এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই পৌঁছে যান একদম ঠিক সময়ে।
বসকে বললেন তাঁর এক বন্ধু, ‘তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তাঁরা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?’
বস হাসতে হাসতে বললেন, ‘জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!’
মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল দুটি গাড়ি। একটির চালক অফিসের বস, অন্যটি চালাচ্ছিলেন অফিসের এক কর্মচারী। চলতে চলতে বস একসময় চেষ্টা করছিলেন, কর্মচারীর গাড়িটি ওভারটেক করে সামনে চলে যেতে। কর্মচারী গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করে বললেন, ‘গরু!’
শুনে রেগে আগুন হলেন বস! তিনিও জানালা দিয়ে মাথা বের করে ‘কত বড় সাহস! তুমি আমাকে গরু বললে? তুমি একটি ছাগল, গাধা, বেয়াদব…’ বলতে বলতেই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি গরুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাশের ধানখেতে ছিটকে পড়লেন!
এ গল্প থেকে আমরা যা বুঝলাম: বসরা কখনোই কর্মচারীদের কথা আমলে নেন না!
অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।’
এক কর্মচারী বললেন, ‘স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?’
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুবার!
এক অফিসের বস অত্যন্ত বদরাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হয়। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তাঁর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
বস: কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
কর্মচারী: স্যার, আমি সময়মতোই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
বস: এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?
বস বলছেন কর্মচারীকে, ‘আপনি কি মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস করেন?’
কর্মচারী: জি স্যার।
বস: হুমম্, করারই কথা। গতকাল আপনি মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার পর আপনার মা অফিসে এসেছিলেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে!
হাবলু ও সঞ্জুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
সঞ্জু: কী রে, তুই অফিসে না গিয়ে এভাবে বসে আছিস কেন?
হাবলু: আর বলিস না। বড় কর্তা অফিসে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বস আমার ওপর খুব খেপা।
সঞ্জু: কেন?
হাবলু: অফিসে কাজ করার সময় একটা মশা মেরেছিলাম, এ কারণে হবে হয়তো।
সঞ্জু: শুধু একটা মশা মারার কারণে এই শাস্তি! তোর বড় কর্তা তো লোক ভালো না।
হাবলু: আরে বোকা, রেগেছেন কী সাধে! মশাটা যে উনার গালের ওপর বসে ছিল।
বস-কর্মকর্তার মধ্যে কথা হচ্ছে—
কর্মকর্তা: স্যার, এবার আমার বেতনটা একটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।
বস: কেন?
কর্মকর্তা: গত সপ্তাহে বিয়ে করেছি। তাই আগের বেতনে দুজনের চলাটা বেশ কষ্ট হবে, স্যার।
বস: শুনুন, অফিসের বাইরের কোনো দুর্ঘটনার জন্য অফিস কোনোভাবেই দায়ী নয়। আর তার জন্য জরিমানা দিতেও অফিস রাজি নয়।