)

– 14 বুখারির (৪৯৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় রিয়াদে অবস্থিত 'জামে সারা'য় ১০/০৬/১৪১৯হি. তারিখে আমি তার এ বক্তব্য শ্রবণ করি।

– 15 বুখারি: (৭৯৩), মুসলিম: (৩৯৭)

– 16 সূরা বাকারা: (২৩৮)

– 17 বুখারি: (১১১৭)

– 18 বুখারি: (১), মুসলিম: (১৯০৭)

– 19 বুখারি: (৭৩৫) ও (৭৩৯), মুসলিম: (৩৯০)

– 20 বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)

– 21 মুসলিম: (৩৯০)

– 22 বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)

– 23 বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)

– 24 বুখারি: (৭৩৮), মুসলিম: (৩৯০)

– 25 দেখুন: ফাতহুল বারি লি ইব্‌ন হাজার: (২/৩২৮), সুবুলুস সালাম: (২/২১৭)

– 26 সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: (২/২৮৩), (৫/১৫৮), হাকেম: (১/৪৭৯), হাকেম হাদিসটি সহিহ বলেছেন এবং জাহাবি তার সমর্থন করেছেন। আহমদ: (২/২৯৩), আলবানী তার "সিফাতুস সালাত" গ্রন্থে অনুরূপ হাদিসকে সহিহ বলেছেন।

– 27 মুসলিম: (৪২৯)

– 28 সহিহ ইব্‌ন খুজাইমাহ: (১/২৪৩), হাদিস নং: (৪৭৯), লেখক বলেন: আমি আল্লামা ইব্‌ন বাজ রহ.কে বুলুগুল মারামের (২৯৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "ইমাম আহমদও কুবাইসা সূত্রে তার পিতার সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উভয় হাত বুকের উপর রাখতেন, এ হাদিসের সনদ হাসান"।

– 29 নাসায়ি: (৮৮৭), আলবানী সুনানে নাসায়িতে হাদিসটি সহিহ বলেছেন: (১/১৯৩)

– 30 "শারহুল মুমতি": (৩/৪৪)

– 31 বুখারি: (৭৪০)

– 32 বুলুগুল মারামের (২৯৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যার সময় আমি এ কথা শোনেছি।

– 33 বুখারি: (৭৪৩), মুসলিম: (৫৯৮)

– 34 মুসলিম: (৩৯৯), মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক: (২৫৫৫-২৫৫৭), ইব্‌ন আবি শায়বাহ: (১/২৩০), (২/৫৩৬), ইব্‌ন খুজাইমাহ: (৪৭১), হাকেম: (১/২৩৫), হাকেম হাদিসটি সহিহ বলেছেন এবং ইমাম জাহাবি তার সমর্থন করেছেন। ইব্‌ন তাইমিয়া বলেন: "ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এ দোয়াটি উচ্চস্বরে পড়ে মানুষদের শিক্ষা দিতেন। যদি এটা স্বীকৃত সুন্নত না হত, তিনি তা করতেন না, অন্যান্য মুসলিমরাও তা মেনে নিতেন না"। দেখুন: কায়েদা ফিল ইস্তেফতাহ: (পৃ.৩১), যাদুল মায়াদ লি ইব্‌ন কাইয়িম: (১/২০২-২০৬), ইমাম আহমদ দশটি কারণে সালাতের শুরুতে ওমর থেকে বর্ণিত হাদিসটি গ্রহণ করেছেন। দেখুন: যাদুল মা'য়াদ: (১/২০৫), লেখক বলেন: আমি ইমাম আব্দুল আযিয ইব্‌ন বায রহ.কে "রাওজুল মুরবি" (২/২৩) গ্রন্থের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "এ হাদিসটি এক দল সাহাবি থেকে বর্ণিত"। আমি (লেখক) বলছি: এ হাদিসটি আবু বকর, ওমর, উসমান, আয়েশা, আনাস, আবু সাঈদ ও আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ বর্ণনা করেছেন, এ দো'আর মাধ্যমে ওমর, আবু বকর ও উসমান তাদের সালাত আরম্ভ করতেন। দেখুন: আল-মুনতাকা মা'আ নাইলুল আওতার": (১/৭৫৬)

– 35 মুসলিম: (৭৭১)

– 36 ইব্‌ন তাইমিয়া রহ. "কায়েদাহ ফি আনওয়ায়িল ইস্তেফতাহ" (পৃ.৩১) গ্রন্থে উল্লেখ করেন: সালাত আরম্ভ করার দোয়া «سبحانك اللهم বা «وجهت وجهي বা এ ধরণের অন্য কোন দোয়ার সাথে খাস নয়, বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্নিত যে কোন দোয়ার মাধ্যমেই সালাত আরম্ভ করা যায়, তবে কোনটি পড়া বেশী উত্তম এটা প্রমাণিত হয় অন্য দলিলের ভিত্তিতে। আমি (লেখক) আল্লামা আব্দুল আযীয ইব্‌ন বায রহ.কে "বুলুগুল মারাম" এর (২৮৭) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "সালাত আরম্ভ করার একটি দোয়াই যথেষ্ট, একাধিক দোয়া এক সাথে পড়বে না, নফল সালাতে যে দোয়া পড়া বৈধ, ফরজ সালাতেও তা পড়া বৈধ, তবে যেসব দোয়া লম্বা তা রাতের সালাতে পড়াই উত্তম"। আমরা এখানে সালাত আরম্ভ করার আরো কিছু দোয়া উল্লেখ করছি:

চার. আব্দুর রহমান ইব্‌ন আউফ বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করি, কোন দোয়ার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন: তিনি যখন রাতে সালাতের জন্য উঠতেন, তখন তিনি নিম্নের দোয়া দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন:

«اللهم ربَّ جبرائيل وميكائيل وإسرافيل،فاطر السموات والأرض، عالم الغيب والشهادة، أنت تحكم بين عبادك فيما كانوا فيه يختلفون، اهدني لما اختلف فيه من الحق بإذنك إنك تهدي من تشاء إلى صراط مستقيم».

"হে আল্লাহ তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসলাফিলের রব, আসমান ও যমীন সৃষ্টিকারী, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমিই বান্দাদের বিতর্কিত বিষয়ে ফয়সালা প্রদানকারী। মানুষের বিতর্কিত বিষয়ে তুমি আমাকে সঠিক পথের দিশা দান করুন, নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা কর সঠিক পথের দিশা প্রদান কর"। মুসলিম: (৭৭১)

পাঁচ. আনাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি সালাতের কাতারে অনুপ্রবেশ করে, যখন নিশ্বাস তাকে কাবু করে ফেলেছিল, সে বলে:

«الحمد لله حمدًا كثيرًا طيبًا مباركًا فيه»

"আল্লাহর জন্য অধিক, পবিত্র ও বরকতময় প্রশংসা"। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "আমি দেখেছি বারো জন ফেরেশতা এর সাওয়াব উঠিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছে"। মুসলিম: (৬০০)

ছয়. ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে সালাত আদায় করতেছিলাম, আমাদের থেকে একজন বলল:

«الله أكبر كبيرًا، والحمد لله كثيرًا، وسبحان الله بكرة وأصيلاً»

"আল্লাহ মহান, তার জন্য অগণিত প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা"।: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন "এ দো'আ শোনে আমি আশ্চর্য হলাম, এর জন্য আসমানের দ্বার খুলে দেয়া হয়েছে"।: (৬০১)

সাত. আসেম ইব্‌ন হুমাইদ বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের মাধ্যমে আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন: তুমি আমাকে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ, যার সম্পর্কে তোমার পূর্বে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি, তার অভ্যাস ছিল দাঁড়িয়ে, "দশবার তাকবির বলতেন, দশবার তাহমিদ তথা আল-হাদুল্লিাহ বলতেন, দশবার তাসবিহ তথা সুবহানাল্লাহ বলতেন, দশবার তাহলিল তথা লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার বলতেন, দশবার ইস্তেগফার বলতেন, অতঃপর বলতেন:

اللهم اغفر لي، واهدني، وارزقني، وعافني، أعوذ بالله من ضيق المقام يوم القيامة».

"হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হিদায়াত কর, আমাকে রিযক দান কর, আমাকে আফিয়াত তথা নিরাপত্তা দান কর, আমি আল্লাহর নিকট কিয়ামতের দিন সংকীর্ণতা থেকে পানাহ চাচ্ছি"। আবু দাউদ: (৭৬৬), নাসায়ি: (১৬১৭), আহমদ: (৬/১৪৩), এ হাদিসটি আলবানী "সিফাতুস সালাত" (৮৯) ও "সহিহ আবু দাউদে" (১/১৪৬) সহিহ বলেছেন।

আট. ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুতের জন্য উঠে বলতেন:

«اللهم لك الحمد، أنت نور السموات والأرض ومن فيهن، ولك الحمد أنت قيِّم السموات والأرض ومن فيهن – ولك الحمد أنت رب السموات والأرض ومن فيهن – ولك الحمد لك ملك السموات والأرض ومن فيهن – ولك الحمد أنت ملك السموات والأرض – ولك الحمد – أنت الحقُّ، ووعدك الحق، وقولك الحق، ولقاؤك الحق، والجنة حق، والنار حق، والنبيون حق، ومحمد ﷺ حق، والساعة حق – اللهم لك أسلمت، وعليك توكلت، وبك آمنت، وإليك أنبت، وبك خاصمت، وإليك حاكمت، فاغفر لي ما قدَّمتُ، وما أخَّرْتُ، وما أسررْتُ، وما أعلنتُ – أنت المقدِّم، وأنت المؤخِّر، لا إله إلا أنت – أنت إلهي لا إله إلا أنت،

"হে আল্লাহ সকল প্রশংসা তোমার জন্য, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী নূর, তোমার জন্যই সকল প্রশংসা, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যে বিদ্যমান সকল বস্তুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর মালিক, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমি আসমান ও যমীনের প্রভু, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমিই সত্য, তোমার ওয়াদা সত্য, তোমার কথা সত্য, তোমার সাক্ষাত সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মদ সত্য, কিয়ামত সত্য, হে আল্লাহ তোমার নিকট আত্ম সমর্পণ করলাম, তোমার উপর তাওয়াক্কুল করলাম, তোমার উপরই ঈমান আনয়ন করলাম, তোমার দিকেই মনোনিবেশ করলাম, তোমার মাধ্যমেই আমি তর্ক করি এবং তোমার নিকটই আমি ফয়সালা চাই, অতএব তুমি আমার অগ্র-পশ্চাৎ, দৃশ্য ও অদৃশ্য সকল পাপ মোচন কর, তুমিই আদি এবং তুমিই অন্ত। তুমি আমার ইলাহ, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই"। বুখারি: (৬৩১৭), (৭৩৮৫), (৭৪৪২), (৭৪৯৯), মুসলিম: (৭৬৯), আরো দো'আর জন্য দেখুন: "যাদুল মা'য়াদ": (১/২০২-২০৭)

– 37 সূরা নাহল: (৯৮)

– 38 আহমদ: (৩/৫০), আবু দাউদ: (৭৭৫), তিরমিযি: (২৪২) ইত্যাদি।

– 39 আহমদ: (৩/২৬৪), নাসায়ি: (৯০৭), ইব্‌ন খুজাইমাহ: (১/২৪৯), হাদিস নং: (৪৯৫), আলবানী "সহিহ নাসায়িতে": (১/১৯৭) হাদিসটি সহিহ বলেছেন।

– 40 লেখক বলেন : আমি আব্দুল আযিয ইব্‌ন বাজ রহ.কে "বুলুগুল মারাম" গ্রন্থের (২৯৭-৩০০) নং হাদিসের ব্যাখ্যা প্রদানের সময় বলতে শোনেছি: "বিসমিল্লাহ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আয়াত, এটা ফাতেহা কিংবা অন্য কোন সূরার অংশ নয়, দুই সূরার মাঝখাকে পৃথক করার জন্য আল্লাহ এ সূরা আয়াত করেছেন, তবে এটা সূরা নামলের একটি আয়াত। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। আর সূরা ফাতেহার সপ্তম আয়াত হচ্ছে: غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧

– 41 বুখারি: (৭৫৬), মুসলিম: (৩৯৪)

– 42 আবু দাউদ: (৮২৩), তিরমিযি: (৩১১), আহমদ: (১/৩২২), ইব্‌ন হিব্বান: (৩/১৩৭), হাফেয ইব্‌ন হাজার 'তালখিসুল হাবির' (১/২৩১) গ্রন্থে বলেন: "এ হাদিসটি আবু দাউদ, দারা কুতনি, তিরমিযি, ইব্‌ন হিব্বান, হাকেম ও বায়হাকি সহিহ বলেছেন"।

– 43 আমহদ: (৫/৪১০), ইব্‌ন হাজার 'তালখিুসুল হাবির': (১/২৩১) গ্রন্থে বলেন: "এ হাদিসের সনদ হাসান"।

– 44 বুখারি: (৭৮৩)

– 45 দারা কুতনি: (১/৩১১), হাকেম ফিল মুস্তাদরাক: (১/২২৩), তিনি বলেন: এ হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের র্শত মোতাবেক সহিহ, ইমাম জাহাবি তার সমর্থন করেছেন। ইমাম বায়হাকি হাদিসটি বর্ণনা করে বলেন: হাসান ও সহিহ। বায়হাকি: (২/৩২)

– 46 বুখারি: (৭৮০), মুসলিম: (৪১০)

– 47 বুখারি: (৭৮২), মুসলিম: (৪১০)

– 48 আহমদ: (৪/৩৫৩, ৩৫৬, ৩৮২) আবু দাউদ: (৮৩২), নাসায়ি: (৯২৪), ইব্‌ন হিব্বান: (১৮০৫-১৮০৭), তিনি হাদিসটি সহিহ বলেছেন। দারাকুতনি: (১/৩১৩), তিনি হাদিসটি সহিহ বলেছেন। হাকেম: (১/২৪১), তিনি হাদিসটি সহিহ বলেছেন, ইমাম যাহাবি তার সমর্থন করেছেন।

– 49 বুখারি: (৭৫৯), মুসলিম: (৪৫১)

– 50 বুখারি: (৭৬২)

– 51 মুসলিম: (৪৫২), আহমদ: (৩/৮৫), বন্ধনীর অংশ মুসনাদে আহমদ থেকে নেয়া: (৩/৮৫)

– 52 দেখুন: নাইলুল আওতার: (১/৮০২)

– 53 সূরা ক্বাফ বা হুজুরাত থেকে সূরা নাস পর্যন্ত সূরাগুলোকে মুফাস্‌সাল বলে। —সম্পাদক

– 54 নাসায়ি: (৯৮৩), আহমদ: (২/৩২৯), বুলুগুল মারাম ও ফাতহুল বারিতে এ সনদটি ইব্‌ন হাজার সহিহ বলেছেন। দেখুন: নাইলুল আওতার: (১/৮১৩), ইমাম ইব্‌ন বাজও এর সনদটি সহিহ বলেছেন, রওজুল মুরবি: (২/৩৪), সহিহ সুনানে নাসায়িতে আলবানী হাদিসটি সহিহ বলেছেন: (১/২১২), হাদিস নং: (৯৩৯)

– 55 মুসলিম: (৪৫৪)

– 56 বুখারি: (৫৪৭), মুসলিম: (৬৪৭)

– 57 মুফাসসাল হচ্ছে সূরা কাফ থেকে সূরা নাস পর্যন্ত। তিওয়ালে মুফাসসাল হচ্ছে সূরা কাফ থেকে সূরা নাবা পর্যন্ত, আওসাত হচ্ছে নাবা থেকে দোহা পর্যন্ত, তারপর থেকে শেষ পর্যন্ত কিসার। দেখুন: হাশিয়াহ রওজুল মুরবি লি ইব্‌ন কাসেম: (২/৩৪), তাফসিরে ইব্‌ন কাসির, তিনি বলেন: "বিশুদ্ধ মতে এটাই মুফাসসালের আরম্ভ, কেউ বলেছেন সূরা হুজুরাত: (৪/২২১)

– 58 নাসায়ি: (৯৮৩), আহমদ: (২/৩২৯)

– 59 এ কথা আমি শায়খ ইব্‌ন বাযের মুখে 'রওজুল মুরবি'র ব্যাখ্যার সময় বলতে শোনেছি: (২/৩৪)

– 60 যাদুল মায়াদ: (১/২০৯)

– 61 বিভিন্ন সালাতে পঠিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতক কিরাত এখানে আমরা উল্লেখ করছি:

এক. ফজরের সালাতে তিনি পড়েছেন: সূরা মুরসালাত, বুখারি: (৭৬৩), মুসলিম: (৪৬২), সূরা আরাফ, বুখারি: (৭৬৪), সূরা তুর, বুখারি: (৭৬৫), মুসলিম: (৪৬৩), সূরা দুখান, নাসায়ি: (৯৮৮), কিসারে মুফাস্‌সাল, নাসায়ি: (৯৮৩), আলবানী বলেছেন, ইমাম তাবরানি তার 'কাবির' গ্রন্থে একটি সহিহ সনদে উল্লেখ করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দু'রাকাতে সূরা আনফাল পড়েছেন। সিফাতুস সালাত: (১১৫)

দুই. এশার সালাতে তিনি পড়েছেন: সূরা ইনশিকাক, বুখারি: (৭৬৬), সূরা আত্-তিন, বুখারি: (৭৬৭), মুসলিম: (৪৬৪), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াজকে এশার সালাতে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন সূরা আলা, সূরা লাইল, সূরা শামস, সূরা দোহা ও অনুরূপ সূরাসমূহ, মুসলিম: (৪৬৫)

তিন. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাতে অথবা এক রাকাতে ষাট থেকে একশত আয়াত পর্যন্ত পড়তেন, বুখারি: (৫৪৭), মুসলিম: (৬৪৭), সূরা মুমিনুন পড়েছেন, বুখারি কিতাবুল আযান, মুসলিম: (৪৫৫), সূরা কাফ, মুসলিম: (৪৫৭), সূরা তাকবির, মুসলিম: (৪৫৬), সূরা রূম, আহমদ: (৩/৪৭২), নাসায়ি: (২/১৫৬), সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়েছেন, নাসায়ি: (৯৫২), বিদায় হজে তাওয়াফে বিদায় তিনি ফজরের সালাতে সূরা তুর পড়েছেন, বুখারি। সূরা ওয়াকিয়া ও অনুরূপ সূরা পাঠ করেছেন, সহিহ ইব্‌ন খুজাইমাহ: (১/২৬৫), জুমার দিন ফজরের সালাতে সূরা আলিফ লাম মিম সাজদাহ ও সূরা দাহার পড়তেন, বুখারি: (৮৯১), মুসলিম: (৮৭৯)

চার. জোহরের সালাতে তিনি পড়তেন, সূরা লাইল, মুসলিম: (৪৫৯), সূরা আলা, মুসলিম: (৪৬০), সূরা তারেক, সূরা বুরুজ ও অনুরূপ সূরা, আবু দাউদ: (৮০৫), তিরমিযি: (৩০৭), নাসায়ি: (২/১৬৬), জুমার সালাতে সূরা জুমা ও সূরা মুনাফিকুন পড়তেন, মুসলিম: (৮৭৯), অথবা সূরা আলা ও গাশিয়াহ, মুসলিম: (৮৭৮), অথবা সূরা জুমা ও গাশিয়াহ, মুসলিম: (৮৭৮)

পাঁচ. আসরের সালাতে তিনি পড়তেন, সূরা তারেক, সূরা বুরুজ ও অনুরূপ সূরা, আবু দাউদ: (৮০৫), তিরমিজি: (৩০৭), নাসায়ি: (৯৭৯)

ছয়. ঈদের সালাতসমূহে তিনি পড়তেন, সূরা কাফ ও সূরা কামার, মুসলিম: (৮৯১), অথবা সূরা আলা ও গাশিয়াহ, মুসলিম: (৮৭৮), এ হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত, এতদ সত্বেও তিনি হালকা সালাত আয়াদের নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ "মুসল্লিদের মাঝে ছোট, বড়, দুর্বল, অসুস্থ ও ব্যস্ত লোক রয়েছে"। মুসলিম: (৪৬৬), "তবে যখন একাকি সালাত পড়বে, তখন যেভাবে ইচ্ছা পড়বে"। মুসলিম: (৪৬৭), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "আমি সালাতে থেকে তা লম্বা করতে ইচ্ছা করি, কিন্তু বাচ্চার কান্না শোনে তার মায়ের কষ্টের কথা মনে করে হালকা করে ফেলি"। মুসলিম: (৪৭০), হালকা করা একটি তুলনামূলক বিষয়, এর পরিমাপ করতে হবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লামের কর্ম থেকেই, মুক্তাদিদের প্রবৃত্তির দিকে লক্ষ করে নয়, তার আদর্শই এ ব্যাপারে ফয়সালাকারী, যেমন নাসায়িতে ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হালকা সালাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন, তিনি আমাদের সাথে সূরা সাফফাত দ্বারা ইমামতি করতেন"। নাসায়ি: (২/৯৫), হাদিস নং: (৮২৬), ইব্‌ন কাইয়ূম রহ. বলেন: "সূরা সাফফাত পড়া হালকা সালাতের অন্তর্ভু্ত, যে হালকা সালাত তাকে পড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আল্লাহ ভাল জানেন"।যাদুল মা'আদ: (১/২১৪), "তিনি প্রত্যেক সালাতের প্রথম দু'রাকাত লম্বা করতেন ও শেষের দু'রাকাত ছোট করতেন"। বুখারি: (৭৭০), মুসলিম: (৪৫৩)

– 62 আবু দাউদ: (৭৭৮), তিরমি: (২৫১), তিনি হাদিসটি হাসান বলেছেন। আহমদ: (৫/২৩), ইমাম তিরমিযি বলেন: মুহাম্মদ বলেছেন: আলি ইব্‌ন আব্দুল্লাহ বলেছে: "সামুরা থেকে বর্ণিত হাসানের হাদিস সহিহ, হাসান থেকে শ্রবণ করেছে"। (১/৩৪২)

– 63 সূরা হাজ: (৭৭)

– 64 বুখারি: (৭৫৭), মুসলিম: (৩৯৭)

– 65 বুখারি: (৭৮৯), মুসলিম: (৩৯২)

– 66 বুখারি: (৭৮৫), মুসলিম: (৩৯২)

– 67 বুখারি: (৭৩৫), মুসলিম: (৩৯০)

– 68 বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)

– 69 মুসলিম: (৪৯৮)

– 70 বুখারি: (৮২৮), বন্ধরি অংশ আবু দাউদ: (৭৩০ ও ৭৩১) থেকে সংগৃহিত। আলবানী হাদিসটি সহিহ বলেছেন: সহিহ আবু দাউদ: (১/১৪১)

– 71 আবু দাউদ: (৭৩৪), সহিহ আবু দাউদ লিল আলবানী: (১/১৪১), তিরমিজি: (২৬০), সহিহ সুনানে তিরমিজি লিল আলবানী: (১/৮৩)

– 72 আবু দাউদ: (৮৫৯), সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (৭৬৫), (১/১৬২)

– 73 সুনানে ইব্‌ন মাজাহ: (৮৭২), মাজমাউ'য যাওয়াদে: (২/১২৩)

– 74 বুখারি: (৭৯১), (৩৮৯), (৮০৮),

– 75 বুখারি: (৭৯২), (৮২০), (৮০১), (৮২০), মুসলিম: (৪৭১)

– 76 মুসলিম: (৭৭২), আবু দাউদ: (৮৭১)

– 77 ইব্‌ন মাজাহ: (৮৮৮), সিফাতুস সালাত: (১৩৬), সহিহ ইব্‌ন মাজাহ: (১/১৪৭)

– 78 বুখারি: (৭৯৪), (৮১৭), মুসলিম: (৪৮৪)

– 79 মুসলিম: (৪৮৭)

– 80 আবু দাউদ: (৮৮৩), নাসায়ি: (১০৪৯), সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (১/১৬৬)

– 81 মুসলিম: (৭৭১)

– 82 মুসলিম: (৪৭৯)

– 83 বুখারি: (৭৯৫)

– 84 বুখারি: (৭৯৬), মুসলিম: (৪০৯)

– 85 বুখারি: (৭৮৯), মুসলিম: (৩৯২)

– 86 বুখারি: (৭৮৯), মুসলিম: (৩৯২)

– 87 বুখারি: (৭৯৬), মুসলিম: (৪০৯)

– 88 বুখারি: (৭৯৬), মুসলিম: (৪০৯)

– 89 দেখুন হাদিসে রিফাআ, বুখারি: (৭৯৯)

– 90 দেখুন হাদিসে আবু সাইদ খুদরি, মুসলিম: (৪৭৭) ও (৪৭৮)

– 91 নাসায়ি: (৮৮৭)

– 92 বুখারি: (৮২১), মুসলিম: (৪৭২)

– 93 সূরা হাজ: (৭৭)

– 94 বুখারি: (৭৫৭)

– 95 বুখারি: (৭৮৯), মুসলিম: (৩৯২)

– 96 আবু দাউদ: (৮৩৮), (৮৩৯), তিরিমিযি: (২৬৮), নাসায়ি: (১০৮৯), সুনানে ইব্‌ন মাজাহ: (৮৮২), ইব্‌ন খুযাইমা: (২৬২) প্রমুখগণ।

– 97 বুখারি: (৮২৮)

– 98 সহিহ ইব্‌ন খুযাইমা: (৬৪২)

– 99 সহিহ ইব্‌ন খুযাইমা: (৬৪৩)

– 100 সহিহ ইব্‌ন খুযাইমা: (৬৫১), আবু দাউদ: (৭৩০)

– 101 বুখারি: (৮১২), মুসলিম: (৪৯০)

– 102 বুখারি: (৮০৭), মুসলিম: (৪৯৫)

– 103 আবু দাউদ: (৭৩৫)

– 104 আবু দাউদ: (৭৩৪), তিরমিযি: (২৭০), তিনি হাদিসটি হাসান ও সহিহ বলেছেন। সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (১/২৪২)

– 105 নাসায়ি: (৮৮৯), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/১৯৪)

– 106 তিরমিযি: (২৭১), সহিহ সুনানে তিরমিযি: (১/৮৬)

– 107 বুখারি: (৮২২), মুসলিম: (৪৯৩)

– 108 মুসিলম: (৪৯৪)

– 109 সহিহ ইব্‌ন খুজাইমা: (৬৫৪), বায়হাকি: (২/১১৬)

– 110 মুসলিম: (৪৮৬)

– 111 বুখারি: (৭৯৪), মুসলিম: (৪৮৪)

– 112 মুসলিম: (৪৮৭)

– 113 আবু দাউদ: (৮৮৩), নাসায়ি: (১০৪৯)

– 114 মুসলিম: (৭৭১)

– 115 মুসলিম: (৪৮৬)

– 116 মুসলিম: (৪৮৩)

– 117 মুসলিম: (৪৭৯)

– 118 মুসলিম: (৪৭৯)

– 119 বুখারি: (৭৮৯), (৮০৩), মুসলিম: (৩৯৬)

– 120 মুসলিম: (৪৯৮)

– 121 মুসলিম: ১১৩-(৫৭৯)

– 122 মুসলিম: ১১৪-(৫৮০)

– 123 আমাদের শায়খ ইব্‌ন বায রহ. বলেছেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি দু'হাত রানের উপর রেখেছেন, হাটুর উপর রেখেছেন এবং রানের উপর রেখে আঙুলগুলো হাটুর উপর রেখেছেন"। (৩/৮/১৪১৯হি.) শনিবার, ফজরের সালাতে বড় মসজিদে এ ব্যাখ্যা শ্রবণ করি।

– 124 নাসায়ি: (১২৬৯), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/২৭২)

– 125 নাসায়ি: (১২৬৪), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/২৭০)

– 126 আবু দাউদ: (৭২৬), নাসায়ি: (১২৬৫), আহমদ: (৪/৩১৮), ইব্‌ন হিব্বান: (৪৮৫), ইব্‌ন খুযাইমা: (১/৩৫৪), সুনানে আবু দাউদ: (১/১৪০) প্রমূখগণ।

– 127 আল্লামা ইব্‌ন উসাইমিন রহ. বলেছেন: "সহিহ, দুর্বল কিংবা হাসান পর্যায়ের একটি হাদিসও নেই, যার দ্বারা প্রমাণ হয় যে, ডান হাত ডান রানের উপর বিছানো থাকবে। বরং বর্ণিত আছে যে, মুষ্টি বানাবে: কনিষ্ঠা ও অনামিকা দ্বারা মুষ্ঠি বানাবে এবং বৃদ্ধা ও মধ্যমা আঙুল দ্বারা হালকা বানাবে…, যখন সালাতে বসবে, (মুসলিম:৫৮০)কোন বর্ণনা আছে যখন তাশাহুদে বসবে। (মুসলিম:৫৮০), উভয় হাদিসই সহিহ মুসলিমে বিদ্যমান। এর দ্বারা বুঝা যায়, সকল বসাতেই অনুরূপ হালকা বানাবে। সংক্ষিপ্ত। শারহুল মুমতি: (৩/১৭৮)

– 128 আবু দাউদ: (৮৭৪), ইবন মাজাহ: (৮৯৭), সহিহ ইব্‌ন মাজাহ: (১/১৪৮)

– 129 সুনানে আবু দাউদ: (৮৫০)

– 130 ইব্‌ন মাজাহ: (৮৯৭), সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (১/১৬০), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/১৪৮)

– 131 বুখারি: (৭৯২), মুসলিম: (৪৭১)

– 132 বুখারি: (৭৯৩)

– 133 বুখারি: (৭৮৯), মুসলিম: (৩৯৬)

– 134 বুখারি: (৬২৫১)

– 135 বুখারি: (৭৮৯), মুসলিম: (৩৯৬)

– 136 বুখারি: (৮২৩)

– 137 বুখারি: (৬৭৭)

– 138 বুখারি: (৬২৫)

– 139 ইমাম আব্দুল আজিয ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন বায –রহ.- 'বুলুগুল মারাম' এর (৩২৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "এ ব্যাপারে লোকেরা বিস্তর মত বিরোধ করেছে, কেউ বলেছেন এটা তার শরীর ভারী যাওয়ার অবস্থা, কেউ বলেছেন অসুস্থার অবস্থা, আবার কেউ বলেছেন বরং এটা সুন্নত। কারণ হাদিস সহিহ, যার থেকে মুখ ফিরানোর কোন কারণ নেই, এটাই স্পষ্ট। কারণ নীতি এটাই যে, রাসূলের সালাতের যে অবস্থা বর্ণনা করা হবে সেটাই সালাতের সুন্নত, তা কোন শর্তের সাথে নির্দিষ্ট করা যাবে না, অতএব এটা শরীর ভারী হওয়ার অবস্থা বা অসুস্থতার অবস্থা বলা ঠিক নয়, এর জন্য দলিলের প্রয়োজন। জালসায়ে ইস্তেরাহার আরেকটি দলিল হচ্ছে আহমদ ও আবু দাউদ প্রমুখদের জাইয়্যেদ সনদে বর্ণিত হাদিস। আবু দাউদ থেকে বর্ণিত, তিনি কোন একদিন দশজন সাহাবির সামনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের পদ্ধতি বর্ণনা করেন, তাতে জালসায়ে ইস্তেরাহাও উল্লেখ করেন, সবাই তাকে সমর্থন জানান। অতএব আবু হুমাইদকে এগারতম গণনা করলে বারোজন সাহাবি থেকে এটা বর্ণিত, আর যদি তাকে দশম গণনা করা হয়, তাহলে এগারজন সাহাবি থেকে বর্ণিত, আর মালেক ইব্‌ন হুয়াইরিসের হাদিস তো আছেই। জালসায়ে ইস্তেরাহা খুবই সংক্ষেপ: দুই সেজদার মাঝখানে বসার ন্যায়, এতে কোন জিকির ও দোয়া নেই"। লেখক বলল: এ হাদিসটি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও বর্ণিত: বুখারি: (৬২৫)

– 140 আবু দাউদ: (৭৩০), সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (১/১৪০)

– 141 আবু দাউদ: (৮৩৮), তিরমিযি: (২৬৮), নাসায়ি: (১০৮৯), ইব্‌ন মাজাহ: (৮৮২)

– 142 বাখারি: (৮২৪)

– 143 বুখারি: (৭৯৩), মুসলিম: (৩৯৭)

– 144 মুসলিম: (৫৯৯)

– 145 মুসলিম: (৫৯৯)

– 146 মুসলিম: (৪৫১)

– 147 বুখারি: (৭৭০), মুসলিম: (৪৫৩)

– 148 হাশিয়া রওজুল মুরবি: (২/৬২)

– 149 সূরা নাহল: (৯৮)

– 150 যাদুল মায়াদ: (১/২৪২)

– 151 হাশিয়া রওজুল মুরবি: (২/৬২)

– 152 বুখারি: (৮২৮)

– 153 যাদুল মা'য়াদ: (১/২৪২)

– 154 মুসলিম: ১৬৬-(৫৮০) ও ১১৪-(৫৮০)

– 155 ইব্‌ন মাজাহ: (৯১২)

– 156 মুসলিম: ১১৫-(৫৮০)

– 157 নাসায়ি: (১২৭৫), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/২৭২)

– 158 নাসায়ি: (১৬৬০) সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/২৫০)

– 159 নাসায়ি: (৮৯০), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/১৯৪)

– 160 নাসায়ি: (১২৭০), আবু দাউদ: (৯৮৯)

– 161 বায়হাকি: (২/১৩২)

– 162 তিরমিযি: (৩৫৫৭), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/২৭২)

– 163 নাইলুল আওতার: (২/৬৮)

– 164 বুখারি: (৮৩১), মুসলিম: (৪০২)

– 165 মুসল্লি চাইলে অন্যান্য তাশাহুদও পড়তে পারে, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত।

– 166 বুখারি: (৩৩৭০)

– 167 এ ছাড়াও আরো দরুদ বর্ণিত আছে।

– 168 বুখারি: (১৩৭৭), মুসলিম: (৫৮৮)

– 169 বুখারি: (৮৩২), মুসলিম: (৫৮৯)

– 170 বুখারি: (৮২৪), মুসলিম: (২৭০৫)

– 171 মুসলিম: ৪৮-(২৭০৫)

– 172 মুসলিম: (৭৭১)

– 173 বুখারি: (২৮২২), (৬৩৬৫), (৬৩৭৪), (৬৩৯০)

– 174 ইব্‌ন মাজাহ: (৩৮৪৭), সহিহ সুনানে ইব্‌ন মাজাহ: (২/৩২৮), আবু দাউদ: (৭৯২)

– 175 নাসায়ি: (১৩০১), আবু দাউদ: (৯৮৫), আহমদ: (৪/৩৩৮)

– 176 আবু দাউদ: (১৪৯৫), ইব্‌ন মাজাহ: (৩৮৫৮), সহিহ আবু দাউদ: (১/২৭৯), আহমদ: (৩/১৫৮), (৩/২৪২),

– 177 আবু দাউদ: (১৪৯৩), তিরমিযি: (৩৪৭৫), ইব্‌ন মাজাহ: (৩৮৫৭)

– 178 বুখারি: (৮৩১), মুসলিম: (৪০২)

– 179 সিফাতুস সালাত: ইমাম ইব্‌ন বায: (১৮)

– 180 মুসলিম: (৪৩১)

– 181 মুসলিম: (৫৮২)

– 182 বুখারি: (৮৫২), মুসলিম: (৭০৭) ও (৭০৮)

– 183 সুনানে আবু দাউদ: (৮৩৮), তিরমিযি: (২৬৮), নাসায়ি: (১০৮৯), ইব্‌ন মাজাহ: (৮৮২)

– 184 বুখারি: (৭৩৯), মুসলিম: (৩৯০)

– 185 বুখারি: (৮২৮), আবু দাউদ: (৭৩০)

– 186 নাসায়ি: (৮৮৭)

– 187 মুসলিম: (৪৫২)

– 188 বুখারি: (৮২৪), মুসলিম: (৩৯৭)

– 189 বুখারি: (৮২৮)

– 190 মুসলিম: (৫৯১)

– 191 মুসলিম: (৫৯২)

– 192 বুখারি: (৮৪৫)

– 193 বুখারি: (৬৪৭৩) মুসলিম: (৫৯৩)

– 194 বন্ধনির মাঝখানের অংশ মুজামে তাবরানি: (২০/৩৯২), হাদিস নং (৯২৬) থেকে নেয়া,

– 195 বন্ধনির মাঝখানের অংশ মুসনাদে আবদ ইব্‌ন হুমাইদ: (১৫০-১৫১) হাদিস নং: (৩৯১) থেকে নেয়া।

– 196 বুখারি: (৬৩৩০), মুসলিম: (৫৬৩)

– 197 মুসলিম: (৫৯৪)

– 198 মুসলিম: (৫৯৭)

– 199 দেখুন: শারহুল মুমতি: (৩/৩৭), ফতোয়া শায়খুল ইসলাম ইব্‌ন তাইমিয়া: (২২/৩৫-৩৭)

– 200 মুসলিম: (৫৯৭)

– 201 মুসলিম: (৫৯৬)

– 202 বুখারি: (৮৪৩), হাদিস নং: (৫৯৫), মুসলিম: (৫৯৫)

– 203 এটা এ কারণে যে, প্রত্যেক নেকি দশগুন বৃদ্ধি পাবে।

– 204 নাসায়ি: (১৩৪৮), ইব্‌ন মাজাহ: (৯২৬), আবু দাউদ: (৫০৬৫), তিরমিযি: (৩৪১০), আহমদ: (২/৫০২), সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/২৯০), সহিহ ইব্‌ন মাজাহ: (১/১৫২), হাকেম হাদিসটি সহিহ বলেছেন, ইমাম জাহাবি তার সমর্থন করেছেন, হাকেম: (১/২৫৫)

– 205 বুখারি: (৬৩২৯)

– 206 মুসলিম: ৪৩-(৫৯৫)

– 207 নাসায়ি: (১৩৫০) ও (১৩৫১), তিরমিজি: (৩৪১৩), ইব্‌ন খুজাইমাহ: (৫৭২), আহমদ: (৫/১৮৪), দারামি: (১/৩১২), তাবরানি, হাদিস নং: (৪৮৯৮), ইব্‌ন হিব্বান, হাদিস নং: (২০১৭), হাকেম: (১/২৫৩), তিনি হাদিসটি সহিহ বলেছেন, ইমান জাহাবি তার সমর্থন করেছেন।

– 208 নাসায়ি ফি আমালিল ইয়াওম ও লাইলাহ: (১০০), ইব্‌ন সুন্নি ফি আমালিল ইয়াওম ও লাইলা: (১২১), তাবরানি ফিল কাবির: (১/১১৪), হাদিস নং: (৭৫৩২)

– 209 আবু দাউদ: (১৫২৩), নাসায়ি: (১৩৩৬), তিরমিযি: (২৯০৩), সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (১/২৮৪), সহিহ সুনানে তিরমিযি: (২/৮)

– 210 বন্ধনির অংশের জন্য দেখুন কাশফুল আসতার: (৪/২৫), হাদিস নং: (৩১০৬)

– 211 দেখুন: আবু যর থেকে বর্ণিত হাদিস, তিরমিযি: (৩৪৭৪), তিনি হাদিসটি হাসান, গরিব ও সহিহ বলেছেন। আহমদ: (৫/৪২০)। দেখুন: আব্দুর রহমান ইব্‌ন গুনম আশআরি থেকে বর্ণিত হাদিস, আহমদ: (৪/২২৭), দেখুন: আবু আইয়ূব থেকে বর্ণিত হাদিস, আহমদ: (৫/৪১৪), সহিহ ইব্‌ন হিব্বান: (২০২৩), দেখুন: আবু আইয়াশ থেকে বর্ণিত হাদিস, আহমদ: (৪/৬০), আবু দাউদ: (৫০৭৭), ইব্‌ন মাজাহ: (৩৮৬৭), দেখুন: মুয়াজ থেকে বর্ণিত হাদিস, নাসায়ি ফি আমালিল ইয়াওম ও লাইলাহ: (১২৬), ইব্‌ন সুন্নি ফি আমালিল ইয়াওম ও লাইলাহ: (১৩৯), তাবরানি: (৭০৫), দেখুন: উমারা ইব্‌ন শাবিব থেকে বর্ণিত হাদিস, নাসায়ি ফি আমালিল ইয়াওম ও লাইলা: (৫৭৭), তিরমিজি: (৩৫৩৪), দেখুন: আবু উমামাহ থেকে বর্ণিত হাদিস সম্পর্কে মুনজিরি বলেন, "তাবরানি তার আওসাত গ্রন্থে সুন্দর সনদে এটা বর্ণনা করেছেন", তারগিব ও তারহিব: (১/৩৭৫) হায়সামি বলেন: (এ হাদিসটি তাবরানি তার আওসাত ও কাবির গ্রন্থে বর্ণনা করেন, আওসাত গ্রন্থের বর্ণনাকারী সকলেই নির্ভরযোগ্য"। মাজমাউ'য যাওয়ায়েদ : (১০/১১১), দেখুন: আবু দারদা থেকে বর্ণিত হাদিস, হায়সামি তা মাজমাউ'য যাওয়ায়েদ গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেন, এ হাদিস তাবরানি তার কাবির ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। মাজমাউয যাওয়ায়েদ: (১০/১১১)

– 212 ইব্‌ন মাজাহ: (৯২৫), আহমদ: (৬/৩০৫), সহিহ সুনানে ইব্‌ন মাজাহ: (১/১৫২), দেখুন: মাজমাউয যাওয়ায়েদ: (১০/১১১)

– 213 মুসলিম: (৭০৯)

– 214 বুখারি: (৮৪২), মুসলিম: (৫৮৩)

– 215 বুখারি: (৮৪১), মুসলিম: (৫৮৩)

– 216 ফাতহুল বারি: (২/৩২৬)

– 217 মুসলিম: (৫৯৫)

– 218 বুখারি: (১১৮২)

– 219 মুসলিম: (৭২৮)

– 220 তিরমিযি: (৪১৫)

– 221 বুখারি: (১১৮), মুসলিম: (৭২৯)

– 222 বুলুগুল মারামের (৩৭৪) নং হাদিসের ব্যাখ্যার সময় তার মুখে এ কথাগুলো আমি শ্রবণ করি।

– 223 আহমদ: (৬/৩২৬), আবু দাউদ: (১২৬৯), তিরমিজি: (৪২৭), নাসায়ি: (১৮১৪), ইব্‌ন মাজাহ: (১১৬০), সহিহ সুনানে ইব্‌ন মাজাহ: (১/১৯১)। আমি আল্লামা ইব্‌ন বাজ রহ. কে বুলুগুল মারামের (৩৮১) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "এ হাদিসের সনদ খুব সুন্দর, তবে ইব্‌ন ওমর ও আয়েশার হাদিসে যা রয়েছে, তার উপর রাসূলের নিয়মিত আমল ছিল"। আমি বলি: আমি তাকে জীবনের শেষ বয়সেও দেখেছি, তিনি বসে বসে জোহরের আগে চার রাকাত ও জোহরের পরে চার রাকাত পড়তেন, আল্লাহ তার উপর রহম করুন।

– 224 আহমাদ: (২/১১৭), আবু দাউদ: (১২৭১), তিরমিযি: (৪৩০), সহিহ ইব্‌ন খুজাইমা: (১১৯৩), সহিহ সুনানে আবু দাউদ: (১/২৩৭)। আমি আল্লাহ ইব্‌ন বাজ রহ. কে বলতে বুলুগুল মারামের (৩৮২) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: "এ হাদিসের সনদ গ্রহণ করাতে কোন সমস্যা নেই, এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আসরের পূর্বে চার রাকাত পড়া বৈধ ও সুন্নত, তবে এটা সুন্নতে রাতেব নয়, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো এটা নিয়মতি পড়েননি। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের পূর্বে দু'রাকাত পড়তেন, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আসরের পূর্বে দু'রাকাত অথবা চার রাকাত পড়া মুসলিমদের জন্য মুস্তাহাব"।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top