ছেলে: বাবা, আমাকে আরেক গ্লাস পানি দাও। বাবা: তোমার এত পানি লাগে কেন? তোমাকে ইতিমধ্যে ১০ গ্লাস পানি দিয়েছি। ছেলে: কিন্তু বাবা, বিছানায় যে আগুন ধরিয়েছি, সেটা তো নিভছে না!
বাবার অফিসের বস এমদাদ সাহেব বাসায় আসবেন বেড়াতে। ছোট্ট মেয়ে মুনিয়া তাই মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করছিল। রান্না, টেবিল গোছানো…সব কাজেই সে মাকে সাহায্য করল। যথাসময়ে অতিথিরা এসে হাজির। বাবা: মুনিয়া মা আমার, তুমি খুব সুন্দর করে টেবিল সাজিয়েছ। কিন্তু তুমি বোধ হয় একটা কাজ করতে ভুলে গেছ। এমদাদ চাচুর প্লেটের পাশে চামচ আর ছুরি দাওনি কেন? মুনিয়া: আমি ভুলিনি, বাবা। ওনার তো ওগুলো লাগবে না। বাবা: কেন? মুনিয়া: তুমি না একটু আগে মাকে বলছিলে, ‘আমার বস লোকটা ঘোড়ার মতো খায়!’
ছোটকু দাদির কাছে চিঠি লিখছিল। ‘দাদিইইইই! কেমন আছওওও? আমি ভালোওওওও!…’ পেছনে এসে দাঁড়ালেন মা। বললেন, ‘সেকি! তুই এভাবে লিখছিস কেন? ছোটকু: দাদি তো কানে কম শোনেন, তাই চিৎকার করে বলছি!
ছেলে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠছে। বাবা ভীষণ খুশি। আনন্দের আতিশয্যে বাবা বলেই ফেললেন, ‘তুই স্কুল পাস করেছিস। সেই খুশিতে আজ থেকে তোকে ক্লাবে যাওয়ার অনুমতি দিলাম।’ ছেলে: না বাবা, এ আমি করতে পারি না। বাবা: (খুশি হয়ে) কেন বল তো? ছেলে: কারণ, এক বছর হলো আমি ক্লাবে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি!
ছোট্ট জনি বলছে তার চাচাকে, ‘চাচ্চু! তুমি গত জন্মদিনে আমাকে যে ইলেকট্রিক গিটার কিনে দিয়েছিলে, সেটাই ছিল সবচেয়ে সেরা উপহার!’ চাচা: তাই! তুই খুব চমৎকার গিটার শিখেছিস বুঝি? তোর গিটার শুনে সবাই নিশ্চয়ই মুগ্ধ হয়? জনি: না। সকালে গিটার না বাজানোর জন্য মা আমাকে প্রতিদিন ১০ টাকা দেয়। আর রাতে আমি যেন গিটার না বাজাই, সে জন্য বাবা দেয় ৫০ টাকা!
বাবা যুদ্ধে যাচ্ছেন। ছোট্ট জনি ডুকরে কেঁদে উঠল, ‘যেয়ো না বাবা!’ বাবা বললেন, ‘আমাকে যে যেতেই হবে রে।’ ‘না বাবা, না! তুমি আমাকে ফেলে যেয়ো না।’ চিৎকার করে কেঁদে উঠল জনি। এমন সময় পেছনে এসে দাঁড়ালেন জনির মা। বললেন, ‘কাঁদে না বাবা, এখন থেকে আমি তোমাকে চিপস কিনে দেব।’ চোখ মুছল জনি। হাসিমুখে বলল, ‘ঠিক আছে বাবা, টা টা!’
বাবা যুদ্ধে যাচ্ছেন। ছোট্ট জনি ডুকরে কেঁদে উঠল, ‘যেয়ো না বাবা!’ বাবা বললেন, ‘আমাকে যে যেতেই হবে রে।’ ‘না বাবা, না! তুমি আমাকে ফেলে যেয়ো না।’ চিৎকার করে কেঁদে উঠল জনি। এমন সময় পেছনে এসে দাঁড়ালেন জনির মা। বললেন, ‘কাঁদে না বাবা, এখন থেকে আমি তোমাকে চিপস কিনে দেব।’ চোখ মুছল জনি। হাসিমুখে বলল, ‘ঠিক আছে বাবা, টা টা!’
মা: খোকন! বাইরে গিয়ে খেলো। তোমার বাঁশির শব্দের যন্ত্রণায় বাবার পড়তে অসুবিধে হচ্ছে। খোকন: সে কী! তাহলে বাবার এত পড়ালেখা করে কী লাভ হলো? আমি তো এত শব্দেও দিব্যি পড়তে পারি!