ডাবের পানি (Coconut water)
বর্তমান সময়ে ডাবের পানি সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় একটি পানীয়র মধ্যে অন্যতম। এটি স্বাদযুক্ত, সতেজ এবং তৃষ্ণা নিবারণকারী ঠান্ডা পানীয় যা সব বয়সীদের জন্য উপকারী বটে। ডাবের পানিতে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ উপাদানে পূর্ণ থাকে যা মানব দেহের জন্য আবশ্যক। আসুন দেখে নেয়া যাক এর কিছু কার্যকারীতা...
উপকারিতাঃ
১) ডাবের পানি পটাসিয়াম এর একটি ভাল উৎস। এক কাপ ডাবের পানিতে দৈনিক চাহিদার ১৭% পটাসিয়াম পাওয়া যায়।
২) খেলোয়াড়দের জন্য এবং যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন কিংবা প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য এটা অন্য যে কোন পানীয়র চেয়ে ভাল।
৩) ডাবের পানিতে প্রচুর ইলেক্টোলাইটস উপকরণ থাকে, যা একই সাথে শরীরের বিভিন্ন খনিজ উপাদানের অভাব পুরণ করে দেহে ইলেক্টোলাইটস এর সমতা বজায় রাখে। দেহে প্রধানতঃ ৭ ধরনের ইলেক্টোলাইটস কাজ করে, তার মধ্যে ৫টি ডাবের পানি থেকে নিতে পারেন। ডাবের পানির মধ্যে পাবেন একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার ১০% ভিটামিন সি, ১৫% ম্যাগনেশিয়াম, ১৭% পটাসিয়াম, ১৭% ম্যাংগানিজ, ১১% সোডিয়াম, ৬% ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
৪) ডাবের পানি ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে, ফলে এই পানি আপনার মুত্রাশয়কে সচল রেখে শরীর ঠান্ডা করে জীবাণুমুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখে।
৫) এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপকরণ থাকে।
৬) ডাবের পানি আপনার হ্রদযন্ত্রকে সতেজ ও ভাল রাখতে ভূমিকা রাখে।
৭) আপনাকে সজীব, তৃষ্ণাহীন এবং প্রাণবন্ত থাকতে সহায়তা করে।
সতর্কতাঃ
১) ডাবের পানি পান করার ক্ষেত্রে শরীরে গ্রহণযোগ্য সোডিয়ামের মাত্রা খেয়াল রাখতে হবে। ২ বা ততোধিক ডাবের পানি শরীরে সোডিয়ামের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারে, এর ফলস্বরূপ রক্তচাপ বেড়ে যাবে এবং হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত রোগের ঝুকির পরিমানও বেড়ে যেতে পারে।
২) চিনি বা মিষ্টতার পরিমান খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত পানের ক্ষেত্রে একটি বা একগ্লাসের বেশী মিষ্টতার ডাবের পানি না খাওয়া উত্তম হবে, বিশেষ করে ডায়াবেটিক আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।
৩) এই পানি পান করার সময় আপনার শরীরের গ্রহণযোগ্য ক্যালরির পরিমাণ মনে রাখতে হবে। প্রতিদিন ডাবের পানি পান করলে মানুষের দৈনিক চাহিদার অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হবে, যা হয়তো আপনার কাঙ্ক্ষিত নয়।
৪) শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রাও দেখে রাখতে হবে, কারণ অতিরিক্ত ডাবের পানি পান আপনার কিডনির জন্য ক্ষতি হতে পারে।
নারকেলের দুধঃ এতে অতি উচ্চ মাত্রার ফ্যাট বা চর্বি থাকে যা প্রতিনিয়ত পান করা শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালেভদ্রে বা কোন উপলক্ষে পান করা যেতে পারে।
লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হলে লাইক বা কমেন্টস দিয়ে জানাবেন। ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে ডাবের পানি সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় একটি পানীয়র মধ্যে অন্যতম। এটি স্বাদযুক্ত, সতেজ এবং তৃষ্ণা নিবারণকারী ঠান্ডা পানীয় যা সব বয়সীদের জন্য উপকারী বটে। ডাবের পানিতে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ উপাদানে পূর্ণ থাকে যা মানব দেহের জন্য আবশ্যক। আসুন দেখে নেয়া যাক এর কিছু কার্যকারীতা...
উপকারিতাঃ
১) ডাবের পানি পটাসিয়াম এর একটি ভাল উৎস। এক কাপ ডাবের পানিতে দৈনিক চাহিদার ১৭% পটাসিয়াম পাওয়া যায়।
২) খেলোয়াড়দের জন্য এবং যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন কিংবা প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য এটা অন্য যে কোন পানীয়র চেয়ে ভাল।
৩) ডাবের পানিতে প্রচুর ইলেক্টোলাইটস উপকরণ থাকে, যা একই সাথে শরীরের বিভিন্ন খনিজ উপাদানের অভাব পুরণ করে দেহে ইলেক্টোলাইটস এর সমতা বজায় রাখে। দেহে প্রধানতঃ ৭ ধরনের ইলেক্টোলাইটস কাজ করে, তার মধ্যে ৫টি ডাবের পানি থেকে নিতে পারেন। ডাবের পানির মধ্যে পাবেন একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার ১০% ভিটামিন সি, ১৫% ম্যাগনেশিয়াম, ১৭% পটাসিয়াম, ১৭% ম্যাংগানিজ, ১১% সোডিয়াম, ৬% ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
৪) ডাবের পানি ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে, ফলে এই পানি আপনার মুত্রাশয়কে সচল রেখে শরীর ঠান্ডা করে জীবাণুমুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখে।
৫) এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপকরণ থাকে।
৬) ডাবের পানি আপনার হ্রদযন্ত্রকে সতেজ ও ভাল রাখতে ভূমিকা রাখে।
৭) আপনাকে সজীব, তৃষ্ণাহীন এবং প্রাণবন্ত থাকতে সহায়তা করে।
সতর্কতাঃ
১) ডাবের পানি পান করার ক্ষেত্রে শরীরে গ্রহণযোগ্য সোডিয়ামের মাত্রা খেয়াল রাখতে হবে। ২ বা ততোধিক ডাবের পানি শরীরে সোডিয়ামের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারে, এর ফলস্বরূপ রক্তচাপ বেড়ে যাবে এবং হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত রোগের ঝুকির পরিমানও বেড়ে যেতে পারে।
২) চিনি বা মিষ্টতার পরিমান খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত পানের ক্ষেত্রে একটি বা একগ্লাসের বেশী মিষ্টতার ডাবের পানি না খাওয়া উত্তম হবে, বিশেষ করে ডায়াবেটিক আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।
৩) এই পানি পান করার সময় আপনার শরীরের গ্রহণযোগ্য ক্যালরির পরিমাণ মনে রাখতে হবে। প্রতিদিন ডাবের পানি পান করলে মানুষের দৈনিক চাহিদার অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হবে, যা হয়তো আপনার কাঙ্ক্ষিত নয়।
৪) শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রাও দেখে রাখতে হবে, কারণ অতিরিক্ত ডাবের পানি পান আপনার কিডনির জন্য ক্ষতি হতে পারে।
নারকেলের দুধঃ এতে অতি উচ্চ মাত্রার ফ্যাট বা চর্বি থাকে যা প্রতিনিয়ত পান করা শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালেভদ্রে বা কোন উপলক্ষে পান করা যেতে পারে।
লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হলে লাইক বা কমেন্টস দিয়ে জানাবেন। ধন্যবাদ।