শিক্ষক: বলত ইমন, পরীক্ষার হলে উত্তরপত্রে সবার আগে কী লেখা উচিত? ইমন: ‘এই উত্তরপত্রে সমস্ত লেখা কাল্পনিক। কোনো বইয়ের সঙ্গে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয়!’
একটা গাধার বাচ্চা নিয়ে পল্টু ক্লাসে ঢুকেছে। শিক্ষক ক্লাসে গাধা দেখে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, ‘কিরে পল্টু, ক্লাসে গাধা নিয়ে এসেছিস কেন?’ পল্টু মুখ কাঁচুমাঁচু করে বলল, ‘স্যার, আপনিই তো ক্লাসে গাধার কথা বলেছেন।’ শিক্ষক রেগে বললেন, ‘কী বেয়াদবের মতো কথা বলছিস! আমি কেন ক্লাসে গাধার কথা বলতে যাব?’ ‘আপনিই তো বলেছিলেন, আপনি এ জীবনে অনেক গাধাকে মানুষ করেছেন! তাই তো আমার এই গাধাটাকে মানুষ বানাতে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি, স্যার।’ পল্টুর উত্তর।
শিক্ষক: আচ্ছা, হাবলু, বলো তো কোন বইটা জীবনে সবচেয়ে বেশি দরকারি? হাবলু: আমার বাবার চেকবই, স্যার। শিক্ষক: বলিস কিরে! হাবলু: ঠিকই তো বলেছি, স্যার। বই ছাড়াও তো স্কুলে আসা যায়, কিন্তু বাবার চেকবই না থাকলে এই স্কুল কি আমাকে পড়াবে, স্যার!
ক্লাসে পড়া না পারায় শিক্ষক হাবলুকে বললেন, ‘ফাজিল! তোমার মতো বয়সে আইনস্টাইন সব সময় ক্লাসে প্রথম হতেন। আর তুমি কী করছ ভেবে দেখো একবার!’ ‘এভাবে বলছেন কেন? আপনার মতো বয়সে হিটলার তো আত্মহত্যা করে বিখ্যাত হয়ে আছেন।’ হাবলুর জবাব।
সঞ্জু ও শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে— শিক্ষক: তোমাদের বাসার কুকুরটা তো বাঘের মতো দেখতে। তা, কী খাওয়াও কুকুরটাকে? সঞ্জু: স্যার, আসলে ওটা বাঘের বাচ্চাই। পেটে ভালো দানাপানি পড়ে না বলে দেখতে কুকুর মনে হয়!
শিক্ষক: আচ্ছা, তুমি যে লিখলে ‘মানুষ ক্রমাগত বদলায়’ এর কোনো বাস্তব উদাহরণ দেখাতে পারবে? ছাত্র: হ্যাঁ…পারব। আমাদের পাড়ার সুমন ভাই যখন আমাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন, তখন আমি তাঁকে ‘সুমন ভাই’ ডাকতাম। তারপর যখন তিনি আমাদের বাসায় টিউশনি নিলেন, তখন আমি ‘স্যার’ ডাকতাম। আর তিনি আমার আপুকে নিয়ে ভেগে যাওয়ার পর থেকে আমি তাঁকে ‘দুলাভাই’ ডাকি।
শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, কে বলতে পারবে, আমরা কেন আগে বিদ্যুৎ চমকানো দেখি এবং পরে শুনি মেঘের গর্জন? এক বালক উঠে দাঁড়িয়ে উত্তর দিল, কারণ, আমাদের চোখের অবস্থান কানের আগে।