একে তো রোজার দিন, তার ওপর কাঠফাটা রোদ। গরমে এমনিতে আমাদের ত্বকের অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না। শুষ্ক ত্বক হয়ে ওঠে আরও শুষ্ক। আর অন্যদিকে বেড়ে যায় তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ত ভাব। এবার বৈশাখ মাসজুড়ে রোজার দিন। দীর্ঘ সময় পানি পান না করে থাকতে হচ্ছে। গরম আর রোজা দুটির প্রভাব পড়ছে ত্বকের ওপর। এ সময় ত্বককে হাইড্রেটিং করা প্রয়োজন।
এ সময় ত্বক শুষ্ক হোক আর তৈলাক্ত, হাইড্রেটিং দরকার সব ত্বকে সমানভাবে। কারণ পানিশূন্যতায় ত্বক আর্দ্রতা হারায়। এর ফলে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক হয়ে ওঠে মলিন ও নিষ্প্রাণ। ত্বকে বয়সের ছাপ, বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুস্থ সতেজ এবং স্নিগ্ধ ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। আর এই যত্ন নিতে ঘরে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করে ফেলুন হাইড্রেটিং মাস্ক।
আমন্ড ও গোলাপ জলের মাস্ক
আমন্ড
আমন্ড শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের ত্বকের জন্য খুব ভালো একটি উপাদান। এতে আছে লিনোলেয়িক অ্যাসিড। এটি এমন একটি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। আবার তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণও কমাতে পারে। আর গোলাপজল ত্বক আর্দ্র করতে সহায়তা করে।
গোলপাজল
১০টি আমন্ড সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পানি বা গোলাপজল যেকোনো একটিতে ভিজিয়ে রাখা যাবে। এখানে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঘরে তৈরি গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। বানানো খুব সোজা। চারটি মাঝারি সাইজের গোলাপ ফুলকে আধা লিটার পানি দিয়ে খুব কম আঁচে জ্বাল করতে হবে ততক্ষণ, যতক্ষণ পানির রং লাল বা গোলাপি না হয়। এরপর এই গোলাপজল মিশিয়ে আমন্ডের পেস্ট তৈরি করুন। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে মাস্কটি লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিটের জন্য। এই মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
পেঁপের মাস্ক
পেঁপে
পেঁপে সব ধরনের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর, যা খুব কোমলভাবে ত্বকের মৃত কোষ সরাতে পারে। সেই সঙ্গে পেঁপেতে আছে অনেক অ্যান্টি-এজিং উপাদান। এটি ত্বককে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। আর পেঁপের পটাশিয়াম ত্বকের আর্দ্রতা প্রদান করে।
নরম পাকা পেঁপে ব্লেন্ডারের সাহায্যে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে পেস্টটি লাগিয়ে এর ওপর পাতলা সুতি বা মার্কিন কাপড় বিছিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশানো যেতে পারে।
ওটস ও শসার মাস্ক
ওটস
ওটস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে পারে এবং এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শুষ্কতা দূর করতে বিশেষ সহায়ক। এটি একই সঙ্গে প্রাকৃতিক ক্লিনজার এবং এক্সফোলিয়েটর। আর শসা ত্বকের সব ইরিটেশন দূর করে একে শীতল সজীব এবং আর্দ্র করে।
শসা
তিন টেবিল চামচ ওটের গুঁড়া বা ময়দার সঙ্গে এক টেবিল চামচ শসার রস এবং এক টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যাঁদের ত্বকে অল্প বয়সের রিংকেল বা হালকা বলিরেখা দেখা দিয়েছে, মাস্কটি তাঁদের জন্য বিশেষ উপকারী।
অ্যালোভেরা ও মধুর মাস্ক
অ্যালোভেরা, ছবি: উইকিপিডিয়া
অসংখ্য পুষ্টি উপাদান এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর অ্যালোভেরা ত্বকের বয়সের ছাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোদে পোড়াভাব খুব সহজেই সারিয়ে তুলতে পারে। মধু ত্বকের দাগছোপ দূর করে থাকে। যখন এই দুটি উপাদান একসঙ্গে কাজ করবে, তখন ত্বক নিমেষেই হয়ে উঠবে সতেজ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
মধু
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ অ্যালোভেরার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি মুখে সব সময় ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে এবং অবশ্যই ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করতে হবে।
এ সময় ত্বক শুষ্ক হোক আর তৈলাক্ত, হাইড্রেটিং দরকার সব ত্বকে সমানভাবে। কারণ পানিশূন্যতায় ত্বক আর্দ্রতা হারায়। এর ফলে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক হয়ে ওঠে মলিন ও নিষ্প্রাণ। ত্বকে বয়সের ছাপ, বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুস্থ সতেজ এবং স্নিগ্ধ ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। আর এই যত্ন নিতে ঘরে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করে ফেলুন হাইড্রেটিং মাস্ক।
আমন্ড ও গোলাপ জলের মাস্ক
আমন্ড
আমন্ড শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের ত্বকের জন্য খুব ভালো একটি উপাদান। এতে আছে লিনোলেয়িক অ্যাসিড। এটি এমন একটি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। আবার তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণও কমাতে পারে। আর গোলাপজল ত্বক আর্দ্র করতে সহায়তা করে।
গোলপাজল
১০টি আমন্ড সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পানি বা গোলাপজল যেকোনো একটিতে ভিজিয়ে রাখা যাবে। এখানে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঘরে তৈরি গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। বানানো খুব সোজা। চারটি মাঝারি সাইজের গোলাপ ফুলকে আধা লিটার পানি দিয়ে খুব কম আঁচে জ্বাল করতে হবে ততক্ষণ, যতক্ষণ পানির রং লাল বা গোলাপি না হয়। এরপর এই গোলাপজল মিশিয়ে আমন্ডের পেস্ট তৈরি করুন। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে মাস্কটি লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিটের জন্য। এই মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
পেঁপের মাস্ক
পেঁপে
পেঁপে সব ধরনের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর, যা খুব কোমলভাবে ত্বকের মৃত কোষ সরাতে পারে। সেই সঙ্গে পেঁপেতে আছে অনেক অ্যান্টি-এজিং উপাদান। এটি ত্বককে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। আর পেঁপের পটাশিয়াম ত্বকের আর্দ্রতা প্রদান করে।
নরম পাকা পেঁপে ব্লেন্ডারের সাহায্যে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে পেস্টটি লাগিয়ে এর ওপর পাতলা সুতি বা মার্কিন কাপড় বিছিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশানো যেতে পারে।
ওটস ও শসার মাস্ক
ওটস
ওটস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে পারে এবং এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শুষ্কতা দূর করতে বিশেষ সহায়ক। এটি একই সঙ্গে প্রাকৃতিক ক্লিনজার এবং এক্সফোলিয়েটর। আর শসা ত্বকের সব ইরিটেশন দূর করে একে শীতল সজীব এবং আর্দ্র করে।
শসা
তিন টেবিল চামচ ওটের গুঁড়া বা ময়দার সঙ্গে এক টেবিল চামচ শসার রস এবং এক টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যাঁদের ত্বকে অল্প বয়সের রিংকেল বা হালকা বলিরেখা দেখা দিয়েছে, মাস্কটি তাঁদের জন্য বিশেষ উপকারী।
অ্যালোভেরা ও মধুর মাস্ক
অ্যালোভেরা, ছবি: উইকিপিডিয়া
অসংখ্য পুষ্টি উপাদান এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর অ্যালোভেরা ত্বকের বয়সের ছাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোদে পোড়াভাব খুব সহজেই সারিয়ে তুলতে পারে। মধু ত্বকের দাগছোপ দূর করে থাকে। যখন এই দুটি উপাদান একসঙ্গে কাজ করবে, তখন ত্বক নিমেষেই হয়ে উঠবে সতেজ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
মধু
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ অ্যালোভেরার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি মুখে সব সময় ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে এবং অবশ্যই ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করতে হবে।