What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইখলাছ মুক্তির পাথেয় (৩য় কিস্তি) (2 Viewers)

ইখলাছের ছওয়াব ও পুরস্কার স্মরণ করা :

ইখলাছের তাৎপর্য ও তার প্রতিদানের কথা স্মরণ করা। মনে রাখা, ইখলাছ হ'ল আমল কবুলের শর্ত। জান্নাতে প্রবেশের একমাত্র রাস্তা। আর শয়তানের কুমন্ত্রণা ও ধোঁকা থেকে বাঁচার একটা মজবুত কেল্লা। যেমন আল্লাহ বলেছেন,
قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِيْ لأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ- إِلاَّ عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِيْنَ-
'শয়তান বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করলেন সেজন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে অবশ্যই শোভন করে দেব এবং আমি তাদের সকলকে বিপথগামী করব। তবে তাদের নয়, যারা আপনার ইখলাছ অবলম্বনকারী (একনিষ্ঠ) বান্দা' (হিজর ১৫/৩৯-৪০)।

আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيْمِ- وَمَا تُجْزَوْنَ إِلاَّ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ- إِلاَّ عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِيْنَ- فَوَاكِهُ وَهُمْ مُّكْرَمُوْنَ- فِيْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ- عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِيْنَ-
'তোমরা অবশ্যই মর্মন্তুদ শাস্তি আস্বাদন করবে এবং তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল পাবে। তবে তারা নয় যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ (মুখলিছ) বান্দা। তাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযক-ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত, সুখদ-কাননে তারা মুখোমুখি হয়ে আসীন হবে' (ছফফাত ৩৭/৩৮-৪৪)।
 
যে ব্যক্তি কোন নেক আমলের দ্বারা শুধু পার্থিব স্বার্থ অর্জন করার নিয়ত করবে তাকে পার্থিব সে স্বার্থ দেয়া হবে পূর্ণভাবে। কিন্তু আখেরাতে থাকবে তার জন্য শাস্তি। কারণ তার নিয়ত ও পুরো চিন্তা-ভাবনা ছিল দুনিয়াকে ঘিরে। আল্লাহ তো তাঁর বান্দাদের অন্তরের নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন। যেমন আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন,
مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِيْنَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيْهَا وَهُمْ فِيْهَا لاَ يُبْخَسُوْنَ- أُوْلَـئِكَ الَّذِيْنَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُواْ فِيْهَا وَبَاطِلٌ مَّا كَانُواْ يَعْمَلُوْنَ-
'যে পার্থিব জীবন ও তার শোভা কামনা করে, দুনিয়াতে আমি তাদের কর্মের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেথায় তাদেরকে কম দেয়া হবে না। তাদের জন্য আখেরাতে আগুন ব্যতীত অন্য কিছুই নেই। আর তারা যা করে আখেরাতে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে থাকে তা নিরর্থক' (হূদ ১১/১৫-১৬)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, 'যে মানুষকে শোনানোর জন্য কাজ করল আল্লাহ তা মানুষকে শুনিয়ে দেবেন। আর যে মানুষকে দেখানোর জন্য কাজ করল আল্লাহ তা মানুষকে দেখিয়ে দেবেন'।(বুখারী হা/৬৪৯৯; মিশকাত হা/৫৩১৬।)
 
আত্মজিজ্ঞাসা ও অধ্যবসায় :

যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বে নিজেকে জিজ্ঞেস করবে যে, এ কাজ দ্বারা তোমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? উত্তর যদি আপনার কাছে সঠিক ও শুদ্ধ মনে হয়, তবে কাজ শুরু করে দিন। আর যদি লক্ষ্য করেন, উত্তর সঠিক হচ্ছে না তাহ'লে নিয়ত ঠিক করে নিন আপনার কাজটি শুরু করার পূর্বে।
সালমান (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক কাজের শুরুতে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ করবে, যখন তুমি সংকল্প কর এবং প্রত্যেক বিচারে তাকে স্মরণ করবে, যখন তুমি রায় দেবে। এর অর্থ এই নয় যে, নিয়ত খারাপ দেখলে কাজটি পরিত্যাগ করবে; বরং নিয়তকে বিশুদ্ধ করে কাজটি শুরু করবে। এটা হ'ল সঠিক নিয়তের অনুশীলন।
 
আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা :

মানুষ আল্লাহর কাছে বেশী করে ধর্ণা দিয়ে তাঁর কাছে বেশী করে দো'আ-প্রার্থনা করে ইখলাছ অবলম্বনের তাওফীক কামনা করবে। এজন্য তো আল্লাহ রাববুল আলামীন দৈনিক পাঁচ বার ছালাতের মাধ্যমে আমাদের বলতে শিখিয়েছেন, 'আমরা তোমারই ইবাদত করি আর তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি' (ফাতিহা ১/৪)। অর্থাৎ একমাত্র তোমারই উপাসনা করি অন্য কারো নয়; আর তোমার উপাসনার জন্য তোমারই কাছে সামর্থ্য চাই, অন্য কারো কাছে নয়। তোমার সাহায্য ছাড়া কেউ ভাল কাজ করতে পারে না এবং তোমার সাহায্য ছাড়া কেউ খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না।
ইবরাহীম (আঃ) শিরক থেকে বিরত থাকা ও আল্লাহর তাওহীদে অটল থাকার জন্য প্রার্থনা করেছেন এভাবে,
وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيْمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـذَا الْبَلَدَ آمِناً وَاجْنُبْنِيْ وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الْأَصْنَامَ-
'স্মরণ করুন! যখন ইবরাহীম বলল, হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রেখ' (ইবরাহীম ১৪/৩৫)।
অর্থাৎ হে আমার প্রভু! আমার সন্তানদের ও শিরকের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন এবং আমাদের তাওহীদ ও ইখলাছ অবলম্বনকারী বানান (নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী, ফাতহুল বায়ান)।
রাসূলে কারীম (ছাঃ) শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার শিক্ষা দিয়েছেন বহু হাদীছে। যেমন- ছাহাবী আবু মূসা আল-আশ'আরী (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে মানব সকল! তোমরা শিরক থেকে নিজেদের রক্ষা কর। কেননা তা অনুভবে পিঁপড়ার চলার শব্দের চেয়েও সূক্ষ্ম। একজন ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! যা পিঁপড়ার চলার শব্দের চেয়েও হাল্কা-আমরা অনুভব করতে পারি না তা থেকে কিভাবে বেঁচে থাকব? তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, হে আল্লাহ! আমরা এমন শিরক থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি যা আমরা জানি এবং এমন শিরক থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, যা আমরা জানি না। (মুসনাদ আহমাদ হা/১৯৬২২; সনদ হাসান, ছহীহ তারগীব হা/৩৬।)
তাই শিরক থেকে বেঁচে থাকতে এবং ইখলাছের উপর কায়েম থাকতে সর্বদা আল্লাহর কাছে সাহায্য ও সামর্থ্য প্রার্থনা করা উচিত।
 
ইবাদত-বন্দেগী বেশী করা :

মানুষের কাছে শয়তানের প্রত্যাশা এই যে, সর্বতোভাবে সে আল্লাহর আনুগত্য পরিত্যাগ করুক, কিংবা নিয়ত ও ধরনের দিক দিয়ে ইবাদত পালন করুক অযথার্থ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু শয়তান যখন জানতে পারে যে, বান্দা তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে, বর্জন করছে তার আনুগত্য এবং যখনি সে বান্দাকে কুমন্ত্রণা দিচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে ইবাদত-বন্দেগী ও ইখলাছ, তখন সে ক্ষ্যান্ত হয়। কারণ বান্দার এ অটলতাই তার জন্য প্রভূত কল্যাণের কারণ হবে সন্দেহ নেই। হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, শয়তান তোমার দিকে দৃষ্টি দিয়ে যখন দেখে যে তুমি সর্বদা আল্লাহর আনুগত্যে অটল, তখন সে তোমাকে প্রত্যাখ্যান করে চলে যায়। আর যখন দেখে তুমি কখনো আনুগত্য করছ, আবার কখনো ছেড়ে দিচ্ছ তখন সে তোমার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠে (ইবনুল মুবারক, আয-যুহুদ )।
 
আত্মতৃপ্তি পরিহার করা :

আমি খুব ভাল মানুষ বা আমি অনেক লোকের চেয়ে সৎকর্ম বেশী করি, এ ধরনের অনুভূতি লালন করার নাম হ'ল আত্মতৃপ্তি। এটা এক খারাপ আচরণ। শয়তান এ পথ দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে থাকে, ঢুকে পড়ে তার অন্তকরণে সন্তর্পণে।
যে আত্মতৃপ্তিতে ভোগে, সে যেন আল্লাহর প্রতি অনুগ্রহ করেছে বলে ধারণা পোষণ করে। যেমন আল্লাহ রাববুল আলামীন আত্মতৃপ্তিতে পতিত হওয়া কতিপয় মানুষের কথা বলেছেন এভাবে,
يَمُنُّوْنَ عَلَيْكَ أَنْ أَسْلَمُوْا قُل لَّا تَمُنُّوْا عَلَيَّ إِسْلاَمَكُم بَلِ اللَّهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ أَنْ هَدَاكُمْ لِلْإِيْمَانِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ-
'তারা ইসলাম গ্রহণ করে তোমাকে ধন্য করেছে বলে মনে করে। বল, তোমাদের ইসলাম গ্রহণ আমাকে ধন্য করেছে বলে মনে করো না, বরং আল্লাহ ঈমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদেরকে ধন্য করেছেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও' (হুজুরাত ৪৯/১৭ )।
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ইখলাছ অবলম্বনে যতগুলো বাধা আছে তার মধ্যে আত্মতৃপ্তি হ'ল অন্যতম। আত্মতৃপ্তি যাকে পেয়ে বসবে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে। এমনিভাবে যে অহংকার করবে তার আমল নিষ্ফলতায় পর্যবসিত হবে (আল-আরবাঈন আন-নাবাবিয়্যাহ )।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, মানুষ যখন কোন কাজ শুরু করবে তখন আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার নিয়ত করবে, আল্লাহ তাকে অনুগ্রহ করে এ কাজ করার সামর্থ্য দিয়েছেন এটা মনে রাখবে, তাঁরই দেয়া শক্তি ও সামর্থ্য দ্বারা এ কাজ করা হচ্ছে, তিনিই মুখ, অন্তর, চোখ, কানকে এ কাজে ব্যবহারের উপযোগী করেছেন এ অনুভূতি পোষণ করবে। এ রকম নিয়ত ও অনুভূতি যদি কাজ করার শুরুতে না থাকে তাহ'লে আত্মতৃপ্তিতে পতিত হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যাবে। ফলে তার আমলটা বৃথা যাবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফাওয়ায়েদ )।
সৃষ্টজীব আমার কাজ সম্পর্কে জানুক, তারা আমার প্রশংসা করুক ও আমাকে তিরস্কার না করুক-এমন নিয়তে কাজ করলে তা এক ধরনের শিরক বলে আল্লাহর কাছে গণ্য হবে (ইবনে তাইমিয়া, মাজমূউ ফাতাওয়া )।
 
মানুষের সমালোচনা ও প্রশংসার প্রতি লক্ষ্য রেখে মুখলিছ বান্দা ইবাদত-বন্দেগী করতে পারে না। কেন সে মানুষের ভাল-মন্দ কথার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করবে। সে তো জানে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, 'জেনে রাখ! পুরো জাতি যদি তোমাকে উপকার করতে একত্র হয় তবুও তোমার কোন উপকার করতে পারবে না, তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা লিখে রেখেছেন (তা অবশ্যই ঘটবে)। এমনিভাবে, পুরো জাতি যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্র হয় তবুও তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তবে আল্লাহ যা তোমার বিপক্ষে লিখে রেখেছেন (তা নিশ্চয়ই ঘটবে)। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে আর খাতা শুকিয়ে গেছে। (ছহীহ তিরমিযী হা/২৫১৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৩০২ )
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন, আগুন ও পানি যেমন একত্র হ'তে পারে না। সাপ এবং গুই সাপ যেমন এক গর্তে থাকতে পারে না, তেমনি একই হৃদয়ে ইখলাছ ও মানুষকে সন্তুষ্ট করার ভাবনা একত্র হ'তে পারে না (ইবনুল কাইয়িম, আল-ফাওয়ায়েদ )।
মানুষের নযর কাড়ার প্রতি গুরুত্ব দিলে, তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের ভাবনা অন্তরে স্থান দিলে তা কাউকে উপকার করবে না ও ক্ষতি থেকেও ফিরাবে না। বরং এ ধরনের ভাবনা শুধু মানুষের কাধে সমালোচনার যোগান দেয়।
 
আল
ইখলাছ মুক্তির পাথেয় (৩য় কিস্তি)

মুখলিছদের আলামত
যারা ইখলাছ অবলম্বন করেন, তাদের বলা হয় মুখলিছ। তাদের কিছু গুণাবলী রয়েছে, যা দেখে বুঝা যাবে যে তারা ইখলাছের গুণে সমৃদ্ধ। এ সকল গুণাবলীর মধ্যে প্রধান প্রধান কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হ'ল :

আল্লাহর সন্তুষ্টিই তাদের একান্ত কাম্য :
ইখলাছের উঁচু স্থানে অবস্থান করেন যারা, তাদের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে যাবতীয় কাজ-কর্মে তারা একমাত্র আল্লাহ্কেই উদ্দেশ্য করেন; খ্যাতি, প্রশংসা, কিংবা নশবর পার্থিব সম্পদের কিছুই তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের এ অবস্থার কথা বহু আয়াত ও হাদীছে এসেছে।
আল্লাহ তাঁর প্রতি সমর্পিত বান্দাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهُ- 'তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখবে তাদের সংসর্গে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাদের প্রতিপালকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে' (কাহফ ১৮/২৮ )। অর্থাৎ তারা তাদের দো'আ ও ইবাদতের মাধ্যমে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি চায়, পার্থিব কোন স্বার্থ চায় না।

আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে বলল, জনৈক ব্যক্তি জিহাদ করছে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ পাওয়ার জন্য, আরেক ব্যক্তি জিহাদ করছে লোকেরা তাকে স্মরণ করবে এজন্য, অন্য এক ব্যক্তি জিহাদ করছে তার মর্যাদা বেড়ে যাবে সেজন্য। এর মধ্যে কে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর বাণীকে সর্বশীর্ষে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে লড়াই করছে সে-ই আল্লাহর পথ জিহাদ করছে'। (বুখারী হা/১৮১০; মিশকাত হা/৩৮১৪। )
মুখলিছ ব্যক্তি তার সকল কাজের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে আল্লাহর দ্বীনকে সর্বশীর্ষে প্রতিষ্ঠিত করা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
্লাহ আমাদেরকে মুখলিস বানান
 
জালালুদ্দিন রুমীর মত প্রেম ভালবাসা থাকতে হবে আল্লাহর উপরে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top