এরপর মদীনাবাসীরা পুনরায় বিচারকের নিকট যান এবং জোরালোভাবে শায়খের মুক্তি দাবি করেন। বিচারক কসম করে বলেন, আমি যদি তাকে ছালাতে বুকের উপর হাত বাঁধতে দেখি তাহলে আবার জেলে পুরব। মদীনাবাসীরা শায়খের কাছে আরয করেন যে, পিঠের উপর একটি কাপড় দিয়ে তার দুই পার্শ্ব দুই কাঁধে ঝুলিয়ে দিন। এর নীচে বুকের উপর হাত বাঁধুন এবং রাফ'উল ইয়াদায়েন করুন। শায়খ এ প্রস্তাব মেনে নেন। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই বিচারক মৃত্যুবরণ করেন এবং শায়খ পুনরায় পূর্বের মতো উন্মুক্ত বক্ষে হাত বাঁধা ও রাফ'উল ইয়াদায়েন করা শুরু করেন।
মোদ্দাকথা, শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর অনেক বড় মুহাদ্দিছ এবং হাদীছের প্রতি আমলকারী আলেম ছিলেন। মসজিদে নববীতে তাঁর দরসে হাদীছের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক ছিল। অসংখ্য শিক্ষক-ছাত্র তাঁর নিকট থেকে উপকৃত হয়েছেন। ঘটনা সমূহের আলোকে অনুমিত হয় যে, তিনি কোন পুত্র সন্তান রেখে যাননি। তাঁর অছিয়ত মোতাবেক তাঁর যোগ্য ছাত্র মুহাম্মাদ হায়াত সিন্ধী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। যিনি তাক্বলীদে শাখছীর বিরোধী এবং কুরআন-সুন্নাহর অনুসারী ছিলেন।
জীবনী গ্রন্থগুলোতে সিন্ধুর এই খ্যাতিমান মুহাদ্দিছকে শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর বলে এজন্য লেখা হত যে, শায়খ আবুল হাসান নামে দু'জন ব্যক্তি ছিলেন এবং দু'জনই সিন্ধী ছিলেন। দু'জনেই মদীনা মুনাউওয়ারায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। পার্থক্য করার জন্য একজনকে শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী ছাগীর বলা হত। তাঁর মৃত্যু তারিখ ২৫শে রামাযান ১১৮৭ হিজরী (১০ই ডিসেম্বর ১৭৭৩ খ্রিঃ)। মৃত্যুস্থান মদীনা মুনাউওয়ারাহ। দ্বিতীয়জন হলেন শায়খ আবুল হাসান বিন মুহাম্মাদ ছাদেক সিন্ধী কাবীর। তাঁর পুরা নাম ছিল শায়খ আবুল হাসান মুহাম্মাদ বিন আব্দুল হাদী। উপাধি ছিল নূরুদ্দীন। ইনিই সেই শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর, যার সম্পর্কে সম্মানিত পাঠক অবগত হলেন। তাঁর মৃত্যু তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এক বর্ণনা মতে, তিনি ১১৪১ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। এক বর্ণনা অনুযায়ী ১১৩৯ হিজরী এবং অন্য আরেক বর্ণনায় ১১৩৮ হিজরীর ১২ই শাওয়ালের কথা বর্ণিত আছে। ১১৩৬ হিজরীরও একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
এই খ্যাতিমান আলেম ও উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন মুহাদ্দিছের মৃত্যুতে মদীনা মুনাউওয়ারা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। জানাযার ছালাতে বহু লোক অংশগ্রহণ করে। তাঁর ধার্মিকতা, তাক্বওয়া-পরহেযগারিতা এবং হাদীছের অপরিসীম খিদমতের দ্বারা সর্বশ্রেণীর মানুষ অত্যন্ত প্রভাবিত ছিল। তাঁর মৃত্যুতে মহিলারাও অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে এবং জানাযার খাটিয়া নিয়ে যাওয়ার সময় এক নযর দেখার জন্য বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে যায়। দোকানদাররা শোকে দোকান বন্ধ করে দেয়। সরকারী লোকজন ও গভর্ণররা তাঁর খাটিয়া কাঁধে নেন। মাইয়েতকে মসজিদে নববীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানাযার ছালাত পড়ানো হয়। অতঃপর সিন্ধু বংশোদ্ভূত এই মহান মুহাদ্দিছকে বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়। আলেম-ওলামা, ছাত্র এবং সর্বশ্রেণীর জনগণ তাঁর মৃত্যুকে এক বিশাল মর্মান্তিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে এবং এজন্য অত্যন্ত দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে।
মোদ্দাকথা, শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর অনেক বড় মুহাদ্দিছ এবং হাদীছের প্রতি আমলকারী আলেম ছিলেন। মসজিদে নববীতে তাঁর দরসে হাদীছের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক ছিল। অসংখ্য শিক্ষক-ছাত্র তাঁর নিকট থেকে উপকৃত হয়েছেন। ঘটনা সমূহের আলোকে অনুমিত হয় যে, তিনি কোন পুত্র সন্তান রেখে যাননি। তাঁর অছিয়ত মোতাবেক তাঁর যোগ্য ছাত্র মুহাম্মাদ হায়াত সিন্ধী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। যিনি তাক্বলীদে শাখছীর বিরোধী এবং কুরআন-সুন্নাহর অনুসারী ছিলেন।
জীবনী গ্রন্থগুলোতে সিন্ধুর এই খ্যাতিমান মুহাদ্দিছকে শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর বলে এজন্য লেখা হত যে, শায়খ আবুল হাসান নামে দু'জন ব্যক্তি ছিলেন এবং দু'জনই সিন্ধী ছিলেন। দু'জনেই মদীনা মুনাউওয়ারায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। পার্থক্য করার জন্য একজনকে শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী ছাগীর বলা হত। তাঁর মৃত্যু তারিখ ২৫শে রামাযান ১১৮৭ হিজরী (১০ই ডিসেম্বর ১৭৭৩ খ্রিঃ)। মৃত্যুস্থান মদীনা মুনাউওয়ারাহ। দ্বিতীয়জন হলেন শায়খ আবুল হাসান বিন মুহাম্মাদ ছাদেক সিন্ধী কাবীর। তাঁর পুরা নাম ছিল শায়খ আবুল হাসান মুহাম্মাদ বিন আব্দুল হাদী। উপাধি ছিল নূরুদ্দীন। ইনিই সেই শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর, যার সম্পর্কে সম্মানিত পাঠক অবগত হলেন। তাঁর মৃত্যু তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এক বর্ণনা মতে, তিনি ১১৪১ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। এক বর্ণনা অনুযায়ী ১১৩৯ হিজরী এবং অন্য আরেক বর্ণনায় ১১৩৮ হিজরীর ১২ই শাওয়ালের কথা বর্ণিত আছে। ১১৩৬ হিজরীরও একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
এই খ্যাতিমান আলেম ও উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন মুহাদ্দিছের মৃত্যুতে মদীনা মুনাউওয়ারা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। জানাযার ছালাতে বহু লোক অংশগ্রহণ করে। তাঁর ধার্মিকতা, তাক্বওয়া-পরহেযগারিতা এবং হাদীছের অপরিসীম খিদমতের দ্বারা সর্বশ্রেণীর মানুষ অত্যন্ত প্রভাবিত ছিল। তাঁর মৃত্যুতে মহিলারাও অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে এবং জানাযার খাটিয়া নিয়ে যাওয়ার সময় এক নযর দেখার জন্য বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে যায়। দোকানদাররা শোকে দোকান বন্ধ করে দেয়। সরকারী লোকজন ও গভর্ণররা তাঁর খাটিয়া কাঁধে নেন। মাইয়েতকে মসজিদে নববীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানাযার ছালাত পড়ানো হয়। অতঃপর সিন্ধু বংশোদ্ভূত এই মহান মুহাদ্দিছকে বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়। আলেম-ওলামা, ছাত্র এবং সর্বশ্রেণীর জনগণ তাঁর মৃত্যুকে এক বিশাল মর্মান্তিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে এবং এজন্য অত্যন্ত দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে।