দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা
এ পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে মোটামুটি তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়। শৈশব, কৈশোর ও বার্ধক্য। শৈশব ও কৈশোর অবস্থায় তেমন কোন সুষ্ঠু চিন্তার বিকাশ ঘটে না। পক্ষান্তরে বার্ধক্য অবস্থায় আবার চিন্তা শক্তির বিলোপ ঘটে। কিন্তু যৌবনকাল এ দুইয়ের ব্যতিক্রম। যৌবনকাল মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বা সম্পদ। এ সময় মানুষের মাঝে বহুমুখী প্রতিভার সমাবেশ ঘটে। যৌবনকালে মানুষের চিন্তাশক্তি, ইচ্ছা শক্তি, মননশক্তি, কর্মশক্তি, প্রবলভাবে বৃদ্ধি পায়। এক কথায় এ সময় মানুষের প্রতিভা, সাহস, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি গুণের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। এ সময়েই মানুষ অসাধ্য সাধনে আত্মনিয়োগ করতে পারে। যৌবনের তরতাজা রক্ত ও বাহুবলে শত ঝড়-ঝাঞ্ঝা উপেক্ষা করে বীর বিক্রমে সামনে অগ্রসর হয়। এ বয়সে মানুষ সাধারণত পূর্ণ সুস্থ ও অবসর থাকে। তাই এটাই হচ্ছে আল্লাহর পথে নিজেকে কুরবানীর উপযুক্ত সময়। ডাঃ লুৎফর রহমান বলেন, ‘গৃহ এবং বিশ্রাম বার্ধক্যের আশ্রয়। যৌবনকালে পৃথিবীর সর্বত্র ছুটে বেড়াও, রত্নমাণিক্য আহরণ করে সঞ্চিত কর, যাতে বৃদ্ধকালে সুখে থাকতে পার’। জর্জ গ্রসলিভ বলেন, ‘যৌবন যার সৎ ও সুন্দর এবং কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা যায়’। তাই যৌবনকালকে নে‘মত বলে গণ্য করা যায়।
এই অমূল্য নে‘মতের যথাযথ সংরক্ষণ এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করা সকল মুসলিম যুবকের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মূল্যবান উপদেশ দিয়ে গেছেন। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,
اغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ : شَبَابَكَ قَبْلَ هَرَمِكَ، وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِكَ، وَغِنَاكَ قَبْلَ فَقْرِكَ، وَفِرَاغَكَ قَبْلَ شُغْلِكَ، وَحَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ-
‘পাঁচটি বস্ত্তকে পাঁচটি বস্ত্তর পূর্বে গুরুত্ব দিবে এবং মূল্যবান মনে করবে।
(১) বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকে
(২) অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে
(৩) দরিদ্যতার পূর্বে সচ্ছলতাকে
(৪) ব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং
(৫) মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে’।
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৭৪; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৩৩৫৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১০৭৭।)
এ পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে মোটামুটি তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়। শৈশব, কৈশোর ও বার্ধক্য। শৈশব ও কৈশোর অবস্থায় তেমন কোন সুষ্ঠু চিন্তার বিকাশ ঘটে না। পক্ষান্তরে বার্ধক্য অবস্থায় আবার চিন্তা শক্তির বিলোপ ঘটে। কিন্তু যৌবনকাল এ দুইয়ের ব্যতিক্রম। যৌবনকাল মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বা সম্পদ। এ সময় মানুষের মাঝে বহুমুখী প্রতিভার সমাবেশ ঘটে। যৌবনকালে মানুষের চিন্তাশক্তি, ইচ্ছা শক্তি, মননশক্তি, কর্মশক্তি, প্রবলভাবে বৃদ্ধি পায়। এক কথায় এ সময় মানুষের প্রতিভা, সাহস, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি গুণের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। এ সময়েই মানুষ অসাধ্য সাধনে আত্মনিয়োগ করতে পারে। যৌবনের তরতাজা রক্ত ও বাহুবলে শত ঝড়-ঝাঞ্ঝা উপেক্ষা করে বীর বিক্রমে সামনে অগ্রসর হয়। এ বয়সে মানুষ সাধারণত পূর্ণ সুস্থ ও অবসর থাকে। তাই এটাই হচ্ছে আল্লাহর পথে নিজেকে কুরবানীর উপযুক্ত সময়। ডাঃ লুৎফর রহমান বলেন, ‘গৃহ এবং বিশ্রাম বার্ধক্যের আশ্রয়। যৌবনকালে পৃথিবীর সর্বত্র ছুটে বেড়াও, রত্নমাণিক্য আহরণ করে সঞ্চিত কর, যাতে বৃদ্ধকালে সুখে থাকতে পার’। জর্জ গ্রসলিভ বলেন, ‘যৌবন যার সৎ ও সুন্দর এবং কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা যায়’। তাই যৌবনকালকে নে‘মত বলে গণ্য করা যায়।
এই অমূল্য নে‘মতের যথাযথ সংরক্ষণ এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করা সকল মুসলিম যুবকের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মূল্যবান উপদেশ দিয়ে গেছেন। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,
اغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ : شَبَابَكَ قَبْلَ هَرَمِكَ، وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِكَ، وَغِنَاكَ قَبْلَ فَقْرِكَ، وَفِرَاغَكَ قَبْلَ شُغْلِكَ، وَحَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ-
‘পাঁচটি বস্ত্তকে পাঁচটি বস্ত্তর পূর্বে গুরুত্ব দিবে এবং মূল্যবান মনে করবে।
(১) বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকে
(২) অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে
(৩) দরিদ্যতার পূর্বে সচ্ছলতাকে
(৪) ব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং
(৫) মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে’।
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৭৪; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৩৩৫৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১০৭৭।)