বাবা: পিন্টু! তুমি যদি এখনই খেলা বন্ধ না করো, আমি পাগল হয়ে যাব। পিন্টু: বাবা, আমার ধারণা তুমি ইতিমধ্যেই পাগল হয়ে গেছ। আমি খেলা বন্ধ করেছি আরও আধঘণ্টা আগে। এখন তো কেবল খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখছিলাম।
মা বলছেন চার বছরের ছোট্ট মন্টুকে, ‘মন্টু সোনামণি, তোমার জন্য একটা সুখবর আছে!’ মন্টু: কী, মা? মা: কদিন বাদেই তোমার একটা নতুন বন্ধু আসছে, তোমার সঙ্গে খেলাধুলা করার জন্য! মন্টু: তাই! কিন্তু ও এখন কোথায়, মা? মা: এই তো, তোমার মামণির পেটের ভেতর! মন্টু: ও কি খুব দুষ্টু? মা: না তো! ও খুব লক্ষ্মী। মন্টু: তাহলে তুমি ওকে খেয়ে ফেলেছ কেন?
ছোট্ট অন্তুকে তার মা গোসল করাচ্ছিলেন। মা: বাবু, তোমার চুলগুলো তো অনেক বড় হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, চুলগুলো কেটে ফেলা দরকার। অন্তু: চুল কাটতে হবে কেন? তার চেয়ে বরং তুমি আমার চুলে বেশি বেশি পানি ঢালা বন্ধ করলেই হয়! চুল আর বাড়বে না।
বাবা: পল্টু, তুই আবার স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলি? পল্টু: না, বাবা। বিশ্বাস করো, আমি সত্যি বলছি। বাবা: উঁহু, আমার বিশ্বাস হয় না। পল্টু: আমি ফুটবল খেলতে যাইনি, বাবা, প্রমিজ! এই দেখো, প্রমাণ হিসেবে আমার ব্যাগে ক্রিকেট বল আছে!
ছেলে: বাবা! বাবা! আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে! আমি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছি! বাবা: তাই নাকি? তা তোর চরিত্রটা কী? ছেলে: একজন ৩০ বছরের বিবাহিত যুবকের চরিত্র। সব কটি দৃশ্যই অবশ্য আমার স্ত্রীর সঙ্গে। বাবা: থাক, মন খারাপ করিস না বেটা। আশা করছি, পরেরবার তুই কোনো সবাক চরিত্র পাবি!
ছেলে: বাবা, আমি দূরের জিনিস ভালো দেখতে পাই না। ডাক্তার দেখিয়ে একটা চশমা নেওয়া দরকার। বাবা: ওপরে তাকা। কী দেখা যায়, বল? ছেলে: সূর্য। বাবা: ব্যাটা, আর কত দূর দেখতে চাস?
বাবা: কিরে, তোর পরীক্ষা কেমন হলো? ছেলে: আর বোলো না বাবা, ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা লিখতে পারিনি। ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা মনেই পড়ছিল না। ৪ নম্বর প্রশ্নটা যে কোথা থেকে দিল, বুঝতেই পারলাম না। ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা ভুলে লেখা হয়নি। বাবা: আর ৬ নম্বর? ছেলে: ওটা যে প্রশ্নপত্রের উল্টো পাশে ছিল, আমি খেয়ালই করিনি! বাবা: আর ৩ নম্বর? ছেলে: বিশ্বাস করো বাবা, শুধু এই একটা প্রশ্নের উত্তরই ভুল লিখেছি!