What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইখলাছ মুক্তির পাথেয় (৩য় কিস্তি) (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,619
Messages
122,424
Credits
312,362
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
ইখলাছ মুক্তির পাথেয় (৩য় কিস্তি)

মুখলিছদের আলামত
যারা ইখলাছ অবলম্বন করেন, তাদের বলা হয় মুখলিছ। তাদের কিছু গুণাবলী রয়েছে, যা দেখে বুঝা যাবে যে তারা ইখলাছের গুণে সমৃদ্ধ। এ সকল গুণাবলীর মধ্যে প্রধান প্রধান কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হ'ল :

আল্লাহর সন্তুষ্টিই তাদের একান্ত কাম্য :
ইখলাছের উঁচু স্থানে অবস্থান করেন যারা, তাদের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে যাবতীয় কাজ-কর্মে তারা একমাত্র আল্লাহ্কেই উদ্দেশ্য করেন; খ্যাতি, প্রশংসা, কিংবা নশবর পার্থিব সম্পদের কিছুই তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের এ অবস্থার কথা বহু আয়াত ও হাদীছে এসেছে।
আল্লাহ তাঁর প্রতি সমর্পিত বান্দাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهُ- 'তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখবে তাদের সংসর্গে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাদের প্রতিপালকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে' (কাহফ ১৮/২৮ )। অর্থাৎ তারা তাদের দো'আ ও ইবাদতের মাধ্যমে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি চায়, পার্থিব কোন স্বার্থ চায় না।
আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে বলল, জনৈক ব্যক্তি জিহাদ করছে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ পাওয়ার জন্য, আরেক ব্যক্তি জিহাদ করছে লোকেরা তাকে স্মরণ করবে এজন্য, অন্য এক ব্যক্তি জিহাদ করছে তার মর্যাদা বেড়ে যাবে সেজন্য। এর মধ্যে কে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর বাণীকে সর্বশীর্ষে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে লড়াই করছে সে-ই আল্লাহর পথ জিহাদ করছে'। (বুখারী হা/১৮১০; মিশকাত হা/৩৮১৪। )
মুখলিছ ব্যক্তি তার সকল কাজের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে আল্লাহর দ্বীনকে সর্বশীর্ষে প্রতিষ্ঠিত করা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
 
তারা গোপনে কাজ করা পসন্দ করে :

মুখলিছ বান্দারা নিজেদের সৎকর্মগুলো গোপনে সম্পাদন করতে ভালবাসেন। অনুরূপভাবে তারা অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখতে পসনদ করেন। আল্লাহ তা'আলাও এ ধরনের লোকদের পসন্দ করেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'আল্লাহ রাববুল আলামীন ভালবাসেন এমন বান্দাকে যে মুত্তাকী ও ধনী এবং দানশীলতায় গোপনীয়তা রক্ষাকারী'। (মুসলিম হা/২৯৬৫; মিশকাত হা/৫২৮৪। )
আমাদের পূর্ববর্তী ছাহাবা ও ইমামগণ শুধু কথা বলে যাননি। তারা নিজেদের ভাল কাজগুলো গোপন রাখার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যেমন ওমর (রাঃ) মদীনার পল্লীর এক অন্ধ অসহায় বৃদ্ধা মহিলার সেবা করতেন প্রতি রাতে এসে। তার জন্য পানি বহন করতেন, খাদ্য তৈরী করে দিতেন, কাপড়-চোপড় পরিস্কার করতেন। একদিন তিনি দেখলেন তার আসার পূর্বে কেউ এসে তার কাজগুলো করে দিয়ে গেছে। পরের দিন তিনি আরো আগে আসলেন যাতে অন্য কেউ তার কাজ করার সুযোগ না নেয়। তিনি এসে দেখলেন, আবু বকর (রাঃ) বৃদ্ধার কাজগুলো গুছিয়ে দিচ্ছেন। আবু বকর (রাঃ) তখন ছিলেন খলীফার দায়িত্বে। ওমর (রাঃ) তাকে দেখে বললেন, হে তুমি! আমার জীবন তোমার জন্য কুরবান হোক (আস-সুয়ূতী, তারীখুল-খুলাফা )।
অবশ্য গোপনে আমল করার বিষয়টি নফল আমলের বেলায় প্রযোজ্য; ফরয বা ওয়াজিবের বেলায় নয়। ফরয ও ওয়াজিব প্রকাশ্যে আদায় করতে হয়।
 
তাদের ভিতরের দিকটা বাহ্যিক দিকের চেয়ে ভাল থাকে :

মুখলিছ এমন নন যে, মানুষ যা দেখে, এমন কাজগুলো খুব ভাল করে আদায় করেন আর যা মানুষ দেখে না শুধু আল্লাহ দেখেন, সে সকল বিষয় যেনতেন ভাবে আদায় করেন। তিনি যে কোন কাজ একাগ্রতার সাথে সম্পন্ন করবেন। অর্থাৎ সকল কাজে সর্বদা এ ভাবনা থাকা যে, আমি যা করছি আল্লাহ তা অবশ্যই দেখছেন।
যেমন আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন,
وَالَّذِيْنَ يَبِيْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّداً وَقِيَاماً-
'এবং তারা রাত অতিবাহিত করে তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে থেকে' (ফুরক্বান ২৫/৬৪ )।
যারা প্রকাশ্যে ভাল কাজ করে আর গোপনে পাপে জড়িয়ে পড়ে তারা কখনো মুখলিছ হ'তে পারে না। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 'আমার উম্মতের মধ্যে অনেকের কথা আমি জানি, যারা ক্বিয়ামতের দিন তিহামা অঞ্চলের সাদা পর্বতমালা পরিমাণ সৎকর্ম নিয়ে উপস্থিত হবে, কিন্তু আল্লাহ তাদের সৎকর্মগুলো বিক্ষিপ্ত ধুলিকণায় পরিণত করে দিবেন। একথা শুনে ছাওবান (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তাদের পরিচয় দিন, আমরা যেন নিজেদের অজান্তে তাদের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাই। তিনি বললেন, তারা তোমাদেরই ভাই, তোমাদের সাথেই থাকে। তোমরা যেমন রাত জেগে ইবাদত কর, তারাও করে। কিন্তু যখন একাকী হয় তখন আল্লাহর সীমালংঘন করে (পাপে লিপ্ত হয়) (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৪২৪৫, সনদ ছহীহ। )
 
তারা তাদের সৎকর্ম প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় করে :

মুখলিছ ব্যক্তি যত বেশী ইবাদত-বন্দেগী ও নেক আমল করুক না কেন তারা সর্বদা এ ভয় রাখে যে, কর্মগুলো আল্লাহ কবুল করবেন, না কি প্রত্যাখ্যান করবেন, তা একমাত্র আল্লাহই অবগত। তাদের এ গুণের কথা আল-কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে-
وَالَّذِيْنَ يُؤْتُوْنَ مَا آتَوا وَّقُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ أَنَّهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ رَاجِعُوْنَ-
'যারা তাদের যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে যে, তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যাবে' (মুমিনূন ২৩/৬০ )।
আয়েশা (রাঃ) এ আয়াতের অর্থ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন যে, 'আল্লাহ এ কথা কাদের জন্য বলেছেন, যারা মদ্যপান করে, চুরি করে তাদের জন্য? উত্তরে তিনি বললেন, না, হে সত্যবাদীর কন্যা (আয়েশা)! তারা হ'ল, যারা ছিয়াম পালন করে, ছালাত আদায় করে, দান-ছাদাক্বা করে; সাথে সাথে এ ভয় রাখে যে, হয়ত আমার এ আমলগুলো আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তারা তাতে অগ্রগামী'। (ছহীহ তিরমিযী হা/৩১৭৫, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৩৫০। )
 
তারা মানুষের প্রশংসার অপেক্ষা করে না :

যখন তারা কোন সৃষ্টজীবের কল্যাণের জন্য কাজ করে বা কোন মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য নিয়োজিত হয়, তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে নেমে পড়ে, তখন তারা কারো কাছ থেকে নিজের পারিশ্রমিক আশা করে না। কারো প্রশংসা কামনা করে না। শুধু কামনা করে আল্লাহ রাববুল আলামীনের সন্তুষ্টি। রাসূলগণ এ বক্তব্যের সমর্থন করেছেন। আল্লাহর বাণী,
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلاَّ عَلَى رَبِّ الْعَالَمِيْنَ-
'আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না; আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আছে' (শু'আরা ২৬/১০৯ )।
এজন্য যারা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে, তাঁরা তাদেরকে কিছু বলতেন না। যারা তাদের বাধা দিত, তাঁরা তাদের সাথে বৈরিতা পোষণ করতেন না। এমনকি মানুষ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুক-তাও তাঁরা কামনা করতেন না।
যেমন আল্লাহ বলেন,
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللَّهِ لاَ نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلاَ شُكُوْرًا-
'এবং তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর বিনিময়ে কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না' (দাহর ৭৬/৯)। অর্থাৎ আমরা যে দান করলাম তার বিনিময়ে তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান বা প্রশংসা অথবা কৃতজ্ঞতা পাওয়ার আশা করি না। আমাদের উদ্দেশ্য হ'ল কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ।
আসলে যাদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে, তারা কিন্তু মুখে এ কথা বলেনি। এটা ছিল তাদের অন্তরের লুক্কায়িত কথা। কিন্তু আল্লাহ রাববুল আলামীন জানেন ও জানিয়েছেন। এটা তাদের ইখলাছের বরকত। আল্লাহ তা'আলা জানিয়েছেন অন্যদেরকে এ আদর্শে অনুপ্রাণিত করার জন্য (তাফসীর ইবনে কাছীর )।
 
মুখলিছ ব্যক্তি নিজের জন্য পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা কামনা করে না :

অনেক মানুষ আছেন, যারা ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ইখলাছ অবলম্বন ও দায়িত্ব-কর্তব্য সঠিকভাবে আদায় করেই কাজ করেন। কিন্তু যদি তার পদমর্যাদা কমিয়ে দেয়া হয় বা সুযোগ-সুবিধায় ঘাটতি হয়, তবে তিনি অস্থির হয়ে যান। আসলে যিনি সত্যিকার মুখলিছ তার এমন হওয়ার কথা নয়। ছাহাবায়ে কেরামের ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই যে, আবু বকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ)-এর মত শীর্ষস্থানীয় ছাহাবাদের যখন ওসামা ইবনে যায়েদের অধীনস্থ করা হ'ল তখন তাদের মধ্যে সামান্য প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। এমনিভাবে যখন খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ)-কে সেনাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হ'ল তখন তিনি পূর্বের ন্যায় সাধারণ সৈনিক হয়ে থাকলেন। মুখলিছ ব্যক্তি যখন আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান আশা করেন তখন এ সকল বিষয় নিয়ে মন খারাপ করেন না।
যদি এমন হয় যে, সুযোগ-সুবিধা ভাল পেলে সব কিছু ঠিকঠাক থাকে আর একটু অন্যরকম হ'লে সব গড়বড় হয়ে যায়, তাহ'লে সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে এটা কিভাবে দাবী করা যায়? বরং সে নিজের প্রবৃত্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করে।
এ বিষয়টি একটি হাদীছে দু'ব্যক্তির চরিত্রের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এভাবে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, টাকা-পয়সার দাস ধ্বংস হোক, রেশম কাপড়ের দাস ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক পোশাকের দাস। এদের অবস্থা এমন যে, প্রদান করা হ'লে খুশী হয় আর না দিলে অসন্তুষ্ট হয়। ধ্বংস হোক! অবনত হোক! কাঁটা বিঁধলে তা যেন উঠাতে না পারে। তবে সৌভাগ্যবান আল্লাহর ঐ বান্দা, যে আল্লাহর পথে ঘোড়ার লাগাম ধরেছে, মাথার চুল এলোমেলো করেছে ও পদদ্বয় ধুলায় ধূসরিত করেছে। যদি তাকে পাহারার দায়িত্ব দেয়া হয় তবে সে পাহারার দায়িত্ব পালন করে। যদি তাকে বাহিনীর পিছনে দায়িত্ব দেয়া হয় তবে তা পালন করে। যদি সে নেতার সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চায় তবে তাকে অনুমতি দেয়া হয় না। যদি সে কারো জন্য সুপারিশ করে তবে তার সপারিশ গ্রহণ করা হয় না। (বুখারী হা/২৮৮৭, 'জিহাদ' অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৬৯; মিশকাত হা/৫১৬১। )
 
ইখলাছ অর্জনের পদ্ধতি?

ইখলাছ অর্জনের কিছু পদ্ধতি আছে, যার প্রধান কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হ'ল :

যথাযথভাবে আল্লাহর পরিচয় :

আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, তিনি মহান, তিনি ধনী, কারো মুখাপেক্ষী নন, সর্ববিষয় তার ক্ষমতাধীন, তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। মানুষ যা কিছু খিয়ানত করে, যা কল্পনা করে, সবই তাঁর জানা। তাঁর হাতেই সকল ধরনের লাভ ও ক্ষতি; কল্যাণ ও অকল্যাণ। তাঁর কোন কাজেই কোন অংশীদার নেই। তিনি যা ইচ্ছা করেন তা-ই হয়, যা ইচ্ছা করেন না, তা কোনভাবেই হবার নয়-এ ভাবনাগুলো সর্বদা তাজা ও সজীব রাখা।
সাথে সাথে নিজের প্রতি আল্লাহর নে'মত, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি খেয়াল রাখা। তার এ সকল নে'মতের পরিবর্তে আমি তার জন্য কিছু করতে পেরেছি কি? যদি কিছু করি তা কি বিশুদ্ধভাবে করছি যা আল্লাহর কাছে কবুলের শতভাগ সম্ভাবনা আছে? আল্লাহর অধিকার অনেক বড় ও ব্যাপক। তাঁর হক বা অধিকার আমরা কতটুকু আদায় করতে পারি? এ ধরনের ভাবনা মানুষকে আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ বা মুখলিছ হ'তে সাহায্য করে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top