What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

একদম ফালতু কিছু জোকস (2 Viewers)

গহনা রহস্য
অনেকদিন ধরেই বসেয়াছি হাতে কোন কেস নেই,ভাবলাম তপু আমি আর অপু মিলে বেড়াতে যাব|আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই তপু আমারছোট বেলার বন্ধু আর অপু আমার বাবার কলিগের ছেলে ছোট থেকে একসাথে বড় হয়েছি|এই যে ফোন ডাকছে তপু চিৎকার করে বললো|আমি গিয়ে ফোনটা রিসিভ করতেই বললো আমি গাঙ্গোত্রী বসু কলকাতার বিখ্যাত বসু পরিবারের ছেলে|আমি কথা বলতে বলতে তিনি বললো তার একটা অনেক দামী গহনা চুরি হয়েগেছে|এই যাহ্ আর বেড়াতে যাওয়া৷ হল না|বিকেলে গেলাম তার বাড়িত যে আলমারীতে গহনা রাখা ছিলসেটি দেখেলাম খুব একটা লন্ডভন্ড হয় নি|আমি ড্রয়ার খুলতেই দেখলাম ফাইলগুলো সাইজ আকারে সাজানো নেই|তার বেডসাইড টেবিলের কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম পানিরন উপর জুতোর দাগ|আমি সব দেখে বললাম আপনার আলমারির চাবি কোথায় থাকে তিনি বললেন তোশকের নিচে|সব শুনে সবাইকে ডাকলাম,তার বাড়িতে দেখি অনেকেই আছেন!
দুজন কাজের লোক,মালিরাধুনি তার তিনটি ছেলে দুটি মেয়ে মা বাবা আর তিনি|ইতমধ্যে জানতে পারলাম চুরিটা বারোটা নাগাদ হয়েছে|সকলকে জিজ্ঞেস করলাম তারা ঐসময়ে কে কি করছিলেন|মালি বাগান ঠিক করছিল|কাজের লোক ঘর ঝাড়ু দিচ্ছিল রাধুনি বাজারে গিয়েছিল,আর তিনি গাড়ি ধুচ্ছিলেন,ছেলে মেয়েরা বেড়াতে গিয়েছিল|মা বাবার কথা বাদ|তবে আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে চুরি করেছে সে বাড়ির লোক|তারপর সারারাত চিন্তার পরকালকে সকালে আবার ঐ ঘরটা তে গিয়ে দেখলামদে বিছানার উপর চকচককেএকটা শার্টের বোতাম আর ড্রয়ারে একটা সিল্কি চুল|আমি তাকে ডাকলাম তার দিকে ভালো করে একটু লক্ষ করে দেখলাম এবং বললাম আমি হয়তো চোরকে identify করতে পেরেছি,তবে তার না বলছিনা।আমি আবারও ভাবছি যখন সব সূত্র পাশাপাশি বিসালাম তখন দেখি ২ এ ২ এ ৪ মিলে যাচ্ছে।আমি পরদিন সকালে সকলকে বসার ঘরে ডাকলাম।।আমি বললাম গহনাটা চুরি করেছে মালি না রাধুনি।
'বাবুজি আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু চোর হতে পারি না বাবুজি,আপনার পায়ে পরি বাবুজি আমাদের চোরের অপবাদ দেবেন না'।
শান্ত হও আসল চোর হলেন গাঙ্গোত্রী বসু।আপনি দেখুন আপনার বা হাতের বোতাম টা নেই ওটা এখন আমার হেফাজতে,আর আপনার মাথার একটা চুল আমার কাছে।আর আপনি ঐ দিন গাড়ি পপরিষ্কার করছিলেন না মালি সকালেই আপনার গাড়ি ধুয়ে রেখেছিলেন। আর আপনার বাবার কাছে জানতে পারলাম আপনি কোন জিনিস গুছিয়ে রাখতে পারেননা।বলুন আপনি কেন এরকম করেছিলেন?
তিনি মুচকি হেসে বললেন আপনার অনেক সুনাম শুনেছি তাই আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য করেছিলাম।
 
আজ স্কুলের প্রথম দিন।প্রায় অনেকেই এসেছে অনেকে আসেনি।তবে মজা জিনিসটা উপস্থিত ছিল।প্রথমে ক্লাস রুম খুজে পাচ্ছিলাম না,তো নোটিশ বোর্ডের কাছে মনে হচ্ছে, যে সেখানে বিনামূল্যে সোনা বিতরন চলছে।তো সেই গাদাগাদি পেরিয়ে অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেললাম কিন্তু কেনো!রুম নাম্বাফ দেখার জন্য,তো রুম নাম্বার দেখেই আমি অবাক,আমি যেখানে দাড়িয়ে আছি তার পাশের রুম টাই হয়।তো দেখলাম লাফি দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসছে। আমি কিছু না বলে রুমে ঢুকেই তার পাশে বসে গেলাম।১৮ মিনিট পরে ক্লাস টিচার শাহ মোঃড.তোফায়েল আহমদ রিজভী চৌধুরী চলে এলেন।তো তিনি ক্লাসে ঢুকেই তার প্রথম ও traditional কাজটি করতে লাগলেন, কাজটি হল ছাত্র গনণা।তারপর দেখলাম বোর্ডে দেখলাম তিনি লিখলেন 101.সামথিং৷তো মোট ছাত্র 109.সামথিং৷ পলাশ উঠে দাড়াল এবং স্যারকে জিজ্ঞেস করল যে স্যার মানুষ কি কখনো পয়েন্ট আকারে লেখা যায় |স্যার বললো গুনে দেখ কতজন ছাত্র? সে বললো স্যার 110 জন|ঐ যে কোনায় দেখছ,তপু ওর কাশি ছাড়া ক্লাসে কি কোন
অস্তিত্ব আছে?না স্যার|তাই লিখেছি 109.সামথিং,মানে যখন
কাশি তখন আছি|তাকে পাচ দিন ধরে চোখে চোখে রাখার চেষ্টা করলেও এসেছে মাত্র দু'দিন|তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার কী সমস্যা?সে বললো তার রক্তের কী যেন সমস্যা আছে তাই সেমাঝে মাঝে অসুস্থ থাকে|অনেক দিন হয়ে গেল তপু স্কুলে আসছে না|একদিন তার বাড়িতে গেলাম,দেখিসে খুব অসুস্থ বিছানা থেকে উঠতে পারে সহপাঠীঅসুস্থ হলে তো কারোরই ভালো লাগেনা ৷
হঠাৎ যেন কী হল দু'দিন পর শুনি তপু খুব অসুস্থ |বাড়ি ঢুকতেই শুনি তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে|তার বাবা অনেক প্রভাবশালী লোক তিনি এয়ার এ্যাম্ব্যালুন্সে করে ঢাকাপাঠালেন|ম্যাডিকেল বোর্ড গঠন হলসেখানে সিদ্ধান্ত হল ফরেন কান্ট্রি থেকে চিকিৎসক আসবেন|4-5ঘন্টা পর শুনলাম তপু মারা গেছে|মনটা ভেঙে গেল|পরদিন স্কুলে তার অনুপস্থিতিটা বুঝতে পারলাম|তার কাশি নেই,বাহিরের বেঞ্চ টাও ফাকা
 
অনেক দিন ধরেই ভাবছি স্কুলের বন্ধুদের বলব আমরা সবাই বিকেলে মাঠে ক্রিকেট খেলব।সবার সাথেই কথা হলো,তো খেলতে রাজি হলো তপু,তাপস,তানিম,নাফিস আরো অনেকে।আনাদের স্কুল ছুটি হয় ১:৩০ এ। মানে দুপুরের দিকে,আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা শুরুর কথা ছিল ৪:৩০এ।সবাই আসত ৪:১৫ তে কিন্তু তপু আসত ৪:২৫ এ। কারণ স্কুল ছুটির পর তাকে স্কুলের পড়া complete করে আসত।তার বাবা
খুবই কড়া ধাচের মানুষ।তিনি একজন শিক্ষক।১০ দিন বাদ ফাইনাল পরীক্ষা তবুও আমরা ঘন্টা খানেক খেলি।কিন্তু তাপস খেলতে আসে না।স্কুল ছুটি দিলে তড়িঘড়ি করে বাড়ি যায়,কারো সাথে কথা বলে না। প্রতিদিন তার গতি বিধী লক্ষ করলে দেখা যাবে সে কোন দিনই কারো সাথে কথা বলে না,প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় না।যতই দিন যাচ্ছে ততই গম্ভীর হচ্ছে।তাকে দেখলে মনে হয় ৪-৫ দিন অনাহারে ভুগছে,চেহারা দেখলে মনে হচ্ছে প্রথম স্কুলে আসল,সবসময় ভয়ে থাকে।একদিন আমরা তার বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।বাড়ি গিয়ে দেখি,তার বাড়িতে তালা।আমরা মনে করেছি সে বেড়াতে গিয়েছে।আসার পথে তার বাবা পেছন থেকে ডাকলেন,আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম আঙ্কেল তাপিস কী বাড়ি আছে?তিনি কিছু না বলে বাড়ির দিকে গিয়ে তার বাড়ির সদর দরজার তালা খুলে দিলেন। ভিতরে গিয়ে মনটা ভেঙে গেল।দেখলাম তাপস ভিতরে বই পড়ছে।তার সাথে কথা বলে জানিতে পারলাম পরীক্ষার আগে তার বাবা তাকে ঘরবন্দী করে রাখে।আমরা তার বাবাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি বুঝতে চাননি।তাকে অনেক বোঝানোর পর যখন তিনি বুঝলেন না। তখন আমরা নিরাস হয়ে বাড়ি ফিরে এলাম
 
চকলেটের দোকানে খোকার সঙ্গে দেখা হলো এক ভদ্রলোকের-
ভদ্রলোক : খোকা, এত চকলেট খেয়ো না। খেলে তোমার দাঁতে পোকা হবে, পেট খারাপ হবে, অল্প বয়সেই নানা রোগবালাই ধরবে।
খোকা : আপনি বুঝি অনেক দিন বাঁচতে চান?
ভদ্রলোক : অবশ্যই।
খোকা : আমার দাদির বয়স ১০৭ বছর।
ভদ্রলোক : তোমার দাদি নিশ্চয়ই ছোটবেলায় এত বেশি চকলেট খেতেন না।
খোকা : সেটা জানি না। তবে দাদি কখনোই অন্যের ব্যাপারে নাক গলান না।
 
রমার হাতব্যাগটা হারিয়ে গিয়েছিল। ব্যাগটা পেয়ে ফেরত দিতে এলো বিল্লাল-
রমা : আশ্চর্য। আমি যখন ব্যাগটা হারিয়েছি, তখন ভেতরে একটা ৫০০ টাকার নোট ছিল, এখন ভেতরে ১০টা ৫০ টাকার নোট- এটা কেমন করে সম্ভব!
সিফাত : সম্ভব। কারণ, এর আগে যখন আমি একজনের ব্যাগ ফেরত দিতে গিয়েছিলাম, তার কাছে আমাকে পুরস্কার দেয়ার মতো ভাঙতি টাকা ছিল না!
 
একটি মুরগির বাচ্চা লাফাতে লাফাতে এসে মাকে জিজ্ঞেস করল-
বাচ্চা : মা, মানুষের জন্ম হলে তাদের বাবা-মায়েরা কত নাম রাখে। কিন্তু আমাদের নাম নেই কেন?
মুরগি : আমাদেরও নাম রাখা হয় বাবা, তবে মরার পর। মরার পরে আমাদের নাম রাখা হয়।
বাচ্চা : কী নাম রাখা হয়?
মুরগি : চিকেন টিক্কা, চিকেন কাবাব, চিকেন পাকোড়া, চিকেন পক্স, চিকেন কোরমা, চিকেন তন্দুরি ইত্যাদি! আর যে মুরগি মানুষে মারার আগে নিজে নিজে মরে যায়, তার নাম দেয় মরা মুরগি।
 
শাশুড়ি : তোমার দু’টো চোখ আছে কী করতে? চাল থেকে দু’টো পাথর বাছতে পার না? রোজ খেতে বসে একই জিনিস দাঁতে লাগে।
বউ : আপনার বত্রিশটা দাঁত আছে কী করতে? দু’টো পাথর চিবোতে পারেন না?
 
কিসলু একদিন নিজের অটোরিকশায় করে প্রেমিকা মলিকে নিয়ে শপিং মলে ঘুরতে গেছে। পার্কিংয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিসলু অটোর একটা চাকা খুলতে শুরু করল-
মলি : অটোর চাকা খুলছ কেন?
কিসলু : দেখতে পাচ্ছ না এখানে লেখা আছে ২ চাকার জন্য পার্কিং?
 
মেয়ে : আচ্ছা দাদা, ভালোবাসা কখন হয়?
ছেলে : যখন রাহু, কেতু এবং শনির দশা চলে, সঙ্গে মঙ্গলও খারাপ আর ভগবান তোমার সঙ্গে ইয়ারকি মারার মুডে থাকে তখন!
 
আদালতে প্রেমের বিয়ের ডিভোর্সের মামলা চলছে-
১ম আইনজীবী: প্রেমের সময়ে ছেলেরা যতটা আন্তরিক থাকে, বিয়ের পরে যদি তার অর্ধেকও থাকতো। তবে এত ডিভোর্সের ঘটনা ঘটতো না, স্যার।
২য় আইনজীবী: বিয়ের পরে মেয়েরা যে আচরণ করে; বিয়ের আগে যদি তার এক চতুর্থাংশও করতো, তাহলে কিন্তু স্যার, প্রেমের সূত্রে কোনো বিয়েই আর হতো না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top