What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

আমি যখন ক্লাস টুতে পড়ি সে সময়কার ঘটনা। ক্লাস টুতে আমার রোল ছিল তিন। তখন আমাদের রোলকল করা হতো না। ছোট ছিলাম বলে নাম বলা হতো এবং দাঁড়িয়ে ‘উপস্থিত’ বলে জবাব দিতে হতো। আমাদের ক্লাসে তখন প্রথম তিনজনের নামের শেষ শব্দটা ছিল ‘চৌধুরী’। একদিন স্কুলে গেলাম। আপা ক্লাসে ঢুকলেন। কিছুক্ষণ পর নাম ডাকা শুরু হলো। আপা প্রথমজনের সম্পূর্ণ নাম বললেন, জবাবে সে বলল ‘উপস্থিত’। দ্বিতীয়জনেরও সম্পূর্ণ নাম বললে সেও বলল ‘উপস্থিত’। কিন্তু আমার সময় আপা সম্পূর্ণ নাম না বলে শুধু বললেন মোয়াজ্জেম হোসেন আমিও ছিলাম বোধহয় ঘোরের মধ্যে তাই চৌধুরী ছন্দ ঠিক রাখার জন্য বলে
 
২০০৭ সালের ঘটনা। আমি তখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। চতুর্থ শ্রেণীতে এই স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছিলাম বলে কাউকে চিনতাম না। শুধু একটা মেয়েকে দেখতাম। সে ক্লাসের সহকারী ক্যাপ্টেন ছিল। সহকারী হলেও মাতব্বরি বেশি করত। এমন একটা ভাব করত যেন সে-ই ক্লাসের মাথা। একদিন ম্যাডাম কী কারণে যেন বাইরে গেলেন। ইতিমধ্যে ক্লাসে গোলমাল শুরু হয়ে গেছে। এমন সময় একটা নোটিশ এল। মেয়েটা সবাইকে বলতে লাগল, ‘সবাই চুপ করো নুটুস এসেছে।’ এই কথাটা বলে সে চুপ। এরই মধ্যে ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেছে। এরপর থেকে সে আর বেশি মাতব্বরি করেনি।
 
রফিক স্যার সেদিন আমাদের দশম শ্রেণীতে জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি সেদিন আমাদের সামনে একটি ব্যাঙ কেটে ব্যাঙের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে আমাদের বাস্তব ধারণা দেবেন। স্যার একে একে আমাদের সবাইকে ব্যাঙের হাত-পা, মাথা, লেজ, দাঁত ইত্যাদিসহ পেট কেটে অন্য আরও কিছু সম্বন্ধে হালকা-পাতলা একটা ধারণা দিলেন। একপর্যায়ে স্যার আমাদের ব্যাঙের কিডনি দেখাবেন। তবে তন্ন তন্ন করে পুরো ব্যাঙ কেটে ফেলেও কিডনি খুঁজে না পেয়ে অনেকটা হতাশগ্রস্ত হলেন। হঠাৎ একটু চিন্তা করে স্যার সবার উদ্দেশে বলে উঠলেন, ‘বুঝতে পেরেছি, এই ব্যাঙের কিডনি নেই। অন্য ব্যাঙ আনতে হবে!’ তখন আমার এক বন্ধু দাঁড়িয়ে বলল, কেন স্যার, ওই ব্যাঙের একটা কিডনি একে দান করার জন্য?
 
আমি তখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। আমার এক বন্ধুর নাম ছিল আবুল। আবুল ক্লাসে মাঝেমধ্যে এমন সব উত্তর দিত যে শিক্ষকেরাও না হেসে পারতেন না। একদিনের ঘটনা। স্যার বললেন, বল তো আবুল, আপেলগাছ থেকে আপেল পড়েছে দেখে নিউটন কী বুঝেছিলেন? আপেলগাছে আপেলই হয়, আবুলের জবাব।
 
তখন সবে ক্লাস নাইনে উঠেছি। আমাদের অঙ্ক ক্লাস নিতেন জিন্নাত হোসেন স্যার। তিনি ছিলেন বেশ রাগী। আমরা সবাই তাঁকে ভয় পেতাম। তো, স্যার একদিন ক্লাসে এসে বললেন, ‘যারা মানবিকে পড়ো তারা বলো তো ইতিহাসের জনক কে?’ আমি সঙ্গে সঙ্গে উঠে বললাম, ‘হেরোডটাস’। এবার স্যারের প্রশ্ন ছিল হেরোডটাসের বাড়ি কোথায়? আমি তা শুনতে না পেয়ে শুনেছি আমার বাড়ি কোথায়। তাই ঝটপট উত্তর, কলেজপাড়ায়। স্যার চমকে উঠে বললেন, হু!! আর ক্লাসের সহপাঠীদের সেকি হাসি!
 
স্কুল, ক্লাসরুমের বিশেষ কিছু ঘটনা মনে করতে গেলেই মনে পড়ে ক্লাস ওয়ানের কথা। তখন আমরা প্রায়ই ক্লাসে অ্যালফাবেট সং গাইতাম। একটা লাইন ছিল, যেখানে গাইতে হতো এইচ আই জে কে এল এম এন ও পি। তো আমরা কয়েকজন ছাড়া কিছু ছেলেমেয়ে গাইত এইচ আই জে কে এলোমেলো পি। ক্লাস সিক্সে ভর্তি হওয়ার পর একদিন আমাদের ইংরেজি স্যার ‘জেন্ডার’ পড়াচ্ছিলেন। একটা মেয়ে ছিল নতুন, নাম রিমি। স্যার ওকে পড়াচ্ছিলেন ‘Bullock’ মানে ‘দামড়া বাছুর’, পাঁচ-ছয়বার স্যার জিজ্ঞেস করার পর হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম? রিমির আর খেয়াল নেই। পড়ার তালে তালে বলল, ‘দামড়া বাছুর’।
 
বছর চারেক আগের ঘটনা। তখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি। একদিন ক্লাসে বাংলা পড়াচ্ছিলেন স্যার। আমার কয়েকজন সহপাঠী সেদিকে মোটেও মনোযোগী ছিল না। তারা বিভিন্নভাবে দুষ্টুমি করছিল। স্যার খুবই বিরক্ত হয়ে তাদের মধ্যে রিয়ানকে দাঁড়াতে বললেন। তারপর স্যার তাকে বললেন, ‘এ হচ্ছে ক্লাসের সবচেয়ে বদ।’ হঠাৎ করে রিয়ান বলল, ‘স্যার, আমি তো বদ না।’ রিয়ানের কথা শোনামাত্র আমরা সবাই হেসে ফেললাম। স্যারও না হেসে থাকতে পারলেন না। শুধু রিয়ান হতবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকাতে লাগল। কারণ, সে তখনো বোঝেনি, সে কী বলতে গিয়ে কী বলেছে।
 
শততম জন্মবার্ষিকীতে এক লোককে জিজ্ঞেস করা হলো, তাঁর এই দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য কী? লোকটি বললেন, এখনই ঠিক বলা যাচ্ছে না। একটা ভিটামিন কোম্পানি, একটা আয়ুর্বেদ কোম্পানি আর একটা ফ্রুট জুস কোম্পানির সঙ্গে দরদাম চলছে।
 
প্রতিদিন মেয়েকে ভোর সাতটায় স্কুলে দিয়ে তার কাজে চলে যায় আমার স্ত্রী (সে একটা স্কুলের টিচার)। আর ১০টায় আমি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বাসায় রেখে অফিসে যাই। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার ডিউটি। একদিন সর্বনাশ হলো! আমার যেটা কখনোই হয় না। ঘুম ভাঙল সাড়ে ১০টায়! আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম!! মেয়ের স্কুল ছুটি হয় ১০টায় আর আমি সাড়ে ১০টায় উঠলাম! কোনোরকমে শার্টটা পরে প্রায় ছুটে বেরোলাম। বাসা থেকে স্কুলে এমনিতে রিকশায় যাই, সেদিন স্কুটার নিলাম। গুলির মতো স্পিডে স্কুলে পৌঁছালাম, গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ! শুক্রবার! আমি হতভম্ভ হয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি, আমার মেয়ে আমার পাশেই তখনো ঘুমাচ্ছে। স্ত্রী বাথরুমে। আমি সমস্ত ব্যাপারটাই চেপে গেলাম।
 
১· আপনি এই মন্তব্যটি পড়ছেন। ২· বুঝে ফেলেছেন যে এটা আপনাকে বোকা বানানোর একটি কৌশল। ৪· খেয়াল করে দেখুন ৩ নম্বরটি বাদ পড়েছে, এটা আপনি ধরতেই পারেননি। ৫· আপনি এইমাত্র তা পরীক্ষা করে দেখলেন যে ঘটনা সত্য। ৬· নিজের বোকামি টের পেয়ে এবার আপনি মুচকি হাসছেন। ৭· তার পরও আপনি এই লেখাটি পড়ছেন। ৮· এবং মানতে বাধ্য হচ্ছেন, যা বলছি সবই সত্যি। ১০· আপনি আবারও খেয়াল করেননি যে আমি ৯ নম্বরটাও এড়িয়ে গেছি। ১১· আপনি আবার তা পরীক্ষা করে দেখছেন। ১২· আর আপনি খেয়ালই করেননি যে আসলে এখানে ১০টি চরম সত্য বলা হয়েছে, ১২টি নয়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top