শিমুলপুর স্টেশনে শুভ যখন নামলো তখন সূর্যদেব মাথার ওপরে বিরাজমান। সেই সকাল ছটায় হাওড়া থেকে প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরে এই দুপুর 12 টা নাগাদ নামলো। সকালে ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিল শুভর বাবা। শুভর এটাই প্রথম একা একা ট্রেন যাত্রা। তাও আবার এতটা রাস্তা। মা বাবার একটু চিন্তা হয়েছিল বইকি। তাও শুভ এবার বড় হয়েছে। একা একা বাইরে তো যেতেই হবে এবার থেকে। তাই অনেক অনুরোধের পর বাড়ি থেকে ওকে ছাড়তে রাজি হয়েছে। তাও গন্তব্য মাসির বাড়ি সেই জন্যেই। নাহলে শুভর বাবা সুবীর বাবু ওর সাথেই আসতো।
শুভর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। কথা ছিলো পরীক্ষা হলেই এবার অনু মাসির বাড়ি শিমুলপুর বেড়াতে যাবে। আজ পর্যন্ত একবারও মাসির বাড়ি যাওয়া হয়নি। তার কারন পড়াশোনার চাপ। এবার মাসীও বার বার করে বলেছে শুভকে যাওয়ার জন্যে। অনু মাসী ওর নিজের মাসী না। শুভর মা পাপিয়া দেবীর খুড়তুত বোন। নিজের কোনো মাসি না থাকায় অনু মাসিকেই ছোট থেকে নিজের মাসির মত জেনে এসেছে শুভ। তবে অনুর বিয়ের পর থেকে ও খুব বেশি আর আসতে পারেনি শুভ দের বাড়িতে। এত গুলো বছরে হাতে গোনা কয়েকবার ই নানা অনুষ্ঠানে শুভর দেখা হয়েছে অনু মাসির সঙ্গে। তবে ফোনে যোগাযোগ বরাবরই আছে।
শুভকে একা না ছাড়তে চাওয়ার একটা কারণও অবশ্য আছে। তা হলো, ছোট থেকেই শুভর বোর্ডিং থেকে পড়াশোনা। এর কারণ, সুবীর বাবু আর পাপিয়া দেবীর একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। ছেলে এমনি স্কুলে পড়লে কুসঙ্গে পড়ে খারাপ হয়ে যাবে। তাছাড়া সুবীর বাবু আর পাপিয়া দেবী দুজনেই চাকরি করেন। বাড়িতে শশুর শাশুড়ির ভরসায় রাখলে ছেলে মানুষ হবে না। তাই এই ব্যবস্থা। ক্লাস ফাইভ থেকে এই টুয়েলভ অব্দি শুভ বোর্ডিং এই কাটিয়েছে। এত গুলো বছর বোর্ডিং এর কড়া শাসনে কাটানোর ফলে শুভর আর পাঁচটা ছেলের মত সামাজিক দক্ষতা গড়ে ওঠেনি। একদম শান্ত শিষ্ট গোবেচারাটি হয়েই রয়ে গেছে। এই বোর্ডিং স্কুলের চাপেই কথাও বেড়াতে যেতে পারেনি শুভ। যদিও এতদিনে সুবীর বাবু আর পাপিয়া দেবী বোর্ডিং এ পড়ার এই খারাপ দিকটি সম্বন্ধে অবগত হয়েছেন। এবং নিজেদের ভুল কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পেরেছেন। তাই শুভ যখন একা মাসির বাড়ি যাবার জন্যে এবার জেদ ধরলো তখন তারা প্রথমে কিছু আপত্তি করলেও এর গুরুত্ব উপলদ্ধি করে শেষে মত দিলেন।
স্টেশনে নেমেই কথা মত মেসোমশাই কে ফোন করলো শুভ। মেসো বিভাস পাল স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করছিল। খুব তাড়াতাড়িই শুভর সাথে তার দেখা হয়ে গেলো। বিভাস শুভকে নিয়ে বাইকে করে যখন বাড়িতে এসে পৌঁছল তখন ঘড়িতে সাড়ে বারোটা। শিমুলপুর জঙ্গলে ঘেরা একটা ছোট ব্লক টাউন। যদিও সবই এখন পাকা বাড়ি, তবুও যেহেতু পঞ্চায়েত এর অধীনে আছে তাই এটাকে গ্রাম বলা চলে। আসার পথে শুভ রাস্তার দুদিকে শাল, সেগুনের সারি আর কৃষ্ণচূড়া গাছের আগুন রাঙা রূপ দেখে মোহিত হয়ে যাচ্ছিল বার বার। আজ রবিবার বলে রাস্তা ঘাটও বেশ ফাঁকা। তাই বেশি সময় লাগলো না মাসির বাড়ি পৌঁছতে।
শুভর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। কথা ছিলো পরীক্ষা হলেই এবার অনু মাসির বাড়ি শিমুলপুর বেড়াতে যাবে। আজ পর্যন্ত একবারও মাসির বাড়ি যাওয়া হয়নি। তার কারন পড়াশোনার চাপ। এবার মাসীও বার বার করে বলেছে শুভকে যাওয়ার জন্যে। অনু মাসী ওর নিজের মাসী না। শুভর মা পাপিয়া দেবীর খুড়তুত বোন। নিজের কোনো মাসি না থাকায় অনু মাসিকেই ছোট থেকে নিজের মাসির মত জেনে এসেছে শুভ। তবে অনুর বিয়ের পর থেকে ও খুব বেশি আর আসতে পারেনি শুভ দের বাড়িতে। এত গুলো বছরে হাতে গোনা কয়েকবার ই নানা অনুষ্ঠানে শুভর দেখা হয়েছে অনু মাসির সঙ্গে। তবে ফোনে যোগাযোগ বরাবরই আছে।
শুভকে একা না ছাড়তে চাওয়ার একটা কারণও অবশ্য আছে। তা হলো, ছোট থেকেই শুভর বোর্ডিং থেকে পড়াশোনা। এর কারণ, সুবীর বাবু আর পাপিয়া দেবীর একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। ছেলে এমনি স্কুলে পড়লে কুসঙ্গে পড়ে খারাপ হয়ে যাবে। তাছাড়া সুবীর বাবু আর পাপিয়া দেবী দুজনেই চাকরি করেন। বাড়িতে শশুর শাশুড়ির ভরসায় রাখলে ছেলে মানুষ হবে না। তাই এই ব্যবস্থা। ক্লাস ফাইভ থেকে এই টুয়েলভ অব্দি শুভ বোর্ডিং এই কাটিয়েছে। এত গুলো বছর বোর্ডিং এর কড়া শাসনে কাটানোর ফলে শুভর আর পাঁচটা ছেলের মত সামাজিক দক্ষতা গড়ে ওঠেনি। একদম শান্ত শিষ্ট গোবেচারাটি হয়েই রয়ে গেছে। এই বোর্ডিং স্কুলের চাপেই কথাও বেড়াতে যেতে পারেনি শুভ। যদিও এতদিনে সুবীর বাবু আর পাপিয়া দেবী বোর্ডিং এ পড়ার এই খারাপ দিকটি সম্বন্ধে অবগত হয়েছেন। এবং নিজেদের ভুল কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পেরেছেন। তাই শুভ যখন একা মাসির বাড়ি যাবার জন্যে এবার জেদ ধরলো তখন তারা প্রথমে কিছু আপত্তি করলেও এর গুরুত্ব উপলদ্ধি করে শেষে মত দিলেন।
স্টেশনে নেমেই কথা মত মেসোমশাই কে ফোন করলো শুভ। মেসো বিভাস পাল স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করছিল। খুব তাড়াতাড়িই শুভর সাথে তার দেখা হয়ে গেলো। বিভাস শুভকে নিয়ে বাইকে করে যখন বাড়িতে এসে পৌঁছল তখন ঘড়িতে সাড়ে বারোটা। শিমুলপুর জঙ্গলে ঘেরা একটা ছোট ব্লক টাউন। যদিও সবই এখন পাকা বাড়ি, তবুও যেহেতু পঞ্চায়েত এর অধীনে আছে তাই এটাকে গ্রাম বলা চলে। আসার পথে শুভ রাস্তার দুদিকে শাল, সেগুনের সারি আর কৃষ্ণচূড়া গাছের আগুন রাঙা রূপ দেখে মোহিত হয়ে যাচ্ছিল বার বার। আজ রবিবার বলে রাস্তা ঘাটও বেশ ফাঁকা। তাই বেশি সময় লাগলো না মাসির বাড়ি পৌঁছতে।
Hidden content
You need to reply to this thread or react to this post in order to see this content.