What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

একদম ফালতু কিছু জোকস (2 Viewers)

জানালার পর্দার কাপড় কিনতে শান্তা একটা কাপড়ের দোকানে ঢুকেছে। অনেক ঘেঁটেঘুঁটে শেষে একটা ঝলমলে গোলাপি রঙের কাপড় পছন্দ হয়েছে তার। কাপড় কাটার সময়-
দোকানি : কয় গজ কাপড় লাগবে আপনার?
শান্তা : কয় গজ মানে! পাক্কা পনেরো ইঞ্চি কাপড় কেটে দাও।
দোকানি : পনেরো ইঞ্চি মানে! পাগলে পেয়েছে আপনাকে? এই কাপড় দিয়ে কোনো জানালার পর্দা হবে!
শান্তা : আরে মিয়া, এই পর্দা তো আমার কম্পিউটারের জন্য।
দোকানি : কম্পিউটারের জন্য! কম্পিউটারে কেউ পর্দা দেয় নাকি?
শান্তা : ‘কেউ দেয় না, আমি দিই। কারণ আমার কম্পিউটারে ‘উইন্ডোজ’ আছে!
 
এক পাগল কুয়োর সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে- পাঁচ পাঁচ পাঁচ পাঁচ পাঁচ পাঁচ। এটা দেখে আবু গিয়ে বলল-

আবু : আপনি কি পাগল নাকি, এমন করছেন কেন?

পাগল : হ, আমি পাগল, কিন্তু মাথা একদম ঠিক আছে।

আবু : তাহলে পাঁচ পাঁচ বলে চিল্লাচ্ছেন কেন?

পাগল : এই দিকে আয়, বুঝাচ্ছি তোরে।

আবু পাগলের কাছে গেল। তারপর পাগল ওর পাছায় লাথি মেরে কুয়োয় ফেলে দিয়ে চিৎকার করতে লাগল- ‘ছয় ছয় ছয় ছয় ছয় ছয়’।
 
একদিন সকালে একটি মেয়ে বাসায় বসে চা খাচ্ছিল। একটা বাচ্চা মাছি নতুন উড়তে শিখেছে, তো মাছিটা উড়তে উড়তে চায়ের কাপে পড়ে গেল। মেয়েটা না দেখে মাছিসহ চা খেয়ে ফেলল।

পরে মাছিটার বাবা খোঁজ করতে এসে যা বলল, তা শুনে তো মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেল। কী বলল মাছিটার বাবা? মাছিটার বাবা বলেছিল- ‘এই আপা শোনেন, আপনার পেটে আমার বাচ্চা।’
 
গ্রামের এক বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। তিনটি কুকুর বাড়ির পাশে বসে ভাবছে, কিভাবে বিয়েটা খাওয়া যায়। একটি কুকুর বলল- ‘আমাদের একসঙ্গে যাওয়া যাবে না, একে একে যেতে হবে।’
তারপর একটি কুকুর রওনা করল। যখন সে বাড়ির ভেতর ঢুকল, এর কিছুক্ষণ পরই একজন লোক কিছু গরম পানি দিয়ে কুকুরটিকে ঝাপটা দিলো। এক দৌড়ে কুকুরটি তাদের আগের অবস্থানে ফিরে গেল। দ্রুত ফিরে যাওয়ায় বাকি দুই কুকুর তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলো। তখন প্রথম কুকুর বলল- ‘গেলাম আর গরম গরম দিয়ে দিলো।’

এরপর দ্বিতীয় কুকুর ওই বাড়িতে যায় এবং বাড়ির লোকজন তাকে খানিকটা সময় আটকে রেখে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। ফিরে গিয়ে সে বলে, ‘আমারে তো বসায়া নিয়া দিলো।’ সবশেষে তৃতীয় কুকুর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আর আসে না। সারা দিন বাঁধা অবস্থায় থেকে সন্ধ্যার সময় কিছু লাঠির বাড়ি খেয়ে আগের অবস্থানে ফিরে গিয়ে বলল- ‘আর বলো না, আমারে তো আসতেই দিতে চায় না।’
 
পৃথিবীতে চার ধরনের মেয়ে খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব!
১. যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে কখনোই মিসডকল কখনোই দেয় না!
২. যে মেয়ে শপিং করতে পছন্দ করে না!
৩. যে মেয়ের মনে কোনো হিংসা নেই!
৪. যে মেয়ে উপরের তিনটি ধরন পড়ার পরেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে!
 
দেব : গুরু, শুনেছ তো আমি ‘মহানায়ক’ হয়েছি।
রবি ঠাকুর : আমার তো মাঝে মাঝে ভয় হয়, ওরা আমার ফিরিয়ে দেওয়া নাইট উপাধিটা আবার তোকে না দিয়ে দেয়!
সোহম : কী রে দেব, লাঠিসোঁটা নিয়ে কোথায় চললি?
দেব : বুনোহাঁস মারতে।
সোহম : গিয়ে শুধু বলে দিস তুই ‘মহানায়ক’। ওরা এমনিই সুইসাইড করবে।
দেব : বুম্বা দা, জানো আমিই এখন নতুন ‘মহানায়ক’।
প্রসেনজিৎ : আচ্ছা দেব, তুই কি এমনি এমনি গাঁজা খাস, নাকি ভাত দিয়ে মেখে খাস?
 
কলকাতার একটি রাস্তায় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর দায়ে ট্রাফিক পুলিশ ভোলাকে দাঁড় করালো।
পুলিশ : কী ব্যাপার, এতো জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কেন?
ভোলা : কী করবো? আমার তো লাইসেন্স নেই!
পুলিশ : সর্বনাশ! লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন?
ভোলা : আরে, আমার স্ত্রীকে হঠাৎ খুন করে ফেললাম। এবার লাশটা তো গুম করতে হবে।
পুলিশ : লাশ কই?
ভোলা : বনেটে আছে।

সঙ্গে সঙ্গে ওয়্যারলেসে সব জায়গায় খবরটা জানিয়ে দিলেন ট্রাফিক পুলিশ। তার মনে একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী ধরার সাফল্যে প্রমোশনের আশা। পুলিশের বড়কর্তাসহ সবাই এসে হাজির। তাদের সঙ্গে মিডিয়া। চারদিকে লোকারণ্য।
বড়কর্তা : তুমি নাকি খুন করেছো?
ভোলা : পুলিশ প্রচণ্ড মিথ্যাবাদী। ঘুষ না পেয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে। আমি খুনটুন কিছু করিনি।

বড়কর্তা ভোলার কথায় কান না দিয়ে গাড়ির বনেট তুললেন, কিন্ত সেখানে কিছু নেই। একদম ফাঁকা। রাগত দৃষ্টিতে তিনি এবার ট্রাফিক পুলিশের দিকে তাকালেন।
পুলিশ : লোকটা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে!
ভোলা : ব্যাটা মিথ্যাবাদী, এটা কী?
বলে পকেট থেকে লাইসেন্সটা বের করে দিল। লাইসেন্স দেখে পুলিশ আমতা আমতা করে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভোলা আবারো চেঁচিয়ে উঠলো-
ভোলা : বলুন, আরো বানিয়ে বানিয়ে বলুন! এবার নিশ্চয়ই বলবেন যে, আমি বেশি গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলাম?
 
আবুল হলে সিনেমা দেখছে। পাশের সিটে এক বুড়ো। বুড়োর হাতে একটা ছোট পেপসির বোতল। বুড়ো ৫ মিনিট পরপর বোতলে চুমুক দিচ্ছে। একটু পরপর চুমুক দেওয়ায় আবুলের ডিসটার্ব হচ্ছে।

এভাবে অনেকক্ষণ চলার পর আবুল বিরক্ত হয়ে বুড়োর হাত থেকে বোতলটা নিয়ে বলল-
আবুল : একটুখানি পেপসি খেতে চুমুক দিতে হয়? এই দেখেন, কীভাবে খেতে হয়!
এই বলে সে এক চুমুকে বোতলের পেপসিটুকু খেয়ে ফেলল। বুড়ো ভীষণ অবাক হয়ে বলল-
বুড়ো : একি করলে বাবা! আমি তো পেপসি খাচ্ছিলাম না! বোতলে একটু পরপর পানের পিক ফেলছিলাম!
 
বল্টু : বাবা, আমি তো তোমাদের একমাত্র সন্তান তাই না?
বাবা : হ্যাঁ, তোকেই তো কত কষ্ট করে পেলাম।
বল্টু : আচ্ছা বাবা, আমি ছেলে না মেয়ে?
বাবা : কেন? তুই ছেলে।
বল্টু : আমি যদি মেয়ে হতাম, কতো বছর আগে আমাকে বিয়ে দিতে?
বাবা : কেন? ৫-৬ বছর আগে।
বল্টু : মাইয়ারে কত টাকা খরচ করে বিয়ে দিতে?
বাবা : কম হলেও দশ লাখ লাগতো।
বল্টু : আমার দশ লাখ লাগবে না, আট লাখ তুমি দাও। আর দশ লাখ মেয়ের বাবার থেকে নিয়ে আমাকে বিয়ে করাও।
 
ঝন্টু আর মন্টু বসে সিনেমা দেখছে। সিনেমার একপর্যায়ে নায়িকাকে হারিয়ে নায়ক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নায়ক একটা বাড়ির ছাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে— এই লাফ দিল বলে! এমন সময় বিজ্ঞাপন বিরতি শুরু হয়ে গেল।
ঝন্টু : আমার মনে হয়, নায়ক শেষ পর্যন্ত লাফ দেবে না।
মন্টু : আমার মনে হয় দেবে।
ঝন্টু : বাজি হয়ে যাক! লাফ দিলে আমি তোকে ১০০ টাকা দেব, আর লাফ না দিলে তুই আমাকে ১০০ টাকা দিবি। রাজি?
মন্টু : রাজি।

বিরতির পর দেখা গেল, নায়ক লাফিয়ে পড়ল এবং মারা গেল। মন্টু জিতে নিল ১০০ টাকা।
মন্টু : হা হা হা, আমি আসলে তোকে বোকা বানিয়েছি। এই ছবি আমি আগেও একবার দেখেছি।
ঝন্টু : তুই তো মোটে একবার, আমি এই ছবি আগে চারবার দেখেছি। কিন্তু ভাবিইনি বোকাটা একই ভুল এতোবার করবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top