৮. বৈধ কাজগুলো ইবাদতে রূপান্তরিত হওয়া :
ইবাদত ও কাজে-কর্মে বান্দার একনিষ্ঠতা এবং বিশুদ্ধ নিয়ত তার পার্থিব কর্মগুলোকে উঁচু স্তরে উন্নীত করে এবং পরিণত করে গ্রহণযোগ্য ইবাদতে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
وَفِيْ بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ، قَالُوْا يَارَسُوْلَ اللهِ أَيَأْتِيْ أَحَدُناَ شَهْوَتَهُ وَيَكُوْنُ لَهُ فِيْهَا أَجْرٌ؟ قَالَ: أَرَأَيْتَ لَوْ وَضَعَهَا فِيْ حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ وِزْرٌ ؟ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ-
'আর তোমাদের স্ত্রীদের সাথে যৌনকর্মেও রয়েছে ছাদাক্বার ছওয়াব। ছাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কেউ যদি তার যৌন চাহিদা পূরণ করে তাহ'লে কি পুরস্কার? তিনি বললেন, আচ্ছা তোমরা কী মনে কর, যদি কেউ অবৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মেটায় তাহ'লে তার কি পাপ হবে? এমনিভাবে যদি কেউ বৈধ পন্থায় তার যৌন চাহিদা পূরণ করে তাহ'লে পুরস্কার পাবে'। (মুসলিম হা/২৩৭৬। )
সে বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মেটালেও কেন ছওয়াব পাবে? কারণ সে কাজটি করার সময় এ ধারণা করেছে যে, আমি বৈধ পন্থায় কাজটি করে সেই অবৈধ পন্থা থেকে বেঁচে থাকব, যেখানে আল্লাহ আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন। আল্লাহ রাববুল আলামীনের এ অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে আমি তার প্রতি একনিষ্ঠ (মুখলিছ) হ'তে পারব। আর এ ইখলাছপ্রসূত ধারণার কারণেই তার সামান্য মানবিক চাহিদা মেটানোর কাজটাও ছওয়াবের কাজ হিসাবে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে।
অন্য হাদীছে রয়েছে,
إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِيْ بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلاَّ أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِىْ فِيْ اِمْرَأَتِكَ-
'তুমি যা কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে খরচ করবে অবশ্যই তার পুরস্কার পাবে। এমনকি তুমি যা কিছু তোমার স্ত্রীর মুখে দিয়েছ তারও ছওয়াব পাবে'। (বুখারী হা/৫৬। )
স্ত্রী-সন্তানদের জন্য খরচ করা পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব। এখানে পাপ-পুণ্যের কী আছে? তবুও যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রী, সন্তানদের জন্য খরচ করার সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করে তাহ'লে সে ছওয়াব ও পুরস্কার পেয়ে যাবে।
ইবাদত ও কাজে-কর্মে বান্দার একনিষ্ঠতা এবং বিশুদ্ধ নিয়ত তার পার্থিব কর্মগুলোকে উঁচু স্তরে উন্নীত করে এবং পরিণত করে গ্রহণযোগ্য ইবাদতে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
وَفِيْ بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ، قَالُوْا يَارَسُوْلَ اللهِ أَيَأْتِيْ أَحَدُناَ شَهْوَتَهُ وَيَكُوْنُ لَهُ فِيْهَا أَجْرٌ؟ قَالَ: أَرَأَيْتَ لَوْ وَضَعَهَا فِيْ حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ وِزْرٌ ؟ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ-
'আর তোমাদের স্ত্রীদের সাথে যৌনকর্মেও রয়েছে ছাদাক্বার ছওয়াব। ছাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কেউ যদি তার যৌন চাহিদা পূরণ করে তাহ'লে কি পুরস্কার? তিনি বললেন, আচ্ছা তোমরা কী মনে কর, যদি কেউ অবৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মেটায় তাহ'লে তার কি পাপ হবে? এমনিভাবে যদি কেউ বৈধ পন্থায় তার যৌন চাহিদা পূরণ করে তাহ'লে পুরস্কার পাবে'। (মুসলিম হা/২৩৭৬। )
সে বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মেটালেও কেন ছওয়াব পাবে? কারণ সে কাজটি করার সময় এ ধারণা করেছে যে, আমি বৈধ পন্থায় কাজটি করে সেই অবৈধ পন্থা থেকে বেঁচে থাকব, যেখানে আল্লাহ আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন। আল্লাহ রাববুল আলামীনের এ অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে আমি তার প্রতি একনিষ্ঠ (মুখলিছ) হ'তে পারব। আর এ ইখলাছপ্রসূত ধারণার কারণেই তার সামান্য মানবিক চাহিদা মেটানোর কাজটাও ছওয়াবের কাজ হিসাবে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে।
অন্য হাদীছে রয়েছে,
إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِيْ بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلاَّ أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِىْ فِيْ اِمْرَأَتِكَ-
'তুমি যা কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে খরচ করবে অবশ্যই তার পুরস্কার পাবে। এমনকি তুমি যা কিছু তোমার স্ত্রীর মুখে দিয়েছ তারও ছওয়াব পাবে'। (বুখারী হা/৫৬। )
স্ত্রী-সন্তানদের জন্য খরচ করা পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব। এখানে পাপ-পুণ্যের কী আছে? তবুও যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রী, সন্তানদের জন্য খরচ করার সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করে তাহ'লে সে ছওয়াব ও পুরস্কার পেয়ে যাবে।