মধ্যযুগের খ্যাতিমান ফারসি কবিদের অন্যতম কবি সাদির আসল নাম আবু মুহাম্মদ মুসলিহ আল দিন বিন আবদাল্লাহ শিরাজি। তিনি শেখ সাদি বা সাদি শিরাজি নামেও পরিচিত। তাঁর লেখক ছদ্মনাম শিরাজের সাদি। তাঁকে শাস্ত্রীয় সাহিত্য-ঐতিহ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বলা হয়। তিনি পার্সিয়ান পণ্ডিতগণের মধ্যে "মাস্টার অব স্পিচ" বা ‘দ্য মাস্টার’ (শিক্ষক) নামে খ্যাত। দ্য গার্ডিয়ান অনুসারে সাদির লেখা বুস্তান সর্বকালের সেরা ১০০টি বইয়ের একটি।
সাদি ইরানের শিরাজে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে, কারো মতে ১২১৩ খ্রিষ্টাব্দে আবার কারো কারো মতে ১২১৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১২৯১ হতে ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তিনি মারা যান।
শেখ সাদি এক সময় কোনো বিশেষ কারণে দামেশকবাসীর বিরাগভাজন হয়ে জীবন রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনের জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি খ্রিষ্টানদের হাতে বন্দি হন। খ্রিষ্টানেরা তাঁকে বুলগেরিয়া ও হাঙ্গেরি হতে আনা ইহুদি বন্দিদের সঙ্গে খন্দক খননের কাজে লাগিয়ে দেন।
একদিন সাদির এক পিতৃবন্ধু সাদিকে এমন দুঃসহ অবস্থায় দেখতে পেয়ে দশ দিরহাম মুক্তিপণ দিয়ে নিয়ে আসেন।
এর কিছুদিন পর উদ্ধারকর্তা, সাদিকে একশ আশরাফি দেনমোহর ধার্য করে নিজ কন্যার সঙ্গে বিয়ে দেন। সাদির স্ত্রী ছিলেন খুব বাচাল, রূঢ়ভাষী, অতিমাত্রায় স্পর্শকাতর এবং বদমেজাজি। সামান্য কারণেও রেগে যেতেন। কথায় কথায় সাদিকে অপমান করতেন। অসহায় সাদিকে সব মুখ বুজে সহ্য করতে হতো।
একদিন সাদি বললেন, বউ তুমি সবসময় আমার সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার কর কেন? আর কত কষ্ট সহ্য হয়। আমি তো মানুষ না কি?
স্ত্রী বললেন, তুমি কি তোমার পূর্ব জীবনের কথা ভুলে গেছ?
কোন জীবনের কথা বলছ? সাদি ভয়ার্ত গলায় জানতে চাইলেন।
সাদির স্ত্রী বললেন, তুমি ছিলে দাস। আমার পিতা দশ দিরহাম দিয়ে তোমাকে মুক্ত করেছেন।
উত্তরে সাদি বললেন, তিনি আমাকে দশ দিরহামে মুক্ত করে একশ আশরাফি দিয়ে কিনে নিয়ে পুনরায় তোমার কাছে দাস হিসেবে উপহার দিয়েছেন!
সাদি ইরানের শিরাজে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে, কারো মতে ১২১৩ খ্রিষ্টাব্দে আবার কারো কারো মতে ১২১৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১২৯১ হতে ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তিনি মারা যান।
শেখ সাদি এক সময় কোনো বিশেষ কারণে দামেশকবাসীর বিরাগভাজন হয়ে জীবন রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনের জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি খ্রিষ্টানদের হাতে বন্দি হন। খ্রিষ্টানেরা তাঁকে বুলগেরিয়া ও হাঙ্গেরি হতে আনা ইহুদি বন্দিদের সঙ্গে খন্দক খননের কাজে লাগিয়ে দেন।
একদিন সাদির এক পিতৃবন্ধু সাদিকে এমন দুঃসহ অবস্থায় দেখতে পেয়ে দশ দিরহাম মুক্তিপণ দিয়ে নিয়ে আসেন।
এর কিছুদিন পর উদ্ধারকর্তা, সাদিকে একশ আশরাফি দেনমোহর ধার্য করে নিজ কন্যার সঙ্গে বিয়ে দেন। সাদির স্ত্রী ছিলেন খুব বাচাল, রূঢ়ভাষী, অতিমাত্রায় স্পর্শকাতর এবং বদমেজাজি। সামান্য কারণেও রেগে যেতেন। কথায় কথায় সাদিকে অপমান করতেন। অসহায় সাদিকে সব মুখ বুজে সহ্য করতে হতো।
একদিন সাদি বললেন, বউ তুমি সবসময় আমার সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার কর কেন? আর কত কষ্ট সহ্য হয়। আমি তো মানুষ না কি?
স্ত্রী বললেন, তুমি কি তোমার পূর্ব জীবনের কথা ভুলে গেছ?
কোন জীবনের কথা বলছ? সাদি ভয়ার্ত গলায় জানতে চাইলেন।
সাদির স্ত্রী বললেন, তুমি ছিলে দাস। আমার পিতা দশ দিরহাম দিয়ে তোমাকে মুক্ত করেছেন।
উত্তরে সাদি বললেন, তিনি আমাকে দশ দিরহামে মুক্ত করে একশ আশরাফি দিয়ে কিনে নিয়ে পুনরায় তোমার কাছে দাস হিসেবে উপহার দিয়েছেন!