What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাংলা কৌতুক (1 Viewer)

প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
 
ছোট্ট অন্তুকে ক্লাসে তার ম্যাম জিজ্ঞাস করল, বলত আমি তোমাকে একটা আপেল , আরেকটা আপেল , আরেকটা আপেল দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা আপেল হল।

চারটা ম্যাম ।

ম্যাম ভাবলেন অন্তু হয়ত শুনতে একটু গড়বড় করে ফেলেছে। তাই তিনি আবার বললেন, ভাল করে শুনে বল অন্তু। আমি তোমাকে একটা আপেল , আরেকটা আপেল এবং আরেকটা আপেল দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা আপেল হল।

অন্তুও একটু ভেবে আবারো বলল , চারটা ম্যাম । কিন্তু সে দেখল তাঁর ম্যামের মনটা খারাপ হয়ে গেল। সেও বুঝতে পারছে না , কি ভুল সে করছে।

ম্যাম অন্তুর কাছ থেকে এরকম উত্তর আশা করে নাই। তিনি ভাবলেন, অন্তুর হয়ত আপেল পছন্দ না , তাই সে ভুলভাল উত্তর দিচ্ছে। তাই তিনি এবার ভাবলেন আপেলের বদলে অন্য কিছু বলবেন। তিনি বললেন

আমি তোমাকে একটা লিচু , আরেকটা লিচু এবং
আরেকটা লিচু দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা লিচু হল।

অন্তু এবার বলল, তিনটা ম্যাম।

এইতো ঠিক আছে। ভেরি গুড। তাহলে আপেলের বেলায় তুমি চারটা বলছিলে কেন?

বারে! আমি তো ঠিকই বলেছি। বলতে বলতে সে ব্যাগের চেইন খুলে একটা আপেল বের করল যেটা তার মা আজকে টিফিন হিসাবে দিয়ে দিয়েছে। সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না , তার ভুল কোথায়।
 
গোপাল ভাঁড় একাদশী করত। তার একাদশী করা অভ্যাস। গোপাল একাদশীর দিন সন্ধ্যেবেলায় প্রসাদ পেত লুচি, মিষ্টি- নানাবিধ ফল সহকারে। সেদিন যেন মহোৎসব লেগে যেত। গোপালকে ওভাবে একাদশীর দিন ভোজন করতে দেখে তার এক চাকর বললে, সামনের তারিখ থেকে আমিও একাদশী পালন করব বাবু। আমার একাদশী করার খুব ইচ্ছে। আপনি যদি আদেশ দেন আমি একাদশী করি। আমার খুব ইচ্ছা।গোপাল মুচকি হেসে বলল, খুবই ভাল কথা, এই তো চাই। একাদশী করা সকলের উচিৎ। দেহের উপকার, তার সাথেই মনেরও সাত্ত্বিকভাব সাধনের জন্য একাদশী সকলের করা উচিত। পরবর্তী একাদশীর তারিখে সকাল থেকে গোপালের সঙ্গে অভূক্ত রইল।
কিন্তু সাঁঝ গড়িয়ে রাত্রি গভীর হয় হয়, তখনও গোপাল ভোজন করছে না দেখে চাকরটি ধৈর্যহারা হয়ে জিজ্ঞাস করলে,

বাবু প্রতি একাদশীতেই তো আপনি সূর্যাস্তের ঠিক পরেই প্রচুর ভাল মন্দ ভোজন করে থাকেন, কিন্তু আজ এখনও কিছু খাচ্ছেন না কেন? গোপাল ভাঁড়ও মুচকি হেসে বলল, ওরে ব্যাটা আজ যে যেমন তেমন একাদশী নয়, সাক্ষাৎ ভীম একাদশী- আজ একদম নিরম্বু উপবাস। আজকে জলও খেতে নাই । সেজন্য আজ আর কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করিনি।
গোপাল ভাঁড়রের চাকর হায় হায় করতে লাগল। এমন হবে জানলে কি সে একাদশীর নাম মুখে আনতো। পেট যে চোঁ চোঁ করছে। সেই থেকে চাকর আর কোন দিন একাদশীর কথা মুখে আনল না ভুলেও। গোপাল ভাঁড়ও মুচকি হেসে মনে মনে বলল বেটা আজ বেশ ভালরকম জব্দ হয়েছে, আর কোনওদিন একাদশীর কথা মুখেও আনবে না। সহজে মতলব হাসিল হল দেখে মনে মনে আর একচোট হেসেও নিল গোপাল ভাঁড়। যেমন কর্ম তেমন ফল।
 
বাবুর চারটা বাচ্চা।
একদিন কাগজে বাবু দেখলো যে সরকার ঘোষনা করেছে, যার পাঁচটা বা তার বেশী বাচ্চা আছে, তাকে প্রতি মাসে সরকার ২০,০০০.০০ টাকা করে দেবে।

বাবু তখন খুশীতে গদগদ হয়ে তার বউকে খবরটা দেখালো আর বললো, তুমি যদি কিছু মনে না করো তো একটা কথা বলবো?

বৌ: বলো, কিছু মনে করবো না।

বাবু: দেখো, আমার প্রেমিকার কাছে আমার একটা বাচ্চা আছে। তুমি বললে আমি নিয়ে আসবো আর তখন আমাদের পাঁচটা বাচ্চা হয়ে যাবে এবং আমরা মাসে মাসে ২০,০০০.০০ টাকা করে পাবো।

বউ বললো যাও। বাবু বাচ্চা নিয়ে ফিরে এসে দেখলো তার ঘরের দুটো বাচ্চা গায়েব।

বাবু বৌকে জিজ্ঞাসা করলো ব্যাপার কি?
বৌ বললো যার বাচ্চা সে নিয়ে গেছে,
খবরের কাগজ কি তুমি একাই পড়েছো?
 
ছেলে : আমি তোমাকে খুব ভালবাসি

মেয়ে : ধুর!

ছেলে : এক মুহূর্ত’ও বাঁচতে পারবনা তোমাকে ছাড়া।

মেয়ে : ধুর!

ছেলে : মরতেও পারি তোমার জন্য।

মেয়ে : ধুর!

ছেলে : একটা সুন্দর সোনার আংটি কিনেছি তোমার জন্য।

মেয়ে : সত্যি?

ছেলে : ধুর!
 
দুই অর্থনীতিবিদ, একজন অভিজ্ঞ ও অন্যজন অনভিজ্ঞ, কোন এক বিকেলে পথ ধরে হাঁটছিলেন। দেখতে দেখতে তাঁদের সামনে পড়লো একটা গোবরের স্তুপ। অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ বললেন, “তুমি যদি স্তুপে থাকা গোবর খেতে পারো তা হলে তোমাকে আমি বিশ হাজার ডলার দেব।” অনভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ চিন্তা করে দেখলেন, গোবর খেয়ে যদি বিশ হাজার ডলার পাওয়া যায় তো এই দুর্মূল্যের বাজারে তাই বা কম কিসের। অনেক লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে শেষমেষ তিনি গোবর খেয়ে প্রতিশ্রুত অর্থ আদায় করে নিলেন। কিছুদূর যেতেই আরেকটা গোবরের স্তুপ তাঁদের সামনে পড়লো। এবার অনভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ বললেন, “তুমি যদি স্তুপে থাকা গোবর খেতে পারো তা হলে তোমাকেও আমি বিশ হাজার ডলার দেব।” এই কথা শুনে অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ভাবলেন, কোনদিনতো বাজীতে হারিনি; কিছুক্ষণ আগে হেরে গিয়ে বিশ হাজার ডলার খোয়ালাম। বেইজ্জতের ব্যাপার ! নাহ্, আমাকে ঐ অর্থ ফেরত আনতেই হবে। অনেক হিসাব করে সেও স্তুপে থাকা গোবর খেয়ে বিশ হাজার ডলার ফিরে পেলেন। চলার পথে অনভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ আক্ষেপের সুরে বলছেন, “খামোখাই কিন্তু আমরা গোবর খেলাম। আমাদের দু’জনের অর্থের অবস্থা আগের মতোই; কোন উন্নতিই হয়নি, একদম পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়।”
অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ একটা বিজ্ঞের হাসি দিয়ে জানান দিলেন, “উন্নতি হয়নি মানে? এরিমধ্যে ৪০ হাজার ডলারের মতো অর্থের লেন-দেন হয়েছে সেটা কি কম কথা ?
 
চাপাবাজ রিক্সাওয়ালা

এক ভদ্রলোক শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোর যাবেন। রিক্সাওয়ালাকে ডেকে বললো, 'মামা, যাবেন?'

রিক্সাওয়ালাকে বললো, 'যাবো। '

'ভাড়া কত?'

'৫০ টাকা'

কী কও মিয়া? এখান থেকে দাঁড়িয়েই দৈনিক বাংলা মোর দেখা যায়। তার ভাড়া এতো?

রিক্সাওয়াল তখন বললো, "এখান থেকে তো চাঁদও দেখা যায়। আপনাকে আমি পাঁচশ টাকা দিবো। আমাকে চাঁদের দেশে নিয়ে যাবেন?
 
এক ভদ্রলোকের গাড়ি পার্কিং থেকে চুরি হয়ে গেল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও গাড়ির হদিস পেলেন না।
তবে দুই দিন পর হারানো গাড়িটাকে আগের জায়গায় দেখে অবাক। হারানো বাহন ফিরে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত হয়ে দৌড়ে গাড়ির কাছে গেলেন। ড্রাইভিং সিটে একটা মুখবদ্ধ খাম। খুলে দেখলেন ভেতরে দেওয়া চিরকূটে লেখা, “মায়ের শরীর হঠাত্ খারাপ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু একে তো রাত, তার ওপর ছুটির কারণে কোনো গাড়ি না পাওয়ায় আপনার গাড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিলাম। ”
বিনীতি ভঙ্গিতে আরো লেখা রয়েছে, “আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। গাড়িতে যত পেট্রল ছিল, সব আগের মতো আছে। তা ছাড়া আপনার গাড়ির খারাপ তালাটাও ঠিক করে দিয়েছি। গাড়ি ব্যবহারের বিনিময়ে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ১০টা সিনেমার টিকিট দিলাম।
এই চিঠির খামের মধ্যেই সেগুলো পাবেন। টিকিটগুলো আগামীকালের, নাইট শো। আমি জানি, আপনার বাসার কাজের মেয়েসহ আপনারা ১০ জন। আপনাদের খাবারের জন্য রাখা আছে সিনেমা হলের ফুড কোর্টের ভাউচারও (বিল পরিশোধিত)। সিনেমা দেখার পর যা ইচ্ছা খেয়ে নেবেন।
সব শেষে আবারো বিনীত অনুরোধ, “আমার অনন্যোপায় অপরাধের জন্য ক্ষমা করে দেবেন!”
১৫ লাখ টাকা দামী গাড়িটা ফেরত পাওয়ায় পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি। পরদিন উপহার পাওয়া টিকিট নিয়ে চলে সবাই গেল সিনেমা দেখতে। ছবি দেখা শেষ করে মনের মতো স্পেশাল চিকেন-রাইস-কফি-আইসক্রিম খেয়ে বের হল সবাই; কিন্তু গাড়ি তো নেই পার্কিংয়ে।
আবারো চুরি হলো গাড়িটা!?
উপায় না পেয়ে ট্যাক্সি ডেকে বাড়ি ফিরে তারা দেখলো, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা। ঘরের সব দামি জিনিস, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, গয়না চুরি হয়ে গেছে। ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা।
বাইরে টেবিলে একটি খাম পড়ে আছে।
তাতে লেখা, “সিনেমা কেমন দেখলেন? গাড়িটা আবার চুরি করে নিয়ে গেলাম। আপনি কেন গাড়ির লক আর চাবি বদলাতে ভুলে গেলেন? ওদিকে বাসা একেবার ফাঁকা রেখে কেউ সিনেমা দেখতে যায়? দেখলেন তো, এতটুকু বোকামির জন্য কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।।।।

 
চাপাবাজ নেতা
ভোটের আগে এক নেতা মঞ্চে উঠে বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্য তো না শুধু বিশাল বিশাল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
রাস্তা-ঘাট, মার্কেট, স্টেডিয়াম, স্কুল-কলেজ, কোন কিছুই বাদ দিচ্ছেন না। সবই বানিয়ে দিবেন।
তখন তার পিএস তাকে বললো, 'স্যার, আপনি যে এতকিছু দিবো বলছেন পারবেন সব বানিয়ে দিতে?'
তখন নেতার সরল উত্তর, 'আরে বোকা, ওরা তো নেয়ার জন্য আসেনি, শোনার জন্য এসেছে।'
এরপর আবারো তিনি প্রতিশ্রুতি ফূলঝরি ঝাড়তেই থাকলেন। এক পর্যায়ে বলে বসলেন, 'আমি এই এলাকার নদীর উপর একটা ব্রিজ বানিয়ে দিবো।'
আবারও তার পিএস বললো, 'স্যার, এই এলাকায় তো কোন নদী নেই।'
তখন নেতা আরো গলা চরিয়ে বললেন, 'নদী নেই তো কী হয়েছে। দরকার হলে নদী খুঁড়ে তারপর ব্রিজ বানিয়ে দিবো।

 
মতলব চাচা ছাগল পালেন। একদিন চাচা দুপুরে গোসল করে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছে। সবে মাত্র ঘুমের ভাব আসছে এমন সময় মতলব চাচার স্ত্রী এসে বলল, এই যে শুনছো তোমার বড় খাসিটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কথা শুনে মতলব চাচা উঠে দৌড় দিল। বারান্দায় এসে খেয়াল করল লুঙ্গি নাই।সামনেই বারান্দার দেওয়ালে স্বামী স্ত্রীর যোগল ছবি একটি ফ্রেমে বাঁধানো ছিল। সেই ফ্রেমটাই কোমরের কাছে ধরে লজ্জাস্থান ঢেকে বাহিরে দৌড় দিল। যার সাথে দেখা হয় তাকেই বলে "আপনি কি আমার বড় খাসিটি দেখেছেন"? "আপনি কি আমার বড় খাসিটি দেখেছেন" এ কথা বলছেন আর দৌড়াচ্ছেন। দৌড়াদৌড়ির ঝাঁকুনিতে চাচার অগোচরে ফ্রেমের মাঝের কাচ আর ছবি ছুটে পরে গেলে এখন শুধু ফ্রেম ধরে রেখেছেন। এদিকে চাচা দৌড়াদৌড়ি করে হাঁপিয়ে উঠেছেন। সেই সাথে প্রথমে বলেছে, আপনারা কি আমার বড় খাসিটি দেখেছেন আর এখন মাঝের শব্দ কমিয়ে শুধু বলছেন, "আপনারা কি দেখেছেন"? এখন চাচা হাঁপাচ্ছে আর দৌড়াচ্ছে একহাতে খালি ফ্রেম ধরে বলছে "আপনারা কি দেখেছেন"?
গ্রামের মহিলারা চাচাকে দেখেই লজ্জায় বাড়ির ভিতরে চলে যাচ্ছে আর বলছে, "চাচা কি দেখাইতেছে"? চাচা এখন আর সামনে কাউকে পাইতেছেন না। যে দেখে সেই আড়ালে চলে যাচ্ছে।
দাদীর বয়সী এক বৃদ্ধ মহিলা লোকাতে পারে নাই। তার কাছে গিয়ে চাচা জিজ্ঞেস করে, "দাদী আপনি কি দেখেছেন"?
দাদী বলল: দেখছি, তোমার দাদা থাকতে এই জীবনে কত দেখেছি, কিন্তু তোমার মত ফ্রেমে বাধানো কখনোই দেখি নি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top