What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাংলা কৌতুক (1 Viewer)

নতুন গাড়ির দোকানে ঢুকেছেন শরিফ ও তার স্ত্রী। ঘুরে ঘুরে গাড়ি দেখছেন। রোমান্টিক কণ্ঠে স্ত্রী বলছেন-
স্ত্রী: আমাকে কি এমন কিছু উপহার দেবে, যেটায় পা দিয়ে একটু চাপ দিলেই ৩ সেকেন্ডের মধ্যে কাঁটা উঠে যাবে শূন্য থেকে একশতে।

শরিফ এ কথা শুনে কিছু বললেন না। শুধু কথাটি মনে রাখলেন। পরদিন কিনে নিয়ে এলেন একটি ওজন মাপার যন্ত্র। স্ত্রীকে বললেন-
শরিফ: তুমি তো এটাই চাইছিলে! উঠে দাঁড়ালেই এক সেকেন্ডে কাঁটা উঠে যাবে একশতে।
 
রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর টিভি দেখতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বেঁধে গেল-
স্ত্রী: তুমি একটা মূর্খ।
স্বামী: কেন?
স্ত্রী: তুমি সত্যি এমএ পাস?
স্বামী: হ্যাঁ।
স্ত্রী: তাহলে পত্নী শব্দের অর্থ জানো না কেন?
স্বামী: জানি না কে বলল?
স্ত্রী: জানলে বলো…
স্বামী: যে নিজের পতির পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাকেই তো পত্নী বলে।
 
এলাকায় নতুন একটি দোকান করেছে সালেক। কেবল দুটি জিনিসই বিক্রি হয় সেখানে, ঢোল আর বন্দুক। একদিন তার বন্ধু বেড়াতে এসে খুব অবাক হয়-
বন্ধু: কিরে সালেক, কেমন অদ্ভুত দোকান খুলে বসে আছিস। আর কিছু নেই। শুধু ঢোল আর বন্দুক?
সালেক: তা-ই তো বেচে কুল করতে পারি না। একজন একটা ঢোল কিনে নিয়ে গেলেই হলো, পরদিন তার বউ আসে বন্দুক কিনতে।
 
টিনা ফোন করে বান্ধবী মাহাকে বলল-
টিনা: শুনলাম তৃতীয়বার বিয়ে করতে যাচ্ছিস?
মাহা: ঠিকই শুনছিস।
টিনা: কেন এমন হলো?
মাহা: আর বলিস না, প্রথম স্বামী খোদার প্রিয় হয়ে গেলেন। আর দ্বিতীয় স্বামী এখন প্রতিবেশী রুমকির প্রিয় হয়ে গেছে। তাই আমি এখন অন্য কারো প্রিয় হতে চাই।
 
তরুণীকে যা বলল বৃদ্ধ!
এক বৃদ্ধ তার সাত মাসের নাতিকে কোলে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এ সময় এক তরুণী এগিয়ে এসে বলল-
তরুণী: ওমা, কী সুন্দর! আদর করতে ইচ্ছে করছে। বয়স কত?
বৃদ্ধ: এবার পঁচাশিতে পড়লাম
 
সব ইচ্ছা পূরণ হলো যেভাবে
বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে মিন্টুর একান্ত ইচ্ছা ছিল কয়েকটি-
প্রথমত, সঙ্গে থাকবে টাকাভর্তি বাক্স।
দ্বিতীয়ত, একটি মোটামুটি ঝামেলা ছাড়া চাকরি।
তৃতীয়ত, শান্তির ঘুম।
চতুর্থত, কাজ করার স্থানটা হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

মিন্টুর সব ইচ্ছাই আজ পূরণ হয়েছে। সে এখন এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ড।
 
পুরুষ কীসের প্রতীক?
পিন্টু: নারী যদি শক্তির প্রতীক হয়, তবে পুরুষ কীসের প্রতীক?
নান্টু: সহ্যশক্তি!
পিন্টু: কীভাবে?
নান্টু: নারী যে শক্তি প্রয়োগ করে, পুরুষকে তা সহ্য করতে হয়।
 
কারণে দোকানে কাস্টমার বাড়ে
মর্জিনা: আমাকে ২০০ টাকা বাড়িয়ে দেন। নইলে আপনার দোকানে কাজ করতে পারমু না।
মালিক: তোর আগে বাবুলও তো এই দোকানে কাজ করেছে। তাকেও তো ১০০ টাকা দিয়েছি। তোকে ৩০০ দেব কেন?
মর্জিনা: বাবুল যখন কাজ করতো; তখন যা কাস্টমার আসতো, আমি আসার পরে তা চারগুণ বেড়ে গেছে। সেই লাভ শুধু আপনি একা ভোগ করবেন। তা কী হয়?
 
এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারটা বেশ সংকটে পড়ে গেল। সংসারে অভাব থাকায় খাদ্য-বস্ত্রে দেখা দিল চরম দুর্ভোগ।
স্বর্ণকারের বিধবা স্ত্রী তার বড় ছেলেকে একটা হীরের হার দিয়ে বললো--এটা তোর কাকুর দোকানে নিয়ে যা, বলবি যে এটা বেচে কিছু টাকা দিতে।
ছেলেটা হারটি নিয়ে কাকুর কাছে গেল।
কাকু হারটা
ভালো করে পরীক্ষা করে বললো- বেটা, তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজার খুবই মন্দা, কয়েকদিন পর বিক্রি করলে ভাল দাম পাওয়া যাবে। কাকু কিছু টাকা ছেলেটিকে দিয়ে বললেন--আপাতত এটা নিয়ে যাও আর কাল থেকে তুমি প্রতিদিন দোকানে আসবে, আমি কোন ১দিন ভাল খদ্দোর পেলেই যেন তুমি দৌড়ে হার নিয়ে আসতে পার তাই সারাদিন থাকবে।
পরের দিন থেকে ছেলেটা রোজ দোকানে যেতে লাগলো।সময়ের সাথে সাথে সেখানে সোনা-রুপা-হীরে কাজ শিখতে আরম্ভ করলো।
ভাল শিক্ষার ফলে অল্প দিনেই খুব নামি জহুরত বনে গেল। দূর দূরান্তর থেকে লোক তার কাছে সোনাদানা বানাতে ও পরীক্ষা করাতে আসত। খুবই প্রসংশীত হচ্ছিল তার কাজ।
একদিন ছেলেটির কাকু বললো-- তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজারের অবস্থা বেশ ভালো, তাই সেই হারটা যেন তোমার হাতে দিয়ে দেন। এখন এটা বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
ছেলেটি ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে হারটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলো যে এটা একটা নকল হীরের হার। তাই সে হারটা আর কাকুর কাছে নিয়ে যায় নি।
কাকু জিজ্ঞেস করলো-- হারটি আনো নি ?
ছেলেটি বললো-- না কাকু, পরীক্ষা করে দেখলাম এটা একটা নকল হার।
তখন কাকু বললো- তুমি যেদিন আমার কাছে হারটি প্রথম নিয়ে এসেছিলে সেদিন আমি দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম যে এটা নকল, কিন্তু তখন যদি আমি তোমাকে এই কথাটা বলে দিতাম, তাহলে তোমরা হয়তো ভাবতে যে আজ আমাদের মন্দ সময় বলেই কাকু আমাদের আসল জিনিষকে নকল বলছে। আজ যখন এ ব্যাপারে তোমার পুরো জ্ঞান হয়ে গেছে, তখন তুমি নিজেই বলছো এটা নকল হার।
এই দুনিয়াতে প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া তুমি যা কিছু দেখছো...যা কিছু ভাবছো সবটাই এই হারের মতই নকল, মিথ্যে।
জ্ঞান ছাড়া কোন জিনিসের বিচার সম্ভব নয়। আর এই ভ্রমের শিকার হয়েই অনেক সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। আমি সেই সম্পর্কটা নষ্ট হোক তা চাইনি।
 
একদা এক রোগী চিকিৎসার জন্য হসপিটালে গেলেন। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এক্স-রে করে বললেন, আপনার পেটের ভিতরে তেলাপোকা রয়েছে। আপনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হবে।
বেছারা তার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে কোন রকম করে সিঙ্গাপুর যাওয়ার এবং চিকিৎসার খরচ জোগালেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকগণ ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং এক্স-রে করে বললেন।আপনি দেশে ফিরে যান, আপনার পেটে কোন তেলাপোকা নেই। আসলে তেলাপোকা ছিল আপনার দেশের এক্স-রে মেসিনের ভেতর।
কি ভাবছেন, হাসবেন নাকি আফসোস করবেন?

যাইহোক, এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের চিকিৎসক আর চিকিৎসার হাস্যকর কিছু কঠিন বাস্তবতা!
 

Users who are viewing this thread

Back
Top