ঋষি বিরক্ত হয়ে চৌকিতে বসল।কোহিনুর ঘরে কোনে স্টোভ জ্বালিয়ে চা করতে থাকে।
ঋষি দেখছে নতুন স্টোভ নতুন কাপ।এইসব করতে এখানে আসা?বাইকের শব্দ পাওয়া গেল।মনে হচ্ছে ওরা এল?
পরমুহূর্তে হুড়মুড় করে সবাই ঢুকে পড়ল।চৌকিতে বসে ভজা বলল,সব শুনেছো বস?এই শালা উকিলটা এমন ক্যালানে বস একে বদলাতে হবে।
–সব শুনেছি।দু-সপ্তা পরে ডেট।সময় আছে।এখন যা বলছি শোনো।
কোহিনুর সবাইকে চা বিস্কুট দিয়ে একটা টুল নিয়ে বসল।
ঋষি বলল,জমানো টাকা এভাবে খরচ করলে কদিন চলবে?
কেতো বলল,বস আমরা ফালতু কিছু কিনিনি।তুমি দেখো চৌকি–।
কেতোকে থামিয়ে দিয়ে ঋষি বলল,আমি তা বলিনি।কি বলছি শোনো।মাখনবাবুকে চেনো?
সকলে পরস্পর মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।ঋষি বলল,ঐ যে ফ্লাট করা নিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে গোলমাল হল—।
ভজা বলল,যে খুব ফটফট করছিল?ওষুধের দোকান?
–মাখনবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছিল আগে।ওকে আমার কথা বলবে।একজন ওষুধের দোকানের অভিজ্ঞ সেলম্যান উনি দেবেন বলেছিলেন।সেই লোক নিয়ে আমার কাছে আসবে।আমি তার সঙ্গে কথা বলবো।
সফি বলল,বস এখনই যাবো?
–শোনো সফি আমাদের এখন খুব সমঝে চলতে হবে।বাবুয়া নেই এক ঝামেলা আবার তোমরা কেউ ঝামেলায় জড়ালে কোনদিক সামলাবো বলো?
সফি বলল,না আমি রিকোয়েস্ট করার কথা বলেছি।
–বস যদি লোক দেয় কোথায় আনবো,এখানে?ভজা জিজ্ঞেস করল।
–এখানে নয়।খিনকিল নার্সিং হোমে আমার খোজ করবে ওখানে থাকবো।
সবার চোখে বিস্ময়।ঋষি হেসে বলল,ওখানে কাজ করছি।
সন্তু বলল,ঐখানে ঐ মালটা আছে না?শান্তিদার চামচা?
ভজা বিরক্ত হয়ে বলল,বস কি বলল? আমাদের সমঝে চলতে হবে?দেবেশ এখন বরেন বোসের সঙ্গে লাইন করছে।
–তোমাদের কি বলছি বুঝতে পারছো না।কে কার চামচা তাতে আমাদের কি?আমাদের কারো সঙ্গে শ্ত্রূতা নেই।
–কি বলছো বস?মুন্নাকে ছেড়ে দেবো?কেতো বলল।
ঋষি চুপ করে বসে থাকে।ভজা বলল,তোরা কোনো কথা বলবি না।বস ওর কথায় কিছু মাইণ্ড কোরো না।তুমি আমাদের বস তুমি যদি মাইণ্ড করো আমাদের কি হবে বলতো?
–ঠিক আছে আর গ্যাস দিতে হবে না, সবাই হো-হো করে হেসে উঠল।কোহিনুর স্বস্তি বোধ করে।
ঋষি বলল,ঠিক আছে ভজা যা বললাম?আমাকে যেতে হবে।তোমরা যাবে না?
সন্তু বলল,আজ আমাদের পিকনিক।
ঋষি উঠতে কোহিনুর সঙ্গে সঙ্গে দরজা পর্যন্ত গেল।ঋষি জিজ্ঞেস করল,কিছু বলবেন?
কোহিনুর কিছুক্ষন ভেবে বলল,পরে বলবো।
রাস্তায় নেমে হন হন করে হাটতে লাগল ঋষি।দীর্ঘদিনের অভ্যাস রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়।তবে তাকে ওরা খুব সম্মান করে।কোহিনুর কি যেন বলতে চায়।লজ্জা বা সঙ্কোচে বলতে পারছে না।ওষুধের দোকানে কি ওর আপত্তি?সেটা জেনে নেওয়া দরকার,অনিচ্ছুক মনকে দিয়ে কিছু করানো যায়না।অনেক ভেবে ওষুধের দোকানের কথা স্থির করেছে।কথা বলে দেখা যাক।ভজারা কোনো পরামর্শ দিল নাতো?
ড.এমা ঘরে ফিরে এসে ভাবতে থাকে কাঞ্চা বলছিল বাপু বাঙালীবাবুর কথা শুনতে ভালবাসে।মনে পড়ল মহারাজও এই রকম বলেছিল।ভিতর ছেড়ে বাইরের পরিচয়কে বড় করে দেখি।সোম ছেলেটা রিয়ালি ইন্টারেস্টিং।কেমন ক্যাজুয়ালি একটা গভীর কথা বলে গেল।
ঋষি দেখছে নতুন স্টোভ নতুন কাপ।এইসব করতে এখানে আসা?বাইকের শব্দ পাওয়া গেল।মনে হচ্ছে ওরা এল?
পরমুহূর্তে হুড়মুড় করে সবাই ঢুকে পড়ল।চৌকিতে বসে ভজা বলল,সব শুনেছো বস?এই শালা উকিলটা এমন ক্যালানে বস একে বদলাতে হবে।
–সব শুনেছি।দু-সপ্তা পরে ডেট।সময় আছে।এখন যা বলছি শোনো।
কোহিনুর সবাইকে চা বিস্কুট দিয়ে একটা টুল নিয়ে বসল।
ঋষি বলল,জমানো টাকা এভাবে খরচ করলে কদিন চলবে?
কেতো বলল,বস আমরা ফালতু কিছু কিনিনি।তুমি দেখো চৌকি–।
কেতোকে থামিয়ে দিয়ে ঋষি বলল,আমি তা বলিনি।কি বলছি শোনো।মাখনবাবুকে চেনো?
সকলে পরস্পর মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।ঋষি বলল,ঐ যে ফ্লাট করা নিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে গোলমাল হল—।
ভজা বলল,যে খুব ফটফট করছিল?ওষুধের দোকান?
–মাখনবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছিল আগে।ওকে আমার কথা বলবে।একজন ওষুধের দোকানের অভিজ্ঞ সেলম্যান উনি দেবেন বলেছিলেন।সেই লোক নিয়ে আমার কাছে আসবে।আমি তার সঙ্গে কথা বলবো।
সফি বলল,বস এখনই যাবো?
–শোনো সফি আমাদের এখন খুব সমঝে চলতে হবে।বাবুয়া নেই এক ঝামেলা আবার তোমরা কেউ ঝামেলায় জড়ালে কোনদিক সামলাবো বলো?
সফি বলল,না আমি রিকোয়েস্ট করার কথা বলেছি।
–বস যদি লোক দেয় কোথায় আনবো,এখানে?ভজা জিজ্ঞেস করল।
–এখানে নয়।খিনকিল নার্সিং হোমে আমার খোজ করবে ওখানে থাকবো।
সবার চোখে বিস্ময়।ঋষি হেসে বলল,ওখানে কাজ করছি।
সন্তু বলল,ঐখানে ঐ মালটা আছে না?শান্তিদার চামচা?
ভজা বিরক্ত হয়ে বলল,বস কি বলল? আমাদের সমঝে চলতে হবে?দেবেশ এখন বরেন বোসের সঙ্গে লাইন করছে।
–তোমাদের কি বলছি বুঝতে পারছো না।কে কার চামচা তাতে আমাদের কি?আমাদের কারো সঙ্গে শ্ত্রূতা নেই।
–কি বলছো বস?মুন্নাকে ছেড়ে দেবো?কেতো বলল।
ঋষি চুপ করে বসে থাকে।ভজা বলল,তোরা কোনো কথা বলবি না।বস ওর কথায় কিছু মাইণ্ড কোরো না।তুমি আমাদের বস তুমি যদি মাইণ্ড করো আমাদের কি হবে বলতো?
–ঠিক আছে আর গ্যাস দিতে হবে না, সবাই হো-হো করে হেসে উঠল।কোহিনুর স্বস্তি বোধ করে।
ঋষি বলল,ঠিক আছে ভজা যা বললাম?আমাকে যেতে হবে।তোমরা যাবে না?
সন্তু বলল,আজ আমাদের পিকনিক।
ঋষি উঠতে কোহিনুর সঙ্গে সঙ্গে দরজা পর্যন্ত গেল।ঋষি জিজ্ঞেস করল,কিছু বলবেন?
কোহিনুর কিছুক্ষন ভেবে বলল,পরে বলবো।
রাস্তায় নেমে হন হন করে হাটতে লাগল ঋষি।দীর্ঘদিনের অভ্যাস রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়।তবে তাকে ওরা খুব সম্মান করে।কোহিনুর কি যেন বলতে চায়।লজ্জা বা সঙ্কোচে বলতে পারছে না।ওষুধের দোকানে কি ওর আপত্তি?সেটা জেনে নেওয়া দরকার,অনিচ্ছুক মনকে দিয়ে কিছু করানো যায়না।অনেক ভেবে ওষুধের দোকানের কথা স্থির করেছে।কথা বলে দেখা যাক।ভজারা কোনো পরামর্শ দিল নাতো?
ড.এমা ঘরে ফিরে এসে ভাবতে থাকে কাঞ্চা বলছিল বাপু বাঙালীবাবুর কথা শুনতে ভালবাসে।মনে পড়ল মহারাজও এই রকম বলেছিল।ভিতর ছেড়ে বাইরের পরিচয়কে বড় করে দেখি।সোম ছেলেটা রিয়ালি ইন্টারেস্টিং।কেমন ক্যাজুয়ালি একটা গভীর কথা বলে গেল।