বাসর রাতে সমির তো খুব চিন্তিত। বউয়ের সাথে যে কি কথা বলবে! আধাঘণ্টা অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পর-
সমির : আপনার বাসার লোকেরা কি জানে যে আজকে আপনি এখানে থাকবেন।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে-
স্ত্রী : কাল রাতে একটি স্বপ্ন দেখেছি।
স্বামী : কী?
স্ত্রী : দেখলাম, তুমি আমাকে বেশ কিছু হীরার অলংকার কিনে দিয়েছ!
স্বামী : আরে, আমিও তো একই রকম স্বপ্ন দেখেছি!
স্ত্রী : কী দেখেছ?
স্বামী : তোমাকে অলংকারগুলো কিনে দেয়ার সময় সঙ্গে তোমার বাবাও ছিলেন। আর পুরো টাকাই তো উনিই দিয়ে দিলেন।
স্ত্রী: বাংলাদেশের বিবাহিত নারীরা একসঙ্গে দশ পরিবারের টেনশন মাথায় নিয়ে চলেন।
স্বামী: সেই দশটি পরিবার কোনগুলো?
স্ত্রী: নিজের পরিবার, বাপের পরিবার, প্রিয় বান্ধবীর পরিবার, দুই নিকটতম প্রতিবেশীর পরিবার। বাকি পাঁচটি হচ্ছে ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালের বউদের নিজ নিজ শাশুড়িদের নিয়ে টেনশন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছে স্বামী-স্ত্রী। সেখানে দেখা গেল মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নাচছে কনের বাপ। স্মার্ট স্ত্রী কানে কানে স্বামীকে বলল-
স্ত্রী : এই লোকটাকে আমি ২০ বছর আগে রিজেক্ট করেছিলাম। কলেজ লাইফে একদম মজনু ছিল আমার জন্য।
স্বামী : বলছ কী? সেই আনন্দ লোকটা এখনও ভুলতে পারেনি! ভাগ্যবান।
এক রাতে রাজা আর রানী গল্প করছেন। এক সময় কথায় কথায় রানী বলে ফেললেন, ‘সব স্বামীই বউয়ের কথা শোনে। রাজা রানীর কথায় একমত হলেন না। তখন তারা একে অপরের সাথে তর্ক করতে শুরু করে দিলেন। এক পর্যায়ে রাজা রানীকে বললেন, ‘ঠিক আছে কালই প্রমাণ হয়ে যাবে কে কার কথা শোনে।’
পরদিন রাজ্যে ঘোষণা করা হল, ‘সব বিবাহিত প্রজাদের জন্য রাজা এক বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন।’ তখন সব বিবাহিত প্রজা হুড়োহুড়ি করে রাজপ্রসাদের সামনে হাজির হলো।
রাজদরবারের সামনে দুইটা সাইনবোর্ড লাগানো হলো। একটা- যারা বউয়ের কথা শোনে তাদের লাইন, আরেকটা- যারা বউয়ের কথা শোনে না তাদের লাইন। তখন সবাই ঠেলাঠেলি করে- যারা বউয়ের কথা শোনে সেই লাইনে গিয়ে দাঁড়ালো। কিন্তু রিমন বেচারা যারা বউয়ের কথা শোনে না সেই লাইনে গিয়ে দাঁড়ালো।
রাজা হেরে গিয়েও একদিক থেকে খুশি হলেন, ‘যাক রাজ্যে এক বান্দা তো আছে যে বউয়ের কথা শোনে না। তখন রাজা কৌতুহলী হয়ে বল্টুকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘কি ব্যাপার তুমি এই লাইনে এসে দাঁড়ালে কেন?’ তখন বল্টু বললো, ‘আমার বউ আমাকে বেশি হুড়োহুড়ির মধ্যে যেতে নিষেধ করেছে।’
মায়ের কাছে সন্তানের জিজ্ঞাসা-
মা খিদে পেয়েছে
মা শীত করছে
মা গরম লাগছে
মা আমায় ওটা দাও না
মা আমার ঘড়ি কোথায়
মা আমায় টিচার বকেছে
মা বাবাকে বল না আমায় অঙ্কটা দেখিয়ে দিতে
মা জানো আজ আমার খুব মাথা গরম হয়েছে
অনিন্দ্য প্রেরণার সঙ্গে বছর পাঁচেক ধরে প্রেম করতে-করতে দুম করে পরিবারের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করে ফেললো। বিয়ের ক’দিন বাদে বউকে নিয়ে অনিন্দ্য বাজার করতে বেরিয়েছে। হঠাৎ করে রাস্তায় দূর থেকে প্রেরণাকে দেখতে পেলো। প্রেরণাকে দূর থেকে দেখতে পেয়েই অনিন্দ্যর চোখমুখ একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
ওর বউ বললো, ‘তুমি ও রকম করছো কেনো মেয়েটাকে দেখে?
অনিন্দ্য ঘাবড়ে গিয়ে বললো, ‘ও কে তোমাকে বোঝাতে পারবো, কিন্তু তুমি কে ওকে বোঝাতে পারবো না।’
স্ত্রী : বিয়ের আগে তো খুব বলেছিলে?
স্বামী : কী বলেছিলাম?
স্ত্রী : বিয়ের পর আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসবে! আর এখন তো ফিরেও তাকাও না।
স্বামী : হায়রে কপাল আমার! কে জানত যে, তোমার বিয়ে আমার সঙ্গেই হবে।
মাসুদ আর তার বউয়ের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিলো। হঠাৎ করে বউ ইমোশনাল হয়ে পড়লো।
বউ বেশ একটু ভারি গলায় মাসুদকে বললো, ‘কখনো ভেবে দেখেছ, আমি একদিন মরে যাব।’
মাসুদ জোর গলায় বললো, ‘আরে না না! তুমি মরে গেলে আমিও যে মারা যাবো!’
বউ বললো, ‘কিন্তু কেনো?’
মাসুদ উদাসভাবে বললো, ‘কারণ এতো আনন্দ আমি সহ্য করতে পারবো না!’