Nirjonmela Desi Forum
Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!
Bangla joks (1 Viewer)
- Thread starter Saddam11
- Start date
একদিন হোজ্জা তাঁর বাড়ির চারপাশে শুকনো খাবারের টুকরো ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। ‘কী করছেন হোজ্জা?’ একজন জিজ্ঞেস করল। ‘বাঘকে দূরে সরিয়ে রাখছি।’ ‘কিন্তু এ এলাকায় কোনো বাঘ তো নেই।’ ‘ঠিক বলেছ, খুবই কার্যকর পদ্ধতি, তাই না?’
একদিন হোজ্জা বাজার থেকে কলিজা কিনে বাসায় যাচ্ছিলেন। এদিকে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে কলিজার পাই বানানোর প্রণালী দিয়েছিলেন, যাতে বাসায় গিয়ে কলিজার পাই রান্না করতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ একটি বাজপাখি উড়ে এসে কলিজা ছিনিয়ে নিয়ে একেবারে নাগালের বাইরে উড়ে চলে গেল। ‘বোকা কোথাকার!’ চেঁচিয়ে হোজ্জা বললেন, ‘কলিজা নিয়ে গেছ ঠিক আছে, কিন্তু প্রস্তুত প্রণালী তো আমার কাছে!’
একরাতে হোজ্জার প্রতিবেশী হোজ্জার বাসা থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পেল। পরদিন সকালে তাদের দেখা হলে প্রতিবেশী হোজ্জাকে জিজ্ঞাস করলেন। ‘ভাই সাহেব, গতকাল আপনার বাসা থেকে ভারী কিছু পতনের শব্দ শুনলাম, কি হয়েছে?’ ‘আর বলবেননা, কালকে আমার বিবি রাগ করে আমার কুর্তা উপর থেকে নীচে ফেলে দেয়’। ‘কুর্তা ফেলে দিলে এত শব্দ হয়’। প্রতিবেশী অবাক। ‘কুর্তার ভিতর তো আমিও ছিলাম’, হোজ্জার ত্বরিত উত্তর।
একবার এক লোক হোজ্জার কাছে একটা চিঠি নিয়ে এসে পড়ে দেওয়ার অনুরোধ করল। হোজ্জা পড়ার চেষ্টা করে বিফল হয়ে বলল, ‘লেখাটা দুষ্পাঠ্য তাই পড়া যাইতেছেনা।’ লোকটা খেপে গিয়ে বলল, ‘একটা সাধারণ চিঠি পড়তে পারনা আবার মাথায় পাগড়ি পরছ’। হোজ্জা তাড়াতাড়ি নিজের পাগড়ি খুলে লোকটার মাথায় পরিয়ে দিয়ে বলল, ‘এইযে এখন তোমার মাথায় পাগড়ি আছে, এইবার তুমি দেখোতো চিঠিটা পড়তে পারো কীনা?’
গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, ‘বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র। তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!’ ‘তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!’ গোপালের সরল উত্তর।
গোপালকে বলছেন রামবাবু, ‘এখানে বাঁদরের বড্ড উৎপাত। তোমাকে তো দেখতে বেশ বাঁদরের মতোই! ওদের দলে তোমাকে ছেড়ে দিলে কি হবে বলতো? তুমি নিশ্চই কখনো বাঁদর দেখনি?’ ‘আজ্ঞে না! আপনার মত বাঁদর আমি আগে আর কক্ষনো দেখিনি!’ গোপালের সোজা-সাপ্টা উত্তর।
গোপালের তামাকপ্রীতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মোটেই পছন্দ করতেন না। একদিন গোপালকে সঙ্গে নিয়ে পালকিতে কোথাও যাচ্ছেন, দেখেন তামাক ক্ষেতে এক গাধা চড়ে বেড়াচ্ছে। সেই গাধা ক্ষেতের আগাছা খাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তামাক পাতায় ভুলেও মুখ দিচ্ছে না। সুযোগ পেয়ে রাজা বলেন, ‘দেখেছো হে গোপাল, একটা গাধাও তামাক খায় না!’ শুনে গোপাল বলে, ‘আজ্ঞে রাজা মশাই, তা যা বলেছেন। কেবল গাধারাই তামাক খায় না।’
এক পন্ডিতের মাথায় তিলকের ঘটা দেখে গোপাল খুব আমোদ পেয়ে জিজ্ঞেস করেছে, ‘ওহে পন্ডিত, কপালে এতো সব কি এঁকেছো?’ পন্ডিত একগাল হেসে বলে, ‘আজ্ঞে, ফোঁটা কাটুচি!’ গোপাল উদাত্ত গলায় ফের শুধায়, ‘ফোঁটা কাটুচি, না কাগে হাগুচি?’
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?’ গদগদ হয়ে গোপাল বলে, ‘আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়শই আসতেন!’
